ভাত গল্পের বড় প্রশ্ন উত্তর 2024 | দ্বাদশ শ্রেণির বাংলা প্রশ্ন উত্তর | Bhat Golper Proshna Uttor | HS Bengali suggestion

    দ্বাদশ শ্রেণীর মহাশ্বেতা দেবীর ভাত গল্পটি একটি গুরুত্বপূর্ণ গল্প, প্রায় প্রতিবছর পরীক্ষাতে ভাত গল্পের বড় প্রশ্ন ও উত্তর লিখতে আসে। কিন্তু যে সকল প্রশ্ন গুলি পরীক্ষাতে বারবার আসে সেই বিষয়গুলো বাদ দিয়ে আমরা অন্য প্রশ্নগুলির পড়ি, এই কারণে আমাদের সমস্যা সৃষ্টি হয়।
ভাত গল্পের বড় প্রশ্ন উত্তর

    কিন্তু ভাত গল্পের যে সকল বড় প্রশ্ন ও উত্তর আমাদের পড়া উচিত বা পড়তে হবে সেগুলি সম্পর্কে আজ এখানে আমি আলোচনা করব সুতরাং দ্বাদশ শ্রেণীর বাংলা বিষয়ের ভাত গল্পের বড় প্রশ্ন গুলি তোমরা এখান থেকেই পেয়ে যাবে।

  • বড়ো প্রশ্ন ও উত্তর নিচে লেখা আছে।।


ভাত গল্পের প্রেক্ষাপট: 


     মহাশ্বেতা দেবীর ভাত গল্পের প্রেক্ষাপট রচিত হয়েছে পশ্চিমবঙ্গের দক্ষিণ অংশে সুন্দরবনের বাদা অঞ্চলের অন্ত্যজ শ্রেণীর মানুষের জীবনযাত্রা নিয়ে। মানুষের দৈনিক বা দৈনন্দিন জীবন কত কঠিনতম পরিস্থিতিতে পৌঁছালে সুন্দর জীবনকে এক মুহূর্তে বিলীন করতে পারে গল্পটি তার একমাত্র প্রতিচ্ছবি।

    আমরা সাহিত্যিক মহাশ্বেতা দেবীর বিভিন্ন গল্পগুলিতে বাংলার অন্ত্যজ শ্রেণীর জীবনযাত্রার বিভিন্ন টানাপোড়েনের কাহিনী জানতে পারি, ঠিক একই রকম ভাবে ভাত গল্পের প্রেক্ষাপট সুন্দরবনের বাদা অঞ্চলের মানুষের যে করুণ পরিণতি আলোচিত হয়েছে।

    একমাত্র প্রাকৃতিক দুর্যোগের রাতে স্বাভাবিক ও সুখী এক পরিবার কিভাবে মৃত্যুর মুখে ঢলে পড়ে তা এই গল্পটিতে বর্ণনা করা হয়েছে, শুধু তাই নয় গল্পটিতে দেখানো হয়েছে অন্ধকার ও কুসংস্কারাচ্ছন্ন মানুষের সংস্কৃতিকে। ভাত গল্পের বড় প্রশ্ন উত্তর


ভাত গল্পের বিষয়বস্তু :


    মহাশ্বেতা দেবীর ভাত গল্প আমরা সুন্দরবনের বাদা অঞ্চলের চাষী উৎসব নাইয়া এর জীবনযাত্রা সম্পর্কে পরিচয় পাই। স্বাভাবিকভাবে জীবন পাত করা উৎসব নাইয়ার পরিবারে এক ঝড়ের রাতে বিশাল পরিবর্তন ঘটে।

    স্ত্রী-পুত্র-কন্যাকে হারিয়ে উৎসব নাইয়া পাগলের মত হয়ে শহরের এক বড় বাড়িতে কাজের সন্ধান পায়। কিন্তু সেই দুর্বিষহ রাতের পর থেকে সে অভুক্ত তার পেটে একটিও ভাতের দানা পড়ে নি। অথচ অন্যদিকে সেই বড় বাড়িতে বিভিন্ন রকমের চাল ও ভাতের আনাগোনা। ভাত গল্পের বড় প্রশ্ন উত্তর

    গল্পটির মূল প্রেক্ষাপট বা বিষয় হল এটি, একদিকে খেতে না পাওয়া মানুষের আত্ম যন্ত্রণা অন্যদিকে তার বিপরীতে গড়ে ওঠা এক কুসংস্কারাচ্ছন্ন মানুষের মানসিকতা। উৎসব নাইয়া সামান্য এক মুঠো ভাতের জন্য আজ পরের বাড়িতে কাজ করতেও দ্বিধা বোধ করেনি কিন্তু সেখানে ভাতের অনেক ব্যবস্থা থাকলেও তা রীতি ও নিয়ম এর কাছে অচ্ছুত তে পরিণত হয়েছে।

    অনেকদিন না খেতে পাওয়া উচ্ছব নাইয়া শেষে সহ্য করতে না পেরে বড় বাড়ির ফেলে দেওয়া ভাতের ডেকচি চুরি করতে বাধ্য হয়েছে। আর অনেকদিন পর তার পেটে ভাতের দানা পড়াতে সে সেই ব্যক্তির উপর ঘুমিয়ে পড়েছে, অন্যদিকে পুলিশ তাকে চোর মনে করে গল্পের শেষে জেলে নিয়ে গেছে।



## উপরে গল্পের প্রেক্ষাপট ও বিষয়বস্তু সম্পর্কে একটি স্বাভাবিক ও সংক্ষিপ্ত ধারণা দেওয়ার চেষ্টা করেছি। এবার এই গল্প থেকে যেসকল প্রশ্নগুলি গুরুত্বপূর্ণ এবং প্রায় প্রতিবছর পরীক্ষাতে আসে সেগুলো সম্পর্কে পরপর নিয়ে আলোচনা করলাম - 



  " তুমি কি বুঝবে সতীশবাবু" - সতীশবাবু কি বুঝবে না ? সতীশবাবু উৎসবের সঙ্গে কেমন আচরণ করেছিল ?


      প্রখ্যাত কথা সাহিত্যিক মহাশ্বেতা দেবী' র ভাত ছোটগল্পে উল্লিখিত বাক্যটিতে ভাত না খেতে পারার জ্বালা কে সতীশবাবু বুঝবে না বলে উৎসব উল্লেখ করেছেন। 

    সুন্দরবনের বাদাবনে সতীশবাবু অবস্থাপন্ন চাষী কিন্তু উৎসব নাইয়া দের মত নদীর ধারে তার বাড়ি নয়। গল্পে আমরা সতীশ বাবুর দালান বাড়ির কথা জানতে পারি, যাকে উৎসব বলেছে তার পাকা বাড়ি ভেঙে পড়ার কোনো সম্ভাবনা নেই। ভাত গল্পের বড় প্রশ্ন উত্তর

    দুর্বিষহ ঝড়ের রাতের পরে যখন উৎসব নাইয়া তার পরিবারকে হারিয়েছিল তখন গ্রামের এই সতীশবাবুর ঘরে রোজ রান্না হতো এমনকি একদিন উৎসব তার কাছে দুমুঠো ভাত চাইলে সে দিতে অস্বীকার পর্যন্ত করেছে। উৎসবকে সতীশবাবু শেষপর্যন্ত এ কথা জানায় যে - তাকে ভগবান মারতে বসেছে অর্থাৎ সতীশবাবু তাকে বাঁচাতে পারবে না।


    স্ত্রী পুত্রদের হারিয়ে উৎসব পাগলের মত হয়ে যায়, কিন্তু অগ্রাসি সমাজ সেই অবস্থাতেও অপঘাতে মৃত্যুর দায়ে তার স্ত্রী ও পুত্রের জন্য শ্রাদ্ধশান্তি করাতে বাধ্য করেছিল। সেই সমাজের এক প্রধান উৎসবকে একমুঠো ভাত পর্যন্ত দিতে অস্বীকার করে। এই আচরণ এর পরিপ্রেক্ষিতে উৎসব সতীশবাবু কে প্রশ্নে উল্লেখিত উক্তিটি করেছিল।

   উৎসবের এরকম আচরণ দেখে সতীশবাবু মন্তব্য করে যে উৎসব পাগল হয়ে গেছে তাই বউ পুত্র মারা গেলে মানুষ যেখানে পাগল হয়ে যায় সেখানে এসে সতীশ বাবুর কাছে ভাত চেয়ে মরে। 




 ভাত গল্পে যে ঝড় জলে রাতের কথা বলা হয়েছে তা বর্ণনা করো।


    মহাশ্বেতা দেবীর ভাত গল্পে আমরা উৎসব নাইয়া নামে এক সর্বশান্ত কৃষকের কথা জানতে পারি। যে ছিল সুন্দরবনের বাদা অঞ্চলের একজন ভূমিহীন মজুর, তার পিতা হরিচরণ নাইয়া, এবং সে স্ত্রী-পুত্র-কন্যাকে নিয়ে মাতলা নদীর তীরে বসবাস করত। কিন্তু হঠাৎ করে এক ঝড় জলের রাত তার এই ক্ষুদ্র জীবনকে শেষ করে দিয়েছিল।

   অনেকদিন পর সে পেট ভরে দুমুঠো ভাত খেয়ে ছিল কিন্তু তার স্ত্রী দেবতার গতিক ভালো নয় তা বুঝতে পারে। হঠাৎ করেই শুরু হয় প্রবল ঝড় বৃষ্টি, উৎসবের ঘরের মাঝখানের খুঁটিটি ধনুষ্টংকারের রোগীর মতো কাঁপতে থাকে। এরকম অবস্থায় উৎসব খুঁটিকে প্রাণপণে মাটির সঙ্গে চেপে রেখেছিল। কিন্তু মুহূর্তে উৎসবের বুঝতে সমস্যা হয়নি যে বসুন্ধরা সেই খুঁটিটি আর রাখতে চাইছে না।

    প্রকৃতির ভাব বেগতিক দেখে সে ঠাণ্ডায় ছেলে মেয়েকে বুকে জড়িয়ে ধরে কাঁপতে থাকে। এমন সময় সে দেখতে পাই মাফলার সাদা জলের ঢেউ বাতাসের গতিতে ছুটে আসছে, মুহুর্তের মধ্যে উৎসবের জীবনের সবকিছু শেষ হয়ে যায়, শেষমেষ উৎসব গাছ আঁকড়ে ধরে নিজের জীবনটাকে বাঁচিয়ে ছিল।

ভাত গল্পের বড় প্রশ্ন উত্তরCLASS 12TH ENGLISH SUGGESTION & NOTES CLICK HERE


    এরপর উৎসব তার স্ত্রী-পুত্র-কন্যাকে পাগলের মত খুঁজতে থাকে সে এত ব্যাকুল হয়ে পড়ে যে ত্রাণের দেওয়া খিচুড়ি পর্যন্ত সে গ্রহণ করেনি। ভাত গল্পের মূল চরিত্র উৎসব নাই আর যে পরিবর্তন আমরা দেখি অর্থাৎ সাধারণ চাষী থেকে পরের বাড়ির চাকর এর কাজ করা, এ সকল কিছুর পিছনে একমাত্র কারণ তার জীবনে সেই ঝড় জলের রাত।




" দাঁতগুলো বের করে সে কামটের মত হিংস্র ভঙ্গি করে"  - কে কার প্রতি এরূপ আচরণ করেছিল ? তার এরূপ আচরণের কারণ বিশ্লেষণ করো ।


    মহাশ্বেতা দেবীর ভাত ছোট গল্পের কেন্দ্রীয় চরিত্র উৎসব নাইয়া তার গ্রাম সম্পর্কিত বোন বাসিনীর প্রতি এরূপ আচরণ করেছিল। 

    জীবনের দুর্বিষহ পরিবর্তনের পর উৎসব শহরের বড় বাড়িতে চাকর এর কাজ নেই। বড় বাড়ির বুড়ো কর্তার মৃত্যুর পর তার মৃতদেহ শ্মশানে নিয়ে যাওয়ার জন্য বড় পিসিমা নির্দেশ দেয় যেন রান্না করা সমস্ত খাবার ফেলে দেয়া হয়। একথা শুনে মুহূর্তের মধ্যে অভুক্ত উৎসব ঠিক করে নাই সে কি করবে। ভাত গল্পের বড় প্রশ্ন উত্তর

    কারণ একমাত্র খাবারের উদ্দেশ্যে সে গ্রামের বাড়ি ছেড়ে শহরের বড় বাড়িতে বা শনির কাছে আশ্রয় নিয়েছিল। কিন্তু কঠোর সমাজ নিয়মের কাছে তার অভুক্ত পেট আত্ম ক্রন্দন কোন টি মূল্য পাইনি। সে দীর্ঘ সময় ধরে অপেক্ষা করে কিন্তু এক মুঠো ভাত এখনো পর্যন্ত সে পায়নি এই কারণে যখন সমস্ত রান্না করা খাবার ফেলে দিতে হবে শুনে তখনই সে হাড়ি ভর্তি ভাত নিয়ে পালাতে চেষ্টা করে।

    কিন্তু বাসিনি তার ইচ্ছা বুঝতে পারে ও তাঁকে অনুরোধ জানাই - যে এই ভাত এখন অসৌচ তাই তা খেতে হবে না, বাসিনীর এই কথা শুনে উৎসব কামড়ের মতো হিংস্র ভঙ্গিতে তার দিকে ঘুরে দাঁড়ায়। আসলে খিদেটা একান্ত ব্যক্তিগত তা মানুষকে কখনো বোঝানো সম্ভব নয়।


    এই কারণে নিজের খিদে নিবারণ করার জন্য উৎসব এই পথ বাঁচতে বাধ্য হয় কিন্তু যখন বাসিনি সমাজ সংস্কারের মত তাকে অশৌচ ভাত খেতে নিষেধ করেছে তখন সে আদিম প্রবৃত্তি জাতীয় পশুর মত হিংস্র হয়ে উঠেছে। তাই উপবাসী উৎসব এর কাছে এই ভাত তার একান্ত ক্ষুধা নিবারণের খাদ্যবস্তু, আর তাঁকে খাবার জন্য সেই হিংস্র হয়ে উঠেছিল। ভাত গল্পের বড় প্রশ্ন উত্তর



" বাদার ভাত খেলে তবে সে তো আসল বাঁধাটা খোঁজ পেয়ে যাবে একদিন" - বাদা কাকে বলে ? বক্তার কেন এরকম মনে হয়েছে তা আলোচনা করো ?


     মহাশ্বেতা দেবীর ভাত ছোটগল্পে আমরা বাদা শব্দটি পাই, বাধা শব্দের অর্থ হলো জল ও জংগলের পরিপূর্ণ নিচু জমি। সাধারনত সুন্দরবনের আশেপাশের নিচু জঙ্গলপূর্ণ জমি গুলোকে আমরা বাদা বলি। 

    মতলার প্রাকৃতিক তাণ্ডবের পর উৎসব তার স্ত্রী-পুত্র-কন্যাকে হারিয়ে কয়েকদিন পাগলের মত সর্বস্বান্ত হয়ে গ্রামের ভিটে তে ঘুরে বেরিয়ে ছিল। স্ত্রী পুত্রদের হারিয়ে এতটা বিভোর হয়ে পড়েছিল যে লঙ্গরখানার রান্না করা খিচুড়ি পর্যন্ত সে গ্রহণ করেনি, কিন্তু যখন তার জ্ঞান ফেরে তখন লঙ্গরখানার খাবার দেওয়া বন্ধ তাই বাধ্য হয়ে তাকে অভুক্ত থাকতে হয়েছে।

    দীর্ঘদিন না খেতে পাওয়া এই উৎসব যেন অশরীরী তে পরিণত হয়েছে, তাই সে মনে করেছে যদি সে ভাত খেতে পারে তবে হয়তো সে আবার মানুষ হবে। তাই ভাত খাওয়ার নেশায় গ্রাম ছেড়ে শহরে বাসিনীর সঙ্গে চাকরের কাছে যোগ দিয়েছে। ভাত গল্পের বড় প্রশ্ন উত্তর

    কিন্তু শহরে পৌঁছে তাকে অন্ধকার কুসংস্কারে অবতীর্ণ হয়ে অভুক্ত থাকতে বাধ্য হতে হয়েছে। কিন্তু এভাবে সে পরের বাড়ি চাকরের মতো কাজ করতে চায়না সে চাই ঠিক অন্য একটি বাদার খোঁজ করতে যেখানে সে নতুন করে জীবিকা শুরু করতে পারে। কিন্তু বড় বাড়ির সমস্ত রান্না ভাত যখন ফেলে দেওয়ার কথা হয় তখন সে এক হাড়ি ভাত নিয়ে দৌড়ে ছুটে পালায় আর পাগলের মত তা খেতেথাকে।


     সে গোগ্রাসে সেই ভাত খেতে খেতে পাগলের মত হয়ে বলে তার স্ত্রী ও পুত্র যেন তার মধ্যে বসে এই ভাত খেতে পারে, আর সে নিজেও মনে করে এই ভাত খেলে সে গায়ের শক্তি জুগিয়ে অন্য নতুন বাদার খোঁজ করতে পারবে। ভাত

ভাত গল্পের বড় প্রশ্ন উত্তর

  দ্বাদশ শ্রেণীর বাংলা বইয়ের ভাত গল্প টি মহাশ্বেতা দেবী র লেখা অন্যতম একটি ছোট গল্প। এই গল্পটি থেকে উচ্চমাধ্যমিক পরীক্ষা HS Bengali Suggestion 2024 তে এবার প্রশ্ন আসার সব থেকে বেশি সম্ভাবনা আছে। আর সেই কথা মাথায় রেখে আমরা এখানে যথাক্রমে ভাত গল্পের ছোট প্রশ্ন উত্তর আলোচনা করেছি। আবার একই রকম ভাবে এখানে ভাত গল্পের থেকে যে সকল গুরুত্বপূর্ন বড় প্রশ্ন পড়তে হবে সেগুলি সম্পর্কেও আলোচনা করলাম। 

bhaat golpo class12, bhaat golpo, bhaat golpo by mahashweta devi, bhaat golpo class 12, class 12 bangla golpo bhaat by mahashweta devi, varatbarsha golpo vedio, class 12 bangla galpo bhaat, bhaat galpo class 12 bangla, vat golpo hs, cartoon golpo, hs 2021 bangla golpo bhatt full analysis and suggestion, tal navami golpo, vat golpo class xii, mojar bangla golpo, class 12 bhag golpo, bhaat mcq saq, bhat golpo question long answer, bangla cartoon golpo

তুমি কী বুঝবে সতীশবাবু।” - সতীশবাবু কী বুঝবে না ? সতীশবাবু উচ্ছবের সঙ্গে কেমন আচরণ করেছিল?

অথবা

“দেশজোড়া দুর্যোগেও তোমার ঘরে রান্না হয়" —'তোমার' অর্থে কার কথা বলা হয়েছে? উদ্ধৃতির আড়ালে যে সামাজিক বৈষম্যের দিকটি আছে, তা আলোচনা করো।


   এ যুগের অন্যতম শ্রেষ্ঠ সাহিত্যিক মহাশ্বেতা দেবীর 'ভাত' ছোটোগল্পে উচ্ছব নাইয়া মন্তব্য করেছে যে, সতীশবাবু ভাত না খেতে পারার জ্বালা বুঝতে পারবে না।

 সতীশবাবু অবস্থাপন্ন গৃহস্থ। উচ্ছবদের মতো নদীর পাড়ে তার বাড়ি নয় আর মেটে ঘরেও সে থাকে না। প্রবল ঝড়বৃষ্টিতে তার পাকা বাড়ি তাই ভেঙে পড়ার সম্ভাবনা নেই। এ ছাড়া ধান, চালও সে পাকা ঘরে রেখেছে। ফলে চোর- ডাকাতের পক্ষেও তা চুরি করা সম্ভব নয়।

  দেশজুড়ে যখন দুর্যোগ চলছিল, লঙ্গরখানা খোলা হয়েছিল, তখনও সতীশবাবুর ঘরে রোজ রান্না হয়েছে। তাই ঘরবাড়ি এবং স্ত্রী-পুত্র হারিয়ে সর্বস্বান্ত হয়ে পড়া উচ্চবদের মতো হতদরিদ্র মানুষের ক্ষুধার জ্বালা সতীশবাবুর মতো নিরাপত্তার ঘেরাটোপে থাকা লোকেরা কিছুতেই বুঝতে পারবে না।

   মাতলা নদীর আগ্রাসী ঢেউয়ে উচ্ছব ভিটেমাটি, স্ত্রী-সন্তানদের হারিয়ে একেবারে নিঃস্ব হয়ে পড়ে। খিদের জ্বালায় সতীশবাবুর কাছে উচ্ছব একদিন ভাতের প্রার্থনা করলে সতীশবাবু তাকে ফিরিয়ে দেয়। উচ্ছবকে খেতে দিলে পঙ্গপালের মতো দলে  দলে অভুক্ত মানুষ তার কাছে এসে জড়ো হবে। সতীশবাবু তাই উচ্ছবকে জানায় যে, ভগবানের মারের হাত থেকে সে উচ্ছবকে বাঁচাতে পারবে না।

   এর কিছুদিন পরই সতীশবাবু তার ভাগচাষি, অভাগা উচ্ছব সম্বন্ধে মন্তব্য করে যে, উচ্ছবের মতিভ্রম হয়েছে। বউ-সন্তানদের অপঘাতে মৃত্যু হলে মানুষ যেখানে শোকে পাগল হয়ে যায়, সেখানে উচ্ছব 'ভাত ভাত' করে মরছে। সতীশবাবু উচ্ছবের সঙ্গে এমনই অমানবিক আচরণ করেছিল।


মহাশ্বেতা দেবীর 'ভাত' ছোটোগল্প অবলম্বন করে ঝড়ল- বন্যার রাতটির বর্ণনা দাও।

   মহাশ্বেতা দেবীর 'ভাত' ছোটোগল্পে ঝড়ল-বন্যার যে রাত উচ্চবকে সর্বস্বান্ত করে দিয়েছিল, সেদিন সন্ধ্যাতেই অনেকদিন পর সে সপরিবারে পেট পুরে খেয়েছিল। খেতে খেতে চল্গুনীর মা বলেছিল যে, দেবতার গতিক ভালো নয়। নৌকা নিয়ে যারা বেরিয়েছিল, তাদের নৌকা-সহ ডুবে মরে যাওয়ার আশঙ্কাও সে প্রকাশ করেছিল।

  এরপরই শুরু হয় প্রবল ঝড়বৃষ্টি। ঝড়বৃষ্টিতে উচ্চবদের কাঁচা বাড়ির মাঝখুঁটিটি 'মাতাল আনন্দে টলছিল' ধনুষ্টংকার রোগীর মতো। তাই উচ্ছব সর্বশক্তিতে ঘরের মাঝখানের খুঁটিটা মাটির দিকে চেপে ধরে ছিল। কিন্তু তার মনে হচ্ছিল যা বসুন্ধরা যেন সেই খুঁটি রাখতে চাইছেন না, ঠেলে বের করে দিতে চাইছেন।

   তাই ভয়ে ভগবানের নাম নিতে থাকে সে । অন্যদিকে, ছেলেমেয়েকে জাপটে ধরে তার বউ ঠান্ডায় এবং ভয়ে কাঁপতে থাকে। এ সময়েই হঠাৎ বিদ্যুতের ঝলকানিতে উচ্ছব দেখতে পায় মাতাল মাতলা নদীর সফেন জল বাতাসের তোড়ে দ্রুত ছুটে আসছে।

 পরে একসময় জল নেমে গেলেও উচ্ছবের ঘরের সব কিছু এবং তার পরিবারকে ভাসিয়ে নিয়ে যায় সেই জল। বানের জলে ভেসে যাওয়া উচ্ছব গাছে বেধে কোনোক্রমে প্রাণে বাঁচে। এভাবে ঝড়জল বন্যার সেই রাত উচ্ছবের জীবনে সর্বনাশ ডেকে এনেছিল।

bhaat golpo class12, bhaat golpo, bhaat golpo by mahashweta devi, bhaat golpo class 12, class 12 bangla golpo bhaat by mahashweta devi, varatbarsha golpo vedio, class 12 bangla galpo bhaat, bhaat galpo class 12 bangla, vat golpo hs, cartoon golpo, hs 2021 bangla golpo bhatt full analysis and suggestion, tal navami golpo, vat golpo class xii, mojar bangla golpo, class 12 bhag golpo, bhaat mcq saq, bhat golpo question long answer, bangla cartoon golpo

"যা আর নেই, যা ঝড় হল-মাতলার গর্ভে গেছে তাই খুঁজে খুঁজে উচ্ছব পাগল হয়েছিল।”— দুর্যোগটির বর্ণনা দাও। দুর্যোগটি উচ্ছবকে কীভাবে প্রভাবিত করেছিল?


   মহাশ্বেতা দেবীর 'ভাত' ছোটোগল্পে আমরা দেখি, দুর্যোগের দিন সন্ধ্যাবেলায় চন্নুনি যা খেতে খেতে বলছিল যে, দেবতার গতিক ভালো নয়। নৌকা নিয়ে যারা বেরিয়েছিল, নৌকা-সহ তাদের ডুবে মরার আশঙ্কাও সে প্রকাশ করেছিল। এরপরই শুরু হয় প্রবল ঝড়-বৃষ্টি। সেই দুর্যোগে উচ্ছবদের কাঁচা বাড়ির মাঝখানের খুঁচিটি 'মাতাল আনন্দে চলছিল' ধনুষ্টংকার রোগীর মতো।

   তাই ঘরের মাঝখানের খুঁটিটা উচ্ছব মাটির দিকে সর্বশক্তি দিয়ে চেপে ধরেছিল এবং ভয়ে ভগবানের নাম নিচ্ছিল। অন্যদিকে, ছেলেমেয়েদের জাপটে ধরে তার বউ ঠান্ডায় আর ভয়ে কাঁপছিল। এসময় হঠাৎ বিদ্যুতের আলোর ঝলকানিতে উচ্ছব দেখে, মাতাল মাতলা নদীর সফেন জল বাতাসের তোড়ে দ্রুত ছুটে আসছে। নিমেষের মধ্যে সেই বানের জল উচ্ছবের বউ-ছেলেমেয়েকে ভাসিয়ে নিয়ে যায়। গাছে বেঁধে কোনোক্রমে প্রাণে বেঁচে যায় উচ্ছব।

   ঘটনার আকস্মিকতায় সাময়িকভাবে উচ্ছবের বুদ্ধি লোপ পায়। বউ- ছেলেমেয়ে-সহ সবকিছু ফিরে পাবার আশায় শুনসান বাড়ি ছেড়ে তাই সে নড়ে না। লঙ্গরখানায় দেওয়া খিচুড়ি তাই তার খাওয়া হয় না। কয়েকদিন পর সরকার শুকনো চাল দিলে দীর্ঘদিন যাবৎ উপোসি উচ্ছব তা চিবিয়েই কয়েকদিন কাটায়।

   এরপর সে ভাত খাওয়ার জন্য পাগল হলেও কেউ তাকে ভাত দেয় না। এ সময় মাঝে মাঝেই তার মনে পড়ে সেই দুর্যোগের রাতটার কথা। তার মনে হয়, দীর্ঘদিন ধরে ভাত না খেয়ে সে ভূত হয়ে যাচ্ছে, ভাত খেলেই সে পুনরায় মানুষ হবে এবং বউ-ছেলেমেয়ের দুঃখে কাঁদতে পারবে। তাই কয়েকদিন পেট পুরে ভাত খেতে সে কলকাতা রওনা হয়।


“তারপরই মনে পড়ে যে রাতে বাড় হয়।”- কোন কথার পর ঝড়ের রাতের কথা উদ্দিষ্ট ব্যক্তির মনে পড়ে? কোন্ কথা এ প্রসঙ্গে মনে পড়ে তার ?

 মহাশ্বেতী দেবীর 'ভাত' ছোটোগল্প থেকে সংকলিত এই উদ্ধৃতিষ্টিতে উচ্ছব নাইয়ার কথা বলা হয়েছে। ধানখেতে আগুন লাগার কথার পর তার মনে পড়েছিল ঝড়ের রাতের কথা।

   উচ্ছব নাইয়ার এ প্রসঙ্গে মনে পড়েছিল যে, অনেকদিন পর সেই সন্ধ্যায় সে পরিবার-সহ পেটপুরে খেয়েছিল। অনেকটা হিঞ্চে শাক সেদ্ধ, গুগলি সেদ্ধ, নুন এবং লং কাপোড়া দিয়ে মেখে ভাত খেয়েছিল সে। সেদিন উচ্ছবের মতো গ্রামের সকলেই পেট পুরে খেয়েছিল । চন্নুনির মা খাওয়ার সময় বলেছিল যে, ভগবানের লক্ষণ ভালো নয়। সে আরও বলেছিল যে, নৌকো নিয়ে যারা বেরিয়েছে, তারা নৌকা-সহ ডুবে মরতে পারে।

  এরপর উচ্ছবের মনে পড়ে ঘরের মাঝ-খুঁটিটা মাটির দিকে ঠেলে ধরে রাখার কথা। ধরণি যেন সেই খুঁটি উপরে ফেলতে চাইছিল। ভগবানের নাম নিয়েছিল উচ্ছব। তারপর বিদ্যুতের চমকে সে দেখেছিল, মাতলার সফেন জল ছুটে আসছে। তারপর আর কিছু মনে পড়ে না তার, নিজের পরিচয় পর্যন্ত। উচ্ছব ভাবে, তার কাগজ ভরা, সুন্দর কৌটোটির কথা। আরও ডাবে, ভগবান যদি তার বউ-ছেলেমেয়েদের বাঁচিয়ে রাখত, তবে সে শত হাতির শক্তি পেত।

   সেই কৌটোটি নিয়ে তবে সপরিবারে সে ভিক্ষায় বেরোত। সতীশবাবুর নাতির ফুটকলাই খাওয়া কৌটোটি উচ্ছব চেয়ে এনেছিল। অমন সুন্দর কৌটো থাকলে প্রয়োজনে একমুঠো চাল ফুটিয়েও নেওয়া যায়। এসব কথাই এ প্রসঙ্গে উচ্ছবের মনে পড়েছিল।


“মারতে মারতে উচ্ছবকে ওরা থানায় নিয়ে যায়।”–কারা, কেন উচ্ছবকে মারতে মারতে থানায় নিয়ে যায় ?

   এ যুগের অন্যতম শ্রেষ্ঠ সাহিত্যিক মহাশ্বেতা দেবীর 'ভাত' ছোটোগল্পে আমরা উচ্ছব নামক একটি চরিত্রের সাক্ষাৎ পাই। মাতলা নদীর বন্যায় স্ত্রী এবং ছেলেমেয়েদের হারিয়ে পাগল হয়ে যাওয়া উচ্ছব বেশ কিছুদিন অভুক্ত থাকার পর ভাতের আশায় তার গ্রামতুতো বোন বাসিনীর মনিবের বাড়ি কলকাতায় চলে আসে। সেখানে ভাত খাওয়ার বিনিময়ে তাকে সেই বাড়ির বুড়োকতার আয়ূবৃদ্ধির জন্য করা হোমযজ্ঞের কাঠ কাটতে হয়েছিল।

   এদিকে তান্ত্রিকের বিধান অনুযায়ী, যজ্ঞ শেষ না হওয়া পর্যন্ত কোনো কিছু খাওয়া বারণ ছিল। তাই খিদের জ্বালায় অস্থির হয়ে পড়া উচ্ছবও ভাত খেতে পারেনি। মাঝে বাসিনীর দেওয়া ছাতু জল খেয়ে খিদে মেটানোর চেষ্টা করে উচ্ছব। যদিও এই সামান্য খাবারে তার পেট ভরেনি। কাঠ কাটা শেষ করে বাড়ির বাইরে গিয়ে উচ্ছব তাই শিবমন্দিরের বারান্দায় বসে।

   সেখানে শুয়ে ক্লান্তির ভারে, ক্ষুধার তাড়নায় এবং স্ত্রী-সন্তানের স্মৃতিতে শোকাতুর হয়ে কাদতে কাদতে একসময় সে ঘুমিয়ে পড়ে। ঘুম ভাঙার পরে সে বুঝতে পারে, বাড়ির কর্তা প্রয়াত হয়েছেন এবং অশৌচ লাগার জন্য রান্না করা সব ভাত বাইরে ফেলে দেওয়া হচ্ছে। বহুদিন ধরে ভাত-উপোসী উচ্ছব বাসিনীর ফেলে দিতে-আসা ভাতের ডেকচি নিয়ে হনহনিয়ে খানিকটা হেঁটে, পরে এক দৌড়ে স্টেশনে গিয়ে মনের সুখে ভাত খায়।

   অনেকদিন পরে আশ মিটিয়ে ভাত খেয়ে স্টেশনেই তৃপ্ত উচ্ছব সেই পেতলের ডেকচিটি জাপটে, তার কানায় মাথা ছুঁয়ে ঘুমিয়ে পড়ে। পরদিন ভোরে পুলিশ ঘুমন্ত উচ্ছবকে স্টেশনেই ধরে ফেলে এবং পেতলের ডেকচি চুরির অপরাধে তাকে মারতে মারতে থানায় নিয়ে যায়।


মহাশ্বেতা দেবীর 'ভাত' ছোটোগল্প অবলম্বন করে বড়োপিসিমার চরিত্র আলোচনা করো।


মহাশ্বেতা দেবীর ‘ভাতা ছোটোগল্পের গুরুত্বপূর্ণ চরিত্র হল বড়োপিসিমা। তাঁর প্রধান চারিত্রিক বৈশিষ্ট্যগুলি হল—

ঈশ্বরভক্তি : বড়োপিসিমা হলেন এ গল্পে উল্লিখিত 'বড়ো বাড়ির' অবিবাহিতা, প্রৌঢ়া কন্যা। প্রয়াত জ্যেষ্ঠ বুড়োকর্তার যখন স্ত্রীবিয়োগ ঘটে, তখন তিনি সংসার সামলানোর কারণেই তাঁর এই বিবাহযোগ্য কন্যার বিয়ে দেননি। বড়োপিসিমা পিতার এই সিদ্ধান্তে অবশ্য অখুশি ছিলেন না। তিনি শিবকেই পতি হিসেবে মেনে নিয়েছিলেন—“উনি আমার পতি দেবতা"

কর্তৃত্বপরায়ণতা: পিতৃবিয়োগের আগে পর্যন্ত বড়োপিসিমা সংসারের হেঁশেল দেখেছেন, ভাড়াটে বাড়িতে মিস্তিরি লাগিয়েছেন এবং তাঁর বাবার সেবা করেছেন। পিতার মৃত্যুর পর বিবাহিত দাদা সংসারের কর্তা হলেও সে-অভ্যাস তাঁর পালটায় Na।sei bari থেকেই বাড়ির বউদের তিনি অনায়াসে তাচ্ছিল্য করেন। বড়োবাড়ির এই অনুষ্ঠা প্রৌঢ়াকে আমরা লুকিয়ে বাদার চাল বিক্রি করে দিতেও দেখি। সামান্য ক্ষোভ থাকলেও এই বৃদ্ধবয়সেও তিনি তাঁর পৈতৃক বাড়ির সব কিছুর দেখভাল করতেন অত্যন্ত দায়িত্বের সঙ্গে। দাদার শেষযাত্রাকে সুসম্পন্ন করার জন্য সবদিকেই তাঁর সজাগ দৃষ্টি ছিল।

সংস্কারাচ্ছন্ন :  তাই সংস্কারাচ্ছন্ন এই প্রৌঢ়া তান্ত্রিকের হোমযজ্ঞ করাকে অনুষ্ঠিত মনে করেননি। যজ্ঞ সত্ত্বেও বুড়োকর্তা মারা গেলে তাঁকে বিষোদ্‌গার করতে দেখা যায় তান্ত্রিক এবং বাড়ির ছোটোবউয়ের বাবার ওপর। কারণ তিনিই এই তান্ত্রিককে নিয়ে এসেছিলেন। এ ছাড়া, এ গল্পের প্রধান চরিত্র উচ্ছবকে তিনিই বাড়িতে কাজে লাগিয়েছেন। সুতরাং, বড়োপিসিয়া এ গল্পের একটি উল্লেখযোগ্য এবং সক্রিয় চরিত্র।


“বাদার ভাত খেলে তবে তো সে আসল বাদাটার খোঁজ পেয়ে যাবে একদিন।”—“বাদা” কাকে বলে? উদ্দিষ্ট ব্যক্তির এই রকম মনে হওয়ার কারণ কী?

   মহাশ্বেতা দেবীর 'ভাত' ছোটোগল্প থেকে গৃহীত উদ্ধৃতাংশে থাকা 'বাদা' শব্দটির অর্থ হল জল-জলপূর্ণ নীচু জমি।

    ঝড়বৃষ্টির যে রাতে উচ্ছব তার স্ত্রী ও পুত্র-কন্যাকে হারিয়েছিল, সেদিন সন্ধ্যায় উচ্ছব পেট ভরে সপরিবারে ভাত খেয়েছিল। তারপর সর্বস্বান্ত উচ্ছব তার বন্যাবিধবস্তু ভিটেতে উন্মাদের মতো কয়েকদিন পড়ে থাকায় লঙ্গরখানার 'রান্না খিচুড়ি তার খাওয়া হয়নি'। তার যখন সম্বিত ফেরে তখন রান্না খাবার দেওয়া বন্ধ হয়ে গেছে। কাঁচা চাল চিবিয়েই তাই তার দিন কাটতে থাকে।

   দীর্ঘদিন ভাত না খাওয়া উচ্ছব ভাবে, “পেটে ভাত নেই ব'লে উচ্ছবও প্রেত হয়ে আছে। ভাত খেলে সে মানুষ হবে।" উচ্ছব যার জমিতে কাজ করত, সেই সতীশ মিস্তিরিও যখন তাকে একবারের জন্যও ভাত দিতে অস্বীকার করে, তখন সে ভাতের আকাঙ্ক্ষাতেই কলকাতায় গ্রামতুতো বোন বাসিনীর মনিববাড়িতে আসে। সেখানে পেটভাতের চুক্তিতে কাঠ কাটার কাজে সে লেগে যায়। সুন্দরবনের নোনা জলের বাদার অধিবাসী উচ্ছব দেখে যে, বাসিনীর মনিবদের মিষ্টিজলের বাদায় হওয়া নানাপ্রকার চালে তাদের ঘর ভরে আছে।

    কিন্তু সেদিনই সে বাড়ির বুড়োকর্তার মৃত্যু হলে তারা যখন বাড়ির সমস্ত ভাত এবং অন্যান্য রান্না খাবার ফেলে দেওয়ার ব্যবস্থা করে, তখন পরিশ্রান্ত, অভুক্ত উচ্ছব আর মাথা ঠিক রাখতে পারে না। বাসিনীর হাত থেকে অশৌচ বাড়ির ভাতের ডেচকিটা ছিনিয়ে নিয়ে সে স্টেশনে ছুটে আসে এবং সেখানে বসে ডেচকিতে হাত ঢুকিয়ে খাবল খাবল ভাত খেতে থাকে সে । তার স্ত্রী তাকে এমন সুখ দিতে পারেনি কখনোই। বাস্তবিকই স্বর্গসুখ লাভ করে উচ্ছব। এ কারণেই তার তখন মনে হয়, মিঠে জলের বাদার ভাত খেলেই সে 'আসল বাদা' অর্থাৎ 'অন্নের দেশ'-এর খোঁজ পেয়ে যাবে।


মহাশ্বেতা দেবীর 'ভাত' রচনাটি ছোটোগল্প হিসেবে কাি সার্থক, তা আলোচনা করে।।

   মহাশ্বেতা দেবীর 'ভাত' একটি বড়ো আকারের ছোটোগল্প। ঝড়জল বন্যার এক রাতে সুন্দরবনের ভাগচাষি উচ্ছব নাইয়ার ঘরবাড়ি এবং স্ত্রী-সন্তান বানের জলে ভেসে যায়। প্রাথমিকভাবে শোক ও তারপর খিদের তাড়না তাকে পাগল করে তোলে। তার চাষ করা জমির মালিক সতীশ নিস্তিরির কাছে ভাতের প্রার্থনা করে ব্যর্থ হয়ে ক-দিন পেটপুরে ভাত খাওয়ার আশায় সে কলকাতায় চলে যায়।

   গ্রামতুতো বোন বাসিনীর মনি বাড়িতে গিয়ে পেটপুরে ভাত খাওয়ার চুক্তিতে সারাদিন হাড়ভাঙা পরিশ্রম করে সে। কিন্তু বিকেলে সেই বড়ো বাড়ি'র বৃদ্ধের মৃত্যু ঘটলে দীর্ঘদিন ধরে ভাত না খাওয়া উচ্ছব প্রমাদ গোনে। তাই যখন সেই অশৌচ বাড়ির রাঁধা ভাত ফেলে দেওয়ার উপক্রম হয়, তখন মরিয়া উচ্ছব বাসিনীর হাত থেকে ভাতের একটা পেতলের ডেকচি নিয়ে এক দৌড়ে স্টেশনে চলে যায়।

   সেই ভাত পেটপুরে খেয়ে সেখানেই সে শুয়ে পড়ে। ভোরে পেতলের ডেকচি চুরির অপরাধে পুলিশ তাকে গ্রেফতার করে থানায় নিয়ে যায়। যে বাদার জমির বিপুল ও উন্নত ধান 'বড়ো বাড়ি'কে বড়ো করে তুলেছিল, সেই 'আসল বাদাটার খোঁজ', বন্ধ্যা বাদার অধিবাসী উচ্ছবের আর পাওয়া হয় না।

   সুতরাং, উচ্ছবের ভাত খাওয়াকে কেন্দ্র করেই সুন্দরবন ও কলকাতার পটভূমিতে "ভাত" ছোটোগল্পের মাত্র কয়েকদিনের কাহিনি গড়ে উঠেছে। এ গল্পে তাই স্থান-কাল-ঘটনাগত ঐক্য বজায় রাখা হয়েছে। তা ছাড়া, 'ঘটনার ঘনঘটা', 'তত্ত্ব', বা ‘উপদেশ'ও এখানে অনুপস্থিত। উচ্ছব এবং আরও চার- পাঁচটি চরিত্র নিয়েই গল্পটি বিস্তার লাভ করেছে। সমাপ্তিতে উচ্ছবের জেলে যাওয়া এবং ‘আসল বাদাটার খোঁজ না পাওয়ার মধ্যে যেমন চমক রয়েছে, ( এখানে উপসংহার লিখতে হবে )

bhaat golpo class12, bhaat golpo, bhaat golpo by mahashweta devi, bhaat golpo class 12, class 12 bangla golpo bhaat by mahashweta devi, varatbarsha golpo vedio, class 12 bangla galpo bhaat, bhaat galpo class 12 bangla, vat golpo hs, cartoon golpo, hs 2021 bangla golpo bhatt full analysis and suggestion, tal navami golpo, vat golpo class xii, mojar bangla golpo, class 12 bhag golpo, bhaat mcq saq, bhat golpo question long answer, bangla cartoon golpo

মহাশ্বেতা দেবীর 'ভাত' ছোটোগল্পে যে হোমযজ্ঞ হয়েছিল তার বর্ণনা দাও।

   মহাশ্বেতা দেবীর 'ভাত' ছোটোগল্পের প্রধান চরিত্র উচ্ছব কলকাতায় যে বাড়িতে কাজের জন্য এসেছিল, সে বাড়ি ছিল তার গ্রামতুতো বোন বাসিনীর মনি বাড়ি। এই বাড়িরই লিভারের ক্যানসারে আক্রান্ত, বিরাশি বছরের কর্তাকে মৃত্যুর হাত থেকে বাঁচাতে হোমযজ্ঞের আয়োজন করা হয়েছিল। বুড়োকর্তার ছোটোবউমার বাবার পরিচিত এক তান্ত্রিক এই উপলক্ষ্যে সেই বাড়িতে এসেছিলেন। যজ্ঞের জন্য বেল, ক্যাওড়া, বট, অশ্বত্থ এবং তেঁতুল গাছের কাঠ আধ মন করে আনা হয়েছিল। সেই আড়াই মন কাঠের প্রতিটি খন্ড দেড় হাত করে কাটতে বলা হয়েছিল উচ্ছবকে।

   কালো বিড়ালের লোম, শ্মশানের বালি ইত্যাদি নানাপ্রকার জিনিসের ফরমাশ করেছিলেন তান্ত্রিক। প্রথমে হোমযজ্ঞের আগে রান্না এবং খাওয়া শেষ করার কথা থাকলেও তান্ত্রিক নতুন বিধান দিয়েছিলেন যে রান্না শেষ করলেও হোম সম্পন্ন না হলে কেউ খেতে পারবে না ।

   কাঠের টুকরোগুলি উচ্ছব পাঁচ ভাগে ভাগ করে দালানে রেখে আসার পর শুরু হয় হোমযজ্ঞ। বুড়োকর্তার বাস-ঝি হোমের জোগান দিচ্ছিল | তান্ত্রিক “ওঁং হ্রীং ঠং ঠং ভো ভো রোগ শৃণু শৃনু" — যন্ত্র বলে বুড়োকর্তার রোগকে দাঁড় করান, কালো বিড়ালের লোম দিয়ে রোগকে বাঁধেন এবং তারপর বুড়োকর্তার তিন ছেলের উপস্থিতিতে হোম শুরু করেন। প্রসঙ্গত উল্লেখ্য, এই হোমযজ্ঞ শুরু হওয়ার ঠিক পরমুহূর্তেই বুড়োকর্তা মারা যান।

ভাত (গল্প) মহাশ্বেতা দেবী – উচ্চমাধ্যমিক বাংলা প্রশ্ন ও উত্তর | HS Bengali Bhat Question and Answer ভাত গল্পের প্রশ্ন উত্তর, ভাত গল্পের সাজেশন প্রশ্ন ও উত্তর, ভাত গল্পের ছোটো প্রশ্ন উত্তর, ভাত গল্পের সাজেশন প্রশ্ন উত্তর,ভাত গল্পের ছোটো সাজেশন প্রশ্ন উত্তর,hs bengali suggestion 2024, ভাত গল্পের বড় প্রশ্ন উত্তর 2023, ভাত গল্পের বিষয়বস্তু, ভাত গল্পের বড় প্রশ্ন উত্তর, ভাত গল্প মহাশ্বেতা দেবী,ভাত গল্পের প্রশ্নের উত্তর, ভাত গল্পের বড়ো প্রশ্ন ও উত্তর, ভাত গল্পের বড় প্রশ্নের উত্তর, ভাত গল্পের বড়ো প্রশ্নের উত্তর, ভাত গল্পের বড়ো প্রশ্নের উত্তর | ভাত গল্পের বড় প্রশ্ন উত্তর 2024 | Vaat Golpo Proshno Uttar Mahasweeta Devi | HS Bengali Suggestion 2024

মহাশ্বেতা দেবীর 'ভাত' ছোটোগল্পে 'ভাত'-এর প্রস কীভাবে বারবার ফিরে ফিরে এসেছে, তা আলোচনা করো। 

   মহাশ্বেতা দেবীর 'ভাত' ছোটোগল্পে ভাতের প্রসঙ্গ বারবার উঠে এসেছে। ঝড়বৃষ্টির যে রাতে উচ্ছবের জীবনে সর্বনাশ নেমে এসেছিল, সেদিন সন্ধ্যায় উচ্ছব পরিবার-সহ পেট ভরে ভাত খেয়েছিল। তারপর সব কিছু হারিয়ে কয়েকদিন সে উন্মাদের মতো প্রিয়জনদের সাড়া পাওয়ার আশায় নিজডিটায় পড়েছিল। তাই লঙ্গরখানার 'রান্না মিচুড়ি তার খাওয়া হয়নি। রান্না খিচুড়ি দেওয়া বন্ধ হয়ে গেলে এরপর কয়েকদিন তাকে কাঁচা চাল চিবিয়েই কাটাতে হয়।

    দীর্ঘদিন ধরে ভাত না খেতে পেয়ে দিশেহারা উচ্ছব ভাবে, “পেটে ভাত নেই বলে উচ্ছবও প্রেত হয়ে আছে। ভাত খেলে সে মানুষ হবে। তখন বউ ছেলে মেয়ের জন্য কাঁদবে।" যার জমিতে উচ্ছব কাজ করে, সেই সতীশ মিস্তিরি যখন তাকে একদিনের জন্যও ভাত খাওয়াতে চাইল না, তখন সে পেট ভরে ভাত খাওয়ার আকাঙ্ক্ষাতেই কলকাতায় গ্রামতুতো বোন বাসিনীর মনি বাড়িতে আসে। সারাদিন ধরে ভাতের আশায় সে অমানুষিক পরিশ্রম করে বাড়ির কর্তার সুস্থতার উদ্দেশ্যে করা হোমযজ্ঞের কাঠ কাটে।

   তার মনে পড়ে শৈশবে শোনা ঠাকুমার কথা—“রন্ন হল মা নক্কী।” কিন্তু সেদিনই বুড়োকর্তার মৃত্যু হয়। শব বেরোনোর পর সমস্ত ভাত এবং অন্যান্য রান্না খাবার ফেলে দেওয়ার ব্যবস্থা হলে আর মাথা ঠিক রাখতে পারে না অভুক্ত উচ্ছব। বাসিনীর হাত থেকে অশৌচ বাড়ির ভাতের বড়ো ডেকচিটা ছিনিয়ে নিয়ে তাই সে স্টেশনে ছুটে আসে এবং প্রাণ ভরে ভাত খেয়ে সেই ডেকচিটা জড়িয়েই ঘুমিয়ে পড়ে। 

   ফলে পেতলের ডেকচি চুরির অপরাধে থানায় যেতে হয় তাকে। সুতরাং, এ কাহিনিতে ভাতের প্রসঙ্গ শুধু বারবার আসেইনি, এই প্রসঙ্গ গল্পটিকে নিয়ন্ত্রণও করেছে। ‘আসল বাদা' অর্থাৎ অন্নের দেশ দেখার আকুলতা আর তার ব্যর্থতাই গল্পের মূল বিষয় হয়ে থাকে।


"বাসিনী এনেছে। বাদায় অথচ ভাতের আমিংকে এতখানি |”—বাসিনী কে? ও কাকে এনেছে? তার ভাতের আহিংকে এতখানি কেন ?

  • মহাশ্বেতী দেবীর 'ভাত' ছোটোগল্প থেকে সংকলিত এই উদ্ধৃতিতে উল্লিখিত বাসিনী হল বড়ো বাড়ির পরিচারিকা।
  •  বাসিনী তার গ্রাম সম্পর্কিত দাদা উচ্ছবকে তার মনিবের বাড়িতে এনেছে। 

'ভাত' ছোটোগল্পের প্রধান চরিত্র উচ্ছবের জীবনে এক ঝড়বৃষ্টির রাতে চরম বিপর্যয় নেমে আসে। যেদিন মাতলার বানে তার বউ-ছেলেমেয়ে ভেসে যায়। সেদিন সন্ধ্যাতেই উচ্ছব বউ-ছেলেমেয়ে-সহ পেট পুরে ভাত খেয়েছিল বহুদিন পর। সেই বন্যার রাতের পর জল নেমে গেলেও কয়েকদিন ধরে সে তার ভিটেয় পড়েছিল প্রিয়জনকে ফিরে পাওয়ার আশায়। ফলে লঙ্গরখানার "রান্না খিচুড়ি তার খাওয়া হয়নি। 

   রান্না খিচুড়ি দেওয়া বন্ধ হয়ে গেলে তার সংবিৎ ফিরে আসে। ফলে কয়েকদিনের উপবাসের পর সে বেশ কয়েকদিন কাঁচা চাল চিবিয়েই কাটিয়ে দেয়। দীর্ঘদিন ধরে ভাত না খেতে পেয়ে দিশেহারা উচ্ছব ভেবেছিল, “পেটে ভাত নেই বলে উচ্চবও প্রেত হয়ে আছে। ভাত খেলে সে মানুষ হবে। তখন বউ ছেলে মেয়ের জন্য কাঁদবে।” 

   যার জমিতে সে কাজ করে সেই সতীশ মিস্তিরি যখন তাকে একদিনের জন্যও ভাত খেতে দিতে অরাজি হয়, তখন সে পেট ভরে ভাত খাওয়ার আকাঙ্ক্ষাতেই গ্রামতুতো বোন বাসিনীর কলকাতাস্থ মনিবের বাড়িতে আসে। সুন্দরবনের বাদায় বাস করা উচ্ছবের একারণেই 'ভাতের আহিংকে এতখানি ছিল।

ভাত (গল্প) মহাশ্বেতা দেবী – উচ্চমাধ্যমিক বাংলা প্রশ্ন ও উত্তর | HS Bengali Bhat Question and Answer ভাত গল্পের প্রশ্ন উত্তর, ভাত গল্পের সাজেশন প্রশ্ন ও উত্তর, ভাত গল্পের ছোটো প্রশ্ন উত্তর, ভাত গল্পের সাজেশন প্রশ্ন উত্তর,ভাত গল্পের ছোটো সাজেশন প্রশ্ন উত্তর,hs bengali suggestion 2024, ভাত গল্পের বড় প্রশ্ন উত্তর 2023, ভাত গল্পের বিষয়বস্তু, ভাত গল্পের বড় প্রশ্ন উত্তর, ভাত গল্প মহাশ্বেতা দেবী,ভাত গল্পের প্রশ্নের উত্তর, ভাত গল্পের বড়ো প্রশ্ন ও উত্তর, ভাত গল্পের বড় প্রশ্নের উত্তর, ভাত গল্পের বড়ো প্রশ্নের উত্তর, ভাত গল্পের বড়ো প্রশ্নের উত্তর | ভাত গল্পের বড় প্রশ্ন উত্তর 2024 | Vaat Golpo Proshno Uttar Mahasweeta Devi | HS Bengali Suggestion 2024

“বাদার ভাত খেলে তবে তো সে আসল বাদাটার খোঁজ পেয়ে যাবে একদিন।” – “বাদা” কাকে বলে ? উদ্দিষ্ট ব্যক্তির এই রকম মনে হওয়ার কারণ কী?

  • মহাশ্বেতা দেবীর 'ভাত' ছোটোগল্প থেকে গৃহীত উদ্ধৃতাংশে থাকা ‘বাদা’ শব্দটির অর্থ হল জল-জঙ্গলপূর্ণ নীচু জমি

   ঝড়বৃষ্টির যে রাতে উচ্ছব তার স্ত্রী ও পুত্র-কন্যাকে হারিয়েছিল, সেদিন সন্ধ্যায় উচ্ছব পেট ভরে সপরিবারে ভাত খেয়েছিল। তারপর সর্বস্বান্ত উচ্ছব তার বন্যাবিধবস্তু ভিটেতে উন্মাদের মতো কয়েকদিন পড়ে থাকায় লঙ্গরখানার 'রান্না খিচুড়ি তার খাওয়া হয়নি। তার যখন সম্বিত ফেরে তখন রান্না খাবার দেওয়া বন্ধ হয়ে গেছে। কাঁচা চাল চিবিয়েই তাই তার দিন কাটতে থাকে। 

   দীর্ঘদিন ভাত না খাওয়া উচ্ছব ভাবে, “পেটে ভাত নেই ব'লে উচ্ছবও প্রেত হয়ে আছে। ভাত খেলে সে মানুষ হবে।” উচ্ছব যার জমিতে কাজ করত, সেই সতীশ মিস্তিরিও যখন তাকে একবারের জন্যও ভাত দিতে অস্বীকার করে, তখন সে ভাতের আকাঙ্ক্ষাতেই কলকাতায় গ্রামতুতো বোন বাসিনীর মনি বাড়িতে আসে। সেখানে পেটভাতের চুক্তিতে কাঠ কাটার কাজে সে লেগে যায়। সুন্দরবনের নোনা জলের বাদার অধিবাসী উচ্ছব দেখে যে, বাসিনীর মনিবদের মিষ্টিজলের বাদায় হওয়া নানাপ্রকার চালে তাদের ঘর ভরে আছে।

   কিন্তু সেদিনই সে বাড়ির বুড়োকর্তার মৃত্যু হলে বাড়ির সমস্ত ভাত এবং অন্যান্য রান্না খাবার ফেলে দেওয়ার ব্যবস্থা করে, তখন পরিশ্রান্ত, অভুক্ত উচ্ছব আর মাথা ঠিক রাখতে পারে না। বাসিনীর হাত থেকে অশৌচ বাড়ির ভাতের ডেকিটা ছিনিয়ে নিয়ে সে স্টেশনে ছুটে আসে এবং সেখানে বসে ডেচকিতে হাত ঢুকিয়ে খাবল খাবল ভাত খেতে থাকে সে। তার স্ত্রী তাকে এমন সুখ দিতে পারেনি কখনোই। বাস্তবিকই স্বর্গসুখ লাভ করে উচ্ছব। এ কারণেই তার তখন মনে হয়, মিঠে জলের বাদার ভাত খেলেই সে ‘আসল বাদা' অর্থাৎ 'অন্নের দেশ'-এর খোঁজ পেয়ে যাবে।


"দাঁতগুলো বের করে সে কামটের মতোই হিং লি করে।"-কে, কার প্রতি এরূপ আচরণ করেছিল। তার গ্রুপ আচরণের কারণ বিশ্লেষণ করো।

  • মহাশ্বেতা দেবীর 'ভাত' ছোটোগল্পের মুখ্য চরিত্র উচ্ছব নাইয়া তার গ্রাম সম্পর্কিত বোন বাসিনীর প্রতি এরকম আচরণ করেছিল।

    বুড়োকর্তার মৃত্যুর পরে তার মৃতদেহ শ্মাশানের উদ্দেশ্যে নিয়ে যাওয়ার পরে বড়োপিসিমা নির্দেশ দেন বাড়ির সব রান্না ফেলে দিয়ে আসার জন্য। আর মুহূর্তের মধ্যেই মরিয়া উচ্ছব স্থির করে নেয় সে কী করবে। সে সুন্দরবন থেকে শুধুমাত্র খাবারের সন্ধানে শহরের বড়ো বাড়িতে কাজ করতে এসেছিল। কিন্তু বুড়োকর্তাকে বাঁচিয়ে রাখার জন্য হোমযজ্ঞ শেষ না হলে খাওয়া হবে না—এই যুক্তিতে সে তার চরম আকাঙ্ক্ষিত খাবার থেকে বর্ণিত হয়েছিল।

   এর মধ্যে সে নানারকম চালের এবং খাবারের গল্প শুনেছে ও দেখেছে। ফুটন্ত ভাতের গন্ধে সে উতলা হয়েছে কিন্তু ভাত জোটেনি তার। তাই বাসিনী ভাত ফেলতে গেলে লক্ষ্যে স্থির উচ্ছব ভাতের বড়ো ডেকচি নিজেই নেয় এবং দূরে ফেলে দিয়ে আসার কথা বলে। ডেকচি নিয়ে উচ্ছব দ্রুত হাটতে, তারপর দৌড়োতে থাকে। যে বাদার ভাতের জন্য তার দীর্ঘ সময়ের অপেক্ষা, সেই ভাত এখন তার হাতের মুঠোয়।

   এই সময়েই যখন বাসিনী তাকে সেই 'অশুচ বাড়ির ভাত' খেতে নিষেধ করে, তা সহ্য করা কঠিন হয়ে পড়ে উচ্ছবের পক্ষে। সে ফিরে দাড়ায় এবং কামটের মতো হিংস্র চোখে বাসিনীর দিকে তাকায়। তার দাঁত বের করা মুখভঙ্গি কামটের মতোই হিংস্র লাগে বাসিনীর। আসলে খিদের মতো আদিম প্রবৃত্তি মানুষকে পশুর আচরণ করে ওঠে। আর সেই ফেলে দেওয়া ভাত খাবার জন্যে উচ্ছোবের মধ্যে পাশবিক সত্ত্বার সৃষ্টি হয়।

ভাত (গল্প) মহাশ্বেতা দেবী – উচ্চমাধ্যমিক বাংলা প্রশ্ন ও উত্তর | HS Bengali Bhat Question and Answer ভাত গল্পের প্রশ্ন উত্তর, ভাত গল্পের সাজেশন প্রশ্ন ও উত্তর, ভাত গল্পের ছোটো প্রশ্ন উত্তর, ভাত গল্পের সাজেশন প্রশ্ন উত্তর,ভাত গল্পের ছোটো সাজেশন প্রশ্ন উত্তর,hs bengali suggestion 2024, ভাত গল্পের বড় প্রশ্ন উত্তর 2023, ভাত গল্পের বিষয়বস্তু, ভাত গল্পের বড় প্রশ্ন উত্তর, ভাত গল্প মহাশ্বেতা দেবী,ভাত গল্পের প্রশ্নের উত্তর, ভাত গল্পের বড়ো প্রশ্ন ও উত্তর, ভাত গল্পের বড় প্রশ্নের উত্তর, ভাত গল্পের বড়ো প্রশ্নের উত্তর, ভাত গল্পের বড়ো প্রশ্নের উত্তর | ভাত গল্পের বড় প্রশ্ন উত্তর 2024 | Vaat Golpo Proshno Uttar Mahasweeta Devi | HS Bengali Suggestion 2024

মহাশ্বেতা দেবীর 'ভাত' ছোটোগল্পে উচ্ছবের চরিত্রটি বিশ্লেষণ করো।

   মহাশ্বেতা দেবীর 'ভাত' ছোটোগল্পের উৎসব নাইয়া নিম্নবর্গীয় সমাজব্যবস্থার একজন প্রতিনিধি । ভাগ্যের ফেরে মাতলার বন্যায় বউ-ছেলেমেয়েকে হারায় সে। ভেসে যায় তার মাথা গোঁজার আশ্রয়টুকুও। কিন্তু প্রাকৃতিক দুর্যোগ উৎসবের জীবন থেকে সব কিছু কেড়ে নিলেও কেড়ে নিতে পারেনি তার আদিম প্রবৃত্তিকে, যে প্রবৃত্তির নাম খিদে। তাই প্রিয়জন হারানোর শোক কাটিয়ে ওঠার আগেই তার মধ্যে জেগে ওঠে ভাতের জন্য হাহাকার।

   হাভাতে উৎসবের জীবনে বিপর্যয় নেমে আসার আগে পর্যন্ত তার মধ্যেও কোমলতার স্পর্শ ছিল। তাই সতীশ মিংিবির তিন ধানে মড়ক লাগলে ধানের প্রতি পরম মমতায় কেঁদে ভাসায় এই গরিব ভাগচাষি। ভেসে যাওয়া ঘরের চালের নীচ থেকে পরিচিত স্বর শোনার আশায় নাওয়াখাওয়া ভুলে বসে থাকে উৎসব | অসম্ভব জেনেও পাগলের মতো বলতে থাকে, “রা কাড় অ জুনীর মা!"

   পরম আকাঙ্ক্ষিত ভাতের স্পর্শে 'প্রেত' উচ্ছবের ভিতর থেকে জেগে ওঠে ‘মানুষ' উৎসব। তাই বড়ো বাড়ি থেকে নিয়ে আসা ডেকচির ভাত খেতে খেতে সে মনে মনে সেই ভাত তুলে দেয় বউ-ছেলেমেয়ের মুখে... “চরুনী রে! তুইও খা, চরুনীর মা খাও, ছোটো খোকা খা, আমার মধ্যে বসে তোরাও খা!” আসলে উৎসবের মতো বঞ্চিত, প্রান্তিক মানুষদের সমাজজীবনে ব্যক্তিনামেরও কোনো মূল্য নেই। তাই আমরা দেখি তার নিরুৎসব জীবনে সে আর উৎসব থাকেনি, তার নাম হয়ে দাঁড়িয়েছে উচ্চব নাইয়া।


    এই কারণে নিজের খিদে নিবারণ করার জন্য উৎসব এই পথ বাঁচতে বাধ্য হয় কিন্তু যখন বাসিনি সমাজ সংস্কারের মত তাকে অশৌচ ভাত খেতে নিষেধ করেছে তখন সে আদিম প্রবৃত্তি জাতীয় পশুর মত হিংস্র হয়ে উঠেছে। তাই উপবাসী উৎসব এর কাছে এই ভাত তার একান্ত ক্ষুধা নিবারণের খাদ্যবস্তু, আর তাঁকে খাবার জন্য সেই হিংস্র হয়ে উঠেছিল। ভাত গল্পের বড় প্রশ্ন উত্তর

" বাদার ভাত খেলে তবে সে তো আসল বাঁধাটা খোঁজ পেয়ে যাবে একদিন" - বাদা কাকে বলে ? বক্তার কেন এরকম মনে হয়েছে তা আলোচনা করো ?


     মহাশ্বেতা দেবীর ভাত ছোটগল্পে আমরা বাদা শব্দটি পাই, বাধা শব্দের অর্থ হলো জল ও জংগলের পরিপূর্ণ নিচু জমি। সাধারনত সুন্দরবনের আশেপাশের নিচু জঙ্গলপূর্ণ জমি গুলোকে আমরা বাদা বলি। 

    মতলার প্রাকৃতিক তাণ্ডবের পর উৎসব তার স্ত্রী-পুত্র-কন্যাকে হারিয়ে কয়েকদিন পাগলের মত সর্বস্বান্ত হয়ে গ্রামের ভিটে তে ঘুরে বেরিয়ে ছিল। স্ত্রী পুত্রদের হারিয়ে এতটা বিভোর হয়ে পড়েছিল যে লঙ্গরখানার রান্না করা খিচুড়ি পর্যন্ত সে গ্রহণ করেনি, কিন্তু যখন তার জ্ঞান ফেরে তখন লঙ্গরখানার খাবার দেওয়া বন্ধ তাই বাধ্য হয়ে তাকে অভুক্ত থাকতে হয়েছে।

    দীর্ঘদিন না খেতে পাওয়া এই উৎসব যেন অশরীরী তে পরিণত হয়েছে, তাই সে মনে করেছে যদি সে ভাত খেতে পারে তবে হয়তো সে আবার মানুষ হবে। তাই ভাত খাওয়ার নেশায় গ্রাম ছেড়ে শহরে বাসিনীর সঙ্গে চাকরের কাছে যোগ দিয়েছে। ভাত গল্পের বড় প্রশ্ন উত্তর

    কিন্তু শহরে পৌঁছে তাকে অন্ধকার কুসংস্কারে অবতীর্ণ হয়ে অভুক্ত থাকতে বাধ্য হতে হয়েছে। কিন্তু এভাবে সে পরের বাড়ি চাকরের মতো কাজ করতে চায়না সে চাই ঠিক অন্য একটি বাদার খোঁজ করতে যেখানে সে নতুন করে জীবিকা শুরু করতে পারে। কিন্তু বড় বাড়ির সমস্ত রান্না ভাত যখন ফেলে দেওয়ার কথা হয় তখন সে এক হাড়ি ভাত নিয়ে দৌড়ে ছুটে পালায় আর পাগলের মত তা খেতেথাকে।


     সে গোগ্রাসে সেই ভাত খেতে খেতে পাগলের মত হয়ে বলে তার স্ত্রী ও পুত্র যেন তার মধ্যে বসে এই ভাত খেতে পারে, আর সে নিজেও মনে করে এই ভাত খেলে সে গায়ের শক্তি জুগিয়ে অন্য নতুন বাদার খোঁজ করতে পারবে। ভাত গল্পের বড় প্রশ্ন উত্তর


ভাত (গল্প) মহাশ্বেতা দেবী উচ্চমাধ্যমিক বাংলা সাজেশন প্রশ্ন ও উত্তর | ভাত গল্পের বড় প্রশ্ন উত্তর 2024 | Vaat Golpo Proshno Uttar Mahasweeta Devi | HS Bengali Suggestion 2024

HS Bengali Suggestion 2024  | West Bengal WBCHSE Class Twelve XII (Class 12th) Bengali Qustion and Answer Suggestion

”ভাত (গল্প) মহাশ্বেতা দেবী – উচ্চমাধ্যমিক বাংলা প্রশ্ন উত্তর “ একটি অতি গুরুত্বপূর্ণ টপিক উচ্চমাধ্যমিক পরীক্ষা (West Bengal Class Twelve XII / WB Class 12 / WBCHSE / Class 12 Exam / West Bengal Council of Higher Secondary Education – WB Class 12 Exam / Class 12 Class 12th / WB Class 12 / Class 12 Pariksha ) এখান থেকে প্রশ্ন অবশ্যম্ভাবী । সে কথা মাথায় রেখে www.educostudy.in/ এর পক্ষ থেকে উচ্চমাধ্যমিক বাংলা পরীক্ষা প্রস্তুতিমূলক সাজেশন এবং প্রশ্ন ও উত্তর ( উচ্চমাধ্যমিক বাংলা সাজেশন / উচ্চমাধ্যমিক বাংলা প্রশ্ও উত্তর । HS Bengali Suggestion / HS Bengali Bhat Question and Answer / Class 12 Bengali Suggestion / Class 12 Pariksha Bengali Suggestion / Bengali Class 12 Exam Guide / MCQ , Short , Descriptive Type Question and Answer / HS Bengali Suggestion FREE PDF Download | ছাত্রছাত্রী, পরীক্ষার্থীদের উপকারে লাগলে, আমাদের প্রয়াস উচ্চমাধ্যমিক বাংলা পরীক্ষা প্রস্তুতিমূলক সাজেশন এবং প্রশ্ন ও উত্তর (HS Bengali Suggestion / West Bengal Twelve XII Bhat Question and Answer, Suggestion / WBCHSE Class 12th Bengali Bhat Suggestion / HS Bengali Bhat Question and Answer / Class 12 Bengali Suggestion / Class 12 Pariksha Suggestion / HS Bengali Exam Guide / HS Bengali Suggestion 2022, 2023, 2024, 2025,  HS Bengali Bhat Suggestion MCQ , Short , Descriptive Type Question and Answer. / HS Bengali Bhat Suggestion FREE PDF Download) সফল হবে।

ভাত (গল্প) মহাশ্বেতা দেবী প্রশ্ন ও উত্তর

  ভাত (গল্প) মহাশ্বেতা দেবী – প্রশ্ন ও উত্তর | ভাত (গল্প) মহাশ্বেতা দেবী HS Bengali Bhat Question and Answer Suggestion উচ্চমাধ্যমিক বাংলা প্রশ্ন ও উত্তর – ভাত (গল্প) মহাশ্বেতা দেবী প্রশ্ন ও উত্তর।


ভাত (গল্প) মহাশ্বেতা দেবী MCQ প্রশ্ন ও উত্তর | উচ্চমাধ্যমিক বাংলা

ভাত (গল্প) মহাশ্বেতা দেবী MCQ প্রশ্ন ও উত্তর | ভাত (গল্প) মহাশ্বেতা দেবী HS Bengali Bhat Question and Answer Suggestion উচ্চমাধ্যমিক বাংলা প্রশ্ন ও উত্তর – ভাত (গল্প) মহাশ্বেতা দেবী MCQ প্রশ্ন উত্তর।


ভাত (গল্প) মহাশ্বেতা দেবী SAQ সংক্ষিপ্ত প্রশ্ন ও উত্তর | দ্বাদশ শ্রেণির বাংলা

ভাত (গল্প) মহাশ্বেতা দেবী SAQ সংক্ষিপ্ত প্রশ্ন ও উত্তর | ভাত (গল্প) মহাশ্বেতা দেবী HS Bengali Bhat Question and Answer Suggestion উচ্চমাধ্যমিক বাংলা প্রশ্ন ও উত্তর – ভাত (গল্প) মহাশ্বেতা দেবী SAQ সংক্ষিপ্ত প্রশ্ন উত্তর।


ভাত (গল্প) মহাশ্বেতা দেবী MCQ প্রশ্ন উত্তর – দ্বাদশ শ্রেণি বাংলা | HS Class 12 Bengali Bhat

দ্বাদশ শ্রেণি বাংলা (HS Bengali Bhat) – ভাত (গল্প) মহাশ্বেতা দেবী – প্রশ্ন ও উত্তর | ভাত (গল্প) মহাশ্বেতা দেবী | HS Bengali Bhat Suggestion দ্বাদশ শ্রেণি বাংলা – ভাত (গল্প) মহাশ্বেতা দেবী প্রশ্ন উত্তর।


উচ্চমাধ্যমিক বাংলা প্রশ্ন ও উত্তর | দ্বাদশ শ্রেণির বাংলা প্রশ্ন ও উত্তর – ভাত (গল্প) মহাশ্বেতা দেবী প্রশ্ন উত্তর | HS Bengali Bhat Question and Answer Question and Answer, Suggestion

উচ্চমাধ্যমিক বাংলা প্রশ্ন ও উত্তর – ভাত (গল্প) মহাশ্বেতা দেবী | উচ্চমাধ্যমিক বাংলা প্রশ্ন ও উত্তর – ভাত (গল্প) মহাশ্বেতা দেবী | পশ্চিমবঙ্গ উচ্চমাধ্যমিক বাংলা প্রশ্ন ও উত্তর – ভাত (গল্প) মহাশ্বেতা দেবী | উচ্চমাধ্যমিক বাংলা সহায়ক – ভাত (গল্প) মহাশ্বেতা দেবী – প্রশ্ন ও উত্তর । HS Bengali Bhat Question and Answer, Suggestion | HS Bengali Bhat Question and Answer Suggestion | HS Bengali Bhat Question and Answer Notes | West Bengal HS Class 12th Bengali Bhat Question and Answer Suggestion.


উচ্চমাধ্যমিক বাংলা প্রশ্ন ও উত্তর – ভাত (গল্প) মহাশ্বেতা দেবী MCQ প্রশ্ন উত্তর | WBCHSE Class 12 Bengali Bhat Question and Answer, Suggestion

উচ্চমাধ্যমিক বাংলা প্রশ্ন ও উত্তর – ভাত (গল্প) মহাশ্বেতা দেবী প্রশ্ন উত্তর প্রশ্ন ও উত্তর | ভাত (গল্প) মহাশ্বেতা দেবী । WBCHSE Class 12 Bengali Bhat Question and Answer Suggestion.


WBCHSE Class 12th Bengali Bhat Suggestion | উচ্চমাধ্যমিক বাংলা প্রশ্ন ও উত্তর – ভাত (গল্প) মহাশ্বেতা দেবী

WBCHSE HS Bengali Bhat Suggestion উচ্চমাধ্যমিক বাংলা প্রশ্ন ও উত্তর – ভাত (গল্প) মহাশ্বেতা দেবী প্রশ্ন উত্তর প্রশ্ন ও উত্তর । ভাত (গল্প) মহাশ্বেতা দেবী | HS Bengali Bhat Suggestion উচ্চমাধ্যমিক বাংলা প্রশ্ন ও উত্তর – ভাত (গল্প) মহাশ্বেতা দেবী – প্রশ্ন উত্তর প্রশ্ন ও উত্তর ।


HS Bengali Bhat Question and Answer Suggestions | উচ্চমাধ্যমিক বাংলা প্রশ্ন ও উত্তর – ভাত (গল্প) মহাশ্বেতা দেবী | উচ্চমাধ্যমিক বাংলা প্রশ্ন ও উত্তর

HS Bengali Bhat Question and Answer উচ্চমাধ্যমিক বাংলা প্রশ্ন ও উত্তর – ভাত (গল্প) মহাশ্বেতা দেবী উচ্চমাধ্যমিক বাংলা প্রশ্ন ও উত্তর HS Bengali Bhat Question and Answer উচ্চমাধ্যমিক বাংলা প্রশ্ন ও উত্তর প্রশ্ন ও উত্তর – ভাত (গল্প) মহাশ্বেতা দেবী MCQ, সংক্ষিপ্ত, রচনাধর্মী প্রশ্ন ও উত্তর ।


Class 12 Bengali Bhat Suggestion | উচ্চমাধ্যমিক বাংলা প্রশ্ন ও উত্তর – ভাত (গল্প) মহাশ্বেতা দেবী MCQ প্রশ্ন উত্তর প্রশ্ন ও উত্তর

HS Bengali Bhat Question and Answer Suggestion উচ্চমাধ্যমিক বাংলা প্রশ্ন ও উত্তর – ভাত (গল্প) মহাশ্বেতা দেবী MCQ প্রশ্ন ও উত্তর । HS Bengali Bhat Question and Answer Suggestion উচ্চমাধ্যমিক বাংলা প্রশ্ন ও উত্তর।


West Bengal Class 12 Bengali Suggestion Download WBCHSE Class 12th Bengali short question suggestion . HS Bengali Bhat Suggestion download Class 12th Question Paper Bengali. WB Class 12 Bengali suggestion and important question and answer. Class 12 Suggestion pdf. পশ্চিমবঙ্গ দ্বাদশ শ্রেণীর বাংলা পরীক্ষার সম্ভাব্য সাজেশন ও শেষ মুহূর্তের প্রশ্ন ও উত্তর ডাউনলোড। উচ্চমাধ্যমিক বাংলা পরীক্ষার জন্য সমস্ত রকম গুরুত্বপূর্ণ প্রশ্ন ও উত্তর।

Get the HS Bengali Bhat Question and Answer Question and Answer by https://www.educostudy.in/

HS Bengali Bhat Question and Answer Question and Answer prepared by expert subject teachers. WB Class 12 Bengali Suggestion with 100% Common in the Examination .


Class Twelve XII Bengali Bhat Suggestion | West Bengal Council of Higher Secondary Education (WBCHSE) Class 12 Exam

HS Bengali Bhat Question and Answer, Suggestion 2024 | West Bengal Council of Higher Secondary Education (WBCHSE) Class 12 Twelve XII Bengali Suggestion is provided here. HS Bengali Bhat Question and Answer Suggestion Questions Answers PDF Download Link in Free has been given below.


ভাত (গল্প) মহাশ্বেতা দেবী – উচ্চমাধ্যমিক বাংলা প্রশ্ন ও উত্তর 2024 | HS Bengali Bhat Question and Answer

অসংখ্য ধন্যবাদ সময় করে আমাদের এই ” ভাত (গল্প) মহাশ্বেতা দেবী – উচ্চমাধ্যমিক বাংলা প্রশ্ন ও উত্তর | HS Bengali Bhat Question and Answer ” পােস্টটি পড়ার জন্য। এই ভাবেই Educostudy ওয়েবসাইটের পাশে থাকো যেকোনো প্ৰশ্ন উত্তর জানতে এই ওয়েবসাইট টি ফলাে করো এবং নিজেকে তথ্য সমৃদ্ধ করে তোলো , ধন্যবাদ।

 গল্পের বড় প্রশ্ন উত্তর


[ যদিও এই কথাটি একটি জানার বিষয় তাহলো সাধারণত মহাশ্বেতা দেবীর ছোটগল্প গুলিতে শেষের দিকে গ্রাম ছেড়ে শহরের দিকে যাবার একটা প্রবণতা দেখা যায়, একই রকম ভাবে আমরা এই গল্পটি তেও উৎসব নাইয়ার বাধা অঞ্চলের জীবন কাহিনী ছেড়ে ক্যানিং অর্থাৎ শহরের দিকে যাওয়ার প্রবণতা লক্ষ্য করি।]


অন্য সকল বাংলা বিষয়ের প্রশ্ন ও উত্তর : 




## দ্বাদশ শ্রেণীর বাংলা বিষয়ের জন্য নির্বাচিত বড় প্রশ্নগুলি সাধারণত পাঁচ মার্কের হয়ে থাকে। হয়তো আমার এই নোটগুলি দেখে মনে হতে পারে যে এতোটুকু লিখলে কি ফুল মার্কস পাওয়া যেতে পারে। এ বিষয়ে আমি বলব এই নোটটি যদি তুমি মুখস্ত করে খাতায় লিখ তবে দেখবে প্রায় এক পৃষ্ঠা মত হয়ে যাবে যা ফুল মার্কস পেতে অবশ্যই তোমাকে সাহায্য করবে।

    যতটুকু লিখলে ভালো নাম্বার পাওয়া যাবে এবং যে বিষয়গুলো তুলে ধরলে একটি প্রশ্নের ভিতরে ভালো নাম্বার পাওয়া যাবে এখানে আমি শুধুমাত্র সেই বিষয় গুলি এবং ততটুকুই লিখব অতিরিক্ত লিখলে তা তোমাদের জন্য বেশি উপযোগী হবে বলে আমার ধারণা নেই। ভাত গল্পের বড় প্রশ্ন উত্তর

    সুতরাং সেই টুকু পড়া উচিত যেটুকু আমাদের প্রয়োজনে লাগবে।সুতরাং ভাত গল্পের যেসকল প্রশ্নগুলি আমাদের পরীক্ষাতে আসে সেগুলি নিয়ে আলোচনা করলাম অবশ্যই বন্ধুদের সঙ্গে শেয়ার করো ও নোটগুলি খাতায় লিখে নাও।


ভাত গল্পের বিষয়ে ভিডিও :