বাংলা চলচ্চিত্রের ধারায় সত্যজিৎ রায়ের অবদান | দ্বাদশ শ্রেণী বাংলা সাজেশন

 বাংলা চলচ্চিত্রের ধারায় সত্যজিৎ রায়ের অবদান " এই প্রশ্নটি দ্বাদশ শ্রেণীর বাংলা বিষয়ের জন্য খুব গুরুত্বপূর্ণ তাই এখানে লেখার উপযোগী করে আলোচনা করা হলো... 

বাংলা চলচ্চিত্রের ধারায় সত্যজিৎ রায়ের অবদান


    বাংলা চলচ্চিত্রের ধারায় সত্যজিৎ রায়ের অবদান অসামান্য। তিনি বাংলা চলচ্চিত্রের ধারায় এক মাইল ফলক রূপে পরিগণিত হন। শুধু বাংলা নয় তিনি সমস্ত বিশ্বের চলচ্চিত্রে এক মর্যাদার সম্মান দাবি করেন। 1955 সালে তার কৃতকর্ম কান ফ্লিম ফেস্টিভালে আন্তর্জাতিক পুরষ্কার পায়, এবং ভারত সরকার তাকে সিনেমার শ্রেষ্ঠ প্রযোজক এর কারণে ভারতরত্ন উপাধিতে ভূষিত করেন ।

     পথের পাঁচালী ছিল তার জীবনের প্রথম অভিজ্ঞান। গ্রাম্য জীবনের রহস্যে ঘেরা পথের পাঁচালী ছিল উদার মানবিক জীবনের এক প্রতিচ্ছবি। সেই কারণে এই সিনেমা দেশ ছেড়ে ইউরোপে এমন কি আমেরিকাতেও জনপ্রিয়তা পেয়েছিলো। 

    পথের পাঁচালীর অপুর কাহিনী কে সম্পূর্ণ করার জন্য তিনি পরবর্তী সময়ে প্রযোজনা করেন - অপরাজিত, অপুর সংসার,  এই সিনেমা দুটিকে। এছাড়াও তার কয়েক্তি বিখ্যাত সিনেমা হলো - নায়ক, জলসাঘর, দেবী, তিন কন্যা, কাঞ্চনজঙ্ঘা, মহানগর, গুপিগাইন বাঘাবাইন, অরণ্যের দিনরাত্রি, প্রতিদ্বন্দ্বী, ওসনি সংকেত, ও আগন্তুক ইত্যাদি।

     জীবিত সময় কালের মধ্যে সত্যজিৎ রায় প্রায় 36 টি সিনেমা তৈরি করেছিলেন। বিচিত্র বিষয়ের সমাহারে তিনি যে নতুন সিনেমার নতুন ধারণা সৃষ্টি করেছিলেন সেই কারণেই তিনি আজও সিনামে জগতে স্বতন্ত্র হলে আছেন। 1992 সালে সত্যজিৎ রায় অস্কার বিজয়ী পরিচালক হিসাবে স্বীকৃতি পান।  পরবর্তী কালের কিছু বিখ্যাত পরিচালক  - আইভরি, আব্বাস কাইরস্তমি, ইলিয়ানাক জল প্রমুখ তাকে অনুসরণ করেছিলেন বলে মনে করা হয়।

   
বাংলা সিনেমায় সত্যজিৎ রায়

**। এটা লেখার বিষয় নয় --। জানার জন্য পড়তে পারো।।

সত্যজিৎ রায় || Satyajit Roy


        1950 সালের দিকে ফরাসি পরিচালক জন রেনোয়া ' দি রিভার ' সিনেমার শুটিং করতে কলকাতায় আসেন। সত্যজিৎ রায় সেই শুটিং এক বন্ধুর সাথে প্রায় প্রতি দিন দেখতে যেতেন, এমনকি সিনেমা নিয়েও অনেক কথা তার সাথে আলোচনা করতেন। এমন সময় তিনি একটি বিজ্ঞাপন সংস্থায় কাজ করতেন, সেই সূত্রে তিনি লন্ডনে যাবার সুযোগ পেলেন। সাথে সাথে তার জীবনের একটি অধ্যায় শুরু হলো এখন থেকে। 

      এখন থেকেই সিনেমার নানান বিষয়ে তিনি জ্ঞান অর্জন করলেন এবং দেশে ফিরে বিভূতি ভূষণ  বন্দোপাধ্যায় এর পথের পাচালিকে বেছে নিলেন জীবনের প্রথম কর্ম হিসাবে। 

    জীবনের প্রথম এই সিনেমা কে প্রযোজনা করতে গিয়ে তাকে অনেক সমস্যার মুখে পড়তে হয় বলে জানা যায়। এমন কি নিজের সখের বই প্রিন্টিং  পর্যন্ত তাকে বিক্রি করতে হয়েছিলো। শুটিং করতে করতে টাকার অভাবে বন্ধ হয়ে যায় এই সিনেমা। পরে মুখ্যমন্ত্রী বিধান চন্দ্র রায়ের সহায়তায় 1955 সালে প্রকাশ পায় পথের পাঁচালী। 

     এই ছবির সংগীত পরিচালক ছিলেন রবিশঙ্কর ও কামেরা ম্যান ছিলেন সুব্রত মিত্র। এই সিনেমা কান চলচ্চিত্র অনুষ্ঠানে মানবতার শ্রেষ্ট দলিল ( দা বেস্ট হিউম্যান ডকুমেন্ট )  নামে পরিচিতি পায়। 


## যদি কোথাও অসঙ্গতি থাকে বা বানান ভুল থাকে তবে সেটা অনিচ্ছাকৃত, নিচে কমেন্ট করে জানালে ঠিক করে দেওয়া হবে। ।।