HS Bengali Suggestions 2021 দ্বাদশ শ্রেণির বাংলা ধ্বনিতত্ত্ব থেকে বড় প্রশ্ন উত্তর Educostudy.in
দ্বাদশ শ্রেণীর বাংলা বিষয়ের একটি বড় অধ্যায় হলো ভাষাতত্ত্ব বা ভাষাবিজ্ঞান এই অধ্যায়ের একটি ছোট পর্ব হলো ধ্বনিতত্ত্ব অর্থাৎ এই পর্বে বাংলা ভাষার বিভিন্ন ধ্বনি সৃষ্টি, বিকাশ, তার ব্যবহার ইত্যাদি সম্পর্কে বিস্তারিত আলোচনা আছে এই অধ্যায় থেকে যে সমস্ত প্রশ্ন গুলি উচ্চ মাধ্যমিক বাংলা পরীক্ষার জন্য গুরুত্বপূর্ণ সেই সকল প্রশ্ন গুলো নিয়ে আলোচনা করা হলো। তোমরা এগুলো নোট আকারে নিজের মতো করে লিখে নিতে পারো এবং অবশ্যই বন্ধুদের সাথে শেয়ার করবে।
![]() |
Educostudy.in |
স্বনিম বা ধ্বনিমূল এর স্বাতন্ত্র্যসূচক বৈশিষ্ট্য উদাহরণসহ আলোচনা করো।
কিছু ক্ষেত্রে আমরা দেখি দুটি আলাদা আলাদা ধ্বনির উচ্চারণ গত দিক থেকে মিল থাকে। কিন্তু কোন এক সামান্যতম দিক থেকে দুটির মধ্যে একটি পার্থক্য সৃষ্টি হয় যে পার্থক্যের জন্য ধ্বনি গুলো আলাদা আলাদাভাবে অর্থ প্রকাশ করে। ধ্বনি গুলির এই মৌলিক পার্থক্যের বিশেষ রূপটি হলো ধ্বনির স্বাতন্ত্র্যসূচক বৈশিষ্ট্য বা স্বনিম।
বাংলা বর্ণমালায় যেমন ব ও ভ এই শব্দ দুটির যদি পার্থক্য বিচার করা যায় তাহলে দেখা যাবে দুটি স্পর্শ ধ্বনি, ব বর্ণ অল্পপ্রাণ এবং ভ হলো মহাপ্রাণ ধ্বনি। যদিও এই ব ও ভ এর উচ্চারণগত পার্থক্য তেমন বেশি নেই তবুও মৌলিক পার্থক্য টি হল মহাপ্রাণ এবং অল্পপ্রাণ। আবার প ও ব এর মধ্যে যদি পার্থক্য বিচার করি তাহলে দেখা যাবে দুটিই স্পর্শধ্বনি দুটি অল্পপ্রাণ ধ্বনি কিন্তু একটি বিষয় এদের পার্থক্য আছে তা হলো প হলো অঘোষ ধ্বনি এবং ব সঘোষ ধ্বনি। সুতরাং ঘোষ হল প থেকে ব এর স্বাতন্ত্র্যসূচক একটি বৈশিষ্ট্য।
উপরের বিষয়টি থেকে আমরা বুঝতে পারলাম যে প্রত্যেকটি ধ্বনির একটি নিজস্ব মৌলিক বৈশিষ্ট্য থাকে যা থেকে তারা একে অপরের থেকে আলাদা হয়।
তবে এ কথাও মনে রাখতে হবে যে ধ্বনির স্বাতন্ত্র্যসূচক বৈশিষ্ট্য অনেক সময় দুটি ধনী কে আলাদা করে না বরং তাদের আলাদা পরিচয় দিয়ে থাকে। অর্থাৎ বিরোধিতার মধ্যে স্বনিম স্বাতন্ত্র্যসূচক বৈশিষ্ট্য লুকিয়ে থাকে।
অবিভাজ্য ধ্বনি কাকে বলে উদাহরণসহ বুঝিয়ে দাও।
ভাষায় এমন কিছু ধ্বনির ব্যবহার হয় যাকে স্বাভাবিকভাবে বা কৃত্রিম কোনভাবেই ভাগ করা যায় না অথচ তারা একাধিক ধ্বনির সমবায়ে গঠিত হয় এদেরকে সাধারণভাবে অবিভাজ্য ধ্বনি বলা হয়।
বাক্যের মধ্যে এমন কিছু ধ্বনির ব্যবহার দেখা যায় যা বিভাজ্য ধ্বনির মতো সুস্পষ্টভাবে বিভাজিত হয় না এগুলি আসলে অবিভাজ্য ধ্বনি বা ধ্বনিমুল। সাধারণভাবে অবিভাজ্য ধ্বনি গুলিকে চারটি ভাগে ভাগ করা হয় -
শ্বাসাঘাত :: একাধিক দল যুক্ত শব্দের উচ্চারণ কালে যদি কোন একটি দলের উপর বেশি পরিমাণে শ্বাস প্রয়োগ করে উচ্চারণ করা হয় তখন তাকে বলে শ্বাসাঘাত। শ্বাসাঘাত ঘটনাটি একটি দলের সঙ্গে সরাসরি যুক্ত বলে তাকে বিভাজন করা সম্ভব নয়। যেমন - মাখন শব্দটিতে প্রথম দল মা উচ্চারণ করতে গেলে তাতে শ্বাসের আধিক্য লক্ষ্য করা যায়।
যতি :: কথ্য ভাষায় মুখ দিয়ে উচ্চারিত কোন বাক্যের শেষে যখন থামা হয় বা বিরতি নেওয়া হয় তাই হল যতি। এই যতিকে আমরা দাড়ি কমা ইত্যাদি চিহ্নতে প্রকাশ করে থাকি। যেমন - রাম এক থালা ভাত খেয়েছে দুধ দিয়ে। এখানে এই বাক্যটিতে সম্পূর্ণ অর্থ প্রকাশ করার পরে আমরা যদি ব্যবহার করি, শুধু রাম শব্দের পরে নয়।
স্বর দৈর্ঘ্য :: বাংলা ভাষায় বহুদল যুক্ত শব্দের প্রতিটি দলের মধ্যে স্বরধ্বনির তুলনায় একদলের শব্দের স্বর বেশি। এর ফলে এক দল যুক্ত শব্দ বেশি স্বর যুক্ত। বেশি স্বরের দৈর্ঘ্যকে বলা হয় স্বর দৈর্ঘ্য। যেমন আমার ও আখ এই দুটি শব্দের প্রথম বর্ণের আ মধ্যে স্বর দৈর্ঘ্যের পার্থক্য আছে। আমার শব্দের থেকে আখ শব্দের আ এর স্বর দৈর্ঘ্য বেশি।
সুর তরঙ্গ :: বাক্যের মধ্যে সুরের ওঠানামা কে বলা হয় সুর তরঙ্গ। একই বাক্যে কে সুরের মাধ্যমে বিভিন্ন ভাবে প্রকাশ করা যায়। যেমন শুধুমাত্র সুরের উপর নির্ভর করে যদি রাম যায়, এই বাক্যটিকে বলি তবে তা হবে বিবৃতিমূলক বাক্য। কিন্তু যদি এই বাক্যটিকে প্রশ্ন রূপে ব্যবহার করি তবে দাঁড়াবে রাম যাবে ? সুতরাং বোঝা গেল শুধুমাত্র সুরের উপর নির্ভর করে বাক্যের অর্থ পার্থক্য ঘটতে পারে।
গুচ্ছ ধ্বনি কি ? উদাহরণসহ গুচ্ছ ধ্বনী বুঝিয়ে দাও ।
শব্দের মধ্যে স্বরধ্বনি হীন একাধিক ব্যঞ্জন যদি একাধিক দলের মধ্যে অবস্থান করে তখন সেই যুক্তব্যঞ্জন কে গুচ্ছ ধ্বনি বলে। যেমন - সত্তর শব্দের মধ্যে মাঝের ত্ত টির মাঝে কোন স্বরধ্বনি নেই সুতরাং এটি হলো গুচ্ছ ধ্বনি।
গুচ্ছ ধ্বনির সমাবেশ সভাবতই শক্ত নয় কারণ তারা একটি দলে অবস্থান করে না। যেমন রোদ্দুর শব্দটিতে শব্দের মাঝামাঝি দুটি দ ধ্বনি উচ্চারিত হয়ে একটি গুচ্ছ ধ্বনি তৈরি করেছে। এখানে প্রথম দ টি প্রথম দল রোদ এর শেষে দূর দলের প্রথম ধ্বনি হিসাবে অবস্থান করেছে।
আবার সস্তা শব্দটিতে পরের দন্ত্য-স এবং ত যুক্ত হয়ে একটি গুচ্ছ ধ্বনি তৈরি করেছে। যেখানে দন্ত্য-স হলো প্রথম দলের শেষ এবং তা হলো শেষ ধ্বনি দ্বিতীয় দলের। অর্থাৎ গুচ্ছ ধ্বনি গুলি বাংলা ভাষায় এভাবেই তৈরি হয়েছে। বাংলা শব্দ ভান্ডারে গুচ্ছ ধ্বনির সংখ্যা 200 বেশি। তবে দুটি ধ্বনি যুক্ত গুচ্ছ ধ্বনির সংখ্যা 200 টির বেশি, তিনটি ধ্বনি যুক্ত গুচ্ছ ধ্বনির সংখ্যা আটটি এবং চারটি ধ্বনি যুক্ত ধ্বনির সংখ্যা একটি। চারটি ধ্বনি যুক্ত গুচ্ছ ধ্বনি টি হল সংস্কৃত শব্দটি।
👉👉 প্রিয় ছাত্রছাত্রীরা এখানে শুধুমাত্র দ্বাদশ শ্রেণীর বাংলা বিষয়ের ধ্বনিতত্ত্ব থেকে যে সকল প্রশ্ন গুলি খুব গুরুত্বপূর্ণ উচ্চ মাধ্যমিক 2021 পরীক্ষার জন্য সেই প্রশ্নগুলোর উত্তর সহ আলোচনা করা হল অবশ্যই তোমরা এখান থেকে খাতায় লিখে নেবে। এবং অন্য সকল প্রশ্নের উত্তর পেতে অবশ্যই নিচের লিংক দেওয়া হল সেই সকল লিংক অবশ্যই তোমরা দেখো এবং তা থেকেও নোট লিখে নাও।
উচ্চ মাধ্যমিক পরীক্ষার বাংলা বিষয়ের সাজেশন ও বাংলা বিষয়ে সবথেকে বেশি নম্বর পেতে উল্লেখযোগ্য এবং গুরুত্বপূর্ণ নোটস এর প্রয়োজন সেদিকে লক্ষ্য রেখে এখানে নোটগুলি তোমাদের জন্য দেওয়া হয় সুতরাং তোমরা নিচে দেওয়া সমস্ত লিঙ্কগুলি ফলো করো যে সকল লিংক থেকে তোমরা বাংলা সাবজেক্ট ও অন্যান্য সকল উচ্চ মাধ্যমিক বিষয়গুলির নোটস পেয়ে যাবে।
MORE NOTES / MORE SUGGESTION FOR HS
- বাংলা বিষয়ের অন্যান্য প্রশ্ন ও উত্তর পেতে ক্লিক করো।।
- কে বাঁচায় কে বাঁচে গল্পের বড় প্রশ্ন ও উত্তর।
- ভাত গল্পের বড় প্রশ্ন ও উত্তর।
- ভারত বর্ষ গল্পের বড় প্রশ্ন ও উত্তর।
- রূপনারানের কূলে কবিতার বড় প্রশ্ন ও উত্তর।
- শিকার কবিতার বড় প্রশ্ন ও উত্তর।
- মহুয়ার দেশ কবিতার বড় প্রশ্ন ও উত্তর।
- আমি দেখি কবিতার বড় প্রশ্ন ও উত্তর।
- ক্রন্দনরতা জননীর পাশে কবিতার বড় প্রশ্ন ও উত্তর ।
- নানা রঙের দিন নাটকের প্রশ্ন ও উত্তর।
- বিভাব নাটকের বড় প্রশ্ন ও উত্তর।
- পড়তে জানে এমন এক মজুরের প্রশ্ন কবিতার প্রশ্ন উত্তর।
- অলৌকিক গল্পের বড় প্রশ্ন ও উত্তর।
- গারো পাহাড়ের নীচে প্রবন্ধের বড় প্রশ্ন ও উত্তর।
- ছাতির বদলে হাতি প্রবন্ধের বড় প্রশ্ন ও উত্তর।
- কলের কলকাতা প্রবন্ধের বড় প্রশ্ন ও উত্তর।
- মেঘের গায়ে জেলখানা প্রবন্ধের প্রশ্ন উত্তর।
- হাত বাড়াও প্রবন্ধের প্রশ্ন উত্তর।
কোন মন্তব্য নেই:
একটি মন্তব্য পোস্ট করুন