গানের ধারায় কিশোর কুমারের অবদান আলোচনা করো।

    যে সমস্ত বাঙালি শিল্পী নিজের শিল্প প্রতিভাতে বিশ্বে নিজের স্থান করে নিয়েছে তাদের মধ্যে উল্লেখযোগ্য কিশোর কুমার, যার প্রকৃত নাম আভাস কুমার গঙ্গোপাধ্যায়। তার যে শিল্পী প্রতিভা টা ছিলো অন্যান্য সাধারণ। এখানে তার শিল্পী প্রতিভা নিয়ে আলোচনা করা হলো।

গানের ধারায় কিশোর কুমারের অবদান


আধুনিক বাংলা গানের ধারায় কিশোর কুমারের অবদান আলোচনা করো।


       বাংলা আধুনিক গান যার হাতে প্রথম সবচেয়ে বেশি সমৃদ্ধশালী হয়ে উঠেছিল তিনি কিশোর কুমার কিশোর কুমারের প্রকৃত নাম আভাস কুমার গঙ্গোপাধ্যায়। তিনি ছিলেন ভারতীয় চলচ্চিত্র সংগীতের প্রথম জনপ্রিয় পুরুষ শিল্পী। তার মত জনপ্রিয়তা সমস্ত ভারতবর্ষে আর কেউ অর্জন করতে পারেনি।


       বাংলা ও হিন্দি ছাড়াও মারাঠি অহমিয়া গুজরাটি, কন্নর, ভোজপুরি, মালায়ালম, এবং উর্ধু ভাষাতেও তিনি প্রচুর গান গেয়েছেন। প্রথম জিবনে তিনি একজন কোরাস শিল্পী হিসেবে বোম্বে টকিজ এ পা রাখেন। ১৯৪৬ সালে শিকারি সিনেমার মধ্য দিয়ে অভিনেতা হিসাবে এবং ১৯৪৮ সালে জিদ্দি ছায়াছবিতে প্রথম নেপথ্য শিল্পী হিসেবে আত্মপ্রকাশ করেন কিশোর কুমার। 

     তিনি একই সঙ্গে ছিলেন গায়ক ,গীতিকার, অভিনেতা, চিত্র পরিচালক, প্রযোজক, এবং রেকর্ড প্রযোজক। তিনি সারা জিবনে মোট আট বার ফ্লিম ফেয়ার আওয়াড জিতেছিলেন, যা এখনও পর্যন্ত রেকর্ড। মধ্যপ্রদেশ সরকার হিন্দি ছবিতে অবদানের জন্য জাতীয় কিশোর কুমার পুরষ্কার চালু করেন। 

    কিশোর কুমারের গাঁওয়া অজস্র গানের মধ্যে " শিং নে তবু নাম তার সিংহ", আকাশ কেনো ডাকে, এক পলকের একটু দেখা, আমার পূজার ফুল, বিপিন বাবুর কারণ সুধা, আজ এই দিনটাকে, এই সকল গান গুলো বেশ জনপ্রিয়তা পেয়েছিল। তার গাওয়া গান গুলি ছিল বাঙালি জীবনের পালাপর্বন, অবকাশ যাপন, আর প্রেমের অবাধ স্রোতের ধারার মতন।


 ** এই সকল প্রশ্ন গুলো বেশ গুরুত্বপূর্ণ যা বার বার পরীক্ষায় আসে, এই প্রশ্ন গুলি ছাড়াও আরো বেশ কয়েকটি প্রশ্ন এখান থেকে আসে যা সময় মত আপডেট করে দেওয়া হবে। এই সমস্ত পার্ট থেকে সমস্ত শর্ট প্রশ্ন গুলি এই ওয়েবসাইটে দিয়ে দেওয়া হবে **