কলিঙ্গ দেশে ঝড় - বৃষ্টি কবিতার প্রশ্ন উত্তর | নবম শ্রেণীর বাংলা কবিতার প্রশ্ন উত্তর | kalinga dese jhor btisti | class 9 brngali kabita
কলিঙ্গ দেশে ঝড় বৃষ্টি কবিতার প্রশ্ন উত্তর | নবম শ্রেণীর বাংলা কবিতার প্রশ্ন উত্তর | kalinga dese jhor btisti | class 9 brngali kabita, kalinga deshe jhor bristi kobita, kalinga dese jhor bristi mukundaram chakrabarty, mukundaram chakrabarty chandimangal, short questions kalinga dese jhor bristi, mcq kalinga dese jhor bristi, kalinga deshe jhor bristi MCQ | kalinga deshe jhor bristi SAQ | kalinga deshe jhor bristi Question and answer, kalinga deshe jhor bristi 3 mark | kalinga deshe jhor bristi 5 mark | কলিঙ্গদেশে ঝড় বৃষ্টি কবিতার বড় প্রশ্ন উত্তর
কলিঙ্গ দেশে ঝড়- বৃষ্টি
মুকুন্দরাম চক্রবর্তীর অভয়া মঙ্গল বা চন্ডীমঙ্গল কাব্যের আগে ঠিক খণ্ড থেকে আমাদের পাঠ্য কলিঙ্গদেশে ঝড় বৃষ্টি অংশটি নেয়া হয়েছে এই কাব্যটিতে মূলত অনার্য দেবী চণ্ডী পূজা পাবার উপলক্ষে মরতে জন্মগ্রহণ করে এবং তার পূজা পাবার মাধ্যম হিসাবে স্বর্গ-ভ্রষ্ট দুজনকে মর্তে পাঠানো হয়। এরা যথাক্রমে ইন্দ্র পুত্র নীলাম্বর এবং তার স্ত্রী ছায়া।
মরতে নীলাম্বর এবং তার স্ত্রী ছায়া - কালকেতু ও ফুল্লরা নামে জন্মগ্রহণ করে। তারা দুজনে গুজরাট নগরী পত্তন করে বা সৃষ্টি করে কিন্তু পার্শ্ববর্তী কলিঙ্গ রাজ্যের রাজা তাদের উপরে রেগে যায় এমত অবস্থায় দেবী চণ্ডী কলিঙ্গ রাজ্যের উপর বিমুখ হয়ে ওঠে সাথে সাথে প্রচন্ড ঝড় বৃষ্টি সৃষ্টি করে সমস্ত কলিঙ্গ কে ভাসিয়ে দেয় এর ফলে কলিঙ্গ প্রদেশের প্রজারা পার্শ্ববর্তী গুজরাট নগরীতে গিয়ে ওঠে।
সুতরাং এখানে দেবী চণ্ডী পুরোপুরি পরিকল্পিতভাবে গুজরাট নগরীকে ধ্বংস করার জন্য এই ঝড় বৃষ্টি সৃষ্টি করেছিল সে দিক থেকে বিচার করলে কাব্যের যথেষ্ট মাধুর্য রয়েছে এই কলিঙ্গদেশে ঝড় বৃষ্টি অংশটির মধ্যে।
এই কলিঙ্গদেশে ঝড় বৃষ্টি কবিতায় যে সকল সংক্ষিপ্ত প্রশ্নাবলী এবং এমসিকিউ প্রশ্নাবলী পরীক্ষার জন্য অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ সেই সকল প্রশ্নগুলি সম্পর্কে আমরা নিচে প্রশ্ন উত্তর সবই আলোচনা করেছি, তোমরা অবশ্যই এগুলোকে ভালোভাবে বাড়িতে প্র্যাকটিস করবে।। কলিঙ্গদেশে ঝড় বৃষ্টি কবিতার বড় প্রশ্ন উত্তর
কলিঙ্গদেশের ঝড়-বৃষ্টি MCQ
কলিঙ্গদেশে ঝড়-বৃষ্টি কাব্যাংশ টির রচয়িতা -
মুকুন্দ চক্রবর্তী
মুকুন্দ চক্রবর্তী মধ্যযুগের যে মঙ্গলকাব্য ধারার কবি সেটি হল-
চন্ডীমঙ্গল
মুকুন্দ চক্রবর্তী আবির্ভাব কাল-
ষোড়শ শতাব্দী
মুকুন্দ চক্রবর্তী রচিত কাব্যের নাম-
কবি কঙ্কন চন্ডী
কলিঙ্গদেশে ঝড়-বৃষ্টি কাব্যাংশ কবি মুকুন্দের উপাধি-
কবিকঙ্কন
কলিঙ্গদেশে ঝড়-বৃষ্টি কাব্যাংশ টি চন্ডীমঙ্গল কাব্যের যে খন্ডের অন্তর্গত -
আখেটিক খন্ড
কলিঙ্গদেশে কেন অন্ধকার হয়েছে? -
মেঘে ঢেকে গেছে বলে
শূন্যস্থান - কলিঙ্গদেশে ঝড় বৃষ্টি কবিতার বড় প্রশ্ন উত্তর
"দেখিতে না পারি কেহ________" শূন্যস্থানের সঠিক শব্দটি হল -
অঙ্গ আপনার
"দেখিতে না পারি কেহ অঙ্গআপনার" - আপনার বলতে কাদের কথা বোঝানো হয়েছে? -
কলিঙ্গ বাসীর
"______উড়িলো মেঘ সঘনে চিকুর" -
ঈশানে
না পাই দেখিতে কেহ ______ কিরণ। -
রবির
"ঈশানে উড়িলো মেঘ সঘনে ____" -
চিকুর
মেঘ কোথায় উচ্চ নাদে ডাকে -
গগন মন্ডলে
____উড়িয়া মেঘ ডাকে উচ্চ নাদ -
কলিঙ্গে
কেউ কারো কথা শুনতে পাচ্ছিল না কেন-
মেঘের গর্জনের জন্য
চিকুর শব্দের অর্থ ব্যবহৃত হয়েছে-
বিদ্যুৎ
কী উল্টিয়ে পড়ে -
শস্য
কলিঙ্গদেশে কতদিন বৃষ্টি হয়েছিল -
সাত দিন
"ঈশানে উড়িলো মেঘ", ঈশান কোন বলতে বোঝায় -
উত্তর পূর্বকোণ
"নিমিষেকে জোড়ে মেঘ গগন -মন্ডল", নিমিষেকে শব্দটির অর্থ -
মুহূর্তের মধ্যে
চারিমেঘে বরিষে মুষলধারে জল , এখানে চারি মেঘ কথাটির অর্থ -
মেঘের চারটি রূপ
চন্ডীর আদেশ কে পেয়েছিল -
বীর হনুমান
প্রলয় গণিয়া প্রজা ভাবয়ে বিষাদ কোন প্রজাদের কথা বলা হয়েছে -
কলিঙ্গবাসীর
প্রলয় গণিয়া প্রজা ভাবয়ে বিষাদ, প্রজাদের বিষাদের কারণ কি-
কলিঙ্গে ঝড় বৃষ্টি
কোন মাসে তাল পড়ে -
ভাদ্র
মঠ অট্টালিকা খান খান করে কে ভেঙে দিল-
বীর হনুমান
হুড় হুড় দুড় দুড় বহে ঘন ঝড়, হুড় হুড় দুড় দুড় শব্দের দ্বারা বোঝানো হয়েছে-
ঝড়ের শব্দ
ভবন ছাড়িয়া প্রজা দিল রড়, যে কারণে এ কথা বলা হয়েছে তা হল -
বিপাকে
বিপাকে ভবন ছাড়ি, প্রজা দিল রড় শব্দটির অর্থ -
পালানো
না পাই দেখিতে কেহ ______ কিরণ। -
রবির
ব্যঙ্গ তড়কা বাজ তড়কা শব্দের অর্থ কি -
লাফিয়ে পড়া।
চারিদিকে মেঘে জল দিয়েছিল -
অষ্ট গজরাজ
সঙরে সকল লোক যে জৈমিনি সঙরে শব্দের অর্থ -
স্মরণ করা।
কলিঙ্গের মানুষ জৈমিনি কে স্মরণ করেছে কারণ -
তিনি বজ্রকে নিবারণ করতে পারেন।
কি দলমল করছিল -
ঘরগুলো
চাল বিদারিয়া কি পরিছে -
শিল
"জলে মহী একাকার" হওয়ার ফলে কি হলো ? -
পথ হারালো
চণ্ডীর আদেশে কি ধায় ? -
নদনদীগন
অম্বিকামঙ্গল গান কে গেয়েছেন ? - শ্রী কবিকঙ্কণ
কলিঙ্গ দেশে ঝড়- বৃষ্টি S. A. Q - কলিঙ্গদেশে ঝড় বৃষ্টি কবিতার বড় প্রশ্ন উত্তর
কলিঙ্গদেশে ঝড় বৃষ্টি কাব্য অংশটি কার লেখা কোন কাব্যের অন্তর্গত ?
- কলিঙ্গদেশে ঝড় বৃষ্টি কাব্যাংশটি মধ্যযুগের কবি মুকুন্দ চক্রবর্তী রচিত চন্ডীমঙ্গল কাব্যের অন্তর্গত।
মুকুন্দ চক্রবর্তী রচিত চন্ডীমঙ্গল কাব্যটির কটি খন্ড কি কি?
- মুকুন্দ চক্রবর্তী রচিত চন্ডীমঙ্গল কাব্যটির দুটি খন্ড যথা আখেটিক খন্ড এবং বনিক খণ্ড।
কলিঙ্গদেশে ঝড় বৃষ্টি কাব্য অংশটি চন্ডীমঙ্গল কাব্যের কোন খন্ডের অন্তর্গত?
- কলিঙ্গদেশে ঝড় বৃষ্টি কাব্য অংশটিচন্ডীমঙ্গল কাব্যের আখেটিক খন্ডের অন্তর্গত।
কলিঙ্গ দেশে ঝড় বৃষ্টি কবিতায় কোথায় অন্ধকার হয়ে এলো?
- কলিঙ্গের আকাশ অন্ধকার হয়ে এলো।
"দেখিতে না পাই কেহ অঙ্গ আপনার" - কলিঙ্গবাসী নিজেদের অঙ্গ দেখতে পাচ্ছে না কেন?
- কলিঙ্গদেশে ঝড় বৃষ্টি কবিতায় দেখা যায় চারিদিকের আকাশ মেঘে আচ্ছন্ন হাওয়াই সমগ্র কলিঙ্গদেশ অন্ধকারে ঢেকে গেছে ফলে কলিঙ্গবাসী নিজেদের অঙ্গ দেখতে পাচ্ছেন না।
মুষলধারে কে বর্ষণ করছে?
- মুষলধারে চারি মেঘ জল বর্ষণ করছে।
"চারি মেঘে বরিষে মুষলধারে জল" - "চারি মেঘ" কি কি?
- কলিঙ্গদেশে ঝড় বৃষ্টি কবিতায় চারি মেঘ হল মেঘের চারটি রূপ। সেগুলি হল সম্বর্ত আবর্ত পুষ্কর এবং দ্রোণ। পুরান মতে ব্রহ্মার ঔরসে এদের জন্ম । এই মেঘ প্রবল বর্ষণ করে।
জৈমিনি কে?
- ঋষি পুরুষ দই মিনি হলেন মীমাংসা দর্শনের রচয়িতা এবং ব্যাসদেবের শিষ্য।
কলিঙ্গদেশে ঝড় বৃষ্টি কবিতায় জৈমিনি কে কারা স্মরণ করেছে?
- কলিঙ্গদেশে ঝড় বৃষ্টি কবিতায় জৈমিনি কে কলিঙ্গের সকল লোক স্মরণ করেছে।
কলিঙ্গদেশে ঝড় বৃষ্টি কবিতায় কলিঙ্গবাসী জৈমিনিকে কেন স্মরণ করেছে?
- কলিঙ্গদেশে ঝড় বৃষ্টি কবিতায় কলিঙ্গবাসী জৈমিনিকে স্মরণ করেছেন কারণ তিনি বজ্র কে নিবারণ করতে পারেন।
কলিঙ্গদেশে ঝড় বৃষ্টি কবিতায় জৈমিনিকে কখন তারা স্মরণ করে?
- কলিঙ্গদেশে যখন প্রবল ঝড়-বৃষ্টি শুরু হয় তখন বারবার বাজ পড়তে থাকে সেই সময় ভীত কলিঙ্গবাসী জৈমিনিকে স্মরণ করে।
কলিঙ্গদেশে ঝড় বৃষ্টি কবিতায় জলধারার বর্ষণ কে কিসের সঙ্গে তুলনা করা হয়েছে?
- কলিঙ্গদেশে ঝড় বৃষ্টি কবিতায় জলধারার প্রবল বর্ষণ কে করি -কর অর্থাৎ হাতির শুঁড় দিয়ে জল ঢালার সঙ্গে তুলনা করা হয়েছে।
"ধুলে আচ্ছাদিত হইল যে ছিল হরিত" - লাইনটি কোথা থেকে নেওয়া হয়েছে? লাইনটির অর্থ লেখ।
- লাইনটি কবি মুকুন্দ চক্রবর্তী লেখা কলিঙ্গদেশে ঝড়-বৃষ্টি কবিতাটি থেকে নেওয়া হয়েছে। উদ্ধৃত পঙক্তির অর্থ হল সবুজ শস্য খেত ধুলোয় ঢেকে গেল।
বেঙ্গ তড়কা বাজ কি?
- ব্যাঙের মতোড়া করে লাফিয়ে লাফিয়ে যে বাজ পড়ে তাকে বেঙ্গ তড়কা বাজ বলে।
"কারো কথা শুনিতে না পাই কোন জন"- কারো কথা শুনতে না পাওয়ার কারণ কি?
- প্রবল বৃষ্টিপাতের সঙ্গে বারবার মেঘের প্রবল গর্জনে কলিঙ্গবাসী কেউ কারো কথা শুনতে পাচ্ছিল না।
উচ্চ নাদে দিয়ে কলিঙ্গে কিসের ডাক শোনা গিয়েছে?
- ঘন মেখে ঢাকা কলিঙ্গের আকাশে জোরে জোরে মেঘে ডাক শোনা গিয়েছে।
শ্রী কবিকঙ্কন কার উপাধি ?
- শ্রী কবিকঙ্কন চন্ডীমঙ্গল কাব্যধারা শ্রেষ্ঠ কবি মুকুন্দ চক্রবর্তীর উপাধি।
"বিপাকে ভবন ছাড়ি প্রজা দিল রড়" - কলিঙ্গদেশে ঝড় বৃষ্টি কবিতায় কোন বিপাকে পড়ে প্রজারা পালিয়ে ছিল?
- কলিঙ্গদেশে ঝড় বৃষ্টি কবিতায় মুষলধারায় বৃষ্টিপাতের সঙ্গে ভয়ংকর ঝড়ে তান্ডব শুরু হওয়ায় আসন্ন বিপদের কথা ভেবে প্রথা নিজেদের ঘরবাড়ি ছেড়ে পালিয়ে ছিল।
"না পারে দেখিতে কেহ রবির কিরণ" - কলিঙ্গদেশে ঝড় বৃষ্টি কবিতাই রবির কিরণ দেখতে না পাওয়ার কারণ কি?
- কলিঙ্গদেশে ঝড় বৃষ্টি কবিতায় কলিঙ্গদেশে সাত দিন ধরে প্রবল ঝড় বৃষ্টি হয় ,কালো মেঘে সমস্ত আকাশ থেকে থাকে তাই কলিঙ্গ বাসী রবির কিরণ দেখতে পারেনি।
কলিঙ্গ দেশে ঝড়- বৃষ্টি কবিতার প্রশ্ন উত্তর | নবম শ্রেণীর বাংলা কবিতার প্রশ্ন উত্তর | kalinga dese jhor btisti | class 9 brngali kabita
"প্রল্ই গনিয়া প্রজা ভাবয় বিষাদ" -মন্তব্যটির অর্থ লেখ অথবা কলিঙ্গের প্রজাদের মন বিষাদগ্রস্থ কেন ?
- কলিঙ্গদেশে ঝড় বৃষ্টি কবিতা থেকে জানা যায় চারিদিকে মেঘে ঢাকা অবস্থায় মুষলধারে বৃষ্টিপাতের সঙ্গে ঘন ঘন মেঘের ডাকে প্রচারে ভয়াবহ বিপদের আশঙ্কায় বিষাদগ্রস্ত হয়ে পড়েছে।
কলিঙ্গদেশে ঝড় বৃষ্টি কবিতায় চন্ডির আদেশে হনুমান কি করেছিল?
- চণ্ডীর আদেশে হনুমান মত অট্টালিকা ভেঙে খানখান করেছিল।
হুড় হুড় দুড় দুড় বহে ঘন ঝড় - উক্তিটি তাৎপর্য কি?
- উদ্ধৃতা অংশটিতে কলিঙ্গদেশে মেঘের প্রবল গর্জন এবং মুষলধারে বৃষ্টিপাতের সঙ্গে যে প্রচন্ড ঝড় হচ্ছিল তার ভয়ানক রূপ প্রকাশ পাচ্ছে।
উলটিয়া পরে শস্য উল্টিয়ে কেন পরে ?
-প্রবল বর্ষণে এবং প্রবল বায়ুপ্রবাহের ফলে ক্ষেতের ফসল নিয়ে পড়ে অর্থাৎ উল্টিয়ে পড়ে।
"উঠে পড়ে ঘর গুলো করে দলমল "- ঘর গুলো দলমল করার কারণ কি ?
-সাত দিনের বর্ষণে কলিঙ্গ শহরে প্রবল বন্যা হয় পর্বত সমান ঢেউ হয়ে বন্যার জল আছে পরে ঘরগুলোতে তাই সেখানকার ঘর গুলো দলমল করেছিল।
"করি-কর সমান বরিষে জলধারা" - করি কর শব্দের অর্থ কি ?
-করি শব্দের অর্থ হাতি ও কর অর্থ হাত কিন্তু করি- কর এই শব্দবন্ধে উল্লিখিত অংশে হাতিশুড় বুঝিয়েছে।
কলিঙ্গ দেশে ঝড়- বৃষ্টি কবিতার ৩ মার্কের প্রশ্ন উত্তর
কলিঙ্গদেশে ঝড় বৃষ্টি কবিতা থেকে সংক্ষিপ্ত প্রশ্নাবলী হিসেবে অর্থাৎ ৩ মার্কের উত্তরের জন্য যে সকল প্রশ্নগুলি পাঠ্যাংশ থেকে পড়তে হবে সেগুলি নিচে যথাযথ উত্তর সহকারে দেয়া হলো সমস্ত শিক্ষার্থীরা যত্ন সহকারে এই সকল প্রশ্নগুলি অভ্যাস করবে।
কলিঙ্গদেশে ঝড় বৃষ্টি কবিতাই মেঘ কিভাবে গগন মন্ডল ছেয়ে ফেলেছে তার সম্পর্কে আলোচনা কর।
-কবি কঙ্কন মুকুন্দ চক্রবর্তী আলোচ্য কবিতায় কলিঙ্গদেশে ভয়াবহ প্রাকৃতিক বিপর্যয়ের সময় এই ঘটনা ঘটেছিল।
কলিঙ্গদেশে ঝড় বৃষ্টি শুরু হবার আগেই আকাশে মেঘ পুঞ্জী ভূত হতে থাকে । প্রথমে ঈশান কোণে অর্থাৎ উত্তর-পূর্ব কোণে মেঘ সঞ্চারিত হল। উত্তরের বাতাসে তীব্রতর হল। ক্রমে সমগ্র আকাশ মেঘে আবৃত হল। দিনের আলো কালো মেঘের আঁধারে ডুবে গেল । ক্রমে সেই মেঘ প্রবল হয়ে ওঠে এবং চারিমেঘে জল বর্ষণ করতে থাকে। ক্রমে ক্রমে মেঘের ভেতর থেকে বিদ্যুৎ চমকাতে থাকে । মেঘের আবরণ গাঢ় হলে দিনের বেলাতেই অন্ধকার নেমে আসে।
"দেখিতে না পারি কেহ অঙ্গ আপনার" - কখন এবং কেন এরকম হয়েছিল ?
- কবি কঙ্কন মুকুন্দ চক্রবর্তী আলোচ্য কবিতায় কলিঙ্গদেশে ভয়াবহ প্রাকৃতিক বিপর্যয়ের সময় এই ঘটনা ঘটেছিল।
হঠাৎ কলিঙ্গদেশে ভয়ংকর প্লাবনের আশঙ্কা দেখা দেয়। আকাশ ঘন কালো মেঘে ছেয়ে যায়। ফলে সমগ্র কলিঙ্গদেশ অন্ধকারে ঢেকে যায়। কালো মেঘের বুক চিরে ঘন ঘন বিদ্যুতের ঝলকানি দেখা যায় । অন্ধকার এতটাই ঘন হয়ে ওঠে যে তা ভেদ করে প্রজাদের নিজেদের চেহারা পর্যন্ত দেখার উপায় থাকে না।
"চারি মেঘের জল ব্যয় অষ্ট গজ রাজ" লাইন টির তাৎপর্য কি?
কবিকঙ্কন মুকুন্দ চক্রবর্তীর লেখা কলিঙ্গদেশে ঝড় বৃষ্টি কবিতায় দেবী চণ্ডীর নির্দেশে কলিঙ্গদেশে প্রাকৃতিক বিপর্যয় নেমে আসে । ঘন কালো মেঘে আকাশ ঢেকে যায় । প্রবল মেঘ গর্জনে প্রজারা চিন্তিত হয়ে পড়ে বৃষ্টি এতটাই তীব্র হয় যে মনে করেন আটটি দিকের পাহারাদার আটটি হাতি তাদের শুড়ের সাহায্যে চার মেঘে জল দিচ্ছে।
- অষ্ট গজরাজ অর্থাৎ আটটি হাতি। পৌরাণিক মতে অষ্টগজরাজ আকাশের আট দিকে দাঁড়িয়ে পৃথিবীতে ধরে রেখেছে। এরা হলো ঐরাবত ,পুন্ডরীক্, বামন, কুমুদ, অঞ্জন, পুষ্পদন্ত ,সার্বভৌম এবং সু প্রতীক। এই আটটি দিক রক্ষক হাতি সম্ব,র্ত আবর্ত ,পুষ্কর এবং ড্রোন নামক চার প্রকার প্রবল বর্ষণকারী মেঘের সাহায্যে কলিঙ্গদেশে বাড়ি বর্ষণ করছে। ফলে সে দেশ বন্যায় ভেসে গিয়ে জলমগ্ন হয়ে পড়ে এবং প্রজার ও আতঙ্কিত হয়ে কলিঙ্গদেশ ছেড়ে পালাতে শুরু করে
"ঈশানে উড়িল মেঘ সঘনে চিকুর" -ঈশান শব্দটির অর্থ লিখে লাইনটির তাৎপর্য ব্যাখ্যা কর।
কবিকঙ্কন রচিত কলিঙ্গদেশে ঝড় বৃষ্টি কবিতায় উল্লেখিত ঈশান শব্দের অর্থ উত্তর পূর্ব কোন।
কলিঙ্গদেশের প্রাকৃতিক বিপর্যয় শুরু হয় । তৈরি হয় বন্যার আশঙ্কা প্রবল ঝড় বৃষ্টি কলিঙ্গ দেশে সর্বনাশ দেখে আনে। ঈশান কোণে মেঘের ঘনঘটায় চারিদিকে অন্ধকারাচ্ছন্ন হয়ে পড়ে । প্রজার সেই অন্ধকারে নিজেদের কেউ দেখতে পায় না। মেঘের বুক চিরে অবিরাম বিদ্যুতের ঝিলিক পরিস্থিতিকে আরো ভয়াবহ করে তোলে। উক্ত লাইনটিতে সেই ভয়াবহ বিপর্যয়ের কথা বর্ণনা করা হয়েছে।
"পরিচ্ছন্ন নাহি সন্ধ্যার দিবস রজনী" - এখানে পরিচ্ছন্ন শব্দটির অর্থ কি? কবির বক্তব্য বুঝিয়ে বলো।
- এখানে পরিচ্ছন্ন শব্দটির অর্থ বিভেদ।
দেবী চণ্ডীর নির্দেশে গোটা কলিঙ্গদেশের আকাশ জুড়ে ঘন কালো মেঘ সঞ্চারিত হলো । এবং সেই মেঘ ধীরে ধীরে আরো গাঢ়ো ও ঘন হয়ে দেখা দিল। ফলে সূর্য মেঘের আড়ালে ঢাকা পড়ে গেল ঘন অন্ধকারে ঢেকে গেল । সূর্য মেঘাচ্ছন্ন হয়ে পড়ায় যথেষ্ট আলোর অভাবে দিন সন্ধ্যা রাত্রীর বিভেদ মুছে গিয়ে সব একাকার হয়ে গেল। তাই কবি বলেছেন পরিচ্ছন্ন নাহি সন্ধ্যা দিবস রজন।
"নিমিষেকে জোড়ে মেঘ গগন মন্ডল"- নিমিষেকে কথাটির অর্থ কি ? এর ফলে কি পরিস্থিতি সৃষ্টি হল ?
- নিমিষেকে কথাটির অর্থ মুহূর্তের মধ্যে।
কবি কঙ্কন মুকুন্দ চক্রবর্তী র "কলিঙ্গদেশের ঝড় বৃষ্টি" থেকে নেওয়া কাব্যাংশ থেকে নেওয়া লাইনটিতে কলিঙ্গদেশে ভয়াবহ ঝড় বৃষ্টির বর্ণনা করা হয়েছে।
অতি অল্প সময়ে কলিঙ্গ এর আকাশ ঘন কালো মেঘে ঢেকে যায় ।ঈশান কোণে ঘন অন্ধকারের মধ্যে বিদ্যুতের ঝলকে আকাশ কেঁপে ওঠে। মেঘের গর্জন শোনা যায়। মুহূর্তের মধ্যে কালো মেঘ থেকে চারিদিক অন্ধকারে ঢেকে দেয়।
"চারি মেঘে বরিষে মুষল ধারে জল" - মুষলধারে জল বর্ষণের কারণ কী ?
- কলিঙ্গদেশে ঝড় বৃষ্টি কাব্যাংশে কলিঙ্গদেশের আকাশ হঠাৎ ঘন কালো মেঘে ছেয়ে যায়। গাঢ় অন্ধকারে নিজেদের চেহারা পর্যন্ত দেখতে পান না কলিঙ্গবাসী। ঈশান কোণে ঘন মেঘের জমায়েতে চারিদিক অন্ধকারে ঢাকা পড়ে যায়। প্রবল মেঘের গর্জন ঘন ঘন বিদ্যুতের ঝিলিকে পৃথিবী কেঁপে ওঠে। দূর দিগন্তে মেঘের গম্ভীর আওয়াজ শোনা যায়। মুহূর্তের মধ্যে সারা আকাশ ঢেকে যায় কালো মেঘে । তারপরে শুরু হয় প্রবল বৃষ্টিপাত।
"গর্তে ছাড়ি ভুজঙ্গ ভাসিয়া বুলে জলে" - বুলে কথাটির অর্থ কি কেন ভুজঙ্গ গর্ত ছেড়ে বেরিয়ে এসেছে ?
বলে কথাটির চলে বেড়াই বেবির নির্দেশে কলিঙ্গদেশে প্রবল বর্ষণ শুরু হল। নদ-নদী গুলি ফুলে ফেপে উঠে বন্যাও দেখা দিল। ঘরবাড়ি ভেঙে পড়ল। কলিঙ্গদেশের পথঘাট জলমগ্ন হয়ে পড়ল । কবি বলেছেন
"নাহি জানি জলস্থল কলিঙ্গ মন্ডলে" এই অবস্থায় ভুজঙ্গ অর্থাৎ সাপেরা যেসব গর্তে বাস করে সেগুলিও জলমগ্ন হয়ে পড়ল তখন তারা বাধ্য হয়ে গর্ত ছেড়ে বাইরে বেরিয়ে এসে জলের মধ্যে চলাফেরা করে বেড়াতে শুরু করল।
"নিরবধি সাত দিন বৃষ্টি নিরন্তর" - সাত দিন বৃষ্টির ফলে কি হয়েছিল?
- দেবী চণ্ডীর আদেশে কলিঙ্গদেশে প্রবল বৃষ্টি শুরু হয়েছিল ক্রমাগত বৃষ্টির ফলে রাস্তাঘাট ডুবে গেল ।
কবি বলেছেন "জলে মহী একাকার পথ হইল হারা"। এমনকি জলমগ্ন হবার ফলে গর্ত থেকে সাপ বেরিয়ে এসে জলে ছোটাছুটি করতে শুরু করল। ঘরবাড়ি ভেঙে পড়ল। ক্ষেতের ফসল বৃষ্টির জলে নুয়ে পড়ে নষ্ট হয়ে গেল। টানা বৃষ্টিতে ও নষ্ট হয়ে গেল বহু ফসল । বৃষ্টির সঙ্গে শিলা বৃষ্টিও হল। চাল ফুটো হয়ে শিলা মেঝেতে এসে পড়তে শুরু করল । বৃষ্টির ফলে এভাবেই জনজীবন বিপর্যস্ত হয়ে পড়ল।
"বিপাকে ভবন ছাড়ি প্রজা দিল রড়" - রড় শব্দের অর্থ কি ? কোথাকার প্রজারা কি কারনে বিপাকে পড়েছিল ?
- কলিঙ্গদেশে ঝড় বৃষ্টি কাব্যাংশ থেকে নেওয়া উদ্ধৃতিতে উল্লেখিত রড় শব্দের অর্থ পালিয়ে যাওয়া।
দেবী চন্ডীর ইচ্ছা অনুযায়ী কলিঙ্গদেশে প্রবল ঝড় বৃষ্টি বিপর্যয় নিয়ে আসে আকাশ ঘন কালো মেঘে ঢেকে যায়। ভীষণ অন্ধকারে প্রজাদের নিজেদের চেহারা পর্যন্ত দেখার পথ থাকে না। প্রবল বৃষ্টির সঙ্গে মেঘের গম্ভীর গর্জন ও ঝড়ের তাণ্ডবে সেখানকার প্রজারা বিপদের আশঙ্কায় ঘরবাড়ি ছেড়ে পালিয়ে যায়।
"ভাদ্রপদ মাসে যেন পড়ে থাকা তাল" - কিসের কথা বলা হয়েছে? মন্তব্য এর প্রসঙ্গ আলোচনা কর ?
- কলিঙ্গদেশে যে প্রবল ঝড় বৃষ্টির ফলে যে শিল পড়েছিল এখানে তাল বলতে তা বোঝানো হয়েছে।
কলিঙ্গদেশে ঝড় বৃষ্টি কাব্যাংশ বর্ণনা করা হয়েছে যে আকাশ কালো করা বিশাল মেঘ রাশির সঙ্গে প্রবল বৃষ্টিতে কলিঙ্গে বন্যার সৃষ্টি হয় ।টানা সাত দিনের একটানা বৃষ্টির সঙ্গে অনবরত শিল পড়তে শুরু করে । ভাদ্র মাসে তাল পেকে যেমন গাছ থেকে পড়ে যায় ঠিক তেমনি ভাবে অত্যন্ত বড় আকারের শিল ঘরের চাল ভেদ করে মেঝেতে পড়ে কলিঙ্গ বাসীর ঘরবাড়ি সব নষ্ট করে দেয়।
কলিঙ্গ দেশে ঝড়- বৃষ্টি কবিতার 5 মার্কের প্রশ্ন উত্তর
সংক্ষিপ্ত প্রশ্নাবলির মতো ব্যাখ্যা ধর্মীয় প্রশ্ন কলিঙ্গদেশে ঝড় বৃষ্টি থেকে আমাদের করতে হবে এই কারণে এখানে সমস্ত গুরুত্বপূর্ণ ব্যাখ্যা আলোচনা করা হয়েছে।
কলিঙ্গদেশে ঝড়-বৃষ্টি কাব্যাংশ টির নামকরণের সার্থকতা বিচার কর ।
- যেকোনো সাহিত্যকর্মের নামকরণ রচনাটির মূল বিষয়বস্তুর তাৎপর্য এবং রচয়িতার মনের ভাবকে অনেকটাই ফুটিয়ে তোলে ।
কবি মুকুন্দ চক্রবর্তীর লেখা চন্ডীমঙ্গল কাব্যের আখেটিক খন্ডের অন্তর্গত কাব্যাংশটির নাম "কলিঙ্গদেশে ঝড়-বৃষ্টি আরম্ভ"। পাঠ্যে নামটির কিছুটা পরিবর্তন ঘটিয়ে নামকরণ করা হয়েছে "কলিঙ্গদেশে ঝড়-বৃষ্টি"।
গুজরাট নগরীতে প্রজা বসানোর প্রয়োজনে দেবী চণ্ডীর নির্দেশে কলিঙ্গদেশে ঝড়-বৃষ্টি শুরু হয়েছিল কারণ কলিঙ্গদেশে প্রাকৃতিক বিপর্যয় ঘটলে তবেই মানুষ প্রাণভয়ে পালিয়ে নবনির্মিত গুজরাট নগরীতে কথা ভেবেই কালকেতুর রাজ্য শাসনে সহায়তা করবার জন্য ঝড় বৃষ্টির আয়োজন।
কলিঙ্গ দেশে হঠাৎ ই ঈশান কোণে জমা মেঘ ছাড়া আকাশে ছড়িয়ে পড়লে পুরো কলিঙ্গদেশে অন্ধকার নেমে আসে। কালো মেঘের মুখ চিরে ঘন ঘন বিদ্যুতের ঝলকানিতে কেঁপে ওঠে। কলিঙ্গদেশ ভীষণ বিপদের আশঙ্কায় ঘরবাড়ি ছাড়ে কলিঙ্গবাসী। সবুজ প্রকৃতি ধুলোয় থেকে যায়। সাত দিন ধরে অবিরাম বৃষ্টির সঙ্গে মেঘের গম্ভীর গর্জন বজ্রপাত ঝড়ের তাণ্ডব চলতে থাকে। রাস্তাঘাট জলে ডুবে যায় । শস্য চাষের কাজ ক্ষতিগ্রস্ত হয়। শিলাবৃষ্টির তাণ্ডবে বাড়িঘর নষ্ট হয়ে যায়। দেবী চণ্ডীর আদেশে নদনদী কলিঙ্গ নগর এর দিকে পর্বতের সমান ঢেউ নিয়ে এগিয়ে আসে । প্রকৃতপক্ষে কলিঙ্গদেশের ঝড়-বৃষ্টির মধ্যে দিয়েই দেবী চণ্ডী গুজরাট নগরে কালকেতুর রাজ্য শাসনের সাহায্য করতে চেয়েছিলেন। যেহেতু এই কাব্যের পুরোটা জুড়ে প্রাকৃতিক বিপর্যয়ের কথা বলা হয়েছে তাই বিষয়গতভাবে কাব্যাংশটির নামকরণ যথার্থ ও সার্থক বলা যায়।
"ধুলে আচ্ছাদিত হইল যে ছিল হরিত"- যে পরিস্থিতিতে কবি একথা লিখেছেন তা বর্ণনা কর । কলিঙ্গবাসী এই পরিস্থিতি থেকে মুক্তি পাওয়ার জন্য কি করত?
- মুকুন্দ চক্রবর্তী কলিঙ্গদেশে ঝড় বৃষ্টি কবিতায় দেবী চণ্ডীর আদেশে কলিঙ্গদেশে হওয়া ভয়ংকর প্রাকৃতিক বিপর্যয়ের কথা বর্ণনা রয়েছে।
হঠাৎ কলিঙ্গদেশের আকাশ ঘন কালো মেঘ করে মুষলধারে বৃষ্টি ডেকে আনে । তার সাথে দেখা যায় ঘন ঘন বিদ্যুতের ঝলকানি । এই সময় প্রবল বাতাসে সবুজ শস্য ক্ষেত ধুলাই ঢেকে যায় । শস্য ঝড়ের দাপটে উপড়ে যায় । কলিঙ্গবাসী এই বিপর্যয়ে দিশেহারা হয়ে পড়ে। এত প্রবল বর্ষণ শুরু হয় যে মনে হয় "চারি মেঘে জল দেয় অষ্ট গজরাজ"।মেঘের ঘনঘন গর্জনে কেউ কারোর কথা শুনতে পায় না । এমনকি দিন এবং রাত্রির পার্থক্য কেও ঘন অন্ধকারে আলাদা করা যায় না। এইভাবে এক বিপদসংকুল পরিস্থিতি তৈরি হয় গোটা কলিঙ্গদেশ জুড়ে।
প্রচন্ড ঝড়-বৃষ্টির প্রভাবে সমগ্র কলিঙ্গ দেশে এক ভয়ংকর পরিস্থিতি নেমে আসে। জল স্থলের দিনরাত্রি র পার্থক্য মুছে গিয়ে সবকিছু একাকার হয়ে যায়। এই পরিস্থিতিতে মানুষ দিশেহারা হয়ে পড়ে। অনেকে নিজের ঘরবাড়ি ছেড়ে পালিয়ে যায় । ভীত কলিঙ্গবাসী ঋষি জৈমিনি কে স্মরণ করে কারণ তাদের মনে বিশ্বাস ছিল যে তাকে স্মরণ করলে কলিঙ্গে বজ্রপাত বন্ধ হবে এবং শান্তি ফিরে আসবে।
- ইলিয়াস গল্পের প্রশ্ন উত্তর
- বাংলা বিষয়ের অন্যান্য প্রশ্ন ও উত্তর পেতে ক্লিক করো।।
- কে বাঁচায় কে বাঁচে গল্পের বড় প্রশ্ন ও উত্তর।
- ভাত গল্পের বড় প্রশ্ন ও উত্তর।
- ভারত বর্ষ গল্পের বড় প্রশ্ন ও উত্তর।
"বিপাকে ভবন ছাড়ি প্রজা দিল রড়" - রড় শব্দের অর্থ কি ? কোথাকার প্রজার কথা বলা হয়েছে। বিপারেনা স্বরূপ বিশ্লেষণ কর ?
'রড়' শব্দের অর্থ ছুট বা দৌড়। কলিকা দেশের প্রজাদের কথা অর্থাৎ কলিকাবাসীর কথা এখানে বলা হয়েছে। কলিঙ্গ সুখ-শান্তিতে ভরা দেশ ছিল। খেতে ফসল ছিল, নগরে সুরম্য অট্টালিকা ছিল। সেখানকার মানুষ অত্যন্ত সুখী ছিল। এক সময় দেবী চণ্ডীর নির্দেশে ঈশান কোণে মেঘ সঞ্চারিত হল। উত্তরের বাতাসে ভর করে সে মেঘ ছুটে এল। অন্যকারে দিবস-রাত্রির ব্যবধান মুছে গেল, ঘন ঘন বিদ্যুৎ চমকাতে লাগল, মেঘ গর্জনে কান পাতা পায় এল।
সেইসঙ্গে শুরু হল প্রবল বর্ষণ এবং বজ্রপাত। বজ্রপাতের ভয়ে মানুষ জৈমিনিকে স্মরণ করতে থাকে। এ গরুরাজ চারি মেঘে জল বর্ষণ করতে শুরু করে। সাতদিন নিরবচ্ছিন্ন ভাবে বৃষ্টি হল। প্রবল বর্ষণে যেত জলনগ্ন হয়ে ফসল নষ্ট হয়ে গেল। সমস্ত পৃথিবী জলমগ্ন হয়ে পড়ল। ঘরবাড়ি ভেঙে পড়তে থাকে। নদীতে জলস্ফীতি দেখা দেয়। পর্বতসমান ঢেউ নগরীর উপর "আছড়ে পড়ে। সেইসঙ্গে শিলাবৃষ্টিও শুরু হল। আতঙ্কিত মানুষ প্রলয় আসন্ন ভেবে কলিঙ্গ দেশ ছেড়ে পালাতে শুরু করল । কোথায় সাতদিন বৃষ্টি হয়েছিল। এই বিপর্যয়ে পশুদের কোন আচরণ তুমি লক্ষ করেছে। তিনি মুকুন্দরাম চক্রবর্তী রচিত 'কলিঙ্গাদেশে ঝড়-বৃষ্টি' রচনাংশে উল্লিখিত কলিতা দেশে সাতদিন নিরস্তর বৃষ্টি হয়েছিল। [] সাতদিন নিরস্তর বৃষ্টিতে কলিঙ্গবাসীর জীবনযাত্রা যেমন বিপর্যস্ত হয়েছিল তেমনি সেখানকার ইতর প্রাণীর জীবনও সঙ্কটের মুখোমুখি হয়েছিল। সাতদিনের প্রবল বর্ষণে পথ-ঘাটসহ পৃথিবীর সমস্ত ভূভাগ জলমগ্ন হয়ে পড়ে। ফলে খাল-বিল যেমন ডুবে যায় তেমনি ডুবে যায় ছোটখাটো গর্ত, এঁদো পুকুরও। তাই জলমগ্ন গর্তগুলি থেকে সাপেরা বেরিয়ে এসেছিল। আশ্রয়হীন হয়ে তারা জলের মধ্যে ঘুরেফিরে বেড়াতে থাকে।
এই প্রাকৃতিক বিপর্যয় ঘটাবার নির্দেশ দিয়েছিলেন স্বয়ং চন্ডী। তাঁর নির্দেশেই অষ্ট গজরাজ চার রকম মেঘের সাহায্যে বর্ষণ শুরু করেছিল। কবি বলেছেন চারি মেঘে জল দেয় অষ্ট গজরাজ।' শুধু তাই নয়, হনুমান দেবীর আদেশে প্রবল বিক্রমে ঘরবাড়ি ভাঙতে থাকে। কবি বলেছেন-
TAG:
কলিঙ্গ দেশের ঝড় বৃষ্টি বর্ননা দাও
উত্তরমুছুনUmbeaka kar nam
উত্তরমুছুনUmbeka kar nam
উত্তরমুছুন