বায়ুমণ্ডল (Atmosphere) কাকে বলে | বায়ুমণ্ডলের গঠন | বায়ুমণ্ডলের উপাদান সমূহের গুরুত্ব আলোচনা
সৌরজগতের বিভিন্ন গ্রহের তুলনায় পৃথিবীর যে অন্যতম পার্থক্য তা হল — "পৃথিবীতে প্রাণের প্রাচুর্য বর্তমান"। আর এই পার্থক্য সৃষ্টির কাজে পৃথিবীকে যে বস্তুটি বা বিষয়টি প্রধান ভাবে সাহায্য করেছে তা হলো পৃথিবীর চতুর্দিকে বেষ্টনকারী "বায়ুমণ্ডল" ।
বায়ুমন্ডলে অবস্থানকারী বিভিন্ন গ্যাসীয় উপাদানের দ্বারাই আজ পৃথিবী বিভিন্ন প্রকার প্রাণী ও উদ্ভিদের বসবাসযোগ্য হয়ে উঠেছে।
বায়ুমণ্ডলের সংজ্ঞা
পৃথিবীর মহাকর্ষ বলের প্রভাবে আকর্ষিত অবস্থায়, ভূপৃষ্ঠের মেঘ, বৃষ্টিপাত, উষ্ণতা প্রভৃতি নিয়ন্ত্রণকারী যে গ্যাসীয় উপাদান, জলকণা, ধূলিকণা ইত্যাদি সম্বন্ধিত বায়বীয় পদার্থ, পৃথিবীর চারদিকে বেষ্টিত হয়ে, পৃথিবীর সহিত সূর্যের চারিদিকে আবর্তন করে চলেছে তাকে বলা হয় "বায়ুমণ্ডল"।
বায়ুমণ্ডলের গভীরতা
প্রথম মতামত :-
বহুযুগ ধরে বায়ুমণ্ডলের গভীরতা বিচার করতে করতে আবহবিদরা সর্বপ্রথম নানা পরীক্ষা-নিরীক্ষার মাধ্যমে 965 K.m. পর্যন্ত বায়ুমণ্ডলের স্তর লক্ষ্য করেন।
দ্বিতীয় মতামত :-
এর পরবর্তী যুগে অনেক বিজ্ঞানী মনে করেন যে, আকাশে যে পর্যন্ত গভীরতায় মেরুদ্যুতি দেখা যায়, অর্থাৎ 1286 K.m. পর্যন্ত বিস্তৃত এই বায়ুমণ্ডল।
তৃতীয় এবং পরিপূর্ণ মতামত :-
এর পরে মহাকাশে গবেষণায় সাফল্য আসার পরে পরিষ্কার ভাবে জানানো গেছে যে, বায়ুমণ্ডলের 2355 K.m. উচ্চতা পর্যন্ত হালকা বায়বীয় স্তর বর্তমান।
এর পরবর্তী 4183.4 কিমি উচ্চতা পর্যন্ত রয়েছে একটি তড়িতাবিষ্ট কনিকা স্তর।
অর্থাৎ, ধরা যায় বায়ুমণ্ডলের মোট গড় উচ্চতা প্রায় 10,000 কিমি।
বায়ুমণ্ডলের গঠন | Structure of Atmosphere
পৃথিবীর উপরে যে বায়ুমণ্ডল রয়েছে তা নির্দিষ্ট একটি গ্যাসীয় পদার্থ নয়। তার মধ্যে বিভিন্ন ধরনের গ্যাসীয় উপাদান যেমন —কার্বন ডাই অক্সাইড(CO2),অক্সিজেন(O2), নাইট্রোজেন(N2), হাইড্রোজেন(H2), হিলিয়াম(He) প্রভৃতি গ্যাস রয়েছে। এছাড়াও রয়েছে বায়ুমণ্ডলের উষ্ণতম প্রধান উপাদান জলীয়বাষ্প (Aerosols) এবং ধূলিকণা।
বায়ুমণ্ডলের উপাদান সমূহের গুরুত্ব
(১) পৃথিবীতে জীবকুল সৃষ্টি
পৃথিবীতে বায়ুমণ্ডলের কিছু উপাদানে যেমন — O2, CO2, N2 প্রভৃতি পৃথিবীতে প্রাণের সঞ্চার ঘটিয়েছে। বিশেষত O2 হল প্রতিটি জীবের জীবন ধারণের প্রধান রসদ।
(২) বায়ুমণ্ডলকে জীবন দান
বায়ুমন্ডলে অবস্থিত জলীয় বাষ্প, ধূলিকণা মেঘ সৃষ্টিতে সাহায্য করে এবং তার ফলে পৃথিবীতে বৃষ্টিপাত হয়। কিন্তু যদি এ সকল উপাদান বায়ুমন্ডলে না থাকত, তাহলে বায়ুমণ্ডল সারাবছর অপরিবর্তিত অবস্থায় থেকে যেত।
(৩) ক্ষতিকারক UVA,VVB রশ্মি শোষণ
বায়ুমণ্ডলে যে ওজন নামক গ্যাসটি রয়েছে, তা পৃথিবীর দিকে সূর্য থেকে আগত ক্ষতিকারক অতিবেগুনি রশ্মিকে শোষণ করে জীব কূলকে রক্ষা করে।
(৪) বেতার তরঙ্গ প্রতিফলিত
বায়ুমণ্ডলের যে আয়নোস্ফিয়ার নামক একটি স্তর রয়েছে তার মধ্যে তড়িতবিষ্ট কনা রয়েছে যার দ্বারা বেতার তরঙ্গ প্রতিফলিত হয় ও আমরা বেতারে অনুষ্ঠান শুনতে পাই।
(৫) উদ্ভিদের শ্রীবৃদ্ধি
বায়ুমন্ডলে অবস্থিত CO2- এর ব্যতীত উদ্ভিদের খাদ্য উৎপাদন করা সম্ভব নয়।
এছাড়াও, বায়ুমন্ডলের N2 এর দ্বারা উদ্ভিদের শ্রীবৃদ্ধি ঘটে থাকে।
বায়ুমণ্ডলের উপাদান সমূহের বৈশিষ্ট্য
নির্দিষ্ট পরিমাণে অবস্থান :-
পৃথিবীর বায়ুমণ্ডলের বিভিন্ন উপাদান নির্দিষ্ট পরিমাণে থাকে। অর্থাৎ, বায়ুতে যে গ্যাসীয় উপাদান যতটা থাকা প্রয়োজন ঠিক ততটাই বর্তমানে থাকে।
বায়ুতে বিভিন্ন উপাদানের পরিমাণ হল নিম্নরূপ :-
ভূপৃষ্ঠের বিভিন্ন স্থানে বিভিন্ন প্রকার উপাদানের পরিমানের বিভিন্নতা :-
ভূপৃষ্ঠের বিভিন্ন স্থানে বিভিন্ন রকম উপাদান বিভিন্ন পরিমাণে পাওয়া যায়। যথা —জলাশয় পূর্ণ স্থানে জলীয়বাষ্পের পরিমাণ বেশি থাকে, আবার মরুঅঞ্চল ও সমুদ্র উপকূল অঞ্চলে লবণের পরিমাণ বেশি থাকে, আবার শহরাঞ্চলে ও আগ্নেয়গিরি সম্বন্ধিত অঞ্চলে CO2 এর পরিমাণ বেশি থাকে।
উচ্চতা ভেদে বায়ুমণ্ডলের উপাদানের পরিমাণ পরিবর্তন
বায়ুমণ্ডলের গভীরতা গড় প্রায় 10,000 কিমি হলেও বায়ুমণ্ডলের 97% উপাদান 30 কিমি উচ্চতার মধ্যে ও 99.99 % উপাদান 80 কিমি উচ্চতার মধ্যেই অবস্থান করে।
বায়ুমণ্ডলের বিভিন্ন উপাদান সম্পর্কে বিস্তারিত বিবরণ :-
বায়ুমণ্ডলের উপাদান সমূহকে প্রধানত তিন ভাগে ভাগ করা যায়। যেমন —
(১) গ্যাসীয় উপাদান।
(২) জলীয় বাষ্প।
(৩) ধূলিকণা।
(১) গ্যাসীয় উপাদান :-
বায়ুমণ্ডলের গ্যাসীয় উপাদান বলতে সাধারণত CO2,O2,N2,CH4(মিথেন),Ar,Kr প্রভৃতিকে বোঝায়। তবে এই গ্যাস সমূহ কে আবার প্রধানত দুই ভাগে ভাগ করা যায়। যথা :-
(ক) সক্রিয় গ্যাস।
(খ) নিষ্ক্রিয় গ্যাস।
(ক) সক্রিয় গ্যাস :-
বায়ুমণ্ডলের যেসকল গ্যাস অন্যান্য গ্যাস সমূহের সহিত বিক্রিয়ায় অংশগ্রহণ করে, সেই সকল গ্যাসকে বলা হয় সক্রিয় গ্যাস।
*অক্সিজেন (O2)
বায়ুমন্ডলে যত ধরনের গ্যাস রয়েছে তাদের মধ্যে অন্যতম হল অক্সিজেন।
গুরুত্ব :-
(i) জৈবিক কার্যকলাপ :-
মানুষের শ্বাসকার্য চালানোর জন্য অক্সিজেন বিশেষভাবে প্রয়োজন। এটি সকল জীবের দেহে গৃহীত(), কে দহন করে, শ্বসনের মাধ্যমে তাপশক্তি উৎপাদন করতে সাহায্য করে।
(ii)অজৈবিক কার্যকলাপ :-
যে কোনো দহন কার্য চালানোর জন্য অক্সিজেনের বিশেষ প্রয়োজন। O2 বিহীন স্থানে কখনও দহন কার্য হয়না।
(iii) অক্সিডেশান :-
O2 শিলার গঠনকারী উপাদানের সহিত (খনিজ) রাসায়নিক ভাবে মিলিত হয়ে শিলার আবহবিকারে সাহায্য করে। সাধারণত সালফাইট, কার্বনেট ও লৌহ যুক্ত শিলায় এই অক্সিডেশন দেখা যায়।
(iv) মরিচা পড়া :-
লোহার সহিত O2 রাসায়নিক ভাবে বর্ষাকালে মিলিত হলে লোহাতে মরিচা পড়ে।
4Feo + 3H2O + O2 — 2Fe2O3, 3H2O
বায়ুতে অক্সিজেনের ভারসাম্য রক্ষা :- সবুজ উদ্ভিদ সালোকসংশ্লেষ প্রক্রিয়ার সময় Co2 গ্রহণ করে কিন্তু তার পরিবর্তে O2 বাতাসে পরিত্যাগ করে। এইভাবে বাতাসে O2 এর ভারসাম্য রক্ষিত হয়।
স্থান ভেদে O2-এর পরিমাণ হ্রাস বৃদ্ধি :-যেসকল স্থানে প্রচুর উদ্ভিদ রয়েছে, যেমন - গ্রামাঞ্চল, সেখানে O2 এর প্রতুলতা লক্ষ্য করা যায়।
আবার যে সকল স্থানে গাছপালা কম, মানুষের বসতি, গাড়ি, কল-কারখানার পরিমাণ বেশি, সেই সকল স্থানে O2 এর অপ্রতুলতা লক্ষ্য করা যায়।
এইজন্য বিজ্ঞানীরা অরণ্য সংরক্ষণের ব্যাপারে জোর দিয়েছেন।
কার্বন ডাই অক্সাইড :-
বাতাসে কার্বন ডাই অক্সাইডের পরিমাণ সবথেকে কম হলেও এর গুরুত্ব কখনই কম নয়।
উৎস :-
(১)জৈবিক প্রক্রিয়া :-
প্রাণী এবং উদ্ভিদের শ্বসনের ফলে তার দেহ হতে কার্বন ডাই অক্সাইড নির্গত হয়।
(২) অজৈবিক প্রক্রিয়া :-
(i) আগ্নেয়গিরি :- কার্বন ডাই-অক্সাইড জটিল পৃথিবী চক্রের সহিত সম্পর্কিত। তাই আগ্নেয়গিরির বিস্ফোরণের ফলে ভূগর্ভ থেকে Co2 নির্গত হয়।
(ii) সামুদ্রিক বাষ্পমোচন :- সমুদ্রের জলে Co2 বর্তমান থাকে। তাই সামুদ্রিক বাষ্পমোচনের ফলে বাতাসে Co2 এর পরিমাণ বৃদ্ধি পায়।
(iii) Soil Process :- মৃত্তিকা সৃষ্টির বিভিন্ন প্রক্রিয়ার ফলেও বাতাসে co2 যুক্ত হয়।
(iv) জ্বালানি বা দহন :- এসকল জাতীয় বিভিন্ন খনিজ পদার্থ যেমন কয়লা, খনিজ তেল, পেট্রোলিয়াম প্রভৃতি দহনের ফলে বাতাসে Co2 যুক্ত হয়।
গুরুত্ব :- বাতাসের থেকে কার্বণ-ডাই-অক্সাইড গ্রহণ করে সবুজ উদ্ভিদ তার দেহে সালোকসংশ্লেষ প্রক্রিয়ায় গ্লুকোজ জাতীয় সরল খাদ্যোপাদান তৈরি করে।
CO2 এর কুফল :-
CO2 সূর্যরশ্মিকে শোষণ করে পুনরায় ফিরিয়ে দেয় সুতরাং, এর ফলে পৃথিবীর উত্তাপ বৃদ্ধিপ্রাপ্ত হয়েছে। যা পৃথিবীর পক্ষে বিশেষ ভালো নয়।
বাতাসে CO2 এর পরিমাণ বৃদ্ধি :-
ঋতুভেদে এবং অক্ষাংশ বেঁধে পরিবর্তন :- বাতাসে co2 এর পরিমাণ উচু অংশে ঋতুকালীন বন্টনের বৈষম্য দেখা যায়। যেমন — 50° উত্তর অক্ষাংশে গৃষ্মকালের শেষ দিকে CO2 এর পরিমাণ 338 PPM (Parps Per Million)।
এরূপ ঘটনার কারণ :- গৃষ্মকালে মেরু অঞ্চলের শীতল সমুদ্র CO2 এর শোষণের কারণে বাতাসে CO2 এর পরিমাণ কম হয়।
Greenhouse Effect :- Co2 বায়ুমণ্ডলে যে হারে বৃদ্ধি পাচ্ছে তাতে মনে হয় যে 2050 খ্রিস্টাব্দে এই গ্যাসের পরিমাণ অন্যান্য Green House Effect এর তুলনায় 18 গুণ বৃদ্ধি পাবে এবং পৃথিবীর উষ্ণতা প্রায় 22°C বৃদ্ধি পাবে।
মিথেন :-
উৎস :-মিথেন প্রাথমিকভাবে প্রকৃতির ভিজে ভূমি ও শস্যক্ষেত্রে অক্সিজেনের Anerobic Proces এর ফলে তৈরি হয়।
জৈবিক পরিপাক পদ্ধতি :- পশুদের পরিপাক পদ্ধতির দ্বারা এবং প্রাকৃতিক বর্জ্য পদার্থের দহনে কিংবা অন্যান্য কার্যকলাপের দ্বারা মিথেন তৈরি হয়।
ধ্বংস :- মিথেন ধ্বংস হয় () একটি Hydroxile আয়নের প্রক্রিয়ায় যেটি তৈরি হয় উদ্ভিদ জগতের বিভিন্ন কাজের দ্বারা।
CH4 + OH — CH3 + H2O
ওজন (O3) :-
অবস্থান :- Ozoneগ্যাস স্ট্রাটোস্ফিয়ার নামক বায়ুমণ্ডলীয় স্তরে সৃষ্টি হয়। Ozone গ্যাস বায়ুমন্ডলের সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ একটি স্তর।
উৎস :-ওজন সূর্যের অতিবেগুনি রশ্মির প্রভাবে O2এর অনু গুলি ভেঙে গিয়ে ওজোন গ্যাসের সৃষ্টি হয়।
O2 + O — O3
ধ্বংস :- তবে বর্তমানে N2O, CL, CFCS প্রভৃতি গ্যাসের প্রভাবে ওজোন গ্যাসের ধ্বংস ক্রিয়া চলছে।
কার্যকারিতা :-বায়ুমন্ডলে এই গ্যাসের উপস্থিতি অনিয়মিত এবং পরিমাণ মাত্র 0.00005। এই গ্যাস সূর্য থেকে আগত অতিবেগুনি রশ্মিকে শোষণ করে স্কুলকে রক্ষা করছে। তবে বর্তমানে নানা কারণে ওজোন স্তর ধীরে ধীরে বিনষ্ট হচ্ছে।
Cklorofluro Carbons :- এই গাছটি সম্পূর্ণরূপে () সম্পর্কিত, ইহা তৈরি হয় acrosol propellants refrigerator এ ব্যবহৃত () গ্যাস। ঘর পরিষ্কার এর যন্ত্র, air conditioner এর দ্বারা। এটা হাজার 1930 সাল পর্যন্ত আমাদের কাছে অপরিচিত ছিল।
(খ) নিষ্ক্রিয় গ্যাস :-
Nitrous Oxide (N2O) :-
উৎস :-নাইট্রাস অক্সাইড একটি নিষ্ক্রিয় গ্যাস।এটি মহাসাগর ও মাটিতে বিভিন্ন জৈবিক ক্রিয়া-কলাপ এর দাঁড়া তৈরি হয়।
এছাড়াও ইহা কলকারখানার জ্বালানি, বিভিন্ন যানবাহন, উড়োজাহাজ ও বিভিন্ন বর্জ্য পদার্থ দহনের ফলে তৈরি হয়।
ধ্বংস :-N2O ধ্বংস হয় অতিবেগুনি রশিদ দ্বারা আলোক রাসায়নিক বিক্রিয়ার ফলে পৃথিবীর স্ট্রাটোস্ফিয়ার অতলে এবং এর ফলে তৈরি হয় নাইট্রোজেন ডাই অক্সাইড(N2O) এবং ইহার 132 বছর পর্যন্ত কার্যক্ষমতা থাকে।
(৩) জলীয় বাষ্প :-
বায়ুমণ্ডলে জলীয় বাষ্পের অবস্থান পরিমাণ :- জলীয় বাষ্প হল বায়ুমন্ডলের একটি গুরুত্বপূর্ণ উপাদান। বায়ুমণ্ডলের বিভিন্ন গ্যাসের পরই জলীয়বাষ্পের স্থান।
বায়ুমণ্ডলে জলীয় বাষ্পের পরিমাণ খুব কম।জলীয় বাষ্প বেশি থাকে নিম্ন বায়ুমণ্ডলীয় অঞ্চলে। জলীয়বাষ্প বায়ুমণ্ডলের মাত্র 4% অধিকার করে এবং ওজনের ভিত্তিতে এর পরিমাণ হল 3%। পৃথিবীর বায়ুমণ্ডলের পরিমাণ উচ্চতা ও তাপমাত্রার উপর জলীয়বাষ্পের পরিমাণ নির্ভর করে থাকে।
উচ্চতা বৃদ্ধিতে জলীয় বাষ্পের তারতম্য :- বায়ুমণ্ডলের নিম্নস্তরেই জলীয়বাষ্পর পরিমাণ সবচেয়ে বেশি পরিমাণে থাকে। বায়ুমণ্ডল থেকে প্রায় 6 K.m – 10 K.m উচ্চতা পর্যন্ত জলীয় বাষ্পের প্রাধান্য লক্ষ্য করা যায়। এখানে বায়ুর প্রায় 90% জলীয়বাষ্প থাকে।
- পলাশীর যুদ্ধের কারণ আলোচনা করো
- অবশিল্পায়ন কি ? অবশিল্পায়নের ফলাফল সম্পর্কে আলোচনা করো
- চিরস্থায়ী বন্দোবস্ত সম্পর্কে আলোচনা করো। এর ফলাফল কি ছিল ?
- ভারতের নবজাগরণের রাজা রামমোহন রায়ের অবদান আলোচনা করো।
- ভারতে রেলপথ স্থাপনের উদ্দেশ্য কি ছিল ? ভারতীয় অর্থনীতিতে রেলপথের প্রভাব আলোচনা করো।
- সমাজ সংস্কারক হিসেবে ঈশ্বরচন্দ্র বিদ্যাসাগরের অবদান আলোচনা করো।
- স্যার সৈয়দ আহমেদ ও তার আলীগড় আন্দোলনের বিবরণ দাও
- বাংলার নবজাগরণের প্রকৃতি ও সীমাবদ্ধতা লেখ
- অসহযোগ আন্দোলনের পটভূমি আলোচনা করো
- আইন অমান্য আন্দোলনের বৈশিষ্ট্য ও তাৎপর্য আলোচনা করো
উচ্চতা অক্ষাংশ ও ঋতুভেদে জলীয়বাষ্পের পরিমাণে তারতম্য :- বায়ুমন্ডলে যখন কোন স্থানে উচ্চতার পরিমাণ বেশি হয় তখন সেই স্থানে জলীয়বাষ্পের পরিমাণ বেশি হয়। নিন্মে দেখানো হল কিভাবে তাপমাত্রার ভিত্তিতে বাতাসে জলীয়বাষ্পের পরিমাণের তারতম্য ঘটে।
তবে সব সময় তাপমাত্রার উপর নির্ভর করে যে কোনো স্থানের জলীয়বাষ্পের পরিমাণ নির্ধারিত হয় তা নয়, কোন স্থানের বাহ্যিক পরিবেশের ওপর এবং অক্ষাংশের ভিত্তিতে সূর্য রশ্মির পতনের কোনের ওপর ও নির্ভর করে থাকে।
যেমন - বনভূমি অঞ্চলের বাতাসে জলীয়বাষ্পের পরিমাণ বেশি আবার মরুভূমি অঞ্চলের জলীয়বাষ্পের পরিমাণ খুব কম।
জলীয় বাষ্পের সৃষ্টি :-
জলাশয় মাধ্যমে :- বায়ুমণ্ডলে জলীয় বাষ্প প্রবেশ করে সাধারণত সাগর,মহাসাগর, হ্রদ, পুকুর ইত্যাদির মাধ্যমে বাষ্পীভবনের ফলে।
বাষ্পমোচন দ্বারা :- এছাড়া উদ্ভিদের বাষ্পমোচন এর ফলে ও বায়ুতে জলীয় বাষ্পের পরিমাণ বৃদ্ধি প্রাপ্ত হয়।
জলীয় বাষ্পের কার্যকারিতা :- জলীয় বাষ্পের প্রভাবে কোন স্থানে বৃষ্টিপাত, তুষারপাত, কুয়াশা হয়ে থাকে।
এছাড়াও জলীয়বাষ্পের দাঁড়া কোন স্থানের বায়ুর উষ্ণতা শোষিত হয় এবং তাপমাত্রা নিয়ন্ত্রণের মধ্যে থাকে।
ধূলিকণা :-
ধূলিকণার উৎস :- বায়ুর ধূলিকণা সাধারণত দুই ভাগের সৃষ্টি হয়ে থাকে। যেমন- প্রাকৃতিক উপায় এবং মনুষ্য কর্তিক উপায়।
প্রাকৃতিক উপায়ে, যেমন- সামুদ্রিক লবণ, অগ্নুৎপাত প্রভৃতির দ্বারা এই ধূলিকণা সৃষ্টি হয়।
কৃত্রিম উপায়ে, মানুষের দ্বারা ও নানা ভাবে এই ধূলিকণা সৃষ্টি হয়ে থাকে। যেমন- শিল্পাঞ্চল হতে, যানবাহন, দহন প্রভৃতির দ্বারাও ধূলিকণার আগমন ঘটে থাকে।
বায়ুমন্ডলে ধূলিকণা :- বায়ুমণ্ডলের নিম্নস্তরে অসংখ্য অণুবীক্ষণিক ধূলিকণা ভাসমান অবস্থায় থাকে। এই ভাসমান ধূলিকণার পরিমাণ স্থান বিশেষে পরিবর্তন ঘটে।
ধূলিকণার উপযোগিতা :-
(ক) বায়ুমন্ডলে ভাসমান বিভিন্ন ধূলিকণাকে আশ্রয় করে জলীয় বাষ্প ঘনীভূত হয়ে মেঘ বৃষ্টিতে পরিণত হয়। ধূলিকণা বৃষ্টির ফোটার নিউক্লিয়াস হিসাবে কাজ করে।
(খ) ধূলিকণা সৌরতাপ কে শোষণ করে বায়ুমন্ডলের উত্তপ্ত করে এবং সৌরতাপ বন্টনের সহায়তা করে।
- পলাশীর যুদ্ধের কারণ আলোচনা করো
- অবশিল্পায়ন কি ? অবশিল্পায়নের ফলাফল সম্পর্কে আলোচনা করো
- চিরস্থায়ী বন্দোবস্ত সম্পর্কে আলোচনা করো। এর ফলাফল কি ছিল ?
- ভারতের নবজাগরণের রাজা রামমোহন রায়ের অবদান আলোচনা করো।
- ভারতে রেলপথ স্থাপনের উদ্দেশ্য কি ছিল ? ভারতীয় অর্থনীতিতে রেলপথের প্রভাব আলোচনা করো।
- সমাজ সংস্কারক হিসেবে ঈশ্বরচন্দ্র বিদ্যাসাগরের অবদান আলোচনা করো।
- স্যার সৈয়দ আহমেদ ও তার আলীগড় আন্দোলনের বিবরণ দাও
- বাংলার নবজাগরণের প্রকৃতি ও সীমাবদ্ধতা লেখ
- অসহযোগ আন্দোলনের পটভূমি আলোচনা করো
- আইন অমান্য আন্দোলনের বৈশিষ্ট্য ও তাৎপর্য আলোচনা করো
কোন মন্তব্য নেই:
একটি মন্তব্য পোস্ট করুন