ইন্দোনেশিয়ার স্বাধীনতা আন্দোলন সম্বন্ধে আলোচনা করো।

     দ্বাদশ শ্রেণীর ইতিহাস বিষয় থেকে যেসকল প্রশ্নগুলি উচ্চ মাধ্যমিক পরীক্ষার জন্য গুরুত্বপূর্ণ এখানে সেই সকল প্রশ্ন নিয়ে নোট আকারে আলোচনা করা হয়েছে। দ্বাদশ শ্রেণীর অন্যান্য বিষয়ের সকল নোট এখানে আলোচনা করা হয়। 

   ইতিহাস বিষয় থেকে পরপর বিভিন্ন গুরুত্বপূর্ণ প্রশ্ন আলোচনা করা হলো যেখানে এই পোস্টটি তে ইন্দোনেশিয়ার স্বাধীনতা আন্দোলন সম্বন্ধে আলোচনা করো, প্রশ্নের বিষয়টিকে এখানে গুরুত্ব সহকারে আলোচনা করা হলো।

ইন্দোনেশিয়ার স্বাধীনতা আন্দোলন সম্বন্ধে আলোচনা করো
ইন্দোনেশিয়ার স্বাধীনতা আন্দোলন


ইন্দোনেশিয়ার স্বাধীনতা আন্দোলন সম্বন্ধে আলোচনা করো।


     ইন্দোনেশিয়া হল দক্ষিণ এশিয়ার একটি দ্বীপ রাষ্ট্র। প্রায় 5000 দ্বীপের সমন্বয়ে গড়ে ওঠা ইন্দোনেশিয়া পৃথিবীর বৃহত্তম মুসলিম সংখ্যাগরিষ্ঠ রাষ্ট্র। উনবিংশ শতকের শুরুতে ইন্দোনেশিয়া বা পূর্ব ভারতীয় দ্বীপপুঞ্জে ইউরোপের হল্যান্ডের ডাচ বা ওলন্দাজদের চূড়ান্ত উপনিবেশিক শাসন প্রতিষ্ঠিত হয়। এরপর থেকে তারাই ইন্দোনেশিয়ার সাধারণ মানুষের ওপর তীব্র শোষণ পিরন চালায় যার ফলে সেখানকার সাধারণ মানুষের মনে ডাচ শাসনের বিরুদ্ধে তীব্র ক্ষোভ জন্মায়।

ইন্দোনেশিয়া স্বাধীনতা লাভ

 ডাচদের তীব্র শোষণ ও নির্যাতনের বিরুদ্ধে বিংশ শতকের শুরুতে বিশেষ করে 1908 সাল থেকে ইন্দোনেশিয়ার মুক্তি সংগ্রাম শুরু হয়। এই বছর ইন্দোনেশিয়ার জাতীয় জাগরণের বছর নামে পরিচিত। তাই 1908 সালের পর থেকে ডাচদের বিরুদ্ধে ইন্দোনেশিয়ার আন্দোলনকে শক্তিশালী হয়।

স্বাধীনতা আন্দোলনের সূচনা 

দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধের সময় জার্মানি হলান্ড দখল করে নিলে ইন্দোনেশিয়ায হল্যান্ডের হাতছাড়া হয় এবং জাপান ইন্দোনেশিয়া দখল করে নেয়। বিশ্বযুদ্ধে জাপান পরাজয়ের পর হল্যান্ড আবার ইন্দোনেশিয়া দখলদারি কায়েম করে। এই পরিস্থিতিতে ইন্দোনেশিয়ার মানুষ ডাচের বিরুদ্ধে বিদ্রোহ করে।

আন্দোলনের অগ্রগতি 

 ইন্দোনেশিয়ার বিদ্রোহীরা 1945 সালে স্বাধীনতা ঘোষণা করে সেখানকার জাতীয়তাবাদী নেতা ডক্টর সুকর্ণ 1945 সালে প্রজাতন্ত্র সরকার গঠন করেন। জাপান এই সরকারকে স্বীকৃতি দেয় তাই তাঁর প্রদর্শিত ন্যাশনাল পার্টির উদ্যোগে ডাচ উপনিবেশিক শক্তি ইন্দোনেশিয়ার মুক্তিসংগ্রাম তীব্রতর হয়ে ওঠে।

জাতীয়তাবাদের অগ্রগতি 

জাপানের উদ্যোগে ইন্দোনেশিয়ার জাতীয়তাবাদী চেতনা অন্তত শক্তিশালী হয়ে ওঠে। এর ফলে ইন্দোনেশিয়াই সারেকাত,ইসলাম,কমিউনিস্ট দল প্রভৃতি জাতীয়তাবাদী প্রতিষ্ঠান গড়ে ওঠে। তাই ডক্টর সুকর্ণ কর্তৃক প্রতিষ্ঠিত জাতীয়তাবাদী দল ইন্দোনেশিয়ায় জনপ্রিয় হয়ে ওঠে। এই সংগঠনের উদ্যোগে ইন্দোনেশিয়ায় ডাচদের বিরুদ্ধে মুক্তির সংগ্রাম তীব্রতর হয়।

স্বাধীনতা লাভ 

ইন্দোনেশিয়ার মানুষের প্রবল আন্দোলনের চাপে হল্যান্ড বাধ্য হয়ে 1949 সালের 27 শে ডিসেম্বর ইন্দোনেশিয়ায় স্বাধীনতার স্বীকার করে নেয়। এই স্বাধীন ইন্দোনেশিয়ার প্রথম প্রেসিডেন্ট নির্বাচিত হয় ডক্টর সুকর্ণ। কিন্তু স্বাধীনতার পরে বহু জাতীয ও ধর্ম অধ্যুষিত ইন্দোনেশিয়ায় জাতীয় সংকটের সম্মুখীন হয় যার ফলে রাষ্ট্রপতি সুকর্ণ 1959 সালে সেখানকার সংবিধান নাকচ করে নিয়ন্ত্রিত গণতন্ত্র প্রবর্তন বাধ্য হয়।

দ্বাদশ শ্রেণীর ইতিহাস বিষয়ের অন্য সকল প্রশ্ন ও উত্তর :