ঐতিহাসিক উপন্যাস কাকে বলে | ঐতিহাসিক উপন্যাসের বৈশিষ্ট্য আলোচনা করো।

   বাংলা কথা সাহিত্যের অন্যতম ধারা উপন্যাস এই উপন্যাসে সূক্ষ্ম বিচারে বাঁধতে গেলে তার অনেকগুলি উপশাখা বেরিয়ে আসে এগুলির মধ্যে অন্যতম একটি উল্লেখযোগ্য শাখা হলো ঐতিহাসিক উপন্যাস। উপন্যাসের বিষয় গত আঙ্গিকের উপর নির্ভর করে এই ধরনের নামকরণ হয়েছে। এখানে আমরা ঐতিহাসিক উপন্যাস কি এবং ঐতিহাসিক উপন্যাসের বিভিন্ন বৈশিষ্ট্য গুলি দেখে নেব।


উপন্যাস কি ?

   উপন্যাসের যে শাখার মূল সমস্যা সৃষ্টি হয় ঐতিহাসিক বিষয়কে কেন্দ্র করে, বা ইতিহাসের আঁধারে ব্যক্তির জীবন বা বিশেষ যুগের ঐতিহাসিক ঘাত-প্রতিঘাত কে রুপায়ন করে তোলা হয় সেই বিশেষ শাখা কে বলা যেতে পারে ঐতিহাসিক উপন্যাস। 


  ঐতিহাসিক উপন্যাস এর এই ধারণা থেকে এবং অন্য সকল উপন্যাসের পৃথক ধারা থেকে এই ধারাকে স্বতন্ত্র রূপে প্রতিষ্ঠা করতে গেলে অবশ্যই এর কয়েকটি বিশেষ বৈশিষ্ট্য থাকা বাঞ্ছনীয়। আমরা এখানে ঐতিহাসিক উপন্যাসের বিশেষ কয়েকটি বৈশিষ্ট্য দেখে নেব।


ঐতিহাসিক উপন্যাসের বৈশিষ্ট্য 


1. নামকরণ থেকেই বোঝা যাচ্ছে যে এই ধরনের উপন্যাসের মূল বিষয় হবে ইতিহাস কেন্দ্রিক অর্থাৎ ঐতিহাসিক পটভূমিকায় রচিত হয় এই উপন্যাস।


2. ঐতিহাসিক উপন্যাসের অবশ্যই একটি ইতিহাসের দ্বন্দ্বকে লেখক বর্ণনা করে থাকেন অর্থাৎ ইতিহাসের দ্বন্দ্ব হবে উপন্যাসের মূল দ্বন্দ্ব।


3.  ঐতিহাসিক উপন্যাসের চরিত্রগুলি অবশ্যই ইতিহাস নির্ভর বা ইতিহাসের চরিত্র হতে হয়। তবে কাল্পনিক চরিত্র থাকতে পারে।

ঐতিহাসিক উপন্যাস কাকে বলে
Historical-Novel


4. কখনো কখনো ঐতিহাসিক উপন্যাসের বিষয় রোমান্সের প্রাধান্য থাকে কিন্তু সেই আতিশয্য কখনোই ইতিহাসের সত্যকে লঘু করে তুলতে পারে না।


5. ঐতিহাসিক উপন্যাস কে আবার দুই ভাগে ভাগ করা যায় - প্রকৃত ঐতিহাসিক উপন্যাস এবং ইতিহাস আশ্রিত উপন্যাস


6. ঐতিহাসিক উপন্যাস বলে শুধুমাত্র ইতিহাসের সময়কে সাক্ষ্য দেবে এমন নয় এই ধরনের উপন্যাস এর লেখক এর জীবন দর্শন ও সময়কাল উপস্থাপিত হতে পারে।

7. ঐতিহাসিক উপন্যাসের অন্যতম বৈশিষ্ট্য ঐতিহাসিক সত্য প্রতিষ্ঠিত করা, ঐতিহাসিক সত্য প্রতিষ্ঠিত করার সাথে সাথে তা লেখনীর মাধ্যমে মানবিক হয়ে ওঠে।


এছাড়া বাংলা সাহিত্যের রূপ রীতি অনন্য প্রশ্নগুলি -