রোমান্স (Romance) কাকে বলে | রোমান্সের বৈশিষ্ট্য গুলি আলোচনা করো।
সাহিত্যের অন্যতম একটি ধারা ছিল রোমান্টিসিজম। এই রোমান্টিসিজম থেকে রোমান্টিক / রোমান্স বিষয়টি শুরু হয়েছিল বলে অনুমান করা হয়। লেখক এর ভাব কল্পনা ও ব্যক্তিগত উচ্ছ্বাস এই ধরনের সাহিত্যর মূল বিষয় ছিল। যাই হোক এখানে আমরা রোমান্স কাকে বলে আর রোমাঞ্চের বিভিন্ন বৈশিষ্ট্য গুলি আলোচনা করব। তাহলে প্রথমে দেখে নি যে রোমান্স (Romance) কি।
রোমান্স কাকে বলে ?
রোমান্স বলতে পূর্ব ও মধ্যযুগের এক ধরনের বীরত্বব্যঞ্জক অবাস্তব অতিরঞ্জিত কাল্পনিক কাহিনী কে বোঝানো হতো। কিন্তু বর্তমানে রোমান্সের এই ধারনাটি অনেকটা পরিবর্তিত হয়েছে এবং তার পরিবর্তিত রূপ এসে দাঁড়িয়েছে - বাস্তব আদর্শে অনুপ্রাণিত হয়ে যখন লেখক কল্পনার মাধ্যমে ওই বাস্তব কাহিনী কে আতিশয্য পূর্ণ করে তোলেন তখন সেই কাহিনীকে বলা হবে রোমান্স।
মোটামুটি ভাবে উপরে রোমান্স কাকে বলে বা রোমান্স কি সে সম্পর্কে সাধারণ ধারণা দেয়া হয়েছে। এবার আমরা এই রোমান্স রূপরীতি টির কিছু বৈশিষ্ট্য দেখে নেব।
রোমান্সের বৈশিষ্ট্য
1. রোমান্স যেহেতু কল্পনা নির্ভর বিষয় দ্বারা রচিত হয় তাই এখানে প্রবাবল ইম্পসিবিলিটি বা সম্ভাব্য অঘটন স্থান পায়।
2. মধ্যযুগের রোমান্স অলৌকিক বীরত্বব্যঞ্জক অবাস্তব কাহিনীর বিষয় নিয়েই প্রকাশিত হতো। কিন্তু বর্তমানে বাস্তব কাহিনী সঙ্গে কল্পনার আতিশয্য প্রকাশিত হতে শুরু করেছে।
বাংলা সাহিত্যের অন্যান্য গুরুত্ব পূর্ন প্রশ্ন ও উত্তর পেতে এখানে ক্লিক করুন
3. রোমান্স বিষয়টি সবসময়ই কাব্যধর্মী এই কারণে রোমান্স লেখক এর কল্পনা বর্ণনাধর্মী গুন ইত্যাদি প্রাধান্য পায়।
4. রোমান্সের কাহিনীতে স্বপ্নদর্শন অলৌকিক বিষয় বিভিন্ন বীরত্বব্যঞ্জক ঐতিহাসিক ঘটনা স্থান পায়।
5. আধুনিক যুগের রোমান্সে অতিপ্রকৃত ঘটনার মধ্যে বাস্তব সম্ভাব্যতার একটি রূপ থাকে।
6. গঠনের বিচারে রোমান্স সাধারণত দুই প্রকার হয়ে থাকে - ঐতিহাসিক রোমান্স এবং কাব্যিক রোমান্স।
7. রোমান্সের অন্যতম গঠনের উপাদান প্রকৃতি। রোমান্স সাহিত্যে প্রকৃতির রহস্যময়ী গুড় ব্যঞ্জনা প্রকাশিত হয়।
বাংলা সাহিত্যের অন্যান্য গুরুত্ব পূর্ন প্রশ্ন ও উত্তর পেতে এখানে ক্লিক করুন
8. রোমান্স সাহিত্যে জীবনের বর্ণাঢ্য শোভাযাত্রা বেশি স্থান পায়, এবং জীবনের সহজতার চাইতে অসাধারণ গৌরবময় মুহূর্তগুলি রোমান্স কে প্রাঞ্জল করে তোলে।
বাস্তব জীবনের সঙ্গে কল্পনার মিশ্রণে রোমান্স এমন একটি আখ্যানধর্মী রচনা যেখানে মানুষের জীবন এবং জীবন সম্পর্কিত বিষয়গুলি উঁচু সুরে গ্রথিত হয়ে প্রকাশিত হয়। বাংলা সাহিত্যের রোমান্স এর সূত্রপাত মোটামুটি বঙ্কিমচন্দ্রের হাতে। বঙ্কিমচন্দ্রের কপালকুণ্ডলা তে সর্বপ্রথম রোমান্সের সার্থক সুর রচিত হয়েছে।
👉👉 বাংলা সাহিত্যের রোমান্স বিষয় নিয়ে এখানে মোটামুটি আলোচনা করা হয়েছে এছাড়াও সাহিত্যের রূপ রীতি বিভিন্ন বিষয়গুলি আমরা পরপর আলোচনা করে চলেছি সেগুলি দেখার জন্য এখানে ক্লিক করো।
- উপন্যাস কাকে বলে এর বৈশিষ্ট্য লেখ
- রোমান্স কাকে বলে এর বৈশিষ্ট্য লেখ
- ঐতিহাসিক উপন্যাস কাকে বলে এর বৈশিষ্ট্য আলোচনা করো।
- সামাজিক উপন্যাস কাকে বলে এর বৈশিষ্ট্য লেখ।
- রাজনৈতিক উপন্যাস কাকে বলে এর বৈশিষ্ট্য লেখ।
- আঞ্চলিক উপন্যাস কাকে বলে এর বৈশিষ্ট্য লেখ।
- মনস্তাত্ত্বিক উপন্যাসের সংজ্ঞা ও বৈশিষ্ট্য লেখ।
- ছোটগল্প কাকে বলে ? এর বৈশিষ্ট্য আলোচনা করো।
- ছোটগল্প ও উপন্যাস কি | ছোটগল্প ও উপন্যাস এর মধ্যে পার্থক্য লেখ
amar vlobasher name ki korce deken
উত্তরমুছুন