কোঠারি কমিশনের মতে বৃত্তিমূলক ও কারিগরি শিক্ষার প্রকারভেদ, পাঠক্রম ও শিক্ষা কেন্দ্র সম্পর্কে আলোচনা করো।

    কোঠারি কমিশন প্রবর্তিত বৃত্তিমূলক ও কারিগরি শিক্ষার বিভিন্ন ধরনের প্রতিষ্ঠানগুলির মধ্যে উল্লেখযোগ্য হল কর্মভিত্তিক কারিগরি শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান এরমধ্যে জুনিয়ার টেকনিক্যাল বিদ্যালয় ও ইন্ডাস্ট্রিয়াল ট্রেনিং ইনস্টিটিউট অন্তর্ভুক্ত। ডিপ্লোমা কোর্সের জন্য প্রতিষ্ঠানটি হলো পলিটেকনিক কলেজ। এছাড়া স্নাতক ও স্নাতকোত্তর কোর্স এর জন্য প্রতিষ্ঠানগুলো ইঞ্জিনিয়ারিং কলেজ ও বিশ্ববিদ্যালয় মেডিকেল কলেজ কৃষি বিশ্ববিদ্যালয় চিত্রকলা প্রশিক্ষণের কলেজ ইত্যাদি এবং গবেষণার জন্য বিশ্ববিদ্যালয় হলো উপযুক্ত শিক্ষা প্রতিষ্ঠান।

কোঠারি কমিশনের মতে বৃত্তিমূলক ও কারিগরি শিক্ষার প্রকারভেদ, পাঠক্রম ও শিক্ষা কেন্দ্র সম্পর্কে আলোচনা করো।

কোঠারি কমিশনের মতে বৃত্তিমূলক ও কারিগরি শিক্ষার পাঠক্রম 

     বৃত্তিমূলক ও কারিগরি শিক্ষার পাঠক্রম রচনার ক্ষেত্রে কয়েকটি দিকে লক্ষ্য রেখে কোঠারি কমিশন এই পাঠক্রম রচনা করেছেন। এগুলি হল তাত্ত্বিক অংশ ব্যবহৃত অংশ প্রয়োগমূলক অংশ। নিজেদের সম্পর্কে বিস্তারিত আলোচনা করা হলো - 

তাত্ত্বিক অংশ :   এই অংশে পাঠক্রমের তাত্ত্বিক তথ্য পরিবেশন করা হয় এতে বিষয়ভিত্তিক জ্ঞানের বিকাশ হয়।

ব্যবহারিক অংশ :   তাত্ত্বিক অংশে সংগ্রহীত বিভিন্ন তথ্য অনুশীলন করার ক্ষেত্রে শিক্ষার্থীরা সমস্যায় পড়ে তাদের বৌদ্ধিক জ্ঞান অর্জনে সমস্যা সৃষ্টি হয় এই কারণে ব্যবহারিক অংশে হাতের কাজের মাধ্যমে বা ব্যবহারের মাধ্যমে সেই সমস্যা গুলি থেকে সমাধান বের করার চেষ্টা করা হয়।

প্রয়োগমূলক অংশ :   তাত্ত্বিক অংশে সংগ্রহীত তথ্যসমূহ ব্যবহারিক অংশে সহজ তর হবার পর বাস্তবে সেই জ্ঞানকে প্রয়োগ করার জন্য শিক্ষার্থীদের কে উদ্বুদ্ধ করা হয়। এই অংশের অন্যতম উদ্দেশ্য হলো শিক্ষার্থীদের মধ্যে অন্তর্দৃষ্টির বিকাশ ও উদ্ভাবনী শক্তির জাগরণ ঘটানো।



উচ্চমাধ্যমিক স্তর পর্যন্ত বৃত্তিমূলক শিক্ষার প্রতিষ্ঠান 


     উচ্চ মাধ্যমিক স্তর পর্যন্ত যে সকল প্রতিষ্ঠান বৃত্তিমূলক ও কারিগরি শিক্ষা প্রদান করা হয় তার মধ্যে অন্যতম হলো পলিটেকনিক। এখানে ভর্তির জন্য প্রার্থীর শিক্ষাগত যোগ্যতা হতে হবে ন্যূনতম মাধ্যমিক পাস। এন্ট্রান্স বা প্রতিযোগিতামূলক পরীক্ষার মাধ্যমে এই ধরনের প্রতিষ্ঠানে ভর্তি হওয়া যায়, এই শিক্ষার সময়কাল তিন বছর এবং এর অন্তর্গত বিভিন্ন বিষয় গুলি হল - ইলেকট্রিক্যাল মেকানিক্যাল মাইনিং সিভিল টেলিকমিউনিকেশন মুদ্রণ কম্পিউটার ইত্যাদি।

    এই সমস্ত বিষয়ের ক্ষেত্রে বিভিন্ন ধরনের পাঠক্রম অনুসরণ করা হয়, তবে কিছু সাধারণ বিষয়ে শিক্ষার্থীকে পড়তে হয়। শিক্ষা শেষে সফল শিক্ষার্থীদের সার্টিফিকেট দেওয়া হয়, সরকারি ও বেসরকারি প্রতিষ্ঠানে নিয়োগের ক্ষেত্রে সার্টিফিকেট কে বিশেষভাবে মর্যাদা দেয়া হয় ।