কোঠারি কমিশনের মতে বৃত্তিমূলক ও কারিগরি শিক্ষার ধারণা, সম্পর্ক ও মাধ্যমিক পর্যায়ের শিক্ষা কেন্দ্র সম্পর্কে আলোচনা করো।

    সর্বপ্রথম ১৮৫৪ সালে উঠে ডেসপ্যাচ এর মাধ্যমে বৃত্তিমূলক শিক্ষার গুরুত্ব দেয়া হয়। পরে স্যাডলার কমিশন মুদালিয়ার কমিশন কোঠারি কমিশন প্রভৃতি বৃত্তিমূলক শিক্ষার উপর যথেষ্ট গুরুত্ব আরোপ করেছিল। 945 সালে বৃত্তিমূলক শিক্ষার উপর জোর দিয়ে অল ইন্ডিয়া কাউন্সিল অফ টেকনিক্যাল এডুকেশন গঠিত হয়। 

কোঠারি কমিশনের মতে বৃত্তিমূলক ও কারিগরি শিক্ষার ধারণা, সম্পর্ক ও মাধ্যমিক পর্যায়ের শিক্ষা কেন্দ্র সম্পর্কে আলোচনা করো।


      মাধ্যমিক শিক্ষার পরবর্তী পর্যায়ে শিক্ষার্থীদের বৃত্তিমূলক করে তোলার ক্ষেত্রে উচ্চ মাধ্যমিক স্তরে কয়েকটি কর্মমুখী পাঠক্রম করে তোলা হয়েছে। যে গুলির মাধ্যমে শিক্ষার্থীরা কর্মজীবনের সহজেই প্রবেশ করতে পারে। এই পাঠক্রম গুলি হল বৃত্তিমূলক ও কারিগরি। সাধারণভাবে বলতে পারি প্রশিক্ষণের মাধ্যমে বৈজ্ঞানিক তত্ত্ব শিল্প-বাণিজ্য প্রভৃতি প্রয়োগ করে যন্ত্রপাতির ব্যবহার সম্পর্কে অবহিত হয়ে সুদক্ষ কর্মী প্রযুক্তিবিদের পরিণত হয় সেই শিক্ষাই হলো কারিগরি শিক্ষা। 


বৃত্তিমূলক ও কারিগরি শিক্ষার সম্পর্ক 

    সাধারণভাবে এই দুই শ্রেনীর আলাদা আলাদা হলেও এদের মধ্যে কিছু সম্পর্ক আছে যেমন - 

১. দুটি শাখাই জীবিকা অর্জনে সহায়ক।

২. বৃত্তিমুখী ও কারিগরি শিক্ষা উভয়ের শিক্ষার্থীদের ক্ষমতা সম্বন্ধে সচেতন এবং জ্ঞানের পরিধি বৃদ্ধি ঘটাতে সাহায্য করে।

৩. বৃত্তিমূলক ও কারিগরি শিক্ষা কর্মসংস্থানের সুযোগ সৃষ্টি করে।

৪. বৃত্তিমুখী শিক্ষা ও কারিগরি শিক্ষা উভয়ের দেশের উৎপাদনশীলতা বৃদ্ধি করে।

৫. এই দুটি শাখায় ভবিষ্যৎ জীবনের শিক্ষার্থীদের অর্থনৈতিক দিকে স্বাবলম্বী হওয়ার পথকে সুগম করে তোলে।

৬. বৃত্তিমুখী ও কারিগরি শিক্ষার মাধ্যমে ব্যক্তি স্বার্থ তথা সমাজের স্বার্থ রক্ষিত হয়।

৭. এই দুটি শাখার ক্ষেত্রে সোমের প্রতি শিক্ষার্থীদের মর্যাদাবোধ জাগ্রত হয় ও তাদের চরিত্র গঠিত হয়।

৮. শিক্ষা দুটি ব্যক্তিজীবনে ও সমাজ জীবনে স্বাবলম্বী করে তোলে বলে শিক্ষার্থীদের কি বাচক মনোভাব গড়ে ওঠে।




মাধ্যমিক স্তর পর্যন্ত বৃত্তিমূলক ও কারিগরি শিক্ষার প্রতিষ্ঠান সমূহ 


ইন্ডাস্ট্রিয়াল ট্রেনিং ইনস্টিটিউট / ITI
          ইন্ডাস্ট্রিয়াল ট্রেনিং ইনস্টিটিউট বা আইটিআই হল একটি কর্মকেন্দ্রিক কারিগরি শিক্ষার প্রতিষ্ঠান। এই শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে ভর্তি হতে গেলে শিক্ষার্থীকে কমপক্ষে অষ্টম শ্রেণী উত্তীর্ণ হতে হয়। তবে এখানে অষ্টম শ্রেণী ছাড়াও দশম ও দ্বাদশ শ্রেণী উত্তীর্ণ হওয়ার পরেও ভর্তি হওয়া যায়। এখানে ইলেকট্রিক ওয়েল্ডার কার্পেন্টার ইত্যাদি বিষয়ে প্রশিক্ষণ দেয়া হয়। শিক্ষা শেষে সার্টিফিকেট দেওয়া হয় যা তাদের কর্মজীবনে গুরুত্বপূর্ণ।


জুনিয়ার টেকনিক্যাল বিদ্যালয়
          জুনিয়ার টেকনিক্যাল বিদ্যালয় গুলি প্রধানত সরকার দ্বারা পরিচালিত হয়। অষ্টম শ্রেণী উত্তীর্ণ হলে শিক্ষার্থীরা এই বিদ্যালয়ে ভর্তি হওয়ার সুযোগ পায়। এই বিদ্যালয় ওয়েল্ডিং, টার্নার, ফিটার, ব্ল্যাক স্মিথ, ইত্যাদি বিষয়ে প্রশিক্ষণ দেওয়া হয়, এবং প্রশিক্ষণ শেষে সার্টিফিকেটের ব্যবস্থা থাকে।



অন্যান্য আরো সকল শিক্ষা বিজ্ঞানের প্রশ্ন :