সর্বজনীন প্রাথমিক শিক্ষা বা প্রাথমিক শিক্ষার সার্বজনীনতা সম্পর্কে আলোচনা করো। Universalisation of primary education.

    সার্বজনীন প্রাথমিক শিক্ষা বা universalisation of primary education, ভারতীয় শিক্ষার বিষয়ে একটি গুরুত্বপূর্ণ পর্ব। যেকোনো দেশের পক্ষে শিক্ষা হলো জাতির মেরুদন্ড এবং শিক্ষার অধিকার সার্বজনীন সকলের। 
সর্বজনীন প্রাথমিক শিক্ষা বা প্রাথমিক শিক্ষার সার্বজনীনতা সম্পর্কে আলোচনা করো।

    পরাধীন ভারতবর্ষে শিক্ষার তেমন কোনো অগ্রগতি না ঘটলেও স্বাধীনতার পরবর্তী সময়ে বিভিন্ন সরকার এই বিষয়ে যথেষ্ট উদ্যোগ নিয়েছিল। যেকোনো বৃহৎ শিক্ষার প্রথমে প্রাথমিক শিক্ষার যথেষ্ট গুরুত্ব আছে। এ দিকে লক্ষ্য রেখে আমাদের দেশে প্রাথমিক শিক্ষাকে সর্বজনীন করে তোলার চেষ্টা করা হয়েছে।


সর্বজনীন প্রাথমিক শিক্ষার ধারণা:


     সর্বজনীন প্রাথমিক শিক্ষা কোন দেশ বা রাষ্ট্রকে অগ্রগতি আনতে সাহায্য করে, এই কারণে ভারতবর্ষে প্রাথমিক শিক্ষাকে সর্বজনীন করে তোলার পরিকল্পনা গ্রহণ করা হয়। বর্তমানে পৃথিবীর কিছু উন্নত দেশ উন্নয়নশীল দেশ এবং অনুন্নত দেশ প্রায় সকলেই প্রাথমিক শিক্ষাকে সার্বজনীন করে তোলার প্রচেষ্টা বিশ্বাসী হয়ে উঠেছে।

    সাধারণত প্রথম থেকে পঞ্চম শ্রেণী পর্যন্ত সময়কালের শিক্ষাকে আমরা প্রাথমিক শিক্ষা বলে জানি এটি প্রথাগত শিক্ষার দ্বিতীয় স্তর।

   ২০০০ সালে বর্তমানে সেনেগালের রাজধানী ডাকার শহরে ওয়ার্ল্ড এডুকেশন ফোরাম সর্বজনীন শিক্ষার জন্য একটি আন্তর্জাতিক কর্মসূচি রচনা করে। এখানে বিশেষত শিক্ষাকে সর্বজনীন করে তোলার প্রতি বিশেষ গুরুত্ব দেয়া হয়।

   যদিও আমাদের দেশ ভারত বর্ষ এই সার্বজনীন শিক্ষার বিষয়ে অনেক আগেই সংবিধান রচনার সময় তা 45 নম্বর ধারা তে উল্লেখ করে কি করেছিল। আর এটি সম্ভব হয়েছিল শুধুমাত্র আমাদের ভারতবর্ষের নেতৃবর্গের সুদুরপ্রসারি চিন্তা-ভাবনার ফলে।

    সংবিধানের 45 নম্বর ধারায় সার্বজনীন শিক্ষার প্রাথমিক অবস্থানটি বর্ণনা করা হয়েছিল যে -" 6 থেকে 14 বছরের সমস্ত শিশুকে সার্বজনীন ও বাধ্যতামূলকভাবে প্রাথমিক শিক্ষার আওতায় আনতে হবে"।

    যদিও এই মহান ধারাটি আমাদের দেশে সুপরিকল্পিতভাবে বাস্তবায়ন হয়নি তবুও পরবর্তী সময়ে ভারত সরকার গুলি এই বিষয়ে যথেষ্ট উদ্যোগ নিয়েছে।



সর্বজনীন প্রাথমিক শিক্ষার কয়েকটি উদ্দেশ্য 


    যে কোন দেশকে সুন্দরভাবে গড়ে তুলতে গেলে সেই দেশের প্রধান হাতিয়ার হতে হবে শিক্ষা এই উদ্দেশ্যে আমাদের দেশ ভারতবর্ষে সার্বজনীনতা যুক্ত প্রাথমিক শিক্ষাকে কয়েকটি উদ্দেশ্যের মাধ্যমে পরিপূর্ণতা দেওয়ার চেষ্টা করা হয় যেমন


১)  সর্বজনীন প্রাথমিক শিক্ষার মাধ্যমে 2015 সালের মধ্যে পৃথিবীর সকল শিশুদের বিশেষত সংখ্যালঘু সম্প্রদায় ভুক্ত মেয়েদের জন্য অবৈতনিক ও বাধ্যতামূলক প্রাথমিক শিক্ষাকে নিশ্চিত করতে হবে।

২)  সর্বজনীন প্রাথমিক শিক্ষার মধ্য দিয়ে পৃথিবীর সকল শিশুর বিশেষত যারা অবহেলিত তাদের জন্য প্রাথমিক এবং প্রাথমিক শিক্ষার সম্প্রসারণ ও উন্নয়ন সাধন করতে হবে।

৩)  সর্বজনীন প্রাথমিক শিক্ষার মাধ্যমে 2015 সালের মধ্যে বয়স্কদের বিশেষ করে মহিলাদের 50% উন্নয়ন সাধন করতে হবে।

৪)  সর্বজনীন প্রাথমিক শিক্ষার মাধ্যমে সমাজের যে সমস্ত পিছিয়ে পড়া শ্রেণীর মানুষ গুলি আছে তাদেরকে শিক্ষার আওতায় আনতে হবে।

৫)   সর্বজনীন প্রাথমিক শিক্ষার মাধ্যমে সমাজের কুসংস্কার গুলিকে দূর করার চেষ্টা করতে হবে।



  • এই প্রশ্নটি বিষয়ে আমি নিজস্ব মতামত বলতে চাই প্রশ্নটিই খুব বেশি গুরুত্বপূর্ণ নয় কিন্তু আমাদের দ্বাদশ শ্রেণির এডুকেশন বা শিক্ষা বিজ্ঞান এর সিলেবাসে উল্লেখ করে দেওয়া আছে সেই জন্য আমি এটা আলোচনা করলাম তবুও যদি প্রশ্নটি সম্পর্কে জানতে হয় তাহলে অবশ্যই পড়তে হবে আর এখান থেকে প্রশ্ন হলে সব থেকে বেশি চার নম্বরের প্রশ্ন সম্ভাবনা অর্থাৎ এটি এত বড় না করে পড়লেও যথেষ্ট।

  • দ্বিতীয়তঃ সার্বজনীন প্রাথমিক শিক্ষা বিষয়টি অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ আমাদের ভারতীয় শিক্ষার ক্ষেত্রে সুতরাং এ সম্পর্কে জানা আমাদের উচিত বা কর্তব্য বলে আমি মনে করি সেই জন্য আমি বিস্তারিতভাবে আলোচনা করে দিয়েছি এক থেকে দু কারুপল্লী আশা করি বিষয়টি আরও বেশি পরিষ্কার হবে সমস্ত শিক্ষাবিজ্ঞানের ছাত্র-ছাত্রীদের কাছে।