Literacy drive program. সাক্ষরতা অভিযান কর্মসূচি সম্পর্কে আলোচনা করো।

    Literacy drive program বা সাক্ষরতা অভিযান কর্মসূচি এর মাধ্যমে ভারতবর্ষে সার্বজনীন শিক্ষার দিকে জোর দেয়া হয়েছিল। একমাত্র শিক্ষাই পারে কোন জাতির মেরুদন্ড হয়ে তাকে আলোর দিকে নিয়ে যেতে।এই কারণে ভারতবর্ষে সাক্ষরতা অভিযান কে কয়েকটি কর্মসূচির মাধ্যমে এগিয়ে নিয়ে যাওয়ার চেষ্টা করা হয়।
Literacy drive program. সাক্ষরতা অভিযান কর্মসূচি

    সাক্ষরতা কি এই বিষয়ে আমরা বলতে পারি যদি কোন ব্যক্তি কোন বিষয় পড়ে সেটি যদি লেখার মাধ্যমে প্রকাশ করতে সক্ষম হয় তাহলে তাকে বলা হয় সাক্ষর ব্যক্তি বা anallphabetism।


সাক্ষরতা অভিযান কর্মসূচি


    সর্বজনীন সাক্ষরতা সার্বজনীন শিক্ষাকে ভারতবর্ষে চালু করার জন্য বিভিন্ন সময়ে সরকার কর্তৃক নানান রকম কর্মসূচি অবলম্বন করা হয়েছিল। যদিও তার কতগুলি সম্পূর্ণভাবে সফল হয় আর কতগুলি সফল হতে পারেনি তবুও এই সাক্ষরতা অভিযান কর্মসূচি গুলি যথেষ্ট গুরুত্ব আছে।


গ্রামীণ বয়স্ক শিক্ষা কেন্দ্র :  ভারতবর্ষে সমাজ উন্নয়ন প্রকল্পে গ্রামীণ অঞ্চলে সাক্ষরতা বৃদ্ধির ঘটনার জন্য গ্রামীণ বয়স্ক শিক্ষা কেন্দ্র গড়ে তোলা হয়। এর মূল উদ্দেশ্য ছিল গ্রামীণ এলাকার বয়স্কদের শিক্ষিত করে তোলা।

সাক্ষরতা কেন্দ্র :  সাক্ষরতা অভিযান কর্মসূচির মধ্যে উল্লেখযোগ্য একটি কর্মসূচি হলো সাক্ষরতা কেন্দ্র গঠন। এই সমস্ত সাক্ষরতা কেন্দ্র গুলিতে নিরক্ষর ব্যক্তিদের স্বাক্ষর করে তোলার কাজ করা হয়। আমাদের দেশে প্রায় 50,000 সাক্ষরতা কেন্দ্র গড়ে উঠেছে।

মহিলা মন্ডল :  গ্রামীন তথা দেশীয় মহিলাদের স্বাক্ষর করে তোলার জন্য মহিলা মন্ডল গঠন করা হয়। স্বাধীনতার পরবর্তী সময়ে মহিলারা শিক্ষা ক্ষেত্রে অনেক পিছিয়ে পড়েছিল এই কারণে গুণগত মান বৃদ্ধির জন্য সরকার কর্তৃক আমাদের দেশে কয়েক হাজার মহিলা মডেল গঠন করা হয়েছে।

জাতীয় সাক্ষরতা মিশন :   ১৯৮৮ সালে সারা ভারতবর্ষে মে মাসের 5 তারিখ কেন্দ্রীয় মানবসম্পদ উন্নয়ন মন্ত্রকের কর্তৃক দিল্লিতে জাতীয় সাক্ষরতা মিশন প্রতিষ্ঠিত হয়। এর অন্যতম লক্ষ্য ছিল 1990 সালের মধ্যে দেশের 3 কোটি এবং 1995 সালের মধ্যে 5 কোটি মানুষকে স্বাক্ষর করে তোলা।

সর্বশিক্ষা অভিযান :  সার্বজনীন শিক্ষার অন্যতম এবং আধুনিক একটি কর্মসূচি হলো সর্বশিক্ষা অভিযান। ভারতীয় সংবিধানের লক্ষ্যে পূরণের জন্যে এই সর্বশিক্ষা অভিযান প্রকল্প টি চালু করা হয়। এখানে 6 থেকে 14 বছরের সমস্ত ছেলেমেয়েকে বিদ্যালয় ভর্তি করার কথা ঘোষণা করা হয়

    যদিও প্রকল্প টি 2010 সালের মধ্যে শেষ করার কথা বলা হয় কিন্তু তা সম্ভব হয়নি। অন্যতম উদ্দেশ্য ছিল পরিকাঠামো ও পরিষেবা উন্নতির মাধ্যমে চক্র সম্পদ গঠন করা।

নৈশ বিদ্যালয় :   সাধারণত দেশের যে সমস্ত অঞ্চলে মানুষ সারাদিন কাজ কর্মের জন্যশিক্ষার সঙ্গে যুক্ত হতে পারে না সেইসব অঞ্চলে নৈশ বিদ্যালয় প্রতিষ্ঠা করা হয়। এর ফলে মানুষজন দিনের বেলা কর্মসূত্রে ব্যস্ত থাকলেও তা রাত্রিবেলায় শিক্ষাগ্রহণ করতে পারতো।


  • ভারত বর্ষ থেকে নিরক্ষরতা দূর করার জন্য সরকার কর্তৃক বিভিন্ন সময়ে বিভিন্ন রকম সাক্ষরতা অভিযান কর্মসূচি গ্রহণ করা হয় এদের মধ্যে যেগুলো উল্লেখযোগ্য সেগুলো সম্পর্কে আমি এখানে আলোচনা করলাম। প্রশ্নটিই আসলে চার মার্কের মত আসতে পারে সেই হেতু এখানে চারটি পয়েন্টে লিখলেই যথেষ্ট।


    
  

অন্যান্য আরো সকল শিক্ষা বিজ্ঞানের প্রশ্ন :