মূক ও বধির শিশুদের শ্রেণীবিভাগ কর। মুখ ও বধির শিশুদের শিক্ষাদান পদ্ধতি আলোচনা করো।

    যে সমস্ত শিশু শিক্ষার্থী জন্মগত দিক থেকে বা প্রকৃতিগত দিক থেকে বোবা এবং বধির তাদেরকে আমরা বধির ও শিক্ষার্থী বলে থাকি।
মূক ও বধির শিশুদের শ্রেণীবিভাগ কর। মুখ ও বধির শিশুদের শিক্ষাদান পদ্ধতি আলোচনা করো।

    এই সমস্ত শিক্ষার্থী স্বাভাবিক শিশুদের থেকে আলাদা এই কারণে এদের শিক্ষাদান পদ্ধতি আলাদা। সমাজএ এই সমস্ত শিক্ষার্থীরা যাতে পিছিয়ে না পড়ে তার জন্য এদের শিক্ষাদানের বিভিন্ন পদ্ধতি অবলম্বন করা হয়েছে।

মূক ও বধির শিশুদের শ্রেণীবিভাগ


    শ্রবণ মূলক দুর্বলতার দিক থেকে শিশুদের বিভিন্ন ভাবে শ্রেণীবিভাগ করা হয় যেমন - ১) মাত্রা অনুসারে, ২) বয়স অনুসারে, ৩) ভাষাগত দিক থেকে, ৪) কর্ণের সমস্যা কত দিক থেকে, ও  ৫) কেন্দ্রীয় সমস্যা থেকে বধিরতা।

     মাত্র গত দিক থেকে বধিরতা কে আবার কয়েকটি ভাগে ভাগ করা যায় যেমন - স্বল্প মাত্রার বধিরতা, মাঝারি মাত্রার বধিরতা, মারাত্মক মাত্রার বধিরতা, প্রগতি মাত্রার বধিরতা, প্রায় সম্পূর্ণ বধিরতা দিকে, ও সম্পূর্ণ বধিরতা।

   বয়স অনুসারে বধিরতার আবার কয়েকটি শ্রেণীতে ভাগ করা যায় যেমন জন্মগত বধিরতা ও জন্মের পরবর্তী আকর্ষিক ঘটনার ফলে সৃষ্টি বধিরতা।

    ভাষাগত দিক থেকে বধিরতাকে দুটি উপ ভাগে ভাগ করা হয় যেমন ভাষার উত্তর-পূর্বের বধিরতা এবং ভাষার পরবর্তী বধিরতা।

     শ্রবণ সমস্যা বা কোন সমস্যা জনিত ভাগকে আবার কয়েকটি উপ ভাগে ভাগ করা যায় - যেমন সঞ্চালনের ত্রুটিজনিত বধিরতা, সংবিধানে স্নায়ুবিক ত্রুটিজনিত বধিরতা, ও মিশ্র বধিরতা।



মূক ও বধির শিশুদের শিক্ষাদান পদ্ধতি


  মুখ ও বধির শিশুরা স্বাভাবিক শরীর থেকে আলাদা তাই এদের শিক্ষাদান পদ্ধতি ও বিজ্ঞানসম্মত ভাবে আলাদাভাবে করে গড়ে তোলা হয়েছে। এখানে কয়েকটি পদ্ধতি সম্পর্কে আলোচনা করা হলো - 

মৌখিক পদ্ধতি :   মনোবিদ জুয়ান পাবলো বনে বধির শিক্ষার্থীদের শিক্ষা দেওয়ার জন্য এই পদ্ধতি আবিষ্কার করেন। ঠোট নাড়ানোর মাধ্যমে ভাষার জ্ঞান শিক্ষার্থীরা গ্রহণ করে, এই পদ্ধতিতে শিক্ষার্থীরা শিক্ষকদের ঠোঁট গভীর মনোযোগের সঙ্গে পর্যবেক্ষণ করে।

সঞ্চালনমূলক পদ্ধতি :   এই পদ্ধতিতে হস্ত চালানোর মাধ্যমে শিক্ষার্থীরা মনের ভাবকে বোঝার চেষ্টা করে এবং শিক্ষক ও মনের ভাব বোঝানোর চেষ্টা করে এই পদ্ধতির মাধ্যমে আঙুলের সাহায্যে হাতের তালুতে স্পর্শের ভিতর দিয়ে বিভিন্ন মনের ভাব প্রকাশ করা হয়।

স্পর্শ পদ্ধতি :   মনোবিদ কে টি আলকন এবং সোফিয়া আলকন সর্বপ্রথম এই স্পর্শ পদ্ধতির কথা বলেন। এটি একটি জটিল প্রক্রিয়া এই পদ্ধতির মাধ্যমে শিক্ষার্থীরা শিক্ষকের ঠোঁটে মুখের সামনে এবং কণ্ঠনালীতে হাত রেখে স্পর্শের মাধ্যমে শব্দ কে আয়ত্ত করার চেষ্টা করে।

যন্ত্র ভিত্তিক পদ্ধতি :   মুখ ও বধির শিশুরা দর্শনগত দিক থেকে সুস্থ থাকে সেই কারণে বিভিন্ন ফিল্ম প্রজেক্টর এর মাধ্যমে শিক্ষার্থীকে কোন বিষয়ে জ্ঞান দেওয়া যায়। যদি কোন শিক্ষার্থী সামান্য বধির হয় তবে তাকে শ্রবণ সহায়ক যন্ত্রের মাধ্যমে শিক্ষা দেওয়া যেতে পারে।