জীবনী সাহিত্য কাকে বলে ? জীবনী সাহিত্যের বৈশিষ্ট্য লেখ।

   বর্তমানে আধুনিক বাংলা সাহিত্যে বেশ জনপ্রিয় হয়ে উঠেছে জীবনী সাহিত্য। অনেক ক্ষেত্রে জীবনী সাহিত্য কে কেন্দ্র করে বিভিন্ন সিনেমা বেশ জনপ্রিয় হয়ে উঠতে শুরু করেছে। বাংলা সাহিত্যের এই অধ্যায়ে মধ্যযুগের চৈতন্যদেবের পরবর্তী সময় থেকে জনপ্রিয় হতে শুরু করে। বাংলা সাহিত্যের অত্যাধুনিক যুগেও সেই ধারা আজও সমানভাবে জনপ্রিয়।


জীবনী সাহিত্য কাকে বলে ?

    জীবনী সাহিত্য বলতে বোঝায় কোন ব্যক্তির জীবন কেন্দ্রিক প্রত্যাগত মাধ্যমে রচিত সাহিত্যকে। সংস্কৃতে এই জীবনী সাহিত্যর পরিচয় মেলে যেখানে জীবনী সাহিত্য কে কারিকা বা বৃত্তি বলা হত। মধ্যযুগের চৈতন্য দেবের আবির্ভাব এরপর তাকে কেন্দ্র করে এবং তার পার্ষদদের কেন্দ্র করে এই জীবনী সাহিত্য রচনার সূত্রপাত হয়। মধ্যযুগে সৃষ্টি হওয়ার সাহিত্যের এই ধারাটি আজও সমানভাবে অব্যাহত। 


   সাহিত্যের প্রতিটি রূপরীতি নিজের নিজের বৈশিষ্ট্যের উপর ভিত্তি করে স্বতন্ত্রতা লাভ করেছে এ দিক থেকে বিচার করলে জীবনী সাহিত্যের যেসকল উল্লেখযোগ্য বৈশিষ্ট্য গুলি চোখে পড়ে তা হল - 


জীবনী সাহিত্যের বৈশিষ্ট্য লেখ।

1) জীবনী সাহিত্য একপ্রকার তথ্যনিষ্ঠ প্রবন্ধ সাহিত্য।

2) জীবনী সাহিত্য গুলির মধ্যে তথ্যনিষ্ঠ বিষয় থাকলেও সাহিত্যরস যথাযথ ভাবে উপস্থাপিত থাকে।

3) জীবনী সাহিত্যের বিশেষ বিশেষ ব্যক্তির জীবনকে দৃষ্টিপাত করা হয় সুতরাং এটি ইতিহাসের একটি শাখা।

4) জীবনী সাহিত্যের যাকে কেন্দ্র করে সাহিত্য রচিত হয় সেই চরিত্রটিকে বিবর্তন ঘটিয়ে সাহিত্য রসে জারিত করা হয়।

জীবনী সাহিত্য কাকে বলে
জীবনী সাহিত্য


5) মূল চরিত্রটিকে অবিকৃত অবস্থায় জীবনী সাহিত্যের মধ্যে বর্ণনা করা থাকে।

6) জীবনী সাহিত্য জীবিত বা মৃত ব্যক্তিকে কেন্দ্র করে রচিত হতে পারে। যদি মৃত কোন ব্যক্তি কে কেন্দ্র করে জীবনী সাহিত্য রচনা করতে হয় তবে সে ক্ষেত্রে বিশ্বাসযোগ্য তথ্য প্রয়োজন।

7) জীবনী সাহিত্যে সাহিত্যের রস থাকলেও তাকে প্রকৃত জীবনের ভূমিকা গুরুত্ব দিতে হবে। 


এছাড়া বাংলা সাহিত্যের রূপ রীতি অনন্য প্রশ্নগুলি