মুদালিয়র কমিশনের গঠন ও বহুমুখী বিদ্যালয় সম্পর্কে আলোচনা করো। Secondary Education Commission and Multipurpose school

   আমাদের দেশ স্বাধীন হবার পর দেশীয় ভিত্তিতে মাধ্যমিক শিক্ষাকে সংস্কার করার জন্য CABE  বা কেন্দ্রীয় শিক্ষা উপদেষ্টা পর্ষদ কর্তৃক এক পদক্ষেপ নেওয়া হয়। এর ফলশ্রুতি হিসেবে 1952 সালের 23 সে সেপ্টেম্বর  ডক্টর লক্ষণ স্বামী মুদালিয়রের নেতৃত্বে  মাধ্যমিক শিক্ষা কমিশন বা মুদালিওর কমিশন গঠন করা হয়।

মুদালিয়র কমিশনের গঠন ও বহুমুখী বিদ্যালয় সম্পর্কে আলোচনা করো

     

    এই কমিশন ভারতীয় 7 জন ও দুজন বিদেশি মোট নয় জন সদস্য নিয়ে গঠিত হয়। এই কমিশনের সভাপতি ছিলেন ডক্টর লক্ষণ স্বামী মুদালিয়ার, এছাড়াও যে আটজন ছিলেন তারা হলেন - শ্রীমতি হংস মেহতা, শ্রী অনাথ নাথ বসু, শ্রী জে এ তারপর ভেলা, শ্রী এমটি ব্যাস, ডক্টর কে সে শ্রিমালি, শ্রী কে জি সংডিয়ান, জন ক্রিস্টি ( ইনি অক্সফোর্ডের জেমস কলেজের অধ্যাপক) ও ডক্টর কিনেথ রাষ্ট উলিয়াম। 1953 সালে এই কমিশন ভারত সরকারের কাছে তাদের রিপোর্ট পেশ করে।


Multipurpose School / বহুমুখী বিদ্যালয়

    মাধ্যমিক শিক্ষা কমিশন বহুমুখী বিদ্যালয় বা মাল্টিপারপাস স্কুল প্রতিষ্ঠার জন্য সুপারিশ করেন। এই কমিশনের মতে বহুমুখী বিদ্যালয় গুলিতে যে সাধারণ শিক্ষা ও বৃত্তিমূলক শিক্ষার ব্যবস্থা থাকবে তাতে শিক্ষার্থীরা মানসিকভাবে তৃপ্তি পাবে এবং এখানে তাদের মূল্যবোধের বিকাশ ঘটবে।

      শিক্ষার্থীরা এখানে নিজের সামর্থ্য চাহিদা প্রবণতা ইত্যাদি অনুযায়ী শিক্ষা গ্রহণ করার সুযোগ পাবে। নির্বাচিত পাঠক্রম তাদের আগামী জীবনের পথপ্রদর্শক হয়ে কাজ করবে। বহুমুখী বিদ্যালয় যথাযথভাবে প্রতিষ্ঠিত হলে বেশ কিছু শিক্ষার্থী সাধারণ শিক্ষা থেকে সরে আসবে। বৃত্তিমূলক শিক্ষা শিক্ষার্থীদের ভবিষ্যত জবনে নিজের পায়ে দাঁড়াতে সাহায্য করবে
 এবং দেশের বেকারত্বের পরিমাণ কমে যাবে শিক্ষার্থীদের যুক্তি শক্তি বৃদ্ধি পাবে এবং তারা বেকারত্বের অভিশাপ থেকে মুক্তির পথ খুঁজে পাবে।

      এই কারণে মুদালিয়ার কমিশন শিক্ষার্থীদের দেশের স্বার্থ রক্ষার জন্য বৃত্তি শিক্ষার উপর যথেষ্ট গুরুত্ব দিয়েছেন। কমিশন আলাদাভাবে বহুমুখী বিদ্যালয় এর সঙ্গে কারিগরি বিদ্যালয় প্রতিষ্ঠানের সুপারিশ করেছেন এক্ষেত্রে কারিগরী বিদ্যালয়গুলির উন্নয়ন ও পরিচালনার জন্য একটি সর্বভারতীয় কারিগরি শিক্ষা পরিদ গঠনের সুপারিশ করেছিলেন মাধ্যমিক শিক্ষা কমিশন বা মুদালিয়র কমিশন।