হুতুম পেঁচার নকশা তে লেখক কিভাবে কলকাতার সমাজ চিত্র তুলে ধরেছে

    দশম শ্রেণির ইতিহাসে হুতুম প্যাঁচার নকশা বিষয়টি গুরুত্বপূর্ণ ও টিকা আকারে পরীক্ষাতে আসে। এই কারণে এখানে হুতুম প্যাঁচার নকশা ও তৎকালীন কলকাতার সমাজ চিত্র সম্পর্কে বিশদভাবে আলোচনা করা হলো। 

হুতুম পেঁচার নকশা তে লেখক কিভাবে কলকাতার সমাজ চিত্র তুলে ধরেছে
Educostudy.in/হুতোম-প্যাঁচার-নকশা


হুতুম পেঁচার নকশা 


    কালীপ্রসন্ন সিংহ রচিত হুতোম প্যাঁচার নকশা নামক ব্যঙ্গ মূলক রচনা থেকে কলকাতার বিত্তবান নববাবু সমাজের বিলাসব্যসন ও স্বার্থপরতার কথা জানা যায়। হুতুম পেঁচার নকশা থেকে তৎকালীন কলকাতার বাবু সমাজের চিত্র, বাবু স্বভাব ও অভ্যাসের কথা আমরা জানতে পারি। 


হুতুম প্যাঁচার নকশা তে কলকাতার সমাজ চিত্র 


   কালীপ্রসন্ন সিংহ রচিত হুতুম পেঁচার নকশা গ্রন্থটি তে তৎকালীন কলকাতার সমাজের যে সকল দিক গুলি ধরা পড়েছে তা নিচে লেখা হলো - 


বাবু সংস্কৃতি -  ব্যবসা বাণিজ্যের সঙ্গে যুক্ত ব্যবসায়ী এবং গ্রাম থেকে কলকাতায় চলে আসা জমিদারেরা যে বিলাসবহুল এবং দেখনদারি সংস্কৃতি সূচনা করেছিল তা হুতুম প্যাঁচার নকশা গ্রন্থের বাবু সংস্কৃতি নামে ফুটে উঠেছে। 


সমাজ বিন্যাস -   ইংরেজ শাসন ও ব্যবসা-বাণিজ্যের সূত্র ধরে 19 শতকের সমাজ বিন্যাসে বিশাল পরিবর্তন আসে। ইংরেজ শাসনের আগে বাংলায় বড় বড় বংশের পতন ঘটে এবং নতুন জাতীয় বংশের উদ্ভব সৃষ্টি হয়। 


সংস্কৃতি -   হুতুম প্যাঁচার নকশা গ্রন্থে কলকাতার বিভিন্ন সংস্কৃতি লেখক তুলে ধরেছেন। যেমন নীলের ব্রত, গাজনের সন্ন্যাসী, যাত্রা গান, বুলবুলের গান, আখড়াই, হাফ আখড়াই ইত্যাদি। আবার মদ্যপানের সংস্কৃতি ও কলকাতার বাবু সমাজে তখনকার দিনে বেশ চলিত ছিল। 


পূজা পার্বণ -   হুতুম প্যাঁচার নকশা গ্রন্থের তৎকালীন কলকাতার পূজা পার্বণ সম্পর্কে বিশেষ ধারণা পাওয়া যায়। সেই সময়কার কলকাতাতে বারো মাসে তেরো পার্বণ অর্থাৎ বাঙালি সংস্কৃতির পরিচয় পাওয়া যায়। যেমন - রাসলীলা, রথযাত্রার, মহিষের স্নানযাত্রা, দুর্গাপূজা ইত্যাদি। 


👉👉  19 শতকে ইংরেজের আগমন এই কলকাতার বুকে যে সকল পরিবর্তন উত্থান ও পতন ঘটেছিল তা কালীপ্রসন্ন সিংহ হুতুম প্যাঁচার নকশা গ্রন্থে বেশ ভালো ভাবে উপস্থাপন করেছেন। এই সময়ে বাঙালিরা ইংরেজ এর অনুকরণে কখনো কখনো পাশ্চাত্য শিক্ষা গ্রহণ করেছে কখনো কখনো সাহেবিয়ানা প্রকাশ ঘটিয়েছে। 


আরো প্রশ্ন :