নারী ইতিহাস চর্চার প্রাসঙ্গিকতা সম্পর্কে আলোচনা করো।

     ইতিহাস সমাজের কথা বলে, এই অর্থে সমাজে বসবাসকারী নারী-পুরুষ উভয়ই এবং তাদের রীতিনীতি ইতিহাসের অঙ্গ। এই কারণে ইতিহাসে যেমন পুরুষদের ভূমিকা আছে, ঠিক একই রকমভাবে ইতিহাসের বিষয় হিসাবে নারীরাও প্রাসঙ্গিক হয়ে পড়েছে। প্রাচীন ও মধ্যযুগের ইতিহাসে নারীদের তেমন কোনও প্রাসঙ্গিকতা দেখতে না পেলেও আধুনিক যুগে এসে নারীদের প্রভূত উন্নতি ঘটেছে। এবং পরবর্তী আধুনিক যুগের নারীদের মধ্যে চেতনা গড়ে তোলার জন্য ইতিহাসে নারী ইতিহাস চর্চার প্রাসঙ্গিকতা গুরুত্ব পেয়েছে।

নারী ইতিহাস চর্চার প্রাসঙ্গিকতা সম্পর্কে আলোচনা করো।


নারী ইতিহাস চর্চার প্রাসঙ্গিকতা সম্পর্কে আলোচনা


    মানব সমাজের যা কিছু সৃষ্টি তার অর্ধেক দাবিদার পুরুষ ও অর্ধেক দাবিদার নারী। কিন্তু প্রাচীন যুগের ইতিহাস ও মধ্যযুগের ইতিহাস পর্যালোচনা করলে দেখা যায় সেখানে নারীদের গুরুত্ব কে বারবার অস্বীকার করা হয়েছে। 

    কিন্তু সমাজের প্রয়োজনে এবং সামাজিক সংস্কৃতি অনুযায়ী নারীদের যে যথেষ্ট গুরুত্ব আছে সেই প্রসঙ্গ কে আমরা আধুনিক ইতিহাসে এড়িয়ে যেতে পারি না। এই কারণে আধুনিক ইতিহাস মাটির স্তর থেকে শুরু করে রাজ রাজাদের কাহিনী পর্যন্ত কে বর্ণনা করে থাকে। 

    এখানেই ইতিহাসে নারীদের চর্চার প্রাসঙ্গিকতা বৃদ্ধি পেয়েছে। ইতিহাসে নারীদের ইতিহাস চর্চার গুরুত্ব এখানে যে, প্রাচীন যুগ ও মধ্যযুগের বিভিন্ন নারী যারা পুরুষদের সঙ্গে সমানভাবে দায়িত্ব পালন করেছে তাদের ইতিহাসকে পড়লে ভবিষ্যৎ এবং বর্তমানে নারীদের মধ্যে চেতনার বিকাশ ঘটবে। এই কারণে নারীর ইতিহাস চর্চা এতোখানি প্রাসঙ্গিক হয়ে পড়েছে।

    আমাদের সমাজ আধুনিক হলেও সেখানে এখনো পর্যন্ত নারীকে অনেক বঞ্চনার শিকার হতে হয়। এই কারণে এই সকল বঞ্চিত নারীদের মাঝে প্রাচীন ও মধ্যযুগের বিভিন্ন নারীর ইতিহাসকে প্রাসঙ্গিক করে তুললে তারা নিজের সম্বন্ধে ধারণা করে তুলতে পারে, যে সে অবহেলিত নয়।

   পৃথিবীর বিভিন্ন দেশের নারীরা বারবার তাদের অবদান ইতিহাসে লিখে গেছে। এমনকি আমাদের ভারতের নারীরাও এই কর্মে পিছিয়ে নেই। এই কারণে ইতিহাসে নারীদের ইতিহাস চর্চা খুব বেশি প্রাসঙ্গিক। 



নারী ইতিহাস চর্চার প্রাসঙ্গিকতা সম্পর্কে আলোচনা ভিডিও