ছাপাখানার বিস্তার ও শিক্ষার প্রসারের সম্পর্ক সমানুপাতিক - আলোচনা করো

      মাধ্যমিক ইতিহাসের ছাপাখানা বিস্তারে ছাপাখানার বিস্তার ও প্রসারের সম্পর্ক সমানুপাতিক এই প্রশ্নটি অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ এবং মডেল অ্যাক্টিভিটি টাস্ক এ প্রশ্নটি দেওয়া আছে। এই জন্য এই আর্টিকেলটিতে আমি ছাপাখানার বিস্তার ও শিক্ষার সম্পর্ক যে সমানুপাতিক সে সম্পর্কে আলোচনা করলাম।

ছাপাখানার বিস্তার ও শিক্ষার প্রসারের সম্পর্ক সমানুপাতিক


ছাপাখানার বিস্তার ও শিক্ষার প্রসার কি সমানুপাতিক ? আলোচনা করো।


    আধুনিক ভারতের শুরু হয়েছিল ১৮ শ শতাব্দীর শুরুতে। এই সময়ে এসে ভারতবর্ষের বুকে সবথেকে আধুনিকতার ছোঁয়া লেগে ছিল ছাপাখানার বিস্তারের সঙ্গে সঙ্গে। ছাপাখানা বলতে আমরা বুঝি মুদ্রণ শিল্প কে। এই মুদ্রণ শিল্প আমাদের দেশে আসার আগে যে কোন গ্রন্থকে মুনসিদের দিয়ে লিখিয়ে নিতে হতো টাকার বিনিময়ে।

    অর্থাৎ সেই লেখানো বই বা সংবাদপত্রগুলি ছিল সংখ্যায় অনেক কম। এই কারণে মুদ্রণ শিল্প বা ছাপাখানা আবিষ্কার এর সঙ্গে সঙ্গে বিভিন্ন পাঠ্যবস্তু সাধারণ মানুষের মধ্যে বেশি পরিমাণে ছড়িয়ে যেতে লাগল। 

   আগে যেখানে হাতে লেখা পত্র-পত্রিকা মানুষের মাঝে বেশি পরিমাণে পৌঁছাতে পারতো না সেখানে অনেক কম খরচে বেশি মাত্রায় এইসকল মুদ্রিত গ্রন্থ বা সংবাদপত্র মানুষের মাঝে পৌঁছাতে শুরু করলো। এর ফলে ধীরে ধীরে মানুষের মধ্যে শিক্ষার প্রসার ঘটলো। 

    ১৭৭০ থেকে ১৮০০ সাল পর্যন্ত কলকাতার আশেপাশে প্রায় 30 থেকে 40 টি ছাপাখানা গড়ে উঠেছিল। এরপরে ১৮০০ থেকে ১৮৪০ সালের মধ্যে কলকাতা কে কেন্দ্র করে প্রায় 50 টি ছাপাখানা গড়ে ওঠে যা ব্যবসায়ীক কাজে ব্যবহার হতে শুরু হয়। 

    ছাপাখানার এই বিস্তারের সঙ্গে সঙ্গে সাধারণ মানুষের মধ্যে বিভিন্ন রকম পাঠ্যপুস্তক মুদ্রিত গ্রন্থ রামায়ণ মহাভারতের অনুবাদ বাইবেলের অনুবাদ বিভিন্ন পত্র-পত্রিকা পৌঁছাতে শুরু করলো। যেহেতু শিল্প বিপ্লবের মাধ্যমে মুদ্রণ শিল্পের জন্ম তাই অনেক কম খরচে মানুষ এই সকল বিষয়ের প্রতি আকৃষ্ট হতে পারল। 

   সুতরাং ভারতবর্ষের বুকে মুদ্রণ শিল্প যতখানি বিস্তার লাভ করেছে তা শিক্ষা কে ও ততখানি ফলপ্রসূ করতে পেরেছে। ১৯ শতকের মধ্যভাগ থেকে বিশ শতকের প্রথম ভাগ পর্যন্ত ছাপাখানার প্রভূত বিস্তার শিক্ষাকে যথেষ্ট পরিমাণে ত্বরান্বিত হতে সাহায্য করেছিল।


আরো প্রশ্ন :