জ্ঞানচক্ষু গল্পের প্রশ্ন উত্তর | দশম শ্রেণীর বাংলা প্রশ্ন উত্তর | Gyanchokhu | Madhyamik Bengali Suggestions 2024

 জ্ঞানচক্ষু গল্পের প্রশ্ন উত্তর | দশম শ্রেণীর বাংলা প্রশ্ন উত্তর | Madhyamik Bengali suggestions 2024 | জ্ঞানচক্ষু গল্পের প্রশ্ন উত্তর, জ্ঞানচক্ষু গল্পের প্রশ্ন ও উত্তর, জ্ঞানচক্ষু গল্পের বিষয়বস্তু, জ্ঞানচক্ষু, জ্ঞানচক্ষু গল্পের সংক্ষিপ্ত প্রশ্ন উত্তর, জ্ঞানচক্ষু গল্পের সম্পূর্ণ সাজেশন প্রশ্ন ও উত্তর, জ্ঞানচক্ষু আশাপূর্ণা দেবী, জ্ঞানচক্ষু আশাপূর্ণা দেবী প্রশ্ন উত্তর, জ্ঞানচক্ষু গল্পের সাজেশন, জ্ঞানচক্ষু গল্পের নামকরণের সার্থকতা, জ্ঞানচক্ষু গল্পের mcq প্রশ্ন উত্তর, #জ্ঞানচক্ষু গল্পের প্রশ্ন উত্তর mcq, #জ্ঞানচক্ষু গল্পের প্রশ্ন উত্তর pdf, জ্ঞানচক্ষু গল্পের 3 মার্কের প্রশ্ন উত্তর | gyanchokhu


জ্ঞানচক্ষু গল্পের সংক্ষিপ্ত প্রশ্ন উত্তর | SAQ

জ্ঞানচক্ষু গল্পটি কার লেখা ?


জ্ঞানচক্ষু গল্পটি কোথা থেকে নেওয়া হয়েছে ?

  • জ্ঞানচক্ষু গল্পটি আশাপূর্ণা দেবীর রচিত কুমকুম গল্প সংকলন থেকে নেওয়া হয়েছে।


কাকে দেখে তপনের চোখ মার্বেল হয়ে গেল ?

  • নতুন মেসোমশাই কে দেখে।


তপনের নতুন মেসোমশাই ছিলেন একজন - 

  • লেখক।

জ্ঞানচক্ষু গল্পের প্রশ্ন উত্তর | দশম শ্রেণীর বাংলা প্রশ্ন উত্তর | Gyanchokhu | Madhyamik Bengali Suggestions 2024


মূল্য জহুরীর কাছেই"- এখানে জহুরী কাকে বলা হয়েছে ?

  • উক্তিটিতে তপনের নতুন মেসোমশাই কে জহুরী বলা হয়েছ।


মেসোমশাই এর কাছে কে দিয়েছিল ?

  • মেসোমশাইয়ের কাছে তার ছোট মাসি দিয়েছিল।


কোন পত্রিকায় তপনের গল্প ছাপিয়ে দেওয়ার কথা হয়েছিল ?

  • সন্ধ্যাতারা পত্রিকায়


তপনের নতুন মেশো কোন পত্রিকার সম্পাদক কে চিনতেন ?

  • সন্ধ্যা তারা পত্রিকার সম্পাদক কে চিনতেন।


ছোট মেসো কিছুদিন শ্বশুর বাড়িতে থাকবে তার কারণ কি ?

  • তার কলেজের ছুটি চলছিল সেই কারণে।


মেসোর উপযুক্ত কাজ হবে সেটা"-  উপযুক্ত কাজ কোনটি ?

  • তপনের নতুন লেখা গল্পটা ছাপিয়ে দেওয়া।


তপনের হাত আছে এখানে হাত কথাটির অর্থ কি ?

  • ভাষার দক্ষতা।


কখন তপনের চোখ মার্বেল হয়ে গেল ?

  • তপন যখন শুনলো তার নতুন মেসোমশাই একজন লেখক তখন তার চোখ মার্বেল হয়ে গিয়েছিল।


বিয়ে হয়ে গেল দেদার ঘটাপটা করে"-  কার দেদার ঘটা পটা করে বিয়ে হয়ে গেল ?

  • আশাপূর্ণা দেবী রচিত জ্ঞানচক্ষু গল্পের প্রধান চরিত্র তপনের ছোট মাসির ঘটপটা করে বিয়ে হয়ে গিয়েছিল।


এ বিষয়ে সন্দেহ ছিল তপনের"-  কোন বিষয়ে তপনের সন্দেহ ছিল ? 

  • তপনের সন্দেহ ছিল একজন লেখক যে সাধারণ মানুষ হতে পারে এবং তাদের আচরণ যে আর পাঁচটা মানুষের মতোই সাধারণ এই বিষয়ে।


কাকে দেখে তপনের জ্ঞানচক্ষু খুলে গেল ?

  • জ্ঞানচক্ষু গল্পের প্রধান চরিত্র তপন এর তার ছোট মেসো কে দেখে জ্ঞানচক্ষু খুলে গিয়েছিল।


তপন এর লেখক হতে বাঁধা নেই কেন ?

  • তখন যখন দেখলো লেখক রাও আর পাঁচ জনের মত সাধারন মানুষ, মহাকাশ থেকে আসা কোন জীব নয়। তখন সে ভাবতে থাকে তারও লেখক হতে কোন বাধা নেই।


নতুন মেশো কোন পেশার সঙ্গে যুক্ত ছিলেন ?

  • জ্ঞানচক্ষু গল্পের প্রধান চরিত্র তপনের নতুন মেশো একজন অধ্যাপক ছিলেন।


মিশর উপযুক্ত কাজ হবে সেটা"-  কোন কাজকে মিশর উপযুক্ত কাজ বলা হয়েছে ? 

  • তপন তার প্রথম দিনের অভিজ্ঞতা নিয়ে একটি ছোট গল্প লেখে সেই গল্পটি যদি মেসো সন্ধ্যা তারার সম্পাদককে দিয়ে পত্রিকায় ছাপিয়ে দেন সেই কাজটি মেসোর উপযুক্ত হবে বলে মনে করা হয়েছে।


নতুন মেসই বুঝবে"-  কি বুঝবে ?

  •   প্রকৃত লেখকের লেখার মূল্য তপনের নতুন মেসো বুঝবে।


তপন প্রথমটা ভাবে ঠাট্টা"-  কোন কথাটা তপন ঠাট্টা ভেবেছিল ?

  • একটু সংশোধন করে দিলে তপনের লেখা গল্পটি ছাপানো যায়, - ছোট মিসরের কথাটাকেই তপন প্রথমে ঠাট্টা ভেবেছিল।


তপন আহ্লাদে কাঁদো কাঁদো হয়ে যায়"-  তপনের এই অবস্থার কারণ কি ?

  • নতুন মেসো তপনের লেখাটা কারেকশন বা সংশোধন করে ছাপিয়ে দিতে চাইলে তপন আহ্লাদে কাদা হয়ে যায়।


ছোট মাসি সেই দিকে ধাবিত হয়"-  ছোট মাসি কোন দিকে ধাবিত হয় ?

  • জ্ঞানচক্ষু গল্পে নতুন মেসোমশাই যেখানে দিবা নিদ্রা দিচ্ছিলেন সেদিকে ছোট মাসি ধাবিত হয়।


বিকালে চায়ের টেবিলে ওঠে কথাটা"- কোন কথা ওঠে ?

  • তপন গল্প লেখা আর নতুন মেসোর সেই গল্প চাপিয়ে দেবার কথা ওঠে চায়ের টেবিলে।


“তপন অবশ্য মাসির এই হইচইতে মনে মনে পুলকিত হয়।”— তপনের এই পুলকের কারণ কী?

  • তপনের মাসি তপনের লেখা নিয়ে মেসোমশাইয়ের কাছে গিয়ে হইচই করলে সে এই ভেবে পুলকিত হয় যে তার লেখার মূল্য একমাত্র লেখক মেসোমশাইয়ের পক্ষেই বোঝা সম্ভব।


“এইসব মালমশলা নিয়ে বসে।”—কীসের কথা বলা হয়েছে?

  • অল্পবয়সি ছেলেমেয়েরা গল্প লিখতে গিয়ে রাজারানির গল্প, জখম, অ্যাকসিডেন্ট, না খেতে পেয়ে মরে যাওয়া ইত্যাদি যেসব বিষয়ে লেখে, সেসবের কথা বলা হয়েছে।


কে তপনের লেখা নিয়ে চলে গিয়েছিলো?

  • তপন নতুন মেসো।


তপন চিরকালের বন্ধু কে ?

  • তপন ছোট মাসি তপনের চিরকালের বন্ধু।


তপন কোন সময়ে তার গল্প টা লিখেছিলো ?

  • দুপুর বেলা।


তপন বিয়ে বাড়িতে কোন জিনিস নিয়ে এসেছিল ?

  • তপন হোম টাস্ক খাতা।


জ্ঞানচক্ষু (গল্প) আশাপূর্ণা দেবী – মাধ্যমিক বাংলা প্রশ্ন ও উত্তর | Madhyamik Bengali Gyanchakshu Question and Answer : জ্ঞানচক্ষু (গল্প) আশাপূর্ণা দেবী – মাধ্যমিক বাংলা প্রশ্ন ও উত্তর | Madhyamik Bengali Gyanchakshu Question and Answer নিচে দেওয়া হলো। এই দশম শ্রেণীর বাংলা প্রশ্ন ও উত্তর – WBBSE Class 10 Bengali Gyanchakshu Question and Answer, Suggestion, Notes – জ্ঞানচক্ষু (গল্প) আশাপূর্ণা দেবী | জ্ঞানচক্ষু (গল্প) আশাপূর্ণা দেবী – মাধ্যমিক দশম শ্রেণীর বাংলা প্রশ্ন ও উত্তর | West Bengal Madhyamik Class 10th Bengali Gyanchakshu Question and Answer | জ্ঞানচক্ষু (গল্প) আশাপূর্ণা দেবী প্রশ্ন ও উত্তর


ছোট মাসি তপনের থেকে কতো দিনের বড়ো ছিলেন ?

  • আট বছরের।


বাড়িতে তপনের কি কি নাম হয়েছিল ?

  • কবি, সাহিত্যিক, কথাশিল্পী ।


গায়ে কাঁটা দিয়ে উঠলো তপনের"-  কেনো ?

  • তার নিজের রচিত গল্পের অনুভূতির জন্যে।


তপন তার গল্প লিখে প্রথম কাকে শুনিয়েছিল ?

  • তপন এর চিরকালের বন্ধু তার ছোট মাসি কে।


যেনো নেশায় পেয়েছে"- কাকে কোন নেশায় পাওয়ার কথা বলা হয়েছে?

  • জ্ঞান চক্ষু গল্পের প্রধান চরিত্র তপনের গল্প লেখার নেশার কথা বলা হয়েছে।


তপন কৃতার্থ হয়ে দিন গোনে "-  কেনো তপন কৃতার্থ হয়েছিল ?

  • তপন এর ছোট মেসো সন্ধ্যা তারা পত্রিকায় তার গল্প ছাপিয়ে দেওয়ার প্রতিশ্রুতি দিয়ে গল্পটি নিয়ে গিয়েছিল বলে তখন কৃতার্থ হয়েছিল।


তপনের লেখা গল্প পড়ে ছোট মাসে কি বলেছিল ?

  • তপনের লেখা গল্প পড়ে চিরকালের বন্ধু ছোট মাসি বলেছিল বেশ লিখেছিস তো তবে সামান্য সন্দেহ করে আবার জানিয়েছিল কোথা থেকে টুকলিফাই করিস নি তো।


গল্প লেখার পর তপনের কি মনে হয়েছিল ?

  • গোটা একটা গল্প তপন লিখে ফেলেছে এটা ভেবেই তার সারা গায়ে কাঁটা দিয়ে উঠলো, মাথার চুল পর্যন্ত খাড়া হয়ে উঠলো। তার সে ভাবে এখন তাকেও একজন লেখক বলা যায়।


তপনের লেখা গল্পের নাম কি ছিল ?

  • প্রথম দিন


তপনের লেখা গল্পটি কে সংশোধন করে দিয়েছিল ?

  • তপনের ছোট মেসো।


তপনের ছোট মেসো কি নিয়ে তাদের বাড়িতে এসেছিল ?

  • সন্ধ্যাতারা পত্রিকার একটি সংস্করণ।


সন্ধ্যা তারা পত্রিকায় সূচিপত্রে তপনের কি নাম লেখা ছিল ?

  • শ্রী তপন কুমার রায় ।


তপনের লেখা গল্পটা কে পড়ে শোনাতে বলেছিল ?

  • তপনের মা।


তপনের পুরো নাম কি ছিল ?

  • শ্রী তপন কুমার রায়।


ক্রমশ কথাটাও ছড়িয়ে পড়ে"- কথাটি কি ?

  • তপন লেখা গল্পটি কারেকশন করে ছাপানোর কথা।


জ্ঞানচক্ষু (গল্প) আশাপূর্ণা দেবী – মাধ্যমিক বাংলা প্রশ্ন ও উত্তর | Madhyamik Bengali Gyanchakshu Question and Answer : জ্ঞানচক্ষু (গল্প) আশাপূর্ণা দেবী – মাধ্যমিক বাংলা প্রশ্ন ও উত্তর | Madhyamik Bengali Gyanchakshu Question and Answer নিচে দেওয়া হলো। এই দশম শ্রেণীর বাংলা প্রশ্ন ও উত্তর – WBBSE Class 10 Bengali Gyanchakshu Question and Answer, Suggestion, Notes – জ্ঞানচক্ষু (গল্প) আশাপূর্ণা দেবী | জ্ঞানচক্ষু (গল্প) আশাপূর্ণা দেবী – মাধ্যমিক দশম শ্রেণীর বাংলা প্রশ্ন ও উত্তর | West Bengal Madhyamik Class 10th Bengali Gyanchakshu Question and Answer | জ্ঞানচক্ষু (গল্প) আশাপূর্ণা দেবী প্রশ্ন ও উত্তর


আমাদের থাকলে আমরাও চেষ্টা করে দেখতাম"-  বক্তা কে ?

  • তপন এর মেজোকাকু।


তপন আর পড়তে পারে না"-  কারণ কি ?

  • তপন লেখা গল্পের সাথে ছাপানো গল্পের অনেক অমিল ছিল সেই কারণে তপন হতভম্ব হয়ে পড়ে সেই গল্প পড়তে গিয়ে।


পৃথিবীতে এমন অলৌকিক ঘটনাও ঘটে?" -  কোন ঘটনাকে অলৌকিক বলা হয়েছে ?

  • সন্ধ্যা তারা পত্রিকাতে তপনের গল্প ছাপানো হয়েছে, এই ঘটনাকে অলৌকিক বলা হয়েছে।


... এমন সময় ঘটলো সেই ঘটনা"-  কোন ঘটনার কথা বলে হয়েছে ?

  • ছোট মাসি আর্ মেসো সন্ধ্যা তারা পত্রিকা নিয়ে তপনের বাড়িতে এসেছে - এই ঘটনার কথা বলা হয়েছে।


পৃথিবীতে এমন অলৌকিক ঘটনাও ঘটে।"- কোন ঘটনাকে অলৌকিক বলা হয়েছে ?

  • তপন এর লেখা গল্প চাপার অক্ষরে প্রকাশিত হয়ে হাজার হাজার ছেলের হাতে ঘুরবে - এই ব্যাপার টি কে অলৌকিক ঘটনা বলে হয়েছে।


বুকের রক্ত ছিলকে ওঠে তপনের"-  কেনো ?

  • তপন দের বাড়িতে বেড়াতে আসা ছোট মাসি আর মেসোর হাতে সন্ধ্যা তারা পত্রিকা দেখে তপনের বুকের রক্ত চিলকে ওঠে। 


তা ঘটেছে, সত্যিই ঘটেছে"-  কি ঘটার কথা বলে হয়েছে ?

  • তপন নিজের লেখা "প্রথম দিন" সন্ধ্যা তারা পত্রিকাতে ছাপানো হয়েছে - এই বিষয় কে সত্যিই ঘটেছে বলা হয়েছে।


সারা বাড়িতে  শোরগোল পড়ে যায়"-  কেনো ?

  • সন্ধ্যা তারা পত্রিকাতে তপনের গল্প ছাপানো হয়েছে, এই বিষয়টা জানা যায়নি হতেই সারা বাড়িতে শোরগোল পরে যায় 


ক্রমশ কথা টাও ছড়িয়ে পড়ে।"- কোন কথা ?

  •   নতুন লেখক হওয়ায় তপনের লেখাটা একটু আধটু কারেকশন করেছে ছোটো মেসো - এই কথা টা ক্রমশ ছড়িয়ে পড়ে। 


আমাদের থাকলে আমরাও চেষ্টা করে দেখতাম"-  কর কোন চেষ্টা করে দেখতো ?

  • তপন এর ছোট মেসোর মতো যদি তপনের  মেজো কাকুর কেউ থাকতো তবে সেও লেখা লেখির চেষ্টা করে দেখতো।


তপন আর্ পড়তে পারে না "-  কেনো পড়তে পারে না?

  • নিজের  প্রকাশিত গল্প পড়তে গিয়ে তপন যখন দেখে ছোটো মেসো তার পুরো গল্পটি কারেকশন করে দিয়েছে, তখন সে তার লেখা গল্পটি আর্ পড়তে পারেনা।


শুধু এই দুঃখের মুহূর্তে গভীরভাবে সংকল্প করে তপন" -  কি সংকল্প করে তপন ?

  • তপন সংকল্প করে - যদি কখনো লেখা ছাপতে হয় তবে এবার সে নিজে গিয়ে পত্রিকাতে দেবে।


সে আল্লহাদ খুঁজে পায় না"-  কারণ কি ?

  • তপন এর লেখা প্রথম দিন গল্পটি ছাপা হলেও কৃতিত্ব ছড়িয়ে পড়ে ছোটো মেসোর কারেকশন নামে, এই কারণে সে আহ্লাদ খুঁজে পায় না 


আর কখনো শুনতে না হয়"-  কাকে কি শুনতে না হয় ?

  •    কখনো তপন কে যেনো আর্ শুনতে না হয় অন্য কেউ তার গল্প ছাপিয়ে দিয়েছে ।


দশম শ্রেণির বাংলা প্রশ্ন, mcq প্রশ্ন ও উত্তর, দশম শ্রেণির বাংলা প্রশ্ন উত্তর, দশম শ্রেণি বাংলা প্রশ্ন উত্তর, বাংলা বিষয় প্রশ্ন ও উত্তর, দশম শ্রেণীর বাংলা নাটক সিরাজদৌলা প্রশ্ন ও উত্তর, দশম শ্রেণির বাংলা, দশম শ্রেণী বাংলা সহায়িকা প্রশ্ন উত্তর#, দশম শ্রেণীর শাবলতলার মাঠ গল্পের প্রশ্ন উত্তর, অসুখী একজন কবিতার প্রশ্ন ও উত্তর দশম শ্রেণীর, জ্ঞানচক্ষু গল্পের প্রশ্ন ও উত্তর দশম শ্রেণীর, বাংলা বিষয় প্রশ্ন উত্তর, মাধ্যমিক বাংলা প্রশ্ন উত্তর 2023, মাধ্যমিক বাংলা প্রশ্নের উত্তর |  জ্ঞানচক্ষু গল্পের প্রশ্ন উত্তর | দশম শ্রেণীর বাংলা প্রশ্ন উত্তর | Madhyamik Bengali suggestions 2024 | জ্ঞানচক্ষু গল্পের প্রশ্ন উত্তর, জ্ঞানচক্ষু গল্পের প্রশ্ন ও উত্তর, জ্ঞানচক্ষু গল্পের বিষয়বস্তু, জ্ঞানচক্ষু, জ্ঞানচক্ষু গল্পের সংক্ষিপ্ত প্রশ্ন উত্তর, জ্ঞানচক্ষু গল্পের সম্পূর্ণ সাজেশন প্রশ্ন ও উত্তর, জ্ঞানচক্ষু আশাপূর্ণা দেবী, জ্ঞানচক্ষু আশাপূর্ণা দেবী প্রশ্ন উত্তর, জ্ঞানচক্ষু গল্পের সাজেশন, জ্ঞানচক্ষু গল্পের নামকরণের সার্থকতা, জ্ঞানচক্ষু গল্পের mcq প্রশ্ন উত্তর, #জ্ঞানচক্ষু গল্পের প্রশ্ন উত্তর mcq, #জ্ঞানচক্ষু গল্পের প্রশ্ন উত্তর pdf, জ্ঞানচক্ষু গল্পের 3 মার্কের প্রশ্ন উত্তর


জ্ঞানচক্ষু গল্পের 3 মার্কের প্রশ্ন উত্তর




কথাটা শুনে তপনের চোখ মার্বেল হয়ে গেল”— কোন্ কথা শুনে কেন তপনের চোখ মার্বেল হয়ে গেল? 


  •  ছোটোমেসোমশাই একজন লেখক—এ কথা শুনে তপনের চোখ মার্বেল হয়ে গেল।
  • চোখ মার্বেল হয়ে যাওয়ার কারণ:  তপনের ধারণা ছিল লেখকরা বোধ হয় অন্য জগতের মানুষ। তাই একজন লেখককে সামনে থেকে দেখা তার কাছে এক স্বপ্নপূরণের মতো ছিল। সেকারণেই ছোটোমেসো বই লেখেন আর সেই বই ছাপা হয় শুনে তপনের চোখ মার্বেলের মতো হয়ে গিয়েছিল। একজন 'সত্যিকার লেখক'-কে যে এভাবে সামনে থেকে দেখা সম্ভব সেটাই তপনের কাছে অবিশ্বাস্য ছিল।


রত্নের মূল্য জহুরির কাছেই”— এখানে 'জহুরি' বলতে কার কথা বোঝানো হয়েছে? কথাটির তাৎপর্য বিশ্লেষণ করো।


  • ‘জহুরি'-র পরিচয়: 'জ্ঞানচক্ষু' গল্পের অন্তর্গত আলোচ্য অংশটিতে ‘জহুরি' বলতে তপনের লেখক ছোটোমেসোর কথা বলা হয়েছে।

  • তাৎপর্য বিশ্লেষণ: তপন জীবনে প্রথমবার গল্প লিখে তার ছোটোমাসিকে দেখায়। ছোটোমাসি লেখাটি হাতে পাওয়ামাত্র তাঁর স্বামীকে দেখাতে নিয়ে যায়। তপনের ছোটোমেসো লেখক ছিলেন। জহুরি যেমন কোল্টা আসল রত্ন আর কোন্টা নকল তা বলতে পারেন, তেমনই একজন লেখকই বলতে পারেন কোন্ লেখাটা ভালো আর কোন্ লেখাটা খারাপ । তাই তপন ভেবেছিল এই লেখার আসল মূল্য শুধু তার মেসোমশাই-ই বুঝবেন।


“নতুন মেসোকে দেখে জ্ঞানচক্ষু খুলে গেল তপনের”- তপন কোথায় নতুন মেসোকে দেখেছিল? কীভাবে তপনের নতুন মেসোকে দেখে জ্ঞানচক্ষু খুলে গিয়েছিল ?


  • ছোটোমাসির বিয়ে উপলক্ষ্যে মামার বাড়িতে গিয়ে তপন নতুন মেসোকে দেখেছিল।

  • তপনের জ্ঞানচক্ষু : তপনের ভাবনায় লেখকরা ছিল এক অন্য জগতের মানুষ। কিন্তু লেখক ছোটোমেসোমশাইকে দেখে তার ধারণা সম্পূর্ণ পালটে যায়। তখন দেখল, নিছক সাধারণ মানুষের মতোই তাঁর সমস্ত আচার-আচরণ। তার বাবা, ছোটোমামা বা মেজোকাকুর মতোই তিনিও সিগারেট খান, দাড়ি কামান, বেশি খাবার দিলে বারণ করেন, তর্কে মেতে ওঠেন, দেশের ভবিষ্যৎ সম্পর্কে হতাশা প্রকাশ করে সিনেমা দেখতে কিংবা বেড়াতে চলে যান। এসব দেখেই তপনের জ্ঞানচক্ষু খুলে গিয়েছিল।


“গায়ে কাঁটা দিয়ে উঠল তপনের ”—তপনের গায়ে কখন এবং কেন কাঁটা দিয়ে উঠল ?

  • জীবনের প্রথম গল্পটি লিখে ফেলার পর তপন নিজে যখন সেটা পড়েছিল তখনই তার গায়ে কাঁটা দিয়ে উঠেছিল।

  •  একদিন দুপুরে যখন চারিদিক নিস্তব্ধ, সে একটা খাতা আর কলম নিয়ে মামাবাড়ির তিনতলার সিঁড়িতে বসে সারাদুপুর ধরে একটা আস্ত গল্প লিখে ফেলে। গল্প লেখার পর সে নিজেই গোটা গল্পটা লিখেছে ভেবে অবাক হয়ে যায়। গল্প শেষ করার পর আনন্দে, উত্তেজনায় তপনের সারা গায়ে কাঁটা দিয়ে ওঠে।

জ্ঞানচক্ষু (গল্প) আশাপূর্ণা দেবী – মাধ্যমিক বাংলা প্রশ্ন ও উত্তর | Madhyamik Bengali Gyanchakshu Question and Answer : জ্ঞানচক্ষু (গল্প) আশাপূর্ণা দেবী – মাধ্যমিক বাংলা প্রশ্ন ও উত্তর | Madhyamik Bengali Gyanchakshu Question and Answer নিচে দেওয়া হলো। এই দশম শ্রেণীর বাংলা প্রশ্ন ও উত্তর – WBBSE Class 10 Bengali Gyanchakshu Question and Answer, Suggestion, Notes – জ্ঞানচক্ষু (গল্প) আশাপূর্ণা দেবী | জ্ঞানচক্ষু (গল্প) আশাপূর্ণা দেবী – মাধ্যমিক দশম শ্রেণীর বাংলা প্রশ্ন ও উত্তর | West Bengal Madhyamik Class 10th Bengali Gyanchakshu Question and Answer | জ্ঞানচক্ষু (গল্প) আশাপূর্ণা দেবী প্রশ্ন ও উত্তর

“আঃ ছোটোমাসি, ভালো হবে না বলছি।”—কার উক্তি ? এরূপ বলার কারণ কী ?

  • প্রশ্নোদ্ধৃত বাক্যটি তপনের উক্তি।
  • তপন এক নিস্তব্ধ দুপুরে তার জীবনের প্রথম গল্পটি লিখে ফেলার পরে তার ‘চিরকালের বন্ধু” ছোটোমাসিকে সেই খবর দিতে যায়। বছর আটেকের বড়ো ছোটোমাসি তার গল্পটা সবটা না পড়েই একটু চোখ বুলিয়ে লেখাটির প্রশংসা করে এবং জানতে চায় যে সেটি কোনো জায়গা থেকে তপন নকল করেছে কি না। এ কথার জবাব দিতে গিয়েই কিছুটা অভিমানের সুরে তপন প্রশ্নে উল্লিখিত মন্তব্যটি করে।


তপন বিহ্বল দৃষ্টিতে তাকায়।”—কখন তপনকে এভাবে দেখা যায় এবং তপনের বিহ্বলতার কারণ কী ?

  • যখন তপনের গল্পটি নিয়ে বাড়িতে আলোচনা চলছিল এবং ছোটোমেসো তার লেখার প্রশংসা করছিলেন তখনই তপন বিহ্বল হয়ে গিয়েছিল।
  • আপন মনের মাধুরী মিশিয়ে যে গল্পটি সে লিখেছিল, সেটি ছিল তার সৃষ্টিশীলতার প্রথম প্রকাশ। সেটি পত্রিকায় ছাপা হবে—এই আশা তপনকে পুলকিত করেছিল। তা ছাড়া তার নতুন মেসো তপনের লেখাটার এবং বিষয় নির্বাচনের প্রশংসা করেছিলেন। “ওর হবে।’— একজন প্রতিষ্ঠিত লেখকের মুখে নিজের এই প্রশংসা শুনে তপন আনন্দে বিহ্বল হয়ে পড়ে ছিলো।


“হঠাৎ ভয়ানক একটা উত্তেজনা অনুভব করে তপন।”- তপনের উত্তেজনার কারণ বর্ণনা করো। উত্তেজিত হয়ে তপন কী করেছিল?

  • এক নির্জন দুপুরে মামার বাড়ির তিনতলার সিঁড়িতে বসে তপন হোমটাস্কের খাতায় একটি গল্প লিখে ফেলে। একাসনে বসে লেখা গল্পটি পড়ে সে নিজেই অবাক হয়। নিজের সামর্থ্যের প্রতি তার বিশ্বাস জন্মায়। সে সত্যিই একজন লেখক হতে চলেছে—এই ভাবনাই তাকে উত্তেজিত করে।
  • উত্তেজিত তপন দ্রুত নীচে নেমে আসে এবং তার ‘চিরকালের বন্ধু' ছোটোমাসিকে গল্প লেখার খবরটা দেয়।

গল্প ছাপা হলে যে ভয়ংকর আহ্লাদটা হওয়ার কথা , সে আহ্লাদ খুঁজে পায় না – কার গল্প ? গল্প ছাপা হওয়ার পরেও বক্তার মনে আনন্দ নেই কেন ?

   গল্পটির কথা বলা হয়েছে । এখানে ‘ জ্ঞানচক্ষু গল্পের নায়ক তপনের লেখা ‘ প্রথম দিন ’ আনন্দ না থাকার কারণ → লেখক মেসোর প্রভাব ও পরিচিতির জোরে ছোট্ট তপনের লেখা গল্পটি ‘ সন্ধ্যাতারা ‘ পত্রিকায় প্রকাশিত হয় । তপনের লেখা গল্প ছাপা হওয়ার সংবাদে সারাবাড়িতে শোরগোল পড়ে যায় । কিন্তু তপনের কৃতিত্বের বদলে মেসোর মহত্ত্বকেই বাড়ির বড়োরা বেশি গুরুত্ব দেয় । 

   তাদের মতে মেসোই ও গল্প ছাপিয়ে দিয়েছেন । মেজোকাকু বলেন , এমন মেসো থাকলে তারাও একবার চেষ্টা করে দেখতেন । এসব নানা কথায় তপন ক্রমশ যেন হারিয়ে যায় । তাই মনটা একটু তিক্ত হয়ে যাওয়ায় ; গল্প ছাপা হওয়ার ভয়ংকর আহ্লাদটা সে আর খুঁজে পায় না ।


“তপনের মনে হয় আজ যেন তার জীবনের সবচেয়ে দুঃখের দিন”।—‘আজ’ বলতে কোন্ দিনকে বোঝানো হয়েছে ? তপনের এরকম মনে হওয়ার কী কারণ ছিল?

  • সন্ধ্যাতারা পত্রিকাটি যেদিন তপনের বাড়িতে আসে এবং মায়ের কথায় সে সেখানে তার প্রকাশিত গল্পটি পড়তে যায়, সেদিনের কথাই এখানে বলা হয়েছে।
  • গল্প পড়তে গিয়ে তপন দেখে সংশোধনের নামে ছোটোমেসো সেই লেখার আগাগোড়াই বদলে দিয়েছেন। তার নিজের লেখার সঙ্গে ছেপে আসা লেখার কোনো মিল নেই। লজ্জায়, অপমানে তপন ভেঙে পড়ে। তার চোখে জল চলে আসে। যে দিনটি সবচেয়ে আনন্দের দিন হতে পারত, সেটিকেই তার জীবনের সবচেয়ে দুঃখের দিন বলে মনে হয়।


বুকের রক্ত ছলকে ওঠে তপনের।”—কখন, কেন তপনের এই অবস্থা হয়েছিল ?

  • উত্তর। সময়কাল: মেসোর হাতে সন্ধ্যাতারা পত্রিকা দেখে তপনের এরূপ অবস্থা হয়েছিল।

  • তপনের লেখা গল্পটি তার নতুন মেসো সন্ধ্যাতারা পত্রিকায় ছাপিয়ে দেবেন বলে নিয়ে গিয়েছিলেন। দীর্ঘদিন তপন সেই অপেক্ষায় বসেছিল। তারপর একসময় সে ভুলেই গিয়েছিল গল্পটির কথা। এরপর হঠাৎই তার ছোটোমাসি আর মেসো তাদের বাড়ি বেড়াতে এলেন। তপন মেসোর হাতে সন্ধ্যাতারা পত্রিকা দেখতে পেল। তার গল্প ছাপা হয়েছে—এই প্রত্যাশাতেই তার বুকের রক্ত যেন ছলকে উঠল।

জ্ঞানচক্ষু (গল্প) আশাপূর্ণা দেবী – মাধ্যমিক বাংলা প্রশ্ন ও উত্তর | Madhyamik Bengali Gyanchakshu Question and Answer : জ্ঞানচক্ষু (গল্প) আশাপূর্ণা দেবী – মাধ্যমিক বাংলা প্রশ্ন ও উত্তর | Madhyamik Bengali Gyanchakshu Question and Answer নিচে দেওয়া হলো। এই দশম শ্রেণীর বাংলা প্রশ্ন ও উত্তর – WBBSE Class 10 Bengali Gyanchakshu Question and Answer, Suggestion, Notes – জ্ঞানচক্ষু (গল্প) আশাপূর্ণা দেবী | জ্ঞানচক্ষু (গল্প) আশাপূর্ণা দেবী – মাধ্যমিক দশম শ্রেণীর বাংলা প্রশ্ন ও উত্তর | West Bengal Madhyamik Class 10th Bengali Gyanchakshu Question and Answer | জ্ঞানচক্ষু (গল্প) আশাপূর্ণা দেবী প্রশ্ন ও উত্তর

“পৃথিবীতে এমন অলৌকিক ঘটনাও ঘটে ?”—অলৌকিক ঘটনাটি কী ? তাকে অলৌকিক বলার কারণ ব্যাখ্যা করো ।

  • অলৌকিক ঘটনাটি ছিল সন্ধ্যাতারা পত্রিকায় তপনের লেখা প্রথম গল্পটির প্রকাশ।

  • ‘অলৌকিক' কথাটির অর্থ যা বাস্তবে সম্ভব নয়। দীর্ঘ অপেক্ষার পরে তপন যেদিন দেখল যে, সত্যিই ছোটোমেসোর প্রতিশ্রুতিমতো তার গল্প পত্রিকায় প্রকাশিত হয়েছে, সেটা তার কাছে অবিশ্বাস্য বলে মনে হয়। কারণ ছাপার অক্ষরে তার লেখা গল্প হাজার হাজার ছেলের হাতে ঘুরবে এ ঘটনাকে তপনের এতটাই অসম্ভব বলে মনে হয় যে, সে সেটিকে 'অলৌকিক' বলে মনে করে।


তপনের মাথায় ঢোকে না’— কী মাথায় ঢোকে না ? কেন ঢোকে না ?

   ‘ সন্ধ্যাতারা ‘ পত্রিকায় প্রকাশিত গল্পটি পড়তে গিয়ে তপন কাঁ মাথায় ঢোকে না টের পায় সংশোধনের নামে লেখক মেসো তা আগাগোড়া বদলে দিয়েছেন । নিজের নামে প্রকাশিত এই আনকোরা , অপরিচিত গল্পটি সে গড়গড়িয়ে পড়লেও; আসলে তার মাথায় ঢোকে না । 

   তপন পত্রিকা হাতে পেয়ে পড়ার সময় হতবাক হয়ে যায় । এ গল্প তার নামে প্রকাশিত হলেও , মূলত মেসোর পাকা হাতের লেখা । এই লেখায় কোথাও সে নিজেকে খুঁজে পায় না । লেখাটি পড়তে কেন ঢোকে না । চেষ্টা করলেও সে স্তম্ভিত ও বোবা হয়ে যায় । পরে সকলের বকুনি খেয়ে গড়গড়িয়ে পড়ে , কিন্তু নিজের বলে ভাবতে পারে না ।


শুধু এই দুঃখের মুহূর্তে গভীরভাবে সংকল্প করে তপন”- কোন্ দুঃখের মুহূর্তের কথা বলা হয়েছে ? তপন গভীরভাবে কী সংকল্প করেছিল ?

  • নিজের লেখা হিসেবে সন্ধ্যাতারা পত্রিকায় তপন যখন অন্যের লেখা পড়েছিল সেটাই ছিল তার চরম দুঃখের মুহূর্ত।

  • নিজের লেখা পড়তে গিয়ে তপন দেখে, মেসোমশাই আগাগোড়াই লেখাটা সংশোধন করে নিজের পাকা হাতে গল্পটি লিখে দিয়েছেন। অপমানে, লজ্জায় তপন প্রতিজ্ঞা করে যদি আর কোনোদিন লেখা ছাপানোর হয়, সে নিজে গিয়ে তা ছাপতে দেবে। না ছাপলেও ক্ষতি নেই, অন্তত নিজের নামে অন্য কারও লেখা তাকে পড়তে হবে না ।


“তপন যেন কোথায় হারিয়ে যায় এইসব কথার মধ্যে।” 'এইসব কথা' বলতে কী বোঝানো হয়েছে? তপনের হারিয়ে যাওয়ার কারণ কী ?

  •  সন্ধ্যাতারা পত্রিকায় তপনের গল্প প্রকাশের পরে মেসো সুকৌশলে প্রকাশ করে দেন তাঁর 'কারেকশান- এর কথা। সে কথাটাই এরপর ছড়িয়ে পড়ে সারা বাড়িতে। তপনের বাবা যাবতীয় কৃতিত্ব মেসোমশাইকেই দেন। তার মেজোকাকু বলেন যে, ওরকম মেসো থাকলে তাঁরাও গল্প লেখার চেষ্টা করতেন। এমনকি তিনি না থাকলে তপনের গল্প সম্পাদক যে ছুঁয়েও দেখতেন না, সে-কথাও বলা হয়। ‘এইসব কথা' তপনকে প্রভাবিত করে।

  • তপনের হারিয়ে যাওয়ার কারণ এইসব কথা তার সব আনন্দকে অদৃশ্য করে দেয়।


“সারা বাড়িতে শোরগোল পড়ে যায়” – “শোরগোল’ কথার অর্থ কী? কোন্ ঘটনায় এই শোরগোল পড়ে যায় ?

  • ‘শোরগোল' কথাটির অর্থ হইচই।
  • নিজের লেখা প্রথম গল্পটি ছোটোমেসোর প্রতিশ্রুতিমতো পত্রিকায় ছাপার অক্ষরে দেখার জন্য অপেক্ষা করতে করতে হতাশ হয়ে পড়ে তপন। এই সময়েই সন্ধ্যাতারা পত্রিকা নিয়ে ছোটোমাসি এবং মেসোর আগমন ঘটে তাদের বাড়িতে। ছাপার অক্ষরে নিজের লেখা, সূচিপত্রে নিজের নাম দেখে তপন যখন শিহরিত, তখনই বাড়িতেও শোরগোল পড়ে যায়। তপনের লেখা গল্পটি সকলের মধ্যেই আলোড়ন তোলে।


গায়ে কাঁটা দিয়ে উঠল তপনের তপন কে ? তার গায়ে কেন কাঁটা দিয়ে উঠল ?

   আশাপূর্ণা দেবীর ‘জ্ঞানচক্ষু’ গল্পের নায়ক হল তপন । তপন তার নতুন গায়ে কেন কাঁটা দিল মেসোমশাইকে দেখে বোঝে লেখকেরাও আর সকলেরই মতো সাধারণ মানুষ । এর আগে সে কখনও জলজ্যান্ত একজন লেখককে এভাবে এত কাছ থেকে দেখেনি । 

   ফলে মেসোমশাইয়ের দৃষ্টাস্তে অনুপ্রাণিত হয়ে সে স্কুলের হোমটাস্কের খাতায় একাসনে বসে আস্ত একটা গল্প লিখে ফেলে । লেখার পর নিজের প্রথম গল্পটি পড়ে রোমাঞ্চে ও উত্তেজনায় তার গায়ে কাঁটা দিয়ে উঠেছিল । 


"...সে আহ্লাদ খুঁজে পায় না।”—কার কথা বলা হয়েছে? সেই আহ্লাদ না হওয়ার কারণ কী ছিল ?

  • প্রশ্নোদ্ধৃত অংশে তপনের কথা বলা হয়েছে।
  • তপনের ছোটোমেসোর সহায়তায় সন্ধ্যাতারা পত্রিকায় তার গল্প প্রকাশিত হলে চারিদিকে সবাই মেসোর মহত্ত্বের কথাই বলতে থাকে। মেসো না থাকলে কোনোদিনই সন্ধ্যাতারা পত্রিকার সম্পাদক তপনের লেখা ছুঁয়েও দেখত না—এরকম কথাও অনেকে বলে। এইসব কথার মাঝখানে আসল যে লেখক, সে-ই যেন কোথাও হারিয়ে যায়। তপনের যেন কোনো কৃতিত্বই নেই। এইসব দেখে লেখা ছেপে আসার পর যে আহ্লাদ হওয়া উচিত ছিল তা হয় না তপনের।

গল্প ছাপা হলে যে ভয়ংকর আহ্লাদটা হওয়ার কথা , সে আহ্লাদ খুঁজে পায় না – কার গল্প ? গল্প ছাপা হওয়ার পরেও বক্তার মনে আনন্দ নেই কেন ?

    গল্পটির কথা বলা হয়েছে । এখানে ‘ জ্ঞানচক্ষু গল্পের নায়ক তপনের লেখা ‘ প্রথম দিন ’ আনন্দ না থাকার কারণ → লেখক মেসোর প্রভাব ও পরিচিতির জোরে ছোট্ট তপনের লেখা গল্পটি ‘ সন্ধ্যাতারা ‘ পত্রিকায় প্রকাশিত হয় । তপনের লেখা গল্প ছাপা হওয়ার সংবাদে সারাবাড়িতে শোরগোল পড়ে যায় । কিন্তু তপনের কৃতিত্বের বদলে মেসোর মহত্ত্বকেই বাড়ির বড়োরা বেশি গুরুত্ব দেয় । তাদের মতে মেসোই ও গল্প ছাপিয়ে দিয়েছেন ।

   মেজোকাকু বলেন , এমন মেসো থাকলে তারাও একবার চেষ্টা করে দেখতেন । এসব নানা কথায় তপন ক্রমশ যেন হারিয়ে যায় । তাই মনটা একটু তিক্ত হয়ে যাওয়ায় ; গল্প ছাপা হওয়ার ভয়ংকর আহ্লাদটা সে আর খুঁজে পায় না । 


“এতক্ষণে বইটা নিজের হাতে পায় তপন।”—কোন্ বইটার কথা বলা হয়েছে? সেটি হাতে পেয়ে তপন কী দেখতে পেয়েছিল? 

  • সন্ধ্যাতারা নামক পত্রিকায় তপনের গল্প ছাপা হয়েছিল। বই বলতে এখানে ওই পত্রিকাকেই বোঝানো হয়েছে।


  • তীব্র উত্তেজনা আর কৌতূহল নিয়ে তপন পত্রিকাটির পাতা ওলটায়। কিন্তু পরক্ষণেই নিজের গল্প পড়তে গিয়ে সে চমকে ওঠে। গল্পের প্রতিটি লাইন তার কাছে সম্পূর্ণ নতুন মনে হয়। তার লেখার সঙ্গে ছাপার অক্ষরের কোনো মিল নেই। নিজের লেখা গল্পের মধ্যে সে আর নিজেকেই খুঁজে পায় না।


“যে ভয়ংকর আহ্লাদটা হবার কথা, সে আহ্লাদ খুঁজে পায় না।”—“আহ্লাদ' হবার কথা ছিল কেন? 'আহ্লাদ খুঁজে' না পাওয়ার কারণ কী ?

  • তপনের লেখা গল্প সন্ধ্যাতারা পত্রিকায় প্রকাশিত হলে লেখক হিসেবে তার নাম ছাপা হবে—এ কথা ভেবেই তপনের আহ্লাদ হওয়ার কথা ছিল।
  • তপনের ছোটোমেসোর সহায়তায় সন্ধ্যাতারা পত্রিকায় তার গল্প প্রকাশিত হলে চারিদিকে সবাই মেসোর মহত্ত্বের কথাই বলতে থাকে। মেসো না থাকলে কোনোদিনই সন্ধ্যাতারা পত্রিকার সম্পাদক তপনের লেখা ছুঁয়েও দেখত না—এরকম কথাও অনেকে বলে। এইসব কথার মাঝখানে আসল যে লেখক, সে-ই যেন কোথাও হারিয়ে যায়। তপনের প্রত্যাশামতো কেউ লেখকের প্রশংসা করে না। তপনের যেন কোনো কৃতিত্বই নেই। এইসব দেখে  তার লেখা ছাপা হওয়ার পর যে আনন্দের বা আহ্লাদ হওয়ার কথা ছিল তার কিছুই হয় না তপনের।

যদি কখনো লেখা ছাপতে দেয় তো , তপন নিজে গিয়ে দেবে — কোন্ লেখার কথা বলা হয়েছে ? সে – লেখা তপন নিজে গিয়ে ছাপতে দেবে কেন ?

   ‘ জ্ঞানচক্ষু ‘ গল্প থেকে গৃহীত উদ্ধৃতাংশে ‘ লেখা ‘ বলতে তপনের গল্পের কথা বলা হয়েছে । লেখা নিজে ছাপতে দেবে কেন তপনের জীবনের সবচেয়ে আনন্দঘন দিনটি মুহূর্তের মধ্যে সবচেয়ে দুঃখের দিনে পর্যবসিত হয় । কারণ পত্রিকায় প্রকাশিত গল্পটি তপন পড়তে গিয়ে টের পায় , সংশোধনের নামে লেখক – মেসো প্রায় সম্পূর্ণ গল্পটিই বদলে দিয়েছেন । এ ঘটনায় সে আহত হয় । আর যাই হোক গল্পটিকে নিজের গল্প বলা যায় না ।

   বিশেষত নিজের গল্প পড়তে বসে অন্যের লেখা লাইন পড়া যে কতটা দুঃখ ও অসম্মানের তা তপন উপলব্ধি করে । তাই এমন দুঃখের দিনে সে সংকল্প করে লেখা ছাপা হোক কিংবা নাই হোক ; ভবিষ্যতে লেখা ছাপতে দিলে নিজে গিয়ে দেবে ।


 তার চেয়ে দুঃখের কিছু নেই , তার থেকে অপমানের ! – কে অপমানিত হয়েছিল ?

   আশাপূর্ণা দেবীর ‘ জ্ঞানচক্ষু ‘ গল্পের নায়ক তপন অপমানিত কেন অপমানিত ] লেখক মেসোমশাইকে দেখে অনুপ্রাণিত হয়ে ছোট্ট তপন একটি গল্প লিখে ফেলে । গল্প লেখার উত্তেজনায় ও রোমাঞ্চে সে গল্পটি ছোটোমাসিকে দেখায় । ফলে তা নতুন মেসোর হাতে পড়ে এবং তিনি তপনের লেখার প্রশংসা করেন ; সেটি পত্রিকায় ছাপিয়ে দেওয়ার প্রতিশ্রুতি দেন । 

   পত্রিকায় গল্প ছাপা হওয়ার পর তপন দেখে সমস্ত গল্পটাই মেসো তার পাকা হাতের কলমে আগাগোড়া নতুন করে লিখে দিয়েছেন । নিজের লেখা গল্প পড়তে বসে অন্যের লেখা পড়ার যন্ত্রণা তাকে বিদ্ধ করে । এভাবে আত্মমর্যাদা হারানোর ফলে তপন অপমানিত বোধ করেছিল ।


"মেসোর উপযুক্ত কাজ হবে সেটা"-  কোনটি এবং কেনো মেসোর উপযুক্ত কাজ হবে বলে বক্তার মনে হয়েছে ?

  •     তপন লেখা প্রথম দিন গল্প পত্রিকায় ছাপিয়ে দিলে সেটা মেসোর উপযুক্ত কাজ হবে বলে মাসি মনে করেছে।
  • তপন একটা গল্প লিখেছিল। ছোটোমাসি সেই গল্পটি ছাপাবার উদ্দেশ্যে তপনের ছোটোমেসোর হাতে দেয়। মেসো গল্পটি পড়েন এবং বলেন যে, একটু কারেকশান করে দিয়ে সেটি ছাপতে দেওয়া চলে। তপনের উদ্যোগকে উৎসাহ দিতে ছোটোমাসি তার স্বামীকে গল্পটি ছাপিয়ে দিতে অনুরোধ করে। সে মনে করে সেটাই হবে তার স্বামী অর্থাৎ তপনের ছোটোমেসোর উপযুক্ত কাজ ।

জ্ঞানচক্ষু (গল্প) আশাপূর্ণা দেবী – মাধ্যমিক বাংলা প্রশ্ন ও উত্তর | Madhyamik Bengali Gyanchakshu Question and Answer : জ্ঞানচক্ষু (গল্প) আশাপূর্ণা দেবী – মাধ্যমিক বাংলা প্রশ্ন ও উত্তর | Madhyamik Bengali Gyanchakshu Question and Answer নিচে দেওয়া হলো। এই দশম শ্রেণীর বাংলা প্রশ্ন ও উত্তর – WBBSE Class 10 Bengali Gyanchakshu Question and Answer, Suggestion, Notes – জ্ঞানচক্ষু (গল্প) আশাপূর্ণা দেবী | জ্ঞানচক্ষু (গল্প) আশাপূর্ণা দেবী – মাধ্যমিক দশম শ্রেণীর বাংলা প্রশ্ন ও উত্তর | West Bengal Madhyamik Class 10th Bengali Gyanchakshu Question and Answer | জ্ঞানচক্ষু (গল্প) আশাপূর্ণা দেবী প্রশ্ন ও উত্তর

জ্ঞানচক্ষু গল্পের বড় প্রশ্ন উত্তর

  মহাশ্বেতা দেবী রচিত জ্ঞানচক্ষু গল্পটি পশ্চিমবঙ্গ মাধ্যমিক শিক্ষা পর্ষদের দশম শ্রেণীর পাঠ্যসূচির অন্তর্ভুক্ত এই গল্পটি থেকে বিগত কয়েক বছর বেশ গুরুত্বপূর্ণ কিছু প্রশ্ন মাধ্যমিক পরীক্ষায় করা হয় সুতরাং মাধ্যমিক পরীক্ষার্থীদের জন্য জ্ঞানচক্ষু গল্পটি অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ এই গল্পটি থেকে যে সমস্ত বড় প্রশ্ন পরীক্ষাতে আসার মত এবং প্রত্যেকটি ছাত্রছাত্রীর জানা উচিত সেগুলি সম্পর্কে আলোচনা করলাম এছাড়া উপরে যথাক্রমে জ্ঞানচক্ষু ছোট গল্পের সংক্ষিপ্ত প্রশ্ন এবং তিন মার্কের প্রশ্নগুলি সম্পর্কে আলোচনা করা হয়েছে, প্রয়োজন অনুসারে সেগুলি দেখে নিতে পারেন। 


ছোট গল্প হিসেবে জ্ঞানচক্ষু কতখানি সার্থকতা আলোচনা কর।

   সাহিত্যের শাখা বহু বিচিত্র আর এই বিচিত্রতার মধ্যে অন্যতম উল্লেখযোগ্য একটি শাখা হলো ছোটগল্প আধুনিক যুগের এই শাখাটি অত্যন্ত জনপ্রিয় আর এই জনপ্রিয় ধারায় যে সমস্ত লেখক বাল লেখিকা ছোট গল্পকে আরো বেশি আকর্ষণীয় করে তুলেছেন তাদের মধ্যে অন্যতম মহাশ্বেতা দেবী। 

  প্রশ্ন অনুযায়ী উত্তর আলোচনার আগেই বলা যায় মহাশ্বেতা দেবীর রচিত জ্ঞানচক্ষু একটি নিঃসন্দে সার্থক ছোট গল্প। কারণ ছোট গল্পের সমস্ত বৈশিষ্ট্য গুলি এই গল্পের মধ্যে আমরা লক্ষ্য করি।  তবুও প্রশ্ন অনুসারে জ্ঞানচক্ষু গল্পটি সার্থক ছোটগল্প কিনা সে বিচারে অগ্রসর হওয়া যাক।

  ছোট গল্পের অন্যতম একটি বৈশিষ্ট্য হলো আকস্মিকভাবে শুরু হওয়া আমরা আলোচিত জ্ঞানচক্ষু গল্পটিতে লক্ষ্য করি গল্পটি শুরু হয়েছে তখন এর চোখ মার্বেল হয়ে যাওয়ার মধ্য দিয়ে অর্থাৎ বলতে পারি কোন চলমান জীবনের হঠাৎ করে উঠে আসা মুহূর্ত থেকে এই গল্পের শুরু।

   আবার তপন নামের একটি কিশোর চরিত্রকে গল্পের কেন্দ্রে রেখে লেখিকা তার স্বপ্ন আর স্বপ্নভঙ্গের কাহিনী রচনা করেছেন। যেখানে তপনের নতুন মেসোমশাই তার রচিত প্রথম ছোট গল্পেরই আপাদমস্ত কালেকশন করে দিয়েছেন। এবং সেই কিশোর সত্তাকে লেখিকা মানসিক দ্বন্দ্ব ও সংঘাতের মধ্য দিয়ে ছোট গল্পের চরমতম পর্যায় বা ক্লাইম্যাক্স এ নিয়ে গেছেন।

   যে পরিস্থিতিতে তখন তার নিজের লেখা গল্পটি পড়ে হতভম্ব হয়ে উঠেছে সে অনুভব করেছে এ লেখা তার নয় আর এই চরমতম পরিস্থিতিতে পৌঁছে সে জ্ঞানলাভ করেছে, আর এই গেল্লভের ফলেই তার প্রকৃত জ্ঞানচক্ষুর উন্মেষ ঘটেছে। এখানে মনে রাখার প্রয়োজন এই ক্লাইম্যাক্স বার শীর্ষ মুহূর্ত ছোটগল্পের অন্যতম একটি বৈশিষ্ট্য যা আমরা এই গল্পে লক্ষ্য করি।

  ছোট গল্পের অন্যতম একটি বৈশিষ্ট্য যা অল্পতম পরিসরে পাঠ করে শেষ করা যায় অর্থাৎ আয়তন গত দিক থেকেও এটি সংক্ষিপ্ত রচনা যা ছোট গল্পের বৈশিষ্ট্যকে পালন করেছে।  

  ছোট গল্পের অন্যতম একটি উল্লেখযোগ্য বৈশিষ্ট্য হলো হঠাৎ করেই থেমে যাওয়া কিন্তু বাস্তব জীবনে তার একটা রেস থেকে যাবে আমরা জ্ঞানচক্ষু গল্পে দেখি তপন তার আত্মজ্ঞানীতে উপস্থিত হয়েছে এবং তার প্রকৃত জ্ঞানের উন্মেষ ঘটেছে। আর এমত পরিস্থিতিতেই লেখিকা গল্পের সমাপ্তি টেনেছেন এখানে পাঠকদের মনে একটা রেস থেকে যায় পরবর্তীতে তখনই সম্পর্কে আরো কিছু জানতে। যেখানে মনে হয় যে পরবর্তীতে তখন কোন রচনা নিজের হাতে প্রকাশকের কাছে পাঠিয়েছে কিনা বা তার প্রকৃত জ্ঞানচক্ষু প্রকৃত লেখক করতে পেরেছে কিনা।

  যাইহোক মোটামুটি এগুলির বিচারে আমরা পাঠ্য জ্ঞানচক্ষু গল্পটিকে নিঃসন্দেহে একটি প্রকৃত ছোট গল্প বলতেই পারি।


জ্ঞানচক্ষু (গল্প) আশাপূর্ণা দেবী – মাধ্যমিক বাংলা প্রশ্ন ও উত্তর | Madhyamik Bengali Gyanchakshu Question and Answer : জ্ঞানচক্ষু (গল্প) আশাপূর্ণা দেবী – মাধ্যমিক বাংলা প্রশ্ন ও উত্তর | Madhyamik Bengali Gyanchakshu Question and Answer নিচে দেওয়া হলো। এই দশম শ্রেণীর বাংলা প্রশ্ন ও উত্তর – WBBSE Class 10 Bengali Gyanchakshu Question and Answer, Suggestion, Notes – জ্ঞানচক্ষু (গল্প) আশাপূর্ণা দেবী | জ্ঞানচক্ষু (গল্প) আশাপূর্ণা দেবী – মাধ্যমিক দশম শ্রেণীর বাংলা প্রশ্ন ও উত্তর | West Bengal Madhyamik Class 10th Bengali Gyanchakshu Question and Answer | জ্ঞানচক্ষু (গল্প) আশাপূর্ণা দেবী প্রশ্ন ও উত্তর

জ্ঞানচক্ষু' গল্প অবলম্বনে তপন চরিত্রটির পরিচয় দাও।

আশাপূর্ণা দেবীর ‘জ্ঞানচক্ষু' গল্পের কেন্দ্রীয় চরিত্র তপন। তার চরিত্রের যে বৈশিষ্ট্যগুলি গল্পে দেখতে পাওয়া যায়, তা হল—

  লেখক সম্পর্কে তপনের মনে এক বিস্ময় বাসা বেঁধেছিল। সে ভাবত, লেখকরা অন্য জগতের বাসিন্দা, আর পাঁচটা সাধারণ মানুষের সঙ্গে তাঁদের কোনো মিলই নেই। 

  ছোটোমাসির বিয়ের পর তপনের ধারণা সম্পূর্ণ বদলে যায়। কারণ তার নতুন মেসো ছিলেন একজন লেখক, যাঁর অনেক বই ছাপা হয়েছে। একজন লেখককে খুব কাছ থেকে দেখে লেখক হওয়ার প্রেরণায় তপন লিখে ফেলে সম্পূর্ণ একটা গল্প। নতুন মেসো সেই গল্পের প্রশংসা করায় তপন লেখক হওয়ার স্বপ্ন দেখতে শুরু করে।

   সন্ধ্যাতারা পত্রিকায় তপনের গল্পটা ছেপে বেরোলে সে অবাক হয়ে যায়। এর কারণ, মেসো সংশোধন করতে গিয়ে তার লেখা গল্পটা আগাগোড়া পালটে দিয়েছেন। তপন সেই গল্পের মধ্যে নিজেকেই খুঁজে পায় না। তাই সে হতাশ হয়ে পড়ে।

   মেসোর সংশোধনের ফলে তার নিজের লেখার পালটে যাওয়া তপন মেনে নিতে পারে না। তাই সে সংকল্প করে, ছাপা হোক বা না হোক, এবার থেকে নিজের লেখা নিজেই পত্রিকা সম্পাদকের কাছে জমা দেবে। এই আত্মসম্মানবোধই তপনকে দৃঢ় সংকল্পবদ্ধ করেছে।


তপন আর পড়তে পারে না । বোবার মতো বসে থাকে – তপনের এরকম অবস্থার কারণ বর্ণনা করো ।

   আশাপূর্ণা দেবীর ‘ জ্ঞানচক্ষু ‘ গল্পের কেন্দ্রীয় চরিত্র তপনের ইচ্ছে ছিল লেখক হওয়ার । একই সঙ্গে লেখকদের সম্বন্ধে তার ধারণা ছিল , তাঁরা বুঝি আকাশ থেকে পড়া অতিলৌকিক কোনো প্রতিভা । কিন্তু তার ছোটোমাসির বিয়ের পর নতুন মেসোকে দেখে তার সেই ভুল ভাঙে ।

   তার নতুন মেসো অধ্যাপক , বই লেখেন । সেসব বই ছাপাও হয় অথচ প্রান্তিক মাধ্যমিক বাং মেসোর আচার – আচরণের সঙ্গে তার বাবা , ছোটোমামা বা মেজোকাকুর আচার – অচারণের কোনো তফাতই সে খুঁজে পায় না । নতুন মেসোকে দেখে অনুপ্রাণিত তপন একটি আস্ত গল্প লেখে , যেটি তার মাসির হাত ঘুরে মেসোর হাতে গিয়ে পড়ে । মাসির পীড়াপীড়িতে সামান্য কারেকশন করে সেই গল্প ‘ সন্ধ্যাতারা ‘ পত্রিকায় ছাপানোর আশ্বাস দেন নতুন মেসো । বাড়িতেও সে নিয়ে আনন্দের শেষ নেই ।

   অনেকদিনের ইচ্ছে হয়তো এবার পূরণ হতে চলেছে — এই ভেবেই একটু সংশয়কে সঙ্গী করেই তপনের মনও উচ্ছ্বসিত হয়ে ওঠে । কিন্তু যথাসময়ে ‘ সন্ধ্যাতারা ‘ – য় ছাপা লেখাটি পড়তে গিয়ে তপন টের পায় কারেকশনের নামে লেখক – মেসো গল্পের আগাগোড়া বদলে দিয়েছেন । নির্বিচারে কলম চালানোয় নিজের নামে ছাপানো গল্পে সে আর নিজেকেই খুঁজে পায় না । তপনের লেখকমন আহত হয় । নিজের গল্প পড়তে বসে অন্যের লেখা লাইন পড়ার দুঃখযন্ত্রণা তাকে কুরে কুরে খায় । লজ্জা , অনুশোচনা আর আত্মসম্মানহীনতায় তার বাক্‌রোধ হয়ে আসে ।


‘জ্ঞানচক্ষু' গল্পে তপনের জ্ঞানচক্ষুর উন্মীলন কীভাবে হয়েছে তা বর্ণনা করো।

   তপনের নিজস্ব ভাবনায় লেখকরা ছিল অন্য জগতের মানুষ। কিন্তু তার লেখক ছোটোমেসোকে দেখে এবং তাঁর আচার ব্যবহার পর্যবেক্ষণ করে তপন বোঝে, লেখকরা সাধারণ মানুষের মতোই। সেই মুহূর্তে তার জ্ঞানচক্ষু খুলে যায়। যদিও তপনের জ্ঞানচক্ষু প্রকৃতপক্ষে আরও অনেক পরে খুলেছিল।

   তপনের সারাদুপুর ধরে লেখা গল্পটা তার ছোটোমাসি একরকম জোর করেই তার মেসোকে দেখায়। ছোটোমেসো সেই লেখার প্রশংসাও করেন। কিন্তু পাশাপাশি এ কথাও বলেন যে, গল্পটার একটু সংশোধনের দরকার। ছোটোমেসোর বক্তব্য: ছোটোমেসো সেই লেখা ছাপানোর ব্যবস্থাও করে দেবেন বলে কথা দেন। তপন অধীর আগ্রহে অপেক্ষা করে থাকে ছাপার অক্ষরে নিজের লেখা দেখবে বলে।

   সন্ধ্যাতারা পত্রিকায় সত্যিই তার লেখা একসময় প্রকাশিত হয়। ছাপার অক্ষরে নিজের নাম দেখে তপন এক অদ্ভুত আনন্দ অনুভব করে। নিজস্বতা খুঁজে না পাওয়া: কিন্তু সবাইকে লেখাটা পড়ে শোনাতে গিয়ে সে ছাপার অক্ষরে লেখার সঙ্গে নিজের লেখাটির কোনো মিল খুঁজে পায় না।

   পুরো লেখাটা আগাগোড়াই তার মেসোমশাইয়ের সংশোধন করা। গভীর দুঃখ ও জ্ঞানচক্ষুর উন্মীলন: দুঃখে, লজ্জায়, অপমানে তপন ভেঙে পড়ে। এবার যেন প্রকৃতই তার অন্তর্দৃষ্টি জেগে ওঠে। নিজের সৃষ্টির প্রতি অধিকারবোধ জন্মায় তপনের মনে। সে দৃঢ় সংকল্প করে, নিজের লেখা সে নিজেই ছাপতে দেবে, অন্যের দয়া গ্রহণ করবে না।


“তপনের মনে হয় আজ যেন তার জীবনের সবচেয়ে দুঃখের দিন।”— তপনের এই মনে হওয়ার কারণ গল্পের কাহিনি অবলম্বনে আলোচনা করো। অথবা, 'আজ' বলতে কোন দিনের কথা বলা হয়েছে? তপনের এমন মনে হওয়ার কারণ কী?

   আশাপূর্ণা দেবীর 'জ্ঞানচক্ষু' গল্পে যেদিন তপনের ছোটোমাসি আর মেসোমশাই সন্ধ্যাতারা পত্রিকা নিয়ে তাদের বাড়িতে এসেছিলেন এবং যেখানে তার প্রথম গল্প ছাপা হয়েছিল – সেদিনের কথা বলা হয়েছিল।

    আশাপূর্ণা দেবীর 'জ্ঞানচক্ষু' গল্পে তার নতুন মেসোমশাইকে দেখে লেখকদের সম্পর্কে তপনের কাল্পনিক ধারণা সম্পূর্ণ ভেঙে গিয়েছিল। সে অবাক হয়েছিল এই দেখে যে, লেখকরাও একেবারেই সাধারণ মানুষ। তখন তপনের মনেও লেখক হওয়ার সাধ জেগে ওঠে এবং সে লিখে ফেলে তার জীবনের প্রথম গল্পটি। 

   কৌশলে ছোটোমাসির হাত ঘুরে সে গল্প পৌঁছেও যায় মেসোমশাইয়ের কাছে। কিছু কারেকশানের কথা বললেও তপনের বিষয়ভাবনার মৌলিকতার কথা বলে সেটিকে ছাপিয়ে দেওয়ার প্রতিশ্রুতি দেন মেসোমশাই। অপেক্ষারত তপন: শুরু হয় তপনের দিন গোনা। একসময় সন্ধ্যাতারা পত্রিকায় প্রকাশিত হয় সেই লেখা—'প্রথম দিন'। কিন্তু যা হতে পারত তপনের জীবনের ‘সবচেয়ে সুখের দিন', তাই হয়ে যায় তার ‘সবচেয়ে দুঃখের দিন'। 

    ছাপার অক্ষরে নিজের যে লেখা প্রকাশকে তার 'অলৌকিক' ঘটনা বলে মনে হয়েছিল, তা-ই তাকে প্রায় বাক্যহীন করে দেয়। চারপাশে তপনের গল্পের প্রশংসার থেকেও মেসোর মহত্ত্বই সবচেয়ে বেশি আলোচনার বিষয় হয়ে ওঠে। স্বপ্নভঙ্গ: তপনের অপমান তীব্র হয় লেখাটি পড়তে গিয়ে। সে দেখে, রচনার একটি লাইনও তার চেনা নয়—মেসোমশাই গল্পটিকে আগাগোড়াই কারেকশান করে দিয়েছেন। লেখক তপন হারিয়ে গিয়েছে সেই গল্প থেকে। চোখ জলে ভিজে যায় তপনের।


জ্ঞানচক্ষু গল্পে জ্ঞানচক্ষু বলতে কী বোঝানো হয়েছে ? গল্পটি পড়ে তুমি কী শিক্ষা পেলে লেখো ।

  ‘জ্ঞানচক্ষু‘ গল্পটির লেখিকা কথাশিল্পী আশাপূর্ণা দেবী । তিনি জ্ঞানচক্ষু কী ? জ্ঞানচক্ষু ’ বলতে মানুষের আত্ম – অনুভূতি এবং অন্তদৃষ্টি লাভের বিষয়টিকে তুলে ধরতে চেয়েছেন । ” জ্ঞানচক্ষু ‘ গল্পটির নায়ক তপন । ছোট্ট তপন তার সীমিত জীবনবৃত্তে কখনও কোনো লেখককে দেখেনি । তাই সত্যিকারের লেখক নতুন মেসোকে দেখে সাহিত্যিক সম্পর্কে তার সমস্ত ভুল ধারণার নিরসন হয় । মেসোকে হাতের কাছে পেয়ে অনুপ্রাণিত হয়ে সে নিজেই এবার একটা আস্ত গল্প লিখে ফেলে ।

   এরপর মাসির প্রশ্রয়ে এবং লেখক মেসোর প্রভাবে সেই গল্পটি পত্রিকায় প্রকাশিত হয় । সে মনে মনে বেশ গর্বও অনুভব করে । কিন্তু ছাপা লেখাটি পড়তে গিয়ে টের পায় সংশোধন করতে গিয়ে লেখক – মেসো গল্পের আগাগোড়া বদলে দিয়েছেন । নির্বিচারে কলম চালানোয় নিজের নামে সঙ্গ পড়ে প্রাপ্ত শিক্ষা ছাপানো গল্পে সে আর নিজেকেই কোথাও খুঁজে পায় না । ফলে তপনের লেখকমন আহত হয় । সে দুঃখে , লজ্জায় ও অসম্মানে একলা হাতে গিয়ে কেঁদে ফেলে ।

   এমন গভীর খারাপ লাগার দিনে দাঁড়িয়ে সে সংকল্প করে ; ভবিষ্যতে কারও মুখাপেক্ষী না হয়ে নিজের লেখা নিজেই ছাপতে দেবে । আসলে কাউকে অবলম্বন করে কিছু পেতে গেলে যে আত্মসম্মান খুইয়ে নিজের মনের আয়নায় নিজেকেই ছোটো হয়ে যেতে হয় এই শিক্ষাই তপন লাভ করে আর আমরাও তার সঙ্গে টের পাই স্বকীয়তা এবং আত্মমর্যাদাবোধের সঙ্গে আপস করে কখনই জীবনে কিছু লাভ করা যায় না । 


" তপন আর পড়তে পারে না। বোবার মতো বসে থাকে।”— তপনের এরকম অবস্থার কারণ বর্ণনা করো।

   আশাপূর্ণা দেবীর 'জ্ঞানচক্ষু' গল্পে তপনের লেখা গল্প তার ছোটোমেসোমশায়ের উদ্যোগে সন্ধ্যাতারা পত্রিকায় প্রকাশিত হয়। তিনি গল্পটিকে প্রকাশযোগ্য করে তোলার জন্য যে সংশোধন করেছেন সেকথা সুকৌশলে প্রচার করে দেন। তপনের লেখার থেকে মেসোমশায়ের সংশোধনের কথাটাই বেশি আলোচিত হতে থাকে।

   আর এর মধ্য থেকে গল্প ছাপার আনন্দটা তপন যেন আর খুঁজে পায় না। কিন্তু এর থেকেও বেদনাদায়ক অভিজ্ঞতা তার হয়, যখন তার মা তপনকে নিজের মুখে গল্পটা পড়তে বলেন। লজ্জা ভেঙে তপন যখন গল্পটা পড়তে যায় দেখে তার প্রত্যেকটি লাইন “নতুন আনকোরা, তপনের অপরিচিত।” সে গল্পের মধ্যে তপনের নিজের লেখা কোথাও নেই। সংশোধনের নামে ছোটোমেসো তপনের গল্পটিকে নতুন করে লিখেছেন, “তাঁর নিজের পাকা হাতের কলমে।” নিজের গল্পের এই পরিণতিই তপনকে বাদ্ধ করে দেয়। সে আর পড়তে পারে না, বোবার মতো স্তব্ধ হয়ে বসে থাকে।


তপনের ছোটোমাসির চরিত্রটি আলোচনা করো ।

   ‘জ্ঞানচক্ষু’ গল্পে আশাপূর্ণা দেবী সৃষ্ট চরিত্রগুলির মধ্যে ছোটো অথচ বেশ শক্তিশালী চরিত্র হল তপনের ছোটোমাসির চরিত্রটি । ছোটোমাসি বয়সে তপনের চেয়ে বছর আষ্টেকের বড়ো । প্রায় সমবয়সি ছোটোমাসি ছিল তপনের চিরকালের বন্ধু । মামার বাড়িতে এলে তপনের যাবতীয় কর্মকাণ্ডের সঙ্গী ছিল সে । তাই তপন প্রথমবার গল্প লিখে বন্ধুত্বপূর্ণ ছোটোমাসিকেই সকলের আগে দেখায় । সদ্যবিবাহিতা ছোটোমাসির স্বামী একজন অধ্যাপক ।

    তিনি আবার বইও লেখেন । তাই বিয়ের পর থেকে ছোটোমাসির মধ্যে একটা মুরুব্বি মুরুব্বি ভাব এসেছে । তপনের লেখা গল্পটি পুরোটা না পড়েই স্বামী গর্বে গর্বিতা সে তার মতামত জানায় এবং লেখাটা নিয়ে যায় । তার স্বামীর কাছে । তার জোরাজুরিতেই তার স্বামীর তপনের গল্পটা ছাপানোর ব্যবস্থা করতে রাজি হয়ে যান । তাই সেই গল্প ‘ সন্ধ্যাতারা পত্রিকায় ছেপে বেরোলে মাসির মুখে আত্মপ্রসাদের আনন্দ দেখা যায় ।

   প্রায় সমবয়সি হলেও তপন ছিল তার বিশেষ স্নেহের পাত্র । তাই তার লেখা গল্প ছাপানোর ব্যাপারে মাসি এত উদ্যোগ । নেয় । সে যখন মজা করে তপনের লেখাটা ‘ টুকলিফাই ’ কিনা জানতে চায় , তখনও সেই বক্তব্যের মধ্যে অভিযোগ বা সন্দেহের বদলে স্নেহেরই সুর বাজে ।


লেখার পর যখন পড়ল, গায়ে কাঁটা দিয়ে উঠল তপনের।”- কোন্ লেখার কথা এখানে বলা হয়েছে? সেই লেখা পড়ে তপনের গায়ে কাঁটা দিয়ে ওঠার কারণ কী ?

   তপন গরমের ছুটিতে মামার বাড়িতে এসে এক নির্জন দুপুরে তিনতলার সিঁড়িতে উঠে গিয়ে একাসনে বসে একটি গল্প লিখে ফেলে। এখানে ওই গল্পটির কথাই বলা হয়েছে।

   নতুন মেসোকে দেখে তপনের গল্প লেখার উৎসাহ বেড়ে গিয়েছিল। আগে তার ধারণা ছিল, লেখকরা তাদের মতো সাধারণ মানুষ নন, অন্য কোনো অলৌকিক জগতের মানুষ। কিন্তু নতুন মেসোকে দেখে তার সেই ধারণা বদলে যায়। “লেখক' মানে কোনো আকাশ থেকে পড়া জীব নয়, তপনদের মতোই মানুষ”—এই ভাবনা থেকেই তার লেখক হতে চাওয়ায় কোনো বাধা থাকে না। উৎসাহভরে হোমটাস্কের খাতা নিয়ে তিনতলার সিঁড়িতে উঠে যায়।

   তারপর একাসনে বসে লিখে ফেলে গোটা একটি গল্প। তপন নিজের সৃষ্টিতে আনন্দিত ও উত্তেজিত হয়ে ওঠে। সেটি আগাগোড়া পড়ার পর তার শরীরে একটা শিহরন খেলে যায়। তপন ভাবতেই পারেনি এত সুন্দর একটা গল্প সে নিজেই লিখতে পারবে। নিজস্ব ভাব ও ভাবনার এই প্রকাশ দেখে তার গায়ে তখন কাঁটা দিয়ে ওঠে।


জ্ঞানচক্ষু (গল্প) আশাপূর্ণা দেবী – মাধ্যমিক বাংলা প্রশ্ন ও উত্তর | Madhyamik Bengali Gyanchakshu Question and Answer : জ্ঞানচক্ষু (গল্প) আশাপূর্ণা দেবী – মাধ্যমিক বাংলা প্রশ্ন ও উত্তর | Madhyamik Bengali Gyanchakshu Question and Answer নিচে দেওয়া হলো। এই দশম শ্রেণীর বাংলা প্রশ্ন ও উত্তর – WBBSE Class 10 Bengali Gyanchakshu Question and Answer, Suggestion, Notes – জ্ঞানচক্ষু (গল্প) আশাপূর্ণা দেবী | জ্ঞানচক্ষু (গল্প) আশাপূর্ণা দেবী – মাধ্যমিক দশম শ্রেণীর বাংলা প্রশ্ন ও উত্তর | West Bengal Madhyamik Class 10th Bengali Gyanchakshu Question and Answer | জ্ঞানচক্ষু (গল্প) আশাপূর্ণা দেবী প্রশ্ন ও উত্তর

"লেখার প্রকৃত মূল্য বুঝলে নতুন মেসেইি বুঝবে”— এ কথা কার, কখন, কেন মনে হয়েছিল তা আলোচনা করো।

   আশাপূর্ণা দেবী রচিত 'জ্ঞানচক্ষু' গল্পে এ কথা তপনের মনে হয়েছিল।

    তপন এক দুপুরবেলায় বসে একটা গোটা গল্প লিখে ফেলে। আস্ত একটা গল্প লিখে ফেলার পর প্রথমে সে নিজেই ব্যাপারটা বিশ্বাস করতে পারে না। কিন্তু সে-ই গোটা গল্পটা লিখেছে ভেবে তার গায়ে কাঁটা দিয়ে ওঠে। গল্পটার কথা সে প্রথমে জানায় ছোটোমাসিকে, কারণ ছোটোমাসি ছিল তার ‘চিরকালের বন্ধু”। ছোটোমাসি তার লেখাটা নিয়ে সেটা ছোটোমেসোকে দেখায়। তপন এতে কিছুটা লজ্জিত হলেও মনে মনে খুশি হয়। আসলে এটাই চেয়েছিল সে। এইসময়েই তপনের মনে প্রশ্নে উল্লিখিত ভাবের প্রকাশ ঘটে।

   তপন ভেবেছিল, লেখার প্রকৃত মূল্য একমাত্র তার ছোটোমেসোমশাই-ই বুঝবেন। কেন-না তপনের এই নতুন মেসোমশাই ছিলেন একজন লেখক। তিনি অনেক বই লিখেছেন আর সেইসব বই ছেপেও বেরিয়েছে। তাই লেখার মূল্য অন্য সকলের থেকে তিনি বেশি বুঝবেন বলেই তপনের ধারণা ছিল।

   একজন লেখকই আর একজন লেখকের লেখার মূল্য বুঝতে পারেন। রত্নের মূল্য জহুরির কাছেই।' সাহিত্যবোধহীন একজন মানুষের পক্ষে তার লেখার যথার্থ মূল্য বোঝা সম্ভব নয় বলে তপন মনে করে। তাই ছোটোমেসোর হাতে তার লেখাটি যাওয়ায় সে পুলকিত হয়।


 নতুন মেসোর চরিত্রটি আলোচনা করো ।

   কথাশিল্পী আশাপূর্ণা দেবী রচিত ‘ জ্ঞানচক্ষু ’ গল্পের মূল চরিত্র তপনের আত্মোপলব্ধির পিছনে যে – চরিত্রটির প্রত্যক্ষ প্রভাব রয়েছে , তিনি হলেন তপনের নতুন মেসো । এই মেসো পেশায় অধ্যাপক এবং লেখক । তাঁর লেখক পরিচয় তপনের মনের বহু ভুল ধারণা ভেঙে দেয় । অধ্যাপক ও লেখক হওয়া সত্ত্বেও মেসো ব্যক্তিটি বেশ মিশুকে , ফুর্তিবাজ । তিনি শ্যালক – শ্যালিকাদের সঙ্গে গল্প করেন, তর্ক করেন, কবজি ডুবিয়ে খাওয়াদাওয়া করেন, সিনেমায় মিশুকে যান ও বেড়াতেও যান ।

   শ্বশুরবাড়ির সদস্য হিসেবে তপনের প্রথম লেখা গল্পের তিনি প্রশংসা সহানুভূতিশীল করেন ও তা ছাপার দায়িত্ব নিয়ে নেন । শুধু যে তপনকে উৎসাহ দিতে ছোটোমেসো তার গল্পটা ছাপিয়ে দেন , নিজের প্রতিপত্তি এমনটা নয় । শ্বশুরবাড়িতে নিজের প্রতিপত্তি জাহির বাহিরে আগ্রহী করতেও তিনি এ কাজ করেন । তপনের গল্প যাতে প্রসিদ্ধি পায় , তাই সংশোধনের নামে গল্পের খোলনলচে বদলে দেন মেসো । তাঁর উদ্দেশ্য হয়তো মহৎ ছিল ।

    কিন্তু তাঁর অন্যের আবেগ বুঝতে অক্ষম এই উদ্যোগ তপনের লেখকসত্তাকে আঘাত করে । একদিকে চারিত্রিক উদারতায় ও মহত্ত্বে আবার অন্যদিকে অসতর্কতায় , তপনের নতুন মেসো এক পরিপূর্ণ রক্তমাংসের চরিত্র হয়ে ওঠেন । যদিও একজন লেখক হয়ে অন্য লেখকের এই আত্মসম্মান ও অহংবোধকে উপলব্ধি করা তাঁর উচিত ছিল ।


কিন্তু নতুন মেসোকে দেখে জ্ঞানচক্ষু খুলে গেল তপনের।”—কী কারণে এ কথা বলা হয়েছে ? সত্যিই তার জ্ঞানচক্ষু খুলেছিল কি না আলোচনা করো।

   আশাপূর্ণা দেবীর ‘জ্ঞানচক্ষু’ গল্পে মামার বাড়িতে গিয়ে তপন তার নতুন মেসোমশাইয়ের সঙ্গে পরিচিত হয়। তিনি একজন লেখক। লেখকরা কতটা সাধারণ মানুষদের মতো, তা নিয়ে বেজায় সন্দেহ ছিল তপনের। কিন্তু ছোটোমেসোকে দেখার পরে তার ভুল ভাঙে। তিনি ছোটোমামা বা মেজোকাকুর মতোই দাড়ি কামান, সিগারেট খান, থালা থেকে খাবার তুলতে বলেন, স্নানের সময়ে স্নান করেন, ঘুমানোর সময়ে ঘুমান, খবরের কাগজের সংবাদ নিয়ে তর্কে মাতেন এবং দেশের ভবিষ্যৎ সম্পর্কে হতাশা প্রকাশ করে সিনেমা দেখতে চলে যান। তিনি বেড়াতেও বেরোন সেজেগুজে।

   অর্থাৎ আর পাঁচজন সাধারণ মানুষের সঙ্গে তাঁর কোনো পার্থক্যই নেই। এই সত্য উপলব্ধি করেই তপন মনে করেছিল যে তার জ্ঞানচক্ষু খুলে গিয়েছে।

   তপনের সত্যিকারের জ্ঞানচক্ষু খুলে যায় গল্পের শেষে। তার লেখা গল্পটি ছোটোমাসি জোর করেই ছাপানোর জন্য মেসোকে দিয়েছিল। কিন্তু সন্ধ্যাতারা পত্রিকায় লেখাটি প্রকাশিত হওয়ার পরে দেখা যায়, লেখাটি সম্পূর্ণ পালটে গেছে। তার প্রত্যেকটি লাইন তপনের অপরিচিত। গভীর দুঃখ ও মনোকষ্টে তপন সংকল্প করে, এরপরে যদি লেখা ছাপাতে দিতে হয় তাহলে তা সে নিজের হাতেই দেবে। এভাবেই তার জ্ঞানচক্ষুর যথার্থ প্রকাশ ঘটে।


"তার চেয়ে দুঃখের কিছু নেই, তার থেকে অপমানের!” দুঃখ আর অপমানের কারণ কী ? এই দুঃখ আর অপমান দূর করতে উদ্দিষ্ট ব্যক্তি কী সংকল্প গ্রহণ করেছিল ? 

অথবা,

 দুঃখ আর অপমানের কারণ কী? এই দুঃখ আর অপমান থেকে উদ্দিষ্ট ব্যক্তি কী শিক্ষা লাভ করেছিল?

   আশাপূর্ণা দেবীর ‘জ্ঞানচক্ষু' গল্পের প্রধান চরিত্র তপনের ধারণা ছিল লেখকরা কোনো সাধারণ মানুষ নন, আকাশ থেকে পড়া অতিমানবিক কোনো প্রতিভা। তপনের এই ধারণা দূর হয় তার নতুন মেসোকে দেখে। লেখক হওয়ার প্রবল ইচ্ছা তার মনেও জেগে ওঠে। মামার বাড়িতে বসেই তপন লিখে ফেলে একটা গল্প। মেসো প্রতিশ্রুতি দেন সন্ধ্যাতারা পত্রিকায় তিনি সেটা ছাপিয়ে দেবেন। কিন্তু ছাপানো গল্পটা পড়ে তপন হতবাক হয়ে যায়।

   গল্পের প্রতিটি লাইন নতুন, আনকোরা। ছোটোমেসো সংশোধনের নামে গল্পটি নতুন করে লিখে দিয়েছেন। তার মধ্যে তপন নিজেকে একেবারেই খুঁজে পায় না। তার মনে হয় লেখাটা তার নয়। নিজের লেখার আমূল পরিবর্তন দেখে তপন দুঃখ পায় ও অত্যন্ত অপমানিত বোধ করে।

   দুঃখ আর অপমান থেকে তপন নতুন এক অভিজ্ঞতা লাভ করে। তপন সংকল্প করে, ভবিষ্যতে সে যদি কখনও লেখা ছাপতে দেয়, তাহলে সে নিজেই পত্রিকা সম্পাদকের কাছে দিয়ে আসবে। তাতে ছাপা হোক বা না হোক তার দুঃখ নেই। কেউ তো আর বলতে পারবে না, “অমুক তপনের লেখা ছাপিয়ে দিয়েছে।” আত্মমর্যাদাসম্পন্ন তপন আরও বুঝেছিল, অপরের সাহায্য নিয়ে কখনোই লেখক হওয়া যায় না।


জ্ঞানচক্ষু গল্পে তপন চরিত্রটি বিশ্লেষণ করো ।

   আশাপূর্ণা দেবীর ‘ জ্ঞানচক্ষু ’ গল্পের তপনের মধ্যেও সব শিশুর মতোই আশা – আকাঙ্ক্ষা , স্বপ্ন – স্বপ্নভঙ্গ , কল্পনা বাস্তব , আনন্দ – অভিমানের টানাপোড়েন দেখা যায় । তবে তার চরিত্রের বিশেষ কিছু বৈশিষ্ট্য তাকে আলাদা করে রাখে । তপন মনে মনে তার কল্পনার জগৎকে সাজিয়ে নিতে ভালোবাসে । তাই তার কল্পনার জগতে লেখকরা ছিলেন ভিন কল্পনাপ্রবণ গ্রহেরপ্রাণী । সাধারণ মানুষদের সঙ্গে তাদের বুঝি বা কোনো মিলই নেই ।

   সাহিত্যপ্রেমী সাহিত্যের প্রতি তপনের ঝোঁক ছোটোবেলা থেকেই । সে অনেক গল্প শুনেছে ও পড়েছে । লেখকদের সম্পর্কেও তার কৌতূহল অসীম । ছোটোমেসোকে দেখে তার মনেও লেখক হওয়ার ইচ্ছে জাগে । উৎসাহী হয়ে বেশ কয়েকটা গল্পও লিখে বয়স অনুপাতে তপন একটু বেশিই সংবেদনশীল । সমবয়সি ছেলেমেয়েদের মতো রাজারানি , খুন – জখম ও অ্যাকসিডেন্ট নিয়ে না – লিখে , তার ব্যক্তিগত জীবনের অভিজ্ঞতা আর অনুভূতি সংবেদনশীল ও অন্তর্মুখী, ঠাট্টাতামাশা বা মাসি মেসোর উৎসাহদান কোনোটাতেই সে প্রকাশ্যে তার প্রতিক্রিয়া দেখায় না । এটা তার অন্তর্মুখী স্বভাবেরই পরিচয় । তাই কারেকশনের নামে মেসো তার গল্পটা আগাগোড়া বদলে দিলে তপন তার কষ্ট লুকোতে ছাদে গিয়ে কাঁদে ।

   তপনের আত্মমর্যাদা বোধ ছিল প্রবল । তার গল্প ছোটোমেসো কারেকশনের নাম করে আগাগোড়াই বদলে দিলে তপনের লেখকসত্তা আহত হয় । সে মনে মনে শপথ নেয় , ভবিষ্যতে লেখা ছাপাতে হালে সে নিজে গিয়ে লেখা দিয়ে আসবে পত্রিকা অফিসে । তাতে যদি তার মতো নতুন লেখকের লেখা ছাপা না হয় , তাতেও দুঃখ নেই ।


বিকেলে চায়ের টেবিলে ওঠে কথাটা ।" চায়ের টেবিলে ওঠা কথাটি সম্পর্কে বাড়ির মানুষদের প্রতিক্রিয়া কী ছিল ? নতুন মেসোরই – বা এই ঘটনায় বক্তব্য কী ছিল ? হাসার কারণ ?

   ‘জ্ঞানচক্ষু ’ গল্প থেকে গৃহীত অংশটিতে ‘সবাই’ বলতে তপনের বাড়ির লোকজনকে বোঝানো হয়েছে । বাড়ির বড়োদের চোখে সে ছিল নেহাতই ছোটো , তার গুরুত্ব কম । সে যে রাতারাতি একটা গল্প লিখে ফেলতে পারে , আর সে – গল্প যে ছাপানোর যোগ্য হতে পারে তা প্রথমে কেউই বিশ্বাস করতে পারেননি ।তাই সকলে তপনের গল্প শুনে হেসেছিলেন। 

   বাড়ির সকলে তার লেখা গল্পকে গুরুত্ব না দিলেও , তার লেখক নতুন মেসো কিন্তু এই গল্পের যথাযোগ্য মর্যাদা দিয়েছিলেন । তপনের মাসি তার গল্পটি মেসোকে দেখালে , তিনি তা একটি পত্রিকায় গল্পের মূল্যায়ন কে , কীভাবে করেছিলেন ? প্রকাশ করে দেওয়ার আশ্বাস দেন । বিকেলে চায়ের টেবিলে সকলে তপনের লেখা গল্প নিয়ে হাসাহাসি ত করলেও , লেখক – মেসো কিন্তু তপনের প্রশংসা করেন ।

    তিনি বলেন যে , না তপনের লেখার হাত ও দেখার চোখ দুই – ই আছে । কারণ তার বয়সি ছেলেমেয়েরা সাধারণত রাজারানি , খুন , জখম , অ্যাকসিডেন্ট , নয়তো না – খেতে পেয়ে মরে যাওয়া প্রভৃতি বিষয়ে গল্প লেখে । কিন্তু তপন সেসব না – লিখে তার ভরতি হওয়ার দিনের অভিজ্ঞতা আর অনুভূতি নিয়ে গল্প লিখেছে । তপনের লেখক মেসোর মতে , এ খুব বিরল লক্ষণ । এইভাবে তপনের মেসো তার লেখা গল্পের মূল্যায়ন করেছিলেন । তবে তপনের গল্পে আনাড়ি হাতের ছাপ থাকায় , তিনি তা সংশোধন করে দিয়েছিলেন ।


রত্নের মূল্য জহুরির কাছেই ।’— ‘ রত্ন ’ ও ‘ জহুরি বলতে কী বোঝানো হয়েছে ? উদ্ধৃত উক্তিটির তাৎপর্য বুঝিয়ে দাও ।

   আশাপূর্ণা দেবীর ‘জ্ঞানচক্ষু’ গল্পে উদ্ধৃতিটি পাই । ‘ রত্ন ’ বলতে মূল্যবান পাথর বোঝায় । ‘ জহুরি ‘ বলতে বোঝায় জহর অর্থাৎ রত্ন বিশেষজ্ঞকে । যে – কোনো পাথরকে রত্ন বলে চালালে তা জহুরির চোখ এড়ানো মুশকিল । ‘ জ্ঞানচক্ষু ‘ গল্পে ‘ রত্ন ‘ বলতে তপনের লেখা গল্পকে আর ‘ জহুরি ‘ বলতে তার ছোটোমাসির স্বামী তথা নতুন মেসোমশাইকে বোঝানো হয়েছে । 

   সীমিত জীবনবৃত্তের পরিধিতে তপনের গল্পের বইয়ের সঙ্গে পরিচিতি থাকলেও লেখকদের সম্পর্কে তার কিছুই অভিজ্ঞতা ছিল না । তপন তাদের গ্রহান্তরের কোনো জীব ভাবত । নতুন মাসির বিয়ের পর লেখক নতুন মেসোর সঙ্গে যখন পরিচিত হল তখনই তপনের লেখক সম্পর্কে সমস্ত ধারণা বদলে গেল । তার জ্ঞানচক্ষু খুলে গেল । তপন তার বাবা , কাকা ও মামাদের সঙ্গে নতুন মেসোর কোনো তফাত পেল না ।

    এসব কিছু মিলিয়েই তপন ভাবে তারই বা লেখক হতে বাধা কোথায় ? তাই সে গল্প লিখতে গিয়ে আস্ত একটা গল্প লিখে ফেলায় উত্তেজনায় ছোটোমাসিকে দেখায় । ছোটোমাসি তা মেসোকে ঘুম থেকে তুলে দেখায় । ব্যাপারটায় তপনের মত না থাকলেও সে মনে মনে পুলকিত হয় , কেন – না জহুরির রত্ন চেনার মতো তার লেখার কদর একমাত্র নতুন মেসোই বুঝতে পারবে ।


জ্ঞানচক্ষু (গল্প) আশাপূর্ণা দেবী – মাধ্যমিক বাংলা প্রশ্ন ও উত্তর | Madhyamik Bengali Gyanchakshu Question and Answer : জ্ঞানচক্ষু (গল্প) আশাপূর্ণা দেবী – মাধ্যমিক বাংলা প্রশ্ন ও উত্তর | Madhyamik Bengali Gyanchakshu Question and Answer নিচে দেওয়া হলো। এই দশম শ্রেণীর বাংলা প্রশ্ন ও উত্তর – WBBSE Class 10 Bengali Gyanchakshu Question and Answer, Suggestion, Notes – জ্ঞানচক্ষু (গল্প) আশাপূর্ণা দেবী | জ্ঞানচক্ষু (গল্প) আশাপূর্ণা দেবী – মাধ্যমিক দশম শ্রেণীর বাংলা প্রশ্ন ও উত্তর | West Bengal Madhyamik Class 10th Bengali Gyanchakshu Question and Answer | জ্ঞানচক্ষু (গল্প) আশাপূর্ণা দেবী প্রশ্ন ও উত্তর


সত্যিই তপনের জীবনের সবচেয়ে সুখের দিনটি এল আজ ?” –– কোন্ দিনটির কথা এখানে বলা হয়েছে? দিনটি সম্পর্কে এই উচ্ছ্বাসের কারণ লেখো।

   আশাপূর্ণা দেবীর 'জ্ঞানচক্ষু' গল্পের তপন তার নতুন মেসোর মাধ্যমে সন্ধ্যাতারা পত্রিকায় একটি গল্প পাঠিয়েছিল। গল্পটি ছাপার অক্ষরে দেখার আশায় তপন দিন গুনতে থাকে। তারপর একদিন ছোটোমাসি আর মেসো তাদের বাড়ি বেড়াতে আসেন। মেসোর হাতে সন্ধ্যাতারা দেখে চমকে ওঠে তপন। এখানে মেসোর আসার এই বিশেষ দিনটির কথাই বলা হয়েছে।

  লেখক ছোটোমেসোমশাই তপনের গল্পটিকে সন্ধ্যাতারা পত্রিকায় ছাপিয়ে দেবেন বলে আগেই জানিয়েছিলেন। কিন্তু দীর্ঘ অপেক্ষার পরও আর কোনো খবর না পেয়ে সে একপ্রকার নিশ্চিত হয়েছিল যে, গল্পটি আর ছাপা হবে না। তাই সন্ধ্যাতারা পত্রিকা হাতে নিয়ে ছোটোমাসি আর মেসোকে আসতে দেখে তার বুকের রক্ত ছলকে ওঠে। স্বপ্নপূরণের আশা আর নিরাশার মাঝে দুলতে থাকে তার মন।

   জীবনের প্রথম লেখা, সর্বোপরি কাঁচা হাতের লেখা সত্যিই ছাপা হয়েছে কি না, তা নিয়ে তার মনে সংশয় দেখা দেয়। যদি সত্যিই ছাপা হয় তাহলে দিনটি তপনের জীবনের সবচেয়ে সুখের দিন হবে—এতে কোনো সন্দেহ নেই। অনেকদিনের ইচ্ছা হয়তো এবার পূরণ হতে চলেছে—এই ভেবেই কিছু সংশয় থাকলেও তপনের মন উচ্ছ্বসিত হয়ে ওঠে।



জ্ঞানচক্ষু (গল্প) আশাপূর্ণা দেবী – মাধ্যমিক বাংলা প্রশ্ন ও উত্তর | Madhyamik Bengali Gyanchakshu Question and Answer | জ্ঞানচক্ষু (গল্প) আশাপূর্ণা দেবী

মাধ্যমিক বাংলা প্রশ্ন ও উত্তর | Madhyamik Bengali Gyanchakshu Question and Answer

জ্ঞানচক্ষু (গল্প) আশাপূর্ণা দেবী – মাধ্যমিক বাংলা প্রশ্ন ও উত্তর | Madhyamik Bengali Gyanchakshu Question and Answer : জ্ঞানচক্ষু (গল্প) আশাপূর্ণা দেবী – মাধ্যমিক বাংলা প্রশ্ন ও উত্তর | Madhyamik Bengali Gyanchakshu Question and Answer নিচে দেওয়া হলো। এই দশম শ্রেণীর বাংলা প্রশ্ন ও উত্তর – WBBSE Class 10 Bengali Gyanchakshu Question and Answer, Suggestion, Notes – জ্ঞানচক্ষু (গল্প) আশাপূর্ণা দেবী | জ্ঞানচক্ষু (গল্প) আশাপূর্ণা দেবী – মাধ্যমিক দশম শ্রেণীর বাংলা প্রশ্ন ও উত্তর | West Bengal Madhyamik Class 10th Bengali Gyanchakshu Question and Answer | জ্ঞানচক্ষু (গল্প) আশাপূর্ণা দেবী প্রশ্ন ও উত্তর

জ্ঞানচক্ষু (গল্প) আশাপূর্ণা দেবী – প্রশ্ন ও উত্তর | জ্ঞানচক্ষু (গল্প) আশাপূর্ণা দেবী Madhyamik Bengali Question and Answer Suggestion মাধ্যমিক বাংলা প্রশ্ন ও উত্তর – জ্ঞানচক্ষু (গল্প) আশাপূর্ণা দেবী প্রশ্ন ও উত্তর।


জ্ঞানচক্ষু (গল্প) আশাপূর্ণা দেবী MCQ প্রশ্ন ও উত্তর | মাধ্যমিক বাংলা

জ্ঞানচক্ষু (গল্প) আশাপূর্ণা দেবী MCQ প্রশ্ন ও উত্তর | জ্ঞানচক্ষু (গল্প) আশাপূর্ণা দেবী Madhyamik Bengali Question and Answer Suggestion মাধ্যমিক বাংলা প্রশ্ন ও উত্তর – জ্ঞানচক্ষু (গল্প) আশাপূর্ণা দেবী MCQ প্রশ্ন উত্তর।


জ্ঞানচক্ষু (গল্প) আশাপূর্ণা দেবী SAQ সংক্ষিপ্ত প্রশ্ন ও উত্তর | দশম শ্রেণির বাংলা

জ্ঞানচক্ষু (গল্প) আশাপূর্ণা দেবী SAQ সংক্ষিপ্ত প্রশ্ন ও উত্তর | জ্ঞানচক্ষু (গল্প) আশাপূর্ণা দেবী Madhyamik Bengali Question and Answer Suggestion মাধ্যমিক বাংলা প্রশ্ন ও উত্তর – জ্ঞানচক্ষু (গল্প) আশাপূর্ণা দেবী SAQ সংক্ষিপ্ত প্রশ্ন উত্তর।


জ্ঞানচক্ষু (গল্প) আশাপূর্ণা দেবী MCQ প্রশ্ন উত্তর – দশম শ্রেণি বাংলা | Madhyamik Class 10 Bengali

দশম শ্রেণি বাংলা (Madhyamik Bengali) – জ্ঞানচক্ষু (গল্প) আশাপূর্ণা দেবী – প্রশ্ন ও উত্তর | জ্ঞানচক্ষু (গল্প) আশাপূর্ণা দেবী | Madhyamik Bengali Suggestion দশম শ্রেণি বাংলা – জ্ঞানচক্ষু (গল্প) আশাপূর্ণা দেবী প্রশ্ন উত্তর।


মাধ্যমিক বাংলা প্রশ্ন ও উত্তর | দশম শ্রেণির বাংলা প্রশ্ন ও উত্তর – জ্ঞানচক্ষু (গল্প) আশাপূর্ণা দেবী প্রশ্ন উত্তর | Madhyamik Bengali Question and Answer Question and Answer, Suggestion

মাধ্যমিক বাংলা প্রশ্ন ও উত্তর – জ্ঞানচক্ষু (গল্প) আশাপূর্ণা দেবী | মাধ্যমিক বাংলা প্রশ্ন ও উত্তর – জ্ঞানচক্ষু (গল্প) আশাপূর্ণা দেবী | পশ্চিমবঙ্গ মাধ্যমিক বাংলা প্রশ্ন ও উত্তর – জ্ঞানচক্ষু (গল্প) আশাপূর্ণা দেবী | মাধ্যমিক বাংলা সহায়ক – জ্ঞানচক্ষু (গল্প) আশাপূর্ণা দেবী – প্রশ্ন ও উত্তর । Madhyamik Bengali Question and Answer, Suggestion | Madhyamik Bengali Question and Answer Suggestion | Madhyamik Bengali Question and Answer Notes | West Bengal Madhyamik Class 10th Bengali Question and Answer Suggestion.


মাধ্যমিক বাংলা প্রশ্ন ও উত্তর – জ্ঞানচক্ষু (গল্প) আশাপূর্ণা দেবী MCQ প্রশ্ন উত্তর | WBBSE Class 10 Bengali Question and Answer, Suggestion

মাধ্যমিক বাংলা প্রশ্ন ও উত্তর – জ্ঞানচক্ষু (গল্প) আশাপূর্ণা দেবী প্রশ্ন উত্তর প্রশ্ন ও উত্তর | জ্ঞানচক্ষু (গল্প) আশাপূর্ণা দেবী । Madhyamik Bengali Suggestion.


WBBSE Class 10th Bengali Suggestion | মাধ্যমিক বাংলা প্রশ্ন ও উত্তর – জ্ঞানচক্ষু (গল্প) আশাপূর্ণা দেবী

WBBSE Madhyamik Bengali Suggestion মাধ্যমিক বাংলা প্রশ্ন ও উত্তর – জ্ঞানচক্ষু (গল্প) আশাপূর্ণা দেবী প্রশ্ন উত্তর প্রশ্ন ও উত্তর । জ্ঞানচক্ষু (গল্প) আশাপূর্ণা দেবী | Madhyamik Bengali Suggestion মাধ্যমিক বাংলা প্রশ্ন ও উত্তর – জ্ঞানচক্ষু (গল্প) আশাপূর্ণা দেবী – প্রশ্ন উত্তর প্রশ্ন ও উত্তর ।


Madhyamik Bengali Question and Answer Suggestions | মাধ্যমিক বাংলা প্রশ্ন ও উত্তর – জ্ঞানচক্ষু (গল্প) আশাপূর্ণা দেবী | মাধ্যমিক বাংলা প্রশ্ন ও উত্তর

Madhyamik Bengali Question and Answer মাধ্যমিক বাংলা প্রশ্ন ও উত্তর – জ্ঞানচক্ষু (গল্প) আশাপূর্ণা দেবী মাধ্যমিক বাংলা প্রশ্ন ও উত্তর Madhyamik Bengali Question and Answer মাধ্যমিক বাংলা প্রশ্ন ও উত্তর প্রশ্ন ও উত্তর – জ্ঞানচক্ষু (গল্প) আশাপূর্ণা দেবী MCQ, সংক্ষিপ্ত, রোচনাধর্মী প্রশ্ন ও উত্তর ।


WB Class 10 Bengali Suggestion | মাধ্যমিক বাংলা প্রশ্ন ও উত্তর – জ্ঞানচক্ষু (গল্প) আশাপূর্ণা দেবী MCQ প্রশ্ন উত্তর প্রশ্ন ও উত্তর

Madhyamik Bengali Question and Answer Suggestion মাধ্যমিক বাংলা প্রশ্ন ও উত্তর – জ্ঞানচক্ষু (গল্প) আশাপূর্ণা দেবী MCQ প্রশ্ন ও উত্তর । Madhyamik Bengali Question and Answer Suggestion মাধ্যমিক বাংলা প্রশ্ন ও উত্তর।


West Bengal Class 10 Bengali Suggestion Download WBBSE Class 10th Bengali short question suggestion . Madhyamik Bengali Suggestion download Class 10th Question Paper Bengali. WB Class 10 Bengali suggestion and important question and answer. Class 10 Suggestion pdf.পশ্চিমবঙ্গ দশম শ্রেণীর বাংলা পরীক্ষার সম্ভাব্য সাজেশন ও শেষ মুহূর্তের প্রশ্ন ও উত্তর ডাউনলোড। মাধ্যমিক বাংলা পরীক্ষার জন্য সমস্ত রকম গুরুত্বপূর্ণ প্রশ্ন ও উত্তর।

Get the Madhyamik Bengali Question and Answer Question and Answer by educostudy

Madhyamik Bengali Question and Answer Question and Answer prepared by expert subject teachers. WB Class 10 Bengali Suggestion with 100% Common in the Examination .


জ্ঞানচক্ষু (গল্প) আশাপূর্ণা দেবী – মাধ্যমিক বাংলা প্রশ্ন ও উত্তর | Madhyamik Bengali Gyanchakshu Question and Answer | জ্ঞানচক্ষু (গল্প) আশাপূর্ণা দেবী

মাধ্যমিক বাংলা প্রশ্ন ও উত্তর | Madhyamik Bengali Gyanchakshu Question and Answer

জ্ঞানচক্ষু (গল্প) আশাপূর্ণা দেবী – মাধ্যমিক বাংলা প্রশ্ন ও উত্তর | Madhyamik Bengali Gyanchakshu Question and Answer : জ্ঞানচক্ষু (গল্প) আশাপূর্ণা দেবী – মাধ্যমিক বাংলা প্রশ্ন ও উত্তর | Madhyamik Bengali Gyanchakshu Question and Answer নিচে দেওয়া হলো। এই দশম শ্রেণীর বাংলা প্রশ্ন ও উত্তর – WBBSE Class 10 Bengali Gyanchakshu Question and Answer, Suggestion, Notes – জ্ঞানচক্ষু (গল্প) আশাপূর্ণা দেবী | জ্ঞানচক্ষু (গল্প) আশাপূর্ণা দেবী – মাধ্যমিক দশম শ্রেণীর বাংলা প্রশ্ন ও উত্তর | West Bengal Madhyamik Class 10th Bengali Gyanchakshu Question and Answer | জ্ঞানচক্ষু (গল্প) আশাপূর্ণা দেবী প্রশ্ন ও উত্তর

জ্ঞানচক্ষু (গল্প) আশাপূর্ণা দেবী – প্রশ্ন ও উত্তর | জ্ঞানচক্ষু (গল্প) আশাপূর্ণা দেবী Madhyamik Bengali Question and Answer Suggestion মাধ্যমিক বাংলা প্রশ্ন ও উত্তর – জ্ঞানচক্ষু (গল্প) আশাপূর্ণা দেবী প্রশ্ন ও উত্তর।


Class Ten X Bengali Suggestion | West Bengal Board of Secondary Education (WBBSE) Class 10 Exam

Madhyamik Bengali Question and Answer, Suggestion Download PDF: West Bengal Board of Secondary Education (WBBSE) Class 10 Ten X Bengali Suggestion is provided here. Madhyamik Bengali Question and Answer Suggestion Questions Answers PDF Download Link in Free has been given below.