মধ্যযুগের বাংলা সাহিত্য গুলির মধ্যে উল্লেখযোগ্য একটি ধারা হলো অনুবাদ সাহিত্যের ধারা। অনুবাদ সাহিত্য থেকে বিশেষ বিশেষ প্রশ্নগুলি আমরা আলোচনা করেছি। আজ এখানে আমরা বাংলা সাহিত্যের অনুবাদের ধারা থেকে যেসকল সংক্ষিপ্ত প্রশ্ন ( Onubad-sahitya-MCQ ) গুলি গুরুত্বপূর্ণ সেই সকল প্রশ্ন গুলি দেখে নেব।
অনুবাদ সাহিত্যের সংক্ষিপ্ত প্রশ্ন ও উত্তর
1. বাল্মীকি রামায়ণের শ্লোকের সংখ্যা কত?
উ.২৪ হাজার।
2. কৃত্তিবাস কোন শতকের কবি?
উঃ পঞ্চদশ শতকের কবি।
3. কোথা থেকে কবে, কার উদ্যোগে কৃত্তিবাসী রামায়ণ মুদ্রিত হয়?
উঃ শ্রীরামপুর মিশন থেকে উইলিয়াম কেরীর উদ্যোগে ১৮০২-১৮০৩ খ্রীষ্টাব্দে মুদ্রিত হয়।
 |
Educostudy.in/Onubad-sahitya |
4. ‘কৃত্তিবাস এ বঙ্গের অলঙ্কার’ – উক্তিটি কার?
উঃ মধুসূদন দত্তের।
5. শ্রীরামপুর মিশন থেকে রামায়ণের দ্বিতীয় সংস্করণ কবে প্রকাশিত হয়?
উঃ ১৮৩০-৩৪ খ্রীষ্টাব্দের মধ্যে।
6. কৃত্তিবাসের জন্মস্থান কোথায়?
উঃ ফুলিয়া গ্রামে।
7. কোন তিথি ও কোন দিনে কৃত্তিবাসের জন্ম হয়?
উঃ শ্রীপঞ্চমী তিথিতে রবিবারে কৃত্তিবাসে জন্ম হয়।
8. কৃত্তিবাসের পূর্বপুরুষের নাম কী?
উঃ নরসিংহ ওঝা।
9. কত বছর বয়সে কৃত্তিবাস বিদ্যার্জনের জন্য উত্তর দেশে গিয়েছিলেন?
উঃ ১২ বছর।
10. ‘রামচরিতমানস’ গ্রন্থটি কার লেখা? গ্রন্থটি কোন ভাষায় রচিত?
উঃ তুলসীদাসের। গ্রন্থটি হিন্দি ভাষায় রচিত।
11. সপ্তদশ শতকের ছয়জন রামায়ণ রচয়িতার নাম লেখ।
উঃ অদ্ভূত আচার্য, চন্দ্রাবতী, ঘনশ্যামদাস, ভবানীদাস, দ্বিজ লক্ষ্মণ ও কৈলাস বসু।
12. অষ্টাদশ শতকের দুজন রামায়ণ রচয়িতার নাম লেখ।
উঃ শঙ্কর কবিচন্দ্র ও জগদ্রাম বন্দ্যোপাধ্যায়।
13. শঙ্কর কবিচন্দ্র কোন শতকের কবি? তাঁর রচিত অনুবাদ গ্রন্থটির নাম কী? গ্রন্থটি কত খ্রীষ্টাব্দে রচিত হয়েছিল?
উঃ অষ্টাদশ শতকের কবি। তাঁর কাব্যের নাম ‘রামলীলা বা শ্রীরামমঙ্গল’। গ্রন্থটি ১৭০২ খ্রীষ্টাব্দে রচিত।
14. জগদ্রাম বন্দ্যোপাধ্যায় কোন শতকের কবি? তাঁর জন্মস্থান কোথায়? তাঁর কাব্যের পুরোনাম কী?
উঃ অষ্টাদশ শতকের কবি। বর্ধমানের ভুলুই গ্রামে তাঁর জন্ম। তাঁর কাব্যের নাম ‘শ্রীঅদ্ভূত রামায়ণ’।
15. মধ্যযুগে রামায়ণ রচয়িতা একজন মহিলা কবির নাম লেখো। তিনি কোন সময়ে তাঁর রামায়ণ রচনা করেন? তাঁর পিতার নাম কী?
উঃ চন্দ্রাবতী। তিনি সপ্তদশ শতকে রামায়ণ রচনা করেন। তিনি মনসামঙ্গলে কবি বংশীদাসের কন্যা।
16. সপ্তদশ শতকের দু’জন মহাভারত রচয়িতা নাম লেখ।
উঃ নিত্যানন্দ ঘোষ ও কাশীরাম দাস।
17. মহাভারতের প্রথম অনুবাদক কে?
উঃ কবীন্দ্র পরমেশ্বর।
18. শ্রীকর নন্দী কার অনুরোধে মহাভারতের অনুবাদ করেন?
উঃ ছুটি খাঁর অনুরোধে।
19. শ্রীকর নন্দী কার গ্রন্থ অবলম্বনে মহাভারতের কোন অংশের অনুবাদ করেন?
উঃ শ্রীকর নন্দী জৈমিনি ভারত অবলম্বনে মহাভারতের অশ্বমেধ পর্বের অনুবাদ করেন।
20. প্রাক্চৈতন্য যুগের দুজন মহাভারত অনুবাদকের নাম লেখ?
উঃ কবীন্দ্র পরমেশ্বর ও শ্রীকর নন্দী।
21. কাশীরাম দাসের মহাভারত প্রথম কোথা থেকে মুদ্রিত হয়?
উঃ শ্রীরামপুর মিশন থেকে।
22. কাশীরাম দাসের কনিষ্ঠ ভ্রাতার নাম কী? তাঁর রচিত গ্রন্থের নাম লেখো। গ্রন্থটি কত খ্রীষ্টাব্দে রচিত?
উঃ গদাধর। তাঁর রচিত গ্রন্থের নাম ‘জগৎমঙ্গল’।
23. কাশীরাম দাসের পৈত্রিক উপাধি কি ছিল?
উঃ পৈত্রিক উপাধি ছিল দেব।
24. কাশীরাম দাসের পিতৃপুরুষের নিবাস কোথায় ছিল?
উঃ কাটোয়া মহকুমার অন্তর্গত সিঙ্গি বা সিদ্ধি গ্রামে।
25. কাশীরাম দাসের পিতার নাম কী?
উঃ পিতার নাম কমলাকান্ত।
26. ভাগবতের কটি স্কন্দ, কটি অধ্যায় ও কত শ্লোক আছে?
উঃ ভাগবতে ১২ টি স্কন্দ, ৩৩২টি অধ্যায় এবং ১৮০০০ শ্লোক আছে।
27. মালাধর বসু অনূদিত কাব্যের নাম কি?
উঃ শ্রীকৃষ্ণবিজয় বা গোবিন্দবিজয় বা গোবিন্দমঙ্গল।
28. মালাধর বসুকে ‘গুণরাজ খান’ উপাধি কে দিয়েছিলেন?
উঃ গৌরেশ্বর (রুক্নুদ্দিন বররক শাহ)।
29. মালাধর বসু ভাগবতের কোন কোন স্কন্দের অনুবাদ করেন?
উঃ ভাগবতের দশম ও একাদশ স্কন্দের অনুবাদ করেন।
30. মালাধর বসুর পিতা ও মাতার নাম কী?
উঃ পিতার নাম ভগীরথ এবং মাতার নাম ইন্দুমতী।
31. মালাধর বসুর কাব্য রচনার কাল লেখো?
উঃ তেরশ পঁচানই শকে গ্রন্থ আরম্ভন।
চতুর্দ্দশ দুই শকে হৈল সমাপন।।
-- অর্থাৎ ১৩৯৫-১৮০২ শকাব্দের (১৪৭৩-১৪৮০ খ্রীঃ) মধ্যে রচিত।
32. ‘নন্দের নন্দন কৃষ্ণ মোর প্রাণনাথ’ –উক্তিটি কার?
উঃ মালাধর বসুর।
33. মালাধর বসুর ছেলের নাম কী?
উঃ সত্যরাজ খাঁ
👉👉 বাংলা সাহিত্যের অনুবাদের ধারা থেকে যেসকল সংক্ষিপ্ত প্রশ্ন গুলি গুরুত্বপূর্ণ তা নিয়ে এখানে আলোচনা করা হলো। এছাড়াও বাংলা সাহিত্যের অন্যান্য গুরুত্বপূর্ণ প্রশ্নগুলি আলোচনা করা হয়েছে যার লিংক উপরে দেওয়া হল। যদি এই সকল প্রশ্ন গুলি আপনার ভালো লাগে তবে অবশ্যই নিচে কমেন্ট করে জানাবেন। এছাড়া আমাদের ফেসবুক পেজ ফলো করতে পারেন।
কোন মন্তব্য নেই:
একটি মন্তব্য পোস্ট করুন