রবীন্দ্রনাথের কর্তার ভূত গল্পের বড় প্রশ্ন উত্তর | একাদশ শ্রেণির বাংলা সাজেশন
রবীন্দ্রনাথের কর্তার ভূত ছোটগল্প থেকে যেসকল প্রশ্নগুলি একাদশ শ্রেণীর বাংলা বিষয়ের জন্য অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ সেই সকল বিষয়গুলি নিয়ে গুরুত্বপূর্ণ প্রশ্নগুলি নিয়ে এখানে আলোচনা করা হলো।
কর্তার ভূত গল্পের প্রেক্ষাপট
আমাদের দেশ ভারত বর্ষ তার সর্বাঙ্গ সম্পন্ন প্রাচীন সভ্যতা অনেকদিন আগেই ত্যাগ করেছে আর আমাদের এই বর্তমান সমাজ তারই প্রেত যোনি মাত্র। এই ভাবধারা থেকেই কেই কর্তার ভূত গল্পটি সৃষ্টি। প্রাচীন সংস্কৃতি যে নতুন সংস্কৃতির পথেই সৃষ্টি হয়েছে তা এই গল্প পাঠে আমরা অনুভব করতে পারি।
কর্তার ভূত গল্পের বিষয়বস্তু
রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরের কর্তার ভূত গল্পটি একটি অন্যতম রুপক ছোটগল্প। গল্পের তিনি রূপক অবলম্বন করেছেন ভারতবর্ষের প্রাচীন ঐতিহ্যের অন্তঃসারশূন্য সংস্কৃতিকে তুলে ধরার জন্য। প্রাচীন সংস্কৃতির স্বরূপ বুড়ো কর্তা মারা যাওয়ার সময় তার ধারক গণেরা চিন্তায় পড়লে ঈশ্বরের ভরসায় তিনি ভূত হয়ে অবস্থান করেন।
এই কর্তার ভূত সমস্ত দেশবাসীকে লালন পালন করে থাকে। যদি কেউ বেশি বুঝে ভূত শাসনের বাইরে যেতে চান তখন তাকে কান মলা খেতে হয়। এই ধরনের শাসন চলতে থাকলে দুই রকম জনগণের সৃষ্টি হয় - এক যারা ভূতকে মানে, আর দুই যারা ভুতকে মানে না।
রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর এই গল্পে দেখিয়েছেন যে প্রাচীন সভ্যতার অবসান হলেও সে সভ্যতার ধর্মতন্ত্র আধুনিক ভারতবর্ষকে কেমন ভাবে চারদিক থেকে বেঁধে রেখেছে। আর এর ফলে যুক্তি-বুদ্ধি বিচার-বিবেচনা হীন পরাধীন দেশ বাসীরা সেই ধর্মতন্ত্র কে আঁকড়ে ধরে দিবানিশি ঘুমিয়ে দিন কাটায়।
"দেশের লোক ভারি নিশ্চিন্ত হল" - কিভাবে দেশের লোক নিশ্চিন্ত হল তা আলোচনা করো।
রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরের কর্তার ভূত গল্পে আমরা বুড়ো কর্তার আভিজাত্য সম্পর্কে জানতে পারি। লেখক গল্পটিতে বুড়ো কর্তার আড়ালে আমাদের প্রাচীন সংস্কৃতিকে আঘাত করেছেন। গল্পটিতে যখন বুড়ো কর্তার মৃত্যু অনিবার্য তখন দেশবাসীর প্রার্থনায় ভগবান তাদের আশ্বাস দিলেন।
কর্তার ভূত গল্পে বুড়ো কর্তা ছিলেন অভিভাবক তাই তার মরন কালে দেশবাসীর প্রার্থনায় তিনি বললেন - দেশবাসীর ঘাটে তিনি ভূত হয়ে থাকবেন। যেহেতু মরণকে এড়িয়ে যাওয়া যায় না তাই তার সমাধান হিসেবে ভগবান এই পথ তাকে বেছে দিলেন। তিনি চাইলেন বুড়ো কর্তা যেন দেশবাসীর ঘাড়ে ভূত হয়েই চেপে থাকেন, কারণ মানুষের মৃত্যু হলেও ভুতের তো মৃত্যু নেই।
ভগবানের মুখে দেশবাসীরা এই আশ্বাস শুনে সবাই খুব খুশি হলেন। কারণ যারা দুর্বল ও ভীতু তারা সবসময়ই প্রাচীন কে আঁকড়ে ধরে চলতে চায়। এই জন্য অভিভাবক হিসাবে বুড়ো কর্তার ভূত কে পেয়ে তারা সবাই নিশ্চিন্ত হল।
লেখক রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর বাঙ্গালী জাতির মেরুদন্ডহীনতাকে পরিষ্কার করে তুলে ধরতে গল্পটি রচনা করেছেন। ব্রিটিশ শাসন হীন ভারতবর্ষের অবস্থা কিরূপ হবে তা নিয়ে যখন চিন্তিত ঠিক তখন ব্রিটিশ এর ভূত আমাদের ঘাড়ে চেপে থাকবে একথা শুনে দেশের লোকেরা খুব স্বাভাবিকভাবেই নিশ্চিন্ত হয়েছিল।
"কর্তা বলেন, সেখানেই তো ভূত" - কোন প্রসঙ্গে এবং কেন কর্তা এ কথা বলেছেন তা আলোচনা করো।
👉 রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরের কর্তার ভূত গল্পে কিছু মানুষ দিনের বেলায় ভুতের নায়েবের ভয়ে চুপ করে থাকে। আবার তারাই বুড়ো কর্তার সামনে হাত জড়ো করে জিজ্ঞাসা করে তাদের ছাড়ার সময় হয়েছে কিনা। এই কথার উত্তরে বুড়ো কর্তা জানান যে তিনি তাদের ধরে রাখেন নি এমনকি ছেড়েও দেননি। বরং তারা যদি বুড়ো কর্তা কে ছেড়ে দেয় তবেই তারা বুড়ো কোথা থেকে ছাড়া পাবে।
বুড়ো কর্তার ভয়ে যখন কিছু লোক ছাড়ার কথা তার কাছে জিজ্ঞাসা করে তখন তার উত্তরে তিনি জানান, তিনি ধরা বা ছাড়ার মালিক নয়। এর উত্তরে আবার লোক গুলো বলে ওটাই তো ভয়। কর্তার ভূত গল্পে এই প্রসঙ্গে প্রশ্নে উদ্ধৃত উক্তিটি উক্ত হয়েছে।
👉 বুড়ো কর্তা সরাসরি জানিয়েছেন যে তার ধরাও নেই ছাড়াও নেই। একমাত্র মানুষের ভয়েই তার অবস্থান। লেখক এর মত অনুযায়ী মানুষের আত্মবিশ্বাস মনের জোর ইত্যাদির জন্য মানুষ সচেতন হয়ে উঠল সে ভয়হীন হয়ে ওঠে। এই কারণে গল্পটিতে তিনি বুড়ো কর্তার মুখ দিয়ে একথার প্রকাশ ঘটিয়েছেন। যখন মানুষ অদৃশ্য কে ভয় পায় তখন খুব সহজেই ভূত তাদেরকে গ্রাস করতে পারে।
মানুষের মৃত্যু অনিবার্য এই কারণে সব সময়ই প্রাচীন সভ্যতার ছত্রছায়ায় না থেকে জীবনকে বাস্তবমুখী করে তোলা উচিত। ভয় গ্রস্থ হয়ে জীবন কাটানো নিজেকে ভূতের মুখে ঠেলে দেওয়া। এই কারণে বুড়ো কর্তা আলোচ্য উক্তিটি করেছেন।
খুব ভালো এ ভাবেই student দের help করবেন
উত্তরমুছুনThanks...
মুছুনThanks
মুছুনKubh valo ata pore onek kichu bujhte parlam
উত্তরমুছুনKebol oti samannyo karone muskil bandhlo...kon poriprekhite muskil bandhlo?er answer ta doya kore din!
উত্তরমুছুনThanks
উত্তরমুছুনThanks
উত্তরমুছুনচোখ বুজে চলাই হচেছ জগতের সবচেযে আদিমচলায় বকতা কে
উত্তরমুছুনMuchun
উত্তরমুছুন