প্রেষণা কি ? শিক্ষা ক্ষেত্রে প্রেষণার ভূমিকা কি। what is motivation, it's role in education.

      প্রাণীর কোন আচরণই উদ্দেশ্যহীনভাবে ঘটে না। প্রাণী তিনটি কারণের জন্য আচরণ করে বেঁচে থাকা বংশ রক্ষা এবং বংশগতির উন্নতি। আর প্রাণীর এই সকল আচরণ তাড়না দ্বারা পরিচালিত হয়। উদ্দেশ্য মূলক আচরণের লক্ষ্য পূরণের জন্য এইযে আভ্যন্তরীণ তারণা বা তাগিদ তাকেই বলে প্রেষণা

প্রেষণা কি

    প্রেষণা হলো প্রাতিষ্ঠানিক লক্ষ্য অর্জনের জন্য অধিকতর কর্মপ্রচেষ্টা চালানোর ইচ্ছা বা আকাঙ্ক্ষা। মানুষ তার কর্মপ্রচেষ্টার জন্য স্বতঃস্ফূর্তভাবে কোনো কাজে অনুপ্রাণিত, উৎসাহিত ও প্ররোচিত হলে এ প্রক্রিয়াটি প্রেষণা হিসেবে অভিহিত হয়ে থাকে। প্রেষণা মানুষের অন্তরে নিহিত একটি সুপ্ত শক্তি যা উজ্জীবিত হলে মানুষ লক্ষ্য অর্জনের জন্য তার সর্বোচ্চ শক্তি নিয়োগ করে। অনুপ্রেষিত (motivated) ব্যক্তি স্বেচ্ছায়, স্বীয় উদ্যোগে, অধিকতর দক্ষতার সাথে তার কার্য সম্পাদনে সচেষ্ট হয়। অভাব বা প্রয়োজনবোধ থেকেই প্রেষণার উদ্ভব। মানুষের অতৃপ্ত বাসনা পূরণ হলে সে প্রেষিত (বা অনুপ্রেষিত) হয়েছে বলা যায়।

বিশারদের মতে প্রেষণার সংজ্ঞা:


শারলেকার (S. A. Sherlekar) বলেছেন, “যে ব্যবস্থাপকীয় কার্যের সাহায্যে ব্যক্তিবর্গকে কার্য সম্পাদনে অনুপ্রাণিত, উৎসাহিত ও তাড়িত করা যায় তাকে প্রেষণা বলে। (Motivation is a managerial function to inspire, encourage and impel people to take required action).

ওইরিখ ও কুঞ্জ (H. Weihrich & H. Koontzt) বলেছেন, “সব ধরনের চাহিদা, আকাঙ্ক্ষা, ইচ্ছা, প্রয়োজন এবং সমরূপ শক্তিকে বোঝানোর জন্য ব্যবহৃত সাধারণ পদবাচ্যকে প্রেষণা বলে”। (Motivation is a general term applying to an entire class of drives, desires, needs, wishes and similar forces).

Keith Daris এবং H. John W. Newstrom বলেছেন, “কাজের দিকে কর্মীকে ধাবিত করার শক্তিই হলো প্রেষণা”। (Motivation is the strength of the drive towards an action).

মাইকেল জুসিয়াস (Michael Jucious)- এর মতে প্রেষণা হচ্ছে ব্যবস্থাপক কর্তৃক সে ধরনের পদক্ষেপ গ্রহণ যা কর্মীদেরকে নির্ধারিত কাজ সুষ্ঠুভাবে সম্পাদন করতে উৎসাহিত ও প্রণোদিত করে।

    উপরের আলোচনা থেকে আমরা বলতে পারি, প্রেষণা হলো এমন একটি ব্যবস্থাকীয় প্রক্রিয়া যা কোনো কর্মীকে স্বতঃস্ফূর্তভাবে কার্য সম্পাদনে উদ্বুদ্ধ করে, ফলে প্রাতিষ্ঠানিক লক্ষ্য অর্জনে সে তার সর্বোচ্চ শক্তি নিয়োগ করতে সচেষ্ট হয়। কর্মী যাতে তার সর্বোচ্চ পরিপক্কতা (maximum maturity) প্রয়োগ করতে পারে, মূলতঃ প্রেষণা সেই কাজটি করে থাকে

      অর্থাৎ প্রেষনা এমন একটি মানসিক অবস্থা যা আমাদের বিশেষ একটি ক্রিয়া সম্পাদন করতে উদ্বুদ্ধ করে এবং কাজকে নির্দিষ্ট লক্ষ্য মুখী করে ও লক্ষ্য পূরণ না হওয়া পর্যন্ত আমাদের সেই কাজে ব্যাপৃত রাখে।

Motivation


     প্রেষণার সংজ্ঞা থেকে প্রেষণার কয়েকটি বৈশিষ্ট্য পাওয়া যায় যেমন -

প্রেষণার বৈশিষ্ট্য

  • প্রেষণা চিরস্থায়ী নয়। মাঝপথে কমে যেতে পারে। এমনকি কোনো লক্ষ্য অর্জন সম্ভব নয় বলে মনে হলে প্রেষণা মাঝপথে শেষ হয়ে যেতে পারে।
  • প্রেষণা আচরণ সম্পন্ন করে না আচরণ করতে উদ্বুদ্ধ করে।
  • প্রেষণা আচরণের অভিমুখ নির্দেশ করে মাত্র।
  • একটি উদ্দেশ্য পূরণের প্রেষণা অন্য উদ্দেশ্য সাধনের জন্য কার্যকর হতে পারে না।
  • প্রেষণা কার্যপদ্ধতি স্থির করে না, কার্যপদ্ধতি বক্তি নিজেই স্থির করে নেয় ধনী হওয়ার জন্য বাসনায় ব্যক্তি কোন পথ বেছে নেবে তা ব্যক্তির নিজস্ব।
  • প্রেষণা বাধাপ্রাপ্ত হলে মানুষের প্রক্ষোভ সৃষ্টি হয়।
  • প্রেষণার তীব্রতা অনুযায়ী কাজের গতি ও উদ্দেশ্য বাছাই করা প্রয়োজন হয়।

        প্রেষণার বিভিন্ন বৈশিষ্ট্যের পরিপ্রেক্ষিতে বিভিন্ন মনোবিদ কয়েকটি তথ্য আলোচনা করেছেন, এই সকল তত্ত্বের মধ্যে উল্লেখযোগ্য মাসলোর চাহিদার ক্রমপর্যায় তত্ত্ব। 

     

শিক্ষা ক্ষেত্রে প্রেষণার ভূমিকা কি। মাসলোর প্রেষণা তত্ত্বটি লেখ।Motivation | Role of Motivation in Education 


         প্রেষণার ভিত্তি হিসাবে চাহিদা পূরণের ক্রমপর্যায় কে গুরুত্ব দিয়ে বিজ্ঞানী এই তথ্য আলোচনা করেছেন। তার মতে জীবজগতে প্রত্যেকটি প্রাণীকে বেঁচে থাকতে হলে একান্ত আবশ্যক কিছু চাহিদা পূরণ হওয়া দরকার। ক্রমাগত উচ্চতর পর্যায়ের চাহিদা পুরো না মানুষকে চির সক্রিয় করে রাখে। দৈহিক ও মানসিক পরিনতর জন্য পাঁচটি ক্রমোচ্চ পর্যায়ের চাহিদার স্তর অতিক্রম করতে হয় প্রত্যেকটি ব্যক্তি কে। তার সব সর্বনিম্ন স্তরটি হল শারীরবৃত্তীয় চাহিদা।

\শারীরবৃত্তীয় চাহিদা:
             অন্যান্য ইতর প্রাণীদের মতোই বেঁচে থাকার জন্য মানুষের প্রয়োজন খাদ্য বাসস্থান ইত্যাদি অর্থাৎ যে সমস্ত উপাদান বিভিন্ন ক্রিয়া-কলাপ এর মাধ্যমে শরীরের প্রয়োজন মেটায়। এই চাহিদা মানুষকে খাদ্য সংগ্রহ খাদ্য গ্রহণ করার জন্য প্রেরনা যোগায় যার অভাবে এই চাহিদার পূরণ হয় না। আর এই শারীরবৃত্তীয় চাহিদা পূরণ হলে তবেই পরবর্তী পর্যায়ের চাহিদা পূরণ করার জন্য মানুষ সচেষ্ট হয়।


নিরাপত্তার চাহিদা:
               শারীরবৃত্তীয় চাহিদা পূরণ হলে বেঁচে থাকার জন্য পরবর্তী প্রয়োজন নিরাপত্তা। নিরাপত্তার চাহিদা পূরণের প্রকৃত উদ্দেশ্য ব্যক্তির মধ্যে নিরাপত্তা বোধের সৃষ্টি। অস্তিত্ব রক্ষার জন্য শারীরবৃত্তীয় চাহিদা পূরণ হলে তখন নিরাপত্তাবোধ তৈরি হওয়া সম্ভব। ক্রমশ বড় হওয়ার সঙ্গে সঙ্গে গৃহ আশ্রয় এবং পরিবারের অন্য মানুষ সমাজ বন্ধু সবকিছুই নিরাপত্তা দিয়ে থাকে। 


ভালোবাসা ও একাত্মতার চাহিদা:

               শিশুরা সাধারণভাবে জন্ম থেকেই অন্যের স্নেহ ও ভালোবাসা পেয়ে বড় হয়। না হলে তার পক্ষে পূর্ববর্তী চাহিদাগুলি পূরণ করা সম্ভব নয়। শিশুরা যেমন ভালোবাসা পেতে চাই ঠিক একইভাবে অন্যদের ভালবসতে চাই এই বিষয়টি একাত্মতার চাহিদা। বিদ্যালয়ে যে শিক্ষার্থী শিক্ষকদের অবহেলা অবিচারের শিকার তার পক্ষে বিদ্যালয়ের শিক্ষকদের ভালোবাসা সম্ভব নয় কারণ শিক্ষকদের অবিচার শিক্ষার্থীকে নিরাপত্তাহীনতার দিকে ঠেলে দেয়। এমনকি বিদ্যালয় পরবর্তী স্তরে কর্মস্থল সামাজিক ক্ষেত্রে পারিবারিক ও ব্যক্তিগত জীবনের ক্ষেত্রে ব্যক্তি একাত্মতার পরিচয় বহন করে।


     আত্মসম্মানের চাহিদা:
                    নিজের প্রতি শ্রদ্ধাবোধ গুরুত্ব আস্থা ইত্যাদি মিলে যে জটিল কিন্তু ইতিবাচক মনোভাব সৃষ্টি হয় তাকে বলা হয় আত্মসম্মান। যে ব্যক্তি নিজেকে অশ্রদ্ধা করে তার পক্ষে অপরকে শ্রদ্ধা করা কঠিন। মানুষ সামাজিক জীব গোষ্ঠী হলেও প্রত্যেকটি ব্যক্তির একটি নিজস্ব স্থান থাকে। কোন ব্যক্তির ভালোবাসা ও একাত্মতার চাহিদা পূরণ না হলে আত্মসম্মানের চাহিদা পূরণের জন্য কোন প্রেষণা জাগ্রত হওয়া সম্ভব নয়। 


     আত্মপ্রতিষ্ঠার চাহিদা:

                মসলোর তত্ত্বে আত্মপ্রতিষ্ঠা কে সর্বোচ্চ স্তরে রাখা হয়েছে। প্রত্যেক ব্যক্তি যে নিজের সম্বন্ধে শ্রদ্ধা পোষণ করে যার আত্মসম্মানের চাহিদা পূরণ হয়েছে সে নিজেকে প্রতিষ্ঠিত করতে চায় এবং সেই মতো কাজে উদ্বুদ্ধ হয়। যেমন প্রত্যেক শিক্ষার্থী তার বুদ্ধিমত্তার প্রয়োগ করতে চাই তার দক্ষতা গুলিকে ক্রমাগত পরিশীলিত করতে চাই তার নিজের সুপ্ত ক্ষমতা গুলিকে চূড়ান্ত বিকাশের পথে নিয়ে যেতে চাই আর এর মধ্য দিয়েই তার আত্মপ্রতিষ্ঠা লাভ হয়। 





আরও  প্রশ্ন ও উত্তর


       মসলোর তত্ত্বের প্রয়োগ | Application of MASLOW'S Theory


               মসলোর তত্ত্বে কয়েকটি গুরুত্বপূর্ণ বিষয়কে প্রতিষ্ঠা করা হয়েছে। যাা পরবর্তীকালে নানা পরীক্ষা-নিরীক্ষায়়় প্রমাণিত হয়েছে, তত্ত্বের  প্রয়োগের স্থানগুলি সংক্ষেপে উল্লেখ করা হলো - 

  • ছোট থেকেই আহার-নিদ্রা বিশ্রাম সম্পর্কে সুরক্ষা এবং অনুরূপ চাহিদাগুলি পিতা-মাতার দৃষ্টিভঙ্গি অনুযায়ী নয় শিশুর চাহিদা বুঝে নিয়ে পূরণ করা দরকার।
  • শুধুমাত্র সম্ভাব্য বিপদ থেকে সুরক্ষা দান করা নয়, শিশুরা যাতে নিজে নিজেই বয়স উপযোগী সুরক্ষা পেতে পারে তা শেখানো দরকার।
  • সকলের সঙ্গে সহজ মেলামেশায় উৎসাহ দেওয়া দরকার। অতিরিক্ত নিষেধাজ্ঞা শিশুর ভালোবাসা ও একাত্মতার চাহিদাকে বিঘ্নিত করে তাই বিদ্যালয়ে দলগত কাজ খেলাধুলা যৌথ দায়িত্বের মাধ্যমে শিশুর একাত্মবোধ তৈরি হয়।
  • ছোটবেলা থেকেই নিজের প্রতি আত্মবিশ্বাস ও ইতিবাচক মনোভাব এবং আত্মসম্মানবোধ তৈরি করার সচেষ্ট হওয়া দরকার। বয়স উপযোগী দায়িত্ব দেওয়া এবং বিভিন্ন ঐতিহ্যের প্রতি শ্রদ্ধাবান করে তোলা প্রয়োজন।
  • কারণ ব্যাখ্যা সহ স্পষ্ট নির্দেশ শাস্তি ও পুরস্কারের বেলায় স্বচ্ছতা স্পষ্ট ও সামঞ্জস্যপূর্ণ নীতি পিতা-মাতা শিক্ষকদের নিজের আচরণ সম্বন্ধে সচেতন থাকা এইসব নিরাপত্তাবোধ এর অন্যতম উৎস।







পরিনমন  


     পরিনমন হলো একটি বৃদ্ধির প্রক্রিয়া, যেখানে কিছু শক্তিশালী উপাদান শিশুর বিকাশের প্রক্রিয়াকে নিয়ন্ত্রণ করে, এই উপাদান গুলির বেশির ভাগই সহজাত।


      পরিনমন হলো শিক্ষার্থীর আচরণের গুনগত এবং পরিমানগত পরিবর্তনের প্রক্রিয়া যা প্রশিক্ষণ ও অনুশীলন নিরোপেক্ষ। অর্থাৎ পরিনমন হলো শিখন নিরোপেক্ষ এবং মানব জীবনের স্বাভাবিক প্রক্রিয়া।

  DOWNLOAD EDUCOSTUDY APP FROM PLAYSTORE CLICK HERE



      জীবের বৃদ্ধির সাথে সাথে তার জৈবনিক নানান পরিবর্তন ঘটে, এই সমস্ত পরিবর্তন প্রাণীর শিখনকে ত্বরান্বিত করে। পরিনমন একটি প্রাণীর জৈবনিক প্রক্রিয়া, তাই শিখনের ক্ষেত্রে এর যথেষ্ট গুরুত্ব আছে।



শিক্ষাক্ষেত্রে পরিনমনের ভূমিকা
১) শিক্ষাক্ষেত্রে পরিনমনের গুরুত্ব অপরিসীম। উপযুক্ত পরিনমন শিখনের ক্ষেত্রে অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ।

২) পরিকল্পিত ও বাঞ্ছিত শিখনের মাধ্যমে স্তরে স্তরে আচরণ গুলির উন্নতি ঘটানো যেতে পারে।



৩) শিখনের সীমা পরিনমনের দ্বারা নির্ধারিত হয়ে থাকে।

৪) স্তর অনুযায়ী শিখন কে কার্যকরী করতে হয়, সেই কারণে শৈশবের থেকে পরবর্তী জীবনে পরিনমনের প্রভাব কমে যায়।



৫) পরিনমনের ফলে ব্যাক্তির আচরণেও পরিবর্তন ঘটে, সেই কারণে শিখন প্রক্রিয়ায় খুব সহজেই ব্যাক্তি নিজেকে মানিয়ে নিতে পারে।

৬) শিখন হলো অর্জিত বিকাশমূলক মানসিক প্রক্রিয়া যা পরিনমনের দ্বারা প্রভাবিত।



৭) পরিনমনের উপর নির্ভর করে শিক্ষাদান প্রক্রিয়া হয়, অর্থাৎ পরিনমনই নির্ধারণ করে দেয় কোন বয়সে কি ধরণের শিখন কার্যকরী হবে।

  DOWNLOAD EDUCOSTUDY APP FROM PLAYSTORE CLICK HERE


মনে রাখতে হবে প্রশ্নটি কত নম্বরের, যদি প্রশ্নটি 4/5/6/8 নম্বরের থাকে তবে  সেই হিসাবে ততো গুলি পয়েন্ট লিখতে হবে।




# প্রিয় ছাত্র - ছাত্রী যদি কোথাও কোনো ভুল থেকে থাকে তবে মনে রাখবে সেটা অনিচ্ছা কৃত। নিচে কমেন্ট করো। ঠিক করে দেওয়া হবে।

TAG -
প্রেষণা কাকে বলে, প্রেষণা,প্রেষণা চক্র, প্রেরণা কাকে বলে, প্রেষণার সংজ্ঞা, প্রেষনা কাকে বলে?, প্রেষণার ধারণা, প্রেষণার তত্ত্ব, প্রেষণা কি, প্রেষণা চক্র কী, প্রেষণা চক্র কি?, প্রেষণার অর্থ, প্রেষণার ধারনা, প্রেষণার পরিবার, শিখণে প্রেষণার ভূমিকা, অধ্যায় ৭: প্রেষণা - প্রেষণার ধারণা ও বৈশিষ্ট্য, প্রেরণা, প্রেষণার বৈশিষ্ট্য, প্রেষণার প্রকারভেদ কয়টি, প্রেষণা চক্র ব্যবস্থাপনা, আর্থিক ও অনার্থিক প্রেষণা, প্রেষণার প্রয়োজনীয়তা, প্রেষণা ব্যবস্থাপনা ২য় পত্র