Madhyomik geography suggestions হিমবাহের সঞ্চয় কার্যের ফলে গঠিত ভূমিরূপ।


             হিমবাহের সঞ্চয় কার্যের ফলে গঠিত ভূমিরূপ।

    হিমবাহের ক্ষয় কার্যের প্রশ্নে আলোচনা করা হয়েছে  যে হিমবাহ কি ও কিভাবে কাজ করে । প্রয়োজনে দেখে নিতে পারো।

 উত্তর --  নদীর মতো হিমবাহেরও কাজের কয়েক রকম ধাপ আছে । হিমবাহ ক্ষয় করে ও সেই ক্ষয়িত পদার্থ কে সঞ্চয় করে । ক্ষয় কার্যের ফলে যেমন নানান ভূমিরূপ গড়ে  ওঠে তেমন ভাবে সঞ্চয় কাজের জন্য ও নানান ভূমিরূপ গড়ে ওঠে। হিমবাহের সঞ্চয় কার্যের জন্য যে সকল ভূমিরূপ গড়ে ওঠে তাদের কয়েকটি সম্পর্কে  আলোচনা করা হলো --

  DOWNLOAD EDUCOSTUDY APP FROM PLAYSTORE CLICK HERE




গ্রাবরেখা
     হিমবাহ দ্বারা বাহিত প্রস্তর খন্ড পর্বতের নিচে পড়ে চাপ ও তাপের জন্য বরফমুক্ত হয়ে পড়ে ও বিভিন্ন স্থানে সারিবদ্ধ ভাবে সঞ্চিত হয়, এই সঞ্চিত প্রস্তর খন্ড কে গ্রাবরেখা বলে। 
       গ্রাবরেখা কে কয়েকটি ভাগে ভাগ করা যায় -- সম্মুখ, মধ্য, প্রান্ত, আবদ্ধতলদেশ গ্রাবরেখা।

আগামুখ
     হিমবাহ বিভিন্ন আকৃতির প্রস্তরখন্ড অবক্ষেপন করে। এই সমস্ত অবক্ষেপিত প্রস্তর খন্ডের মধ্যে বৃহৎ আকৃতির খন্ড গুলিকে বলে আগামুখ।


এস্কার
      হিমবাহের দ্বারা বাহিত প্রস্তর খন্ড যখন সাপের মতন সঞ্চিত হয়, এবং সংকীর্ন শৈলশিরা সৃষ্টি করে তখন তাকে এস্কার বলে। স্কান্ডিনেভিয়া অঞ্চলে এই ধরণের এস্কার দেখা যায়।

কেম
     হিমবাহের সঞ্চয় কার্যের ফলে অনেক সময় হিমবাহের শেষ প্রান্তে বালুকা, কাদা ইত্যাদি দ্বারা ত্রিকোনাকার  ব- দ্বীপের সৃষ্টি হয়, একে কেম বলে। 

ড্রামলিন
        বোল্ডার ক্লে সঞ্চিত অঞ্চলে অনেক সময় ছোট ছোট প্রস্তর খন্ড সঞ্চিত হয়ে সারিবদ্ধ টিলার আকার ধারণ করে, একে ড্রামলিন বলে। একে দেখতে অনেকটা উল্টানো চামচের মতো লাগে। ড্রামলিন এর গঠন হিমবাহের বিশেষ অবস্থাকে নির্দেশ করে। সুইডেনে এই ধরণের ড্রামলিন প্রচুর দেখা যায়।

বোল্ডার ক্লে
       পর্বতের পাদদেশে হিমবাহ গোলে গেলে নুড়ি, শিলারেণু, বলি ও কাদা সঞ্চিত হয়। মহাদেশীয় বা পার্বত্য হিমবাহ গলে গেলে তার নিচে অবস্থিত বালির সাথে নানান কাদা কে  বোল্ডার ক্লে বলে।

নব
   হিমবাহ বাহিত নুড়ি বা শিলাখন্ড জলপ্রবাহের সাথে ধৌত ও বাহিত হয়ে সমভূমিতে পৌঁছায়। এই সমস্ত প্রস্তরখন্ডকে নব বলে। কাশ্মীর উপত্যাকা তে নব দেখা যায়।




## প্রিয় ছাত্র - ছাত্রীরা প্রশ্নটি যদি 5 মার্কের হয় তবে ছবি সহ 6 টি পয়েন্ট লিখতে হবে । অন্যথায় নম্বরের উপর নির্ভর করে উত্তর দিতে হবে। যেমন 3 মার্কের জন্য 3 টি পয়েন্ট।