Madhyomik Geography Suggestions. বৃষ্টিপাত সম্পর্কে আলোচনা। পরিচলন, শৈলৎক্ষেপ, ও ঘূর্ণবাত।

              বৃষ্টিপাত সম্পর্কে আলোচনা

       বায়ুতে ভাসমান অজস্র জলকণা সমূহ পরস্পরের আকর্ষণে একত্রিত হয়ে মেঘের সৃষ্টি করে, পরে ঐ মেঘ আরো শীতল হয়ে আয়তনে বড়ো হয় । সৃষ্টি হওয়া মেঘের জলকণা মধ্যাকর্ষণ টানের ফলে ভূপৃষ্ঠে এসে পড়ে, একে আমরা বৃষ্টি বলি।

  DOWNLOAD EDUCOSTUDY APP FROM PLAYSTORE CLICK HERE



        সাধারণত মেঘ থেকে বৃষ্টিপাত হলেও সব মেঘ থেকে বৃষ্টিপাত হয়না। বৃষ্টিপাত হওয়ার জন্য দুটি অবস্থার প্রয়োজন হয় - জলীয় বাষ্পপূর্ন মেঘ ও ঐ মেঘকে শীতল করার প্রাকৃতিক পরিবেশ।  Madhyomik Geography Suggestions
      বৈশিষ্ট্য ও প্রকৃতি অনুযায়ী বৃষ্টিপাতকে তিনটি শ্রেণীতে ভাগ করা হয়। সেগুলি সম্পর্কে আলোচনা করা হলো

  DOWNLOAD EDUCOSTUDY APP FROM PLAYSTORE CLICK HERE

পরিচলন বৃষ্টিপাত
        সূর্যের তাপে ভু পৃষ্ঠের কাছের জলীয় বাষ্পপূর্ন বায়ু উপরে উঠে প্রসারিত ও শীতল হয়ে ঘনীভূত হয়, এর ফলে যে বৃষ্টিপাত হয় তাকে পরিচলন বৃষ্টিপাত বলে।
কারণ :-  বায়ুতে প্রচুর পরিমানে জলীয় বাষ্প ও উষ্ণতার ফলে পরিচলন বৃষ্টিপাত হয়। নিরক্ষ রেখা বরাবর পরিচলন বৃষ্টিপাত বেশি দেখা যায়। কারণ নিরক্ষরেখায় সূর্য সারা বছর লম্ব ভাবে কিরণ দেয়, এর ফলে এখানকার বাতাস জলীয় বাষ্প পূর্ন থাকে। নিরক্ষীয় অঞ্চলে প্রতিদিন বিকালের দিকে এই পরিচলন বৃষ্টিপাত হয় বলে একে 4 ও ক্লক রেইন বলে।

Madhyomik Geography Suggestions

শৈলোৎক্ষেপ বৃষ্টিপাত
         শৈল কথার অর্থ পাহাড়, আর ক্ষেপ এর অর্থ হলো উপরে ওঠা। এই অর্থ থেকে বোঝা যায় যে পর্বত বা পাহাড়ে বাধা পেয়ে জলীয়বাষ্প পূর্ন বায়ু যখন উপরে উঠে গিয়ে বৃষ্টিপাত ঘটায়, তখন তাকে শৈলোৎক্ষেপ বৃষ্টিপাত বলে।
কারণ :-  জলীয় বাষ্প পূর্ন বায়ু তার গতির পথে যদি কোনো পাহাড় বা পর্বতে বাধা পায় তবে সেই  স্থানে শৈলোৎক্ষেপ বৃষ্টিপাত ঘটে। এখানে মনে রাখার বিষয় হলো পর্বতের যে পাশে বাধা  ঘটে  তার বিপরীত পাশে কোনও বৃষ্টিপাত হয় না , একে বৃষ্টির ছায়া অঞ্চল বলে।

Madhyomik Geography Suggestions

  DOWNLOAD EDUCOSTUDY APP FROM PLAYSTORE CLICK HERE


ঘূর্ণবাতজনিত বৃষ্টিপাত
          জলীয়বাষ্প পূর্ন বায়ু ঘূর্ণবাতের কেন্দ্রে নিম্নচাপের আকর্ষণে এসে উপরে উঠে শীতল হয়ে যে বৃষ্টিপাত ঘটায় তাকে ঘূর্ণবাতজনিত বৃষ্টিপাত বলে।
কারণ :-  কোনো অঞ্চলের উষ্ণতা হঠাৎ বেড়ে গেলে সেখানে গভীর নিম্ন চাপের সৃষ্টি হয়। তখন ওই নিম্নচাপ স্থানে উচ্চচাপ থেকে বায়ু ঘুরতে ঘুরতে ছুটে আসে, এর ফলে মেঘ হয়ে বৃষ্টি পাত হয়। পশ্চিমবঙ্গে এপ্রিল ও মে মাসে কালবৈশাখী ঝড়ের জন্য এই ধরণের বৃষ্টিপাত দেখা যায়।

Madhyomik Geography Suggestions

## প্রিয় ছাত্র ছাত্রীরা এই প্রশ্নটি 5 নম্বরের মতো লেখানো হলো। যদি তিন নম্বরের আসে তবে যে কোনো একটি বৃষ্টিপাত সম্পর্কে লিখতে বলবে। সেই ক্ষেত্রে ভূমিকা ও সেই বৃষ্টিপাত নিয়েই আলোচনা করতে হবে।