Learning | Nature of Learning | Type of learning by Gagne | শিখন কি, শিখনের প্রকৃতি লেখ । গাগনীর মতে শিখন
|
|0
|
শিখন কাকে বলে / What is Learning
শিখন কাকে বলে এর সম্বন্ধে সকলের ধারণা আছে। শিখন এর ফলে কি হয় কেন হয় এবং কিভাবে হয় এই তিনটি প্রশ্নের মাধ্যমে শিখন এর সংজ্ঞা নির্ধারিত হয়।
আচরণ বাদীদের মতে - পর্যবেক্ষণযোগ্য পরিবর্তন হলো শিখন। শিখন প্রাণীর আচরণের পর্যবেক্ষণযোগ্য উন্নতি মূলক পরিবর্তন।
আবার, অতীত অভিজ্ঞতা প্রশিক্ষণ সক্রিয়তা এবং অনুশীলনের প্রভাবে ব্যক্তিজীবনে আচরণ ধারা পরির্বতনের প্রক্রিয়াকে শিখন বলা হয়।
কেউ কেউ মনে করেন অতীতের অভিজ্ঞতা এবং প্রশিক্ষণের প্রভাবে আচরণের পরিবর্তন হলো শিখন।
শিখনের প্রকৃতি / Nature of Learning
যদি শিখনের একাধিক সংজ্ঞা আলোচনা করা যায় তবে দেখা যাবে প্রতিক্ষেত্রে শিখনের কিছু নির্দিষ্ট বৈশিষ্ট্য আছে, যেমন-
- শিখন এর ফলে আচারণ উন্নত হয়। যেমন নতুন নতুন শব্দ শেখা হলে শিশুর ভাষার দক্ষতা বৃদ্ধি পায়। সে আরো ভালোভাবে তার চাহিদাগুলি অন্যের কাছে তুলে ধরতে পারে।
- শিখনের সংজ্ঞাই আচরণ আয়ত্ত করার প্রক্রিয়াকে শিখন বলা হয়েছে আচরণটিকে নয়। এর অর্থ হল মনোবিজ্ঞানিদের কাছে কি শেখা হয়েছে তার থেকেও বড় কিভাবে শেখা হয়েছে এই বিষয়টি।
- প্রতিটি শিখনের সংজ্ঞা দেখা যায় আচরণ বা আচরণের পরিবর্তনকে শিখন বলা হয়েছে। এর অর্থ হলো পুরনো আচারণের বদলে নতুন আচরণ আয়ত্ত করা বা সম্পূর্ণ নতুন আচরণ আয়ত্ত করা শিখন।
- শিখনের জন্য প্রচেষ্টা ও প্রশিক্ষণ দরকার হতে পারে। সমস্ত রকম শিখনের ক্ষেত্রে সরাসরি প্রশিক্ষণ প্রয়োজন না হলেও প্রশিক্ষণের ফলে আচারনের দ্রুত উন্নতি ঘটে।
- শিখন জনিত আচরণের মূল উদ্দেশ্য পরিবেশের সঙ্গে উন্নত ও সার্থক অভিযোজন কেননা অভিযোজন ও আচরণের উন্নতি পরস্পর শিখনের সঙ্গে সম্পর্কিত।
মনোবিদ গাগনীর মতে শিখনের প্রকারভেদ
রবার্ট এম গাগনী আমেরিকার এক বিশিষ্ট শিক্ষাবিদ। 1956 সালে শিখন সম্পর্কিত ধারণা আলোচনার সময় তিনি ব্যক্তির মানসিক প্রক্রিয়া সমূহের অবস্থা অনুযায়ী শিখন কে ৮ টি স্তরে ভাগ করেছেন। মোটেই আটটি স্তরের প্রথম চারটি মূলত আচরণগত দৃষ্টিভঙ্গির উপর গড়ে উঠেছে এবং পরবর্তী চারটি প্রজ্ঞামূলক দৃষ্টিভঙ্গির উপর গঠিত।
সংকেত শিখন:
শিখনের সর্বনিম্ন স্তর এটি এবং সবচেয়ে সরল। প্যাভলভের মতে সংকেত শিখন অনুবর্তন প্রক্রিয়ার মাধ্যমে ঘটে। এই স্তরে কিছু শব্দ ও বর্ণ অক্ষর অনুবর্তন প্রক্রিয়ার মাধ্যমে ব্যক্তি আয়ত্ত করে।
উদ্দীপক প্রতিক্রিয়া শিখন:
প্রথম স্তরের অপেক্ষা এটি একটু উন্নত শিখন, স্কিনার যাকে অপারেন্ট অনুবর্তন নাম দিয়েছেন। তা নিয়েই স্তরের শিখন নিজের ইচ্ছার মাধ্যমে লাভ করে। এই শিখনের ক্ষেত্রে শক্তিদায়ক এর সাহায্যে শিক্ষার্থীর শিখন কে শক্তিশালী করা হয়।
শৃঙ্খলিত শিখন:
গাগনীর শিখন স্তরের তৃতীয় স্তরের টি এই প্রকার শিখন দ্বারা প্রাণী জটিল কোন বিষয় সম্পর্কে জ্ঞান লাভ করতে পারে। যেমন পিয়ানো বাজানো সাইকেল চালানো ইত্যাদি।
ভাষাগত শিখন:
ব্যক্তির বা প্রাণীর শিখন বিভিন্ন উপাদানের মধ্যে সংযোগ সাধন ও সামান্যীকরণ এর মাধ্যমে ঘটে। প্রাণী ভাষা দিয়ে অন্য প্রাণীর সঙ্গে আচরণ করে।
পার্থক্য করণ শিখন:
এই প্রকার শিখন এর মাধ্যমে শিক্ষার্থীদের নিজস্ব ক্ষমতা বা দক্ষতা শক্তিশালী করে তোলা হয়। শিক্ষার্থীরা একাধিক বিষয় সম্পর্কে বিশেষ জ্ঞান লাভ করে ও তার থেকে আলাদা বস্তুটি কে চিনতে পারে।
ধারণা শিখন:
পূর্ব সকল স্তরের চেয়ে এটি একটু জটিল কারণ এই স্তরে কোন বিষয় বা বস্তু সম্পর্কে প্রাণী পুরোপুরি ধারণা নেওয়ার চেষ্টা করে। এবং ঐ সকল বস্তুর বৈশিষ্ট্য গুলি নিজের মধ্যে আয়ত্ত করে।
নিয়ম শিখন:
এটি প্রকৃতপক্ষে অতি উচ্চমানের জ্ঞান মূলক শিক্ষা পদ্ধতি। শিক্ষার এই স্তরে শিক্ষার্থীরা কোন বিষয় সম্পর্কে জটিল ভাবে জানতে পারে। এই স্তরে শিক্ষার্থীরা জীবনের গভীর উপলব্ধি বুঝতে পারে।
সমস্যা সমাধান মূলক শিখন:
সমস্যা সমাধান মূলক শিখন এর মাধ্যমে প্রাণী নিজে উপলব্ধি করতে পারে তার নিজের প্রতিক্রিয়া জানানোর অবস্থা। প্রাণী এই স্তরে নিজের ইচ্ছামত প্রতিক্রিয়া ঘটায়। গাংনীর মতে এই স্তরের শিক্ষা সর্বোচ্চ স্তরের শিক্ষা ।
কোন মন্তব্য নেই:
একটি মন্তব্য পোস্ট করুন