দেশ ভাগের পর কাশ্মীর সমস্যা এবং এর বর্তমান অবস্থা। MP 2021 History Suggestions


     ১৯৪৭ সালে ভারত বর্ষ স্বাধীনতা পাওয়ার পর দেশীয় রাজ্যের অন্তর্ভুক্ত নিয়ে জটিল পরিস্থিতির সৃষ্টি হয়। বেশ কিছু দেশীয় রাজ্য ভারতভুক্তি তে সমস্যা সৃষ্টি করেছিল এদের মধ্যে উল্লেখযোগ্য কাশ্মীর রাজ্য টি। 
Mp history suggestions

     দেশীয় রাজ্য সংহতি করনের প্রশ্নে কাশ্মীর সমস্যা ছিল সব থেকে জটিল। ভারতের উত্তর পশ্চিমে অবস্থিত এই রাজ্যটি মুসলিম ধর্মাবলম্বী হলেও শাসক ছিল হিন্দু। ভারত স্বাধীনতার সময় লর্ড মাউন্টব্যাটেন এই রাজ্যটির শাসক মহারাজা হরি সিং কে পাকিস্তান বা ভারত যেকোনো একটি দেশের সঙ্গে যুক্ত হতে পরামর্শ দেন। কিন্তু কাশ্মীরে ন্যাশনাল কনফারেন্স দলের সভাপতি শেখ আব্দুল্লাহ ভারতের সঙ্গে যুক্ত হতে চাইলেও মহারাজা হরি সিং চায় ছিলেন স্বাধীন ও স্বতন্ত্র ভাবে কাশ্মীর আলাদা রাজ্য হয়েই থাকবে। 

     ১৯৪৭ সালের ২২ সে অক্টোবর পাক মদদপুষ্ট হানাদার বাহিনী কাশ্মীরে ঢুকে পড়ে ব্যাপক ভাবে হত্যা ও লুণ্ঠন চালাতে থাকে, এমত অবস্থায় কাশ্মীর রাজা হরি সিং ভারত সরকারের কাছে সামরিক সাহায্য প্রার্থনা করে ও ভারত ভুক্তিতে স্বাক্ষর করে। এর ফলে প্রায় ১০০ টি বিমানে ভারতীয় সেনা বাহিনী পৌঁছায় এবং কাশ্মীরের তিন ভাগের দুই ভাগ উদ্ধার করে। শেখ আব্দুল্লাহর সরকার কে বিরোধিতা করে পাকিস্থান জোর করে দখল করা কাশ্মীরকে আজাদ কাশ্মীর নাম দেয় ও ভারত অধিকৃত কাশ্মীরের উপর নানান অত্যাচার চালাতে থাকে। 

     পরবর্তী সময়ে কাশ্মীর সমস্যা নিয়ে অনেক সমাধানের চেষ্টা করা হলেও পাকিস্থান বার বার তার সীমা লঙ্গণ করে যুদ্ধের ইঙ্গিত দিতে থাকে। বর্তমানে ভারতের সংবিধান সংশোধনের মাধ্যমে কাশ্মীরের নিজস্ব ক্ষমতা খর্ব করে কেন্দ্রীয় সরকারের কতৃতে স্থাপন করা হয়েছে।