Atlantik ocean. আটলান্টিক মহাসাগরের স্রোত।


      পৃথিবীতে যে সকল বড়ো বড়ো মহাসাগর অবস্থিত তাদের মধ্যে আটলান্টিক হলো দ্বিতীয় বৃহত্তম। এই মহাসাগরের আয়তন 8 কোটি 4 লক্ষ বর্গ কিমি। এর গড় গভীরতা 3 কিমি। এই মহাসাগরের গভীর স্থানটির নাম পোর্টেরিকা।  এই মহাসাগরে যে বৃহৎ স্রোত গুলি দেখা যায় , তার কয়েকটি নিয়ে নিচে আলোচনা করা হলো -- 
নিরক্ষীয় স্রোত
        আটলান্টিক মহাসাগরে উত্তর পূর্ব  ও দক্ষিণ পূর্ব আয়ন বায়ুর প্রভাবে নিরক্ষীয় অঞ্চল থেকে এক ধরণের স্রোত প্রবাহিত হয়, একে নিরক্ষীয় স্রোত বলে। নিরক্ষীয় স্রোতকে কয়েকটি ভাগে ভাগ করা যায় -- উত্তর নিরক্ষীয় স্রোত, দক্ষিণ নিরক্ষীয় স্রোত, নিরক্ষীয় প্রতি স্রোত।

ক্যারিবিয়ান স্রোত
        দক্ষিণ আমেরিকার কেপসান অন্তরিপে দক্ষিণ নিরক্ষীয় স্রোত বাধা পেলে স্রোতটি দুটি শাখায় ভাগ হয়ে যায়। উত্তরের যে স্রোতটি ক্যারিবিয়ান সাগরে প্রবেশ করে ও দক্ষিণ দিকের নিরক্ষীয় স্রোতের সাথে মিলিত হয়। এই মিলিত স্রোতের নাম ক্যারিবিয়ান স্রোত।

ব্রাজিল স্রোত
        বেঙ্গুয়েলা স্রোত আয়ন বায়ুর প্রভাবে পশ্চিমে বেঁকে দক্ষিণ নিরক্ষীয় স্রোতের সাথে মিলিত হয়। কিছু পরে এই স্রোত সেন্ট রক অন্তরিপে বাধা পেয়ে দক্ষিণ দিকে ব্রাজিল  উপকূল বরাবর একটি শাখা চলতে শুরু করে। এই স্রোত টি ব্রাজিল স্রোত নামে পরিচিত।

কুমেরু স্রোত
        কুমেরু বা দক্ষিণ মহাসাগর থেকে আসা শীতল স্রোত পশ্চিমা বায়ুর প্রভাবে পূর্ব দিকে বেঁকে যায় ও দুটি শাখায় ভাগ হয়ে আটলান্টিক মহা সাগরে প্রবেশ করে।

গ্রীনল্যাণ্ড স্রোত
         উত্তর মহাসাগর থেকে দুটি শীতল স্রোত গ্রিনলান্ডের পূর্ব - পশ্চিম উপকূলের দুই পাস দিয়ে দক্ষিণ দিকে প্রবাহিত হয়। গ্রীনল্যাণ্ড এর পূর্ব উপকূলের পাস দিয়ে প্রবাহিত এই স্রোতের নাম গ্রীন ল্যান্ড স্রোত।
লাব্রেডের স্রোত
          পূর্ব গ্রীনল্যান্ড স্রোত ও সুমেরু স্রোত  কানাডার লাব্রেডের এর কাছে এসে মিলিত হয় ও শীতল হয়ে দক্ষিণ দিকে প্রবাহিত হয়। এই স্রোতের নাম লাব্রেডের স্রোত।