মাধ্যমিক শিক্ষা কমিশনের মতে শিক্ষার লক্ষ্য কী ।।


    মাধ্যমিক শিক্ষা কমিশন (১৯৫২-৫৩) তে বলা হয়েছে, "আমাদের শিক্ষা লক্ষ্যহীন" । ইংরেজ শাসিত ভারত বর্ষে তাদের শিক্ষা ছিল অভাবনীয়, সার্বিক বিকাশের কোনো সুযোগ ছিল না। এই নীতির ফলে শিক্ষিত মানুষের তুলনায় চাকরির সংখ্যা কম হওয়ায় বেকারের সংখ্যা বৃদ্ধি পায়। শিক্ষিত সমাজের হতাশা গ্রস্ত দুঃ সহ জীবন ইতিহাস আলোচনা করে মাধ্যমিক শিক্ষা কমিশন একটি শিক্ষা নীতি প্রবর্তন করেন, যেখানে শিখার লক্ষ্য সম্পর্কে বলাহয় -



1, বিদেশি শাসনে শাসিত ভারতবর্ষ কে অর্থনৈতিক ভাবে শক্ত করতে হবে, ও উন্নত জীবনাদর্শ গঠন করত হবে। শিক্ষার্থীরা যাতে দ্বায়িত্ব নিয়ে দেশ কে সামনে এগিয়ে নিয়ে যেতে পারে সে বিষয়ে প্রশিক্ষণ দেওয়া ছিল মাধ্যমিক শিক্ষার অন্যতম লক্ষ্য ।


2, শিক্ষার্থীদের এমন শিখার শিক্ষিত করতে হবে যাতে তারা গণতান্ত্রিক দেশের নাগরিক হিসাবে দ্বায়িত্ব গুলি বুঝে নিতে পারে এবং কোনো বাধাকে প্রতিরোধ করতে পারবে।


3, মাধ্যমিক শিখার লক্ষ্য হবে দেশের সংস্কৃতিকে অগ্রগতি দান করা।

4, মাধ্যমিক শিখার অন্যতম লক্ষ্য হবে ব্যাক্তি সম্পন্ন মানুষ তৈরি করা।

5, শিক্ষার্থীদের চরিত্র গঠনের প্রশিক্ষণ এমন ভাবে দিতে হবে যাতে তারা উদিত গণ তান্ত্রিক ব্যাবস্থায় নাগরিক হিসাবে সৃজনশীল হতে উঠতে পারে।

6, শিক্ষার্থীদের এমন শিক্ষায় শিক্ষিত করতে হবে যাতে তারা বৃত্তিমূলক দক্ষতা অর্জন করতে পারে। 

7, মাধ্যমিক শিক্ষার পাঠক্রম এমন ভাবে রচিত হবে যার মাধ্যমে শিক্ষার্থীরা সংস্কৃতি সম্পন্ন মানুষ হতে উঠতে পারে।


8, মাধ্যমিক শিক্ষার আরেক লক্ষ্য হবে আদর্শ বিদ্যালয় পরিবেশ রচনা করা।

9, মাধ্যমিক শিক্ষা কে এমন শিক্ষা করে গড়ে তুলতে হবে যাতে শিক্ষার্থীরা বাস্তব অভিজ্ঞতা বেশি অর্জন করতে পারে।

Mother's day Best Wishes | Quotes | Status | Download

Click Here


10, শিক্ষার্থীদের আগ্রহ, কর্ম প্রেরণা, বিশেষ মানসিক ক্ষমতা অনুযায়ী শিক্ষা দিয়ে তাদের মসৃণ জীবন পথ তৈরি করে দিতে হবে।

       শিক্ষা ক্ষেত্রে মাধ্যমিক শিক্ষা কমিশনের সুপারিশে তেমন কিছু অভিনবত্ব দেখা যায়না। যেকোনো স্বাধীন গণতান্ত্রিক দেশে এই শিখার লক্ষ্য গুলিকে কেন্দ্র করেই শিখার অগ্রগতি ঘটে। তবুও এখানে শিখার লক্ষ্য, ব্যাক্তি ও সমাজ কল্যাণের অভিমুখ হবার জন্য মাধ্যমিক শিক্ষার এই লক্ষ্য গুলি বেশ সমৃদ্ধ বলেই মনে হয়।

## প্রশ্নটির উত্তর নম্বরের উপর নির্ভর করে লিখতে হবে।