সপ্ত প্রবাহের নীতি। মাধ্যমিক কমিশনের সপ্ত প্রবাহের নীতি।

    স্বাধীন ভারতবর্ষে শিক্ষাকে শক্তি শালী করবার জন্য বিভিন্ন শিক্ষা কমিশন গঠন করা হযেছিল। বিশ্ব বিদ্যালয় শিক্ষা কমিশনের মাধ্যমে ভারতবর্ষে উচ্চ শিক্ষার কিছুটা পরিবর্তন সম্ভব হলেও মাধ্যমিক শিখার প্রসারে তেমন কোনো পরিবর্তন দেখা যায়নি। সেই কারণে কয়েকজন বিশিষ্ট ব্যাক্তি বর্গের সহায়তায় ১৯৫২ সালে মাধ্যমিক শিক্ষার উন্নতির জন্য মাধ্যমিক শিক্ষা কমিশন গঠন করা হয়। এই কমিশনের যে সমস্ত সুপারিশ গুলি বিশেষ ভাবেই উল্লেখ্য তার মধ্যে সপ্ত প্রবাহের নীতিটিও বেশ উল্লেখ যোগ্য।



     মাধ্যমিক শিক্ষা কমিশনের মতে ঐচ্ছিক বিষয়ের পাঠক্রমে যে সকল বিষয় থাকবে, তাদের কে মত সাতটি ভাগে ভাগ করতে হবে। সেই সম্পর্কে নিচে আলোচনা করা হলো --


মানবীয় বিদ্যা
       এই উপশাখা টিতে বেশ কয়েকটি মূল বিষয় থাকবে যেমন -
      ১. একটি প্রাচীন ভাষা, যেটি আবশ্যিক অংশে থাকবে না।
      ২. ইতিহাস।
      ৩. ভূগোল।
      ৪. অর্থনীতি ও পৌরবিজ্ঞান।
      ৫. প্রাথমিক মনোবিদ্যা ও তর্কসাস্ত্র।
      ৬. গণিত।
      ৭. সঙ্গীত।
       ৮. গার্হস্থ্য বিজ্ঞান।
https://play.google.com/store/apps/details?id=com.Educostudy

বিজ্ঞান
      ১. জীবন বিজ্ঞান
      2. পদার্থ বিদ্যা
      ৩. রসায়ন বিদ্যা
      ৪. গণিত
      ৫. ভূগোল
      ৬. শরীর বিদ্যা ও স্বাস্থ্য বিজ্ঞান।

বাণিজ্য
      ১. বানিজ্যিক প্রয়োগ বিদ্যা
      ২. হিসাব শিক্ষা
      ৩. অর্থনীতি
      ৪. টাইপ রাইট

কারিগরী বিদ্যা
      ১. ফলিত বিজ্ঞান
      ২. ফলিত গণিত ও  জ্যামিতিক অঙ্কন
      ৩. প্রাথমিক প্রযুক্তি বিদ্যা হিসাবে যে কোনো একটি।

কৃষি
      ১. পশুপালন
      ২. সাধারণ কৃষি
      ৩. উদ্যান রচনা
      ৪. উদ্ভিদ বিদ্যা।

চারু কলা
      ১. চিত্রাঙ্কন
      ২. নৃত্য কলা
      ৩. চারু কলার ইতিহাস
      ৪. নকশা অঙ্কন
      ৫. সঙ্গীত শিক্ষা।

গার্হস্থ্য বিজ্ঞান
      ১. রন্ধন প্রণালী
      ২. মাত্রিমঙ্গল ও শিশু পালন
      ৩. গৃহস্থ অর্থনীতি
      ৪, গৃহ পরিচালনা
      ৫. সেবা শিক্ষা।

         মাধ্যমিক শিক্ষা কমিশন ভারত বর্ষের পরিবেশ পরিস্থিতির উপর বিচার করে মাধ্যমিক শিখার এই নীতি রচনা করেছিল। রচিত এই নীতি সম্পর্কে কমিশনের মত মত ছিল সময় ও যুগ পরিবর্তনের সাথে সাথে মানুষের চাহিদারও পরিবর্তন ঘটে, সেই কারণে এই পাঠ্যক্রমেরও পরিবর্তন ও সংস্করণ প্রয়োজন হতে পারে।