মাধ্যমিক শিক্ষা কমিশন। aim of Secondary Education Commission 1952 - 52 । শিক্ষার লক্ষ্য
স্বাধীন ভারতের দ্বিতীয় শিক্ষা কমিশন মুদালিওর কমিশন বা মাধ্যমিক শিক্ষা কমিশন। মাধ্যমিক শিক্ষার লক্ষ্য সম্পর্কে এই কমিশনের মতামত ছিলো - আমাদের শিক্ষা লক্ষ্যহীন।
ইংরেজ শাসন কালে ভারতবর্ষে তাদের শিক্ষা ছিলো নিচু স্তরের, সার্বিক বিকাশের কোনো সুযোগ সুবিধা ছিল না। এই ইংরেজ নীতির ফলে দেশে বেকারের সংখ্যা বৃদ্ধি পায়। শিক্ষিত সমাজের হতাশা গ্রস্ত, দুঃসহ জীবন ইতিহাস পর্যালোচনা করে মাধ্যমিক শিক্ষা কমিশন এক শিক্ষা নীতি চালু করে। যেখানে শিক্ষার লক্ষ্য সম্পর্কে বলা হয়-
Secondary Education Commission 1952 - 52
1. বিদেশি শাসনে শাসিত ভারত বর্ষকে অর্থনৈতিক ভাবে শক্ত করতে হবে ও উন্নত জীবন দর্শন হতে তুলতে হবে। শিক্ষার্থীরা যাতে দ্বায়িত্ব নিয়ে ভারত বর্ষ কে এগিয়ে নিয়ে যেতে পারে সে বিষয়ে প্রশিক্ষণ দেওয়া ছিলো মাহমিক শিক্ষা কমিশনের অন্যতম লক্ষ্য।
2. শিক্ষার্থীদের এমন শিক্ষায় শিক্ষিত করতে হবে যাতে তারা গণতান্ত্রিক দেশের নাগরিক হিসাবে দায়িত্ব গুলো বুঝে নিতে পারে ও কোনো বাধা কে সহজেই প্রতিরোধ করতে পারবে।
3. মাধ্যমিক শিক্ষার লক্ষ্য হবে দেশের সংস্কৃতিকে সুগঠিত ও অগ্রগতি দান করা।
4. মাধ্যমিক শিক্ষার অন্যতম লক্ষ্য হবে, এই শিক্ষার মাধ্যমে শিক্ষার্থীকে ব্যাক্তি সম্পন্ন মানুষ তৈরি করা।
5, শিক্ষার্থীদের চরিত্র গঠনের প্রশিক্ষণ এমন ভাবে দিতে হবে যাতে তারা উদিত গণতান্ত্রিক ব্যবস্থায় নাগরিক হিসাবে সৃজনশীল হতে উঠতে পারে।
6, মাধ্যমিক শিক্ষার মাধ্যমে শিক্ষার্থীদের এমন ভাবে শিক্ষিত করতে হবে যাতে তারা বৃত্তিমূলক দক্ষতা অর্জন করতে পারে।
7, মাধ্যমিক শিক্ষার পাঠক্রম এমন ভাবে রচিত হবে যার মাধ্যমে শিক্ষার্থীরা সংস্কৃতি সম্পন্ন মানুষ হতে উঠতে পারে।
8, মাধ্যমিক শিক্ষার একটি গুরুত্বপূর্ণ লক্ষ্য হলো শিক্ষার্থীদের মাধ্যমে আদর্শ বিদ্যালয় পরিবেশ রচনা করা।
Secondary Education Commission 1952 - 52
9, মাধ্যমিক স্তরে এমন শিক্ষা ব্যাবস্থা প্রচলন করতে হবে যাতে শিক্ষার্থীরা বাস্তব ধর্মী বিষয়ে আগ্রহী হলে ওঠে।
10, শিক্ষার্থীদের আগ্রহ, কর্ম প্রেরণা, বিশেষ মানসিক দক্ষতা অনুযায়ী শিক্ষা দিয়ে তাদের জীবন কে মসৃণ করতে হবে মাধ্যমিক শিক্ষার মধ্য দিয়ে।
শিক্ষা ক্ষেত্রে মাধ্যমিক শিক্ষা কমিশনের সুপারিশ তেমন কিছু অভিনবত্ব দেখা যায়না। যে কোনো স্বাধীন গণতান্ত্রিক দেশে এই শিক্ষার লক্ষ্য গুলিকে কেন্দ্র করে শিক্ষা প্রক্রিয়ার অগ্রগতি ঘটে। তবুও এখানে শিক্ষার লক্ষ্য, ব্যাক্তি ও সমাজ কল্যানের অভিমুখ হওয়ায় মাধ্যমিক শিক্ষা কমিশনের শিক্ষার লক্ষ্য গুলিকে বেশ সমৃদ্ধ বলেই মনে হয়।
Secondary Education Commission 1952 - 52
## প্রিয় ছাত্র ও ছাত্রীরা যারা আমার এই ওয়েবসাইট ফলো করো তাদের আমি বিশেষ ভাবেই ধন্যবাদ জানাই। যদি পড়তে ও বুঝতে কোনো সমস্যা হতে থাকে আমাকে কমেন্ট করে জানাতে পারো আমি অবশ্যই তোমাদের উত্তর দেবো।
কোন মন্তব্য নেই:
একটি মন্তব্য পোস্ট করুন