অন্তর দৃষ্টি মূলক শিখন কি ? এর পরীক্ষাটি লেখ। শিক্ষা ক্ষেত্রে এর ভূমিকা কি ।

   জার্মান তিন বিজ্ঞানী কোফকা, কোহলার, ও ওয়ার্ডিমার গেস্টাল তত্ত্বর প্রচলন করেন। গেষ্টাল তত্ত্বের অর্থ হলো অবয়ব, আকৃতি বা রূপরেখা। এই গেস্টাল বাদীরা অন্তর্দৃষ্টি মূলক শিখনের প্রচলন করেন।

     সমস্যা মূলক পরিস্থিতিতে সামগ্রিক রূপ উপলব্ধি হবার পর প্রাণীর কোনো প্রচেষ্টা ও ভুলের প্রয়োজন হয় না, একে অন্তর্দৃষ্টি মূলক শিখন বলে।

           অ্যাপ ডাউনলোড করুন ক্লিক করে

পরীক্ষা
    1913 থেকে 1917 সাল পর্যন্ত আফ্রিকার টেনেরিফ দ্বীপে মনোবিজ্ঞানী কোহলার শিম্পাঞ্জি নিয়ে যে অন্তর্দৃষ্টি মূলক শিখনের উপর পরীক্ষাটি করেন টা নিচে বর্ণনা করা হলো -

     বিজ্ঞানী কহলার সুলতান নামে একটি শিম্পাঞ্জি কে বড়ো আকারের একটি খাচাতে ঢুকিয়ে তার মধ্যে দুটি বাঁশের লাঠি রাখেন জার একটির সঙ্গে অন্যটিকে করা লাগানো যায়। 


    এবার খাচার বাইরে বিজ্ঞানী এমন এক স্থানে খবর বস্তু রাখেন যাতে শিম্পাঞ্জির হাতের নাগালে না আসে। এবার শিম্পাঞ্জিটি ওই খাদ্য বস্তুটি নাগালে পাবার অনেক চেষ্টা করে, কিন্তু পায় না। 
      সুলতান নিজেই এবার একটি লাঠি হাতে নিয়ে ওই খাদ্যটি পাবার জন্যে লাঠি বাড়াতে থাকে কিন্তু তাতেও সে খাবারের নাগাল পায়না। খানিক পর সুলতান নিজে নিজে লাঠি দুটি নিয়ে খেলা করতে করতে একটি লাঠি অন্যটির পিছনে জার যায় ও লাঠিটি বড়ো হয়ে যায়। তার পর অনায়াসে সুলতান খাচার বাইরে থাকা খাবার বস্তুটি নিজের নাগালে নিয়ে আসতে পারে। 

      গেস্টালবাদীদের মতে সুলতানের ওই শিখন থ্রন ডাইকের প্রচেষ্টা ও ভুলের মাধ্যমে ঘটেনি। এটি অন্তর দৃষ্টির মাধ্যমে সংঘটিত হয়েছে। তাদের মতে উদ্দীপক ও প্রতিক্রিয়ার মাধ্যমে গঠিত সামগ্রিক ধারণা যখন প্রাণীর মধ্যে সংঘটিত হয় তখনই অন্তর্দৃষ্টির সঞ্চার ঘটে, আর এই অন্তর দৃষ্টির মাধ্যমে প্রাণী সমস্যার সমাধান করে ফেলে।

             অ্যাপ ডাউনলোড করুন ক্লিক করে

                     শিক্ষা ক্ষেত্রে প্রয়োগ :
 1, অন্তর্দৃষ্টি হলো শিখনের ক্ষেত্রে মূল চাবি কাঠি। শিখন শিক্ষার্থীদের মানসিক ক্ষমতা বুঝে কোনো বিষয় এমন ভাবে উপস্থাপন করবেন যাতে শিক্ষার্থীরা ওই সমস্যা সম্পর্কে অন্তর্দৃষ্টি ঘটাতে পারে।

2, অন্তর্দৃষ্টি জাগিয়ে তোলার জন্যে পৃথক করন ও সামান্য করন প্রয়োগ করত হয়। শিক্ষার্থীদের মধ্যে যাতে এই দুটি মানসিক প্রক্রিয়ার সৃষ্টি হয় শিক্ষক কে ত লক্ষ্য রাখতে হবে।

3, গেষ্টাল নীতি অনুসরণে সমস্যা মূলক পরিস্থিতির মোকাবেলা করলে শিক্ষার্থীদের মধ্যে সুষম বোধ শক্তির বিকাশ ঘটে এবং আত্ম নিয়ন্ত্রণের ক্ষমতা বৃদ্ধি পায়।



4, গেস্টাল মতবাদের আরেকটি দিক হলো শিক্ষার্থীদের সক্রিয়তা। শিক্ষার যেমন লক্ষ্য থাকবে তেমন সেই লক্ষ্যকে বাস্তবায়িত করতে হলে শিক্ষার্থীদের সক্রিয়তা একান্ত ভাবে জরুরি।

            অ্যাপ ডাউনলোড করুন ক্লিক করে

# প্রিয় ছাত্র - ছাত্রী যদি কোথাও কোনো ভুল থেকে থাকে তবে মনে রাখবে সেটা অনিচ্ছাকৃত। নিচে কমেন্ট করো। ঠিক করে দেওয়া হবে।