Stage of Atmosphere. বায়ু মন্ডলের বিভিন্ন স্তর সম্পর্কে আলোচনা।

                   বায়ু মন্ডলের বিভিন্ন স্তর 

   ভূপৃষ্ঠের উপর থেকে সাধারণত 10,000 কিমি পর্যন্ত বিস্তৃত বিশাল গ্যাসীয় অবরণীকে  বায়ুমন্ডল বলা হয়। এই বিশাল বায়ু মন্ডলের মধ্যে সব স্থানে বায়ুর উপাদান, বা গুনাগুন সমান ভাবে অবস্থান করে না। তাই বায়ুর বিভিন্ন উপাদান ও রাসায়নিক গুনের উপর ভিত্তি করে  প্রধানত দুটি ভাগে ভাগ করা যায় - সম মন্ডলবিষম মন্ডল। Stage of Atmosphere.
  DOWNLOAD EDUCOSTUDY APP FROM PLAYSTORE CLICK HERE

     আবার বায়ুমন্ডলের উষ্ণতা সবস্থানে সমান নয় এই কারণে বায়ুর উষ্ণতার উপর নির্ভর করে বায়ুমন্ডল কে কয়েকটি ভাগে ভাগ করা যায়। সেগুলি সম্পর্কে নিচে আলোচনা করা হলো -


ট্রপোস্ফিয়ার বা ঘনমন্ডল
        এটি বায়ু মন্ডলের সবচেয়ে নিচের স্তর, যা নিরক্ষরেখা বরাবর 18 কিমি পর্যন্ত বিস্তৃত। 
বৈশিষ্ট্য :-
১) এই স্তরের বায়ুর ঘনত্ব সবচেয়ে বেশি। 
২) এই স্তরের উষ্ণতা সব জায়গাতে সমান নয়। 
৩) এই স্তরে জীবমণ্ডলের অস্তিত্ব দেখা যায়।
৪) এই স্তর বরাবর উপরে উঠলে প্রতি কিমি উচ্চতায় 6.4° তাপমাত্রা কমতে থাকে।   Stage of Atmosphere.
৫) বায়ুমণ্ডলের এই স্তরে উষ্ণতার পার্থক্যের জন্য বায়ু প্রবাহ সৃষ্টি হয়, যে কারণে এই স্তরের ওপর নাম ক্ষুব্ধমন্ডল।
  DOWNLOAD EDUCOSTUDY APP FROM PLAYSTORE CLICK HERE

স্টেটস্ফিয়ার বা শান্তমন্ডল
        ট্রপোস্ফিয়ার এর উপর থেকে প্রায় 50 কিমি পর্যন্ত এই বায়ুস্তর অবস্থিত।  
বৈশিষ্ট্য :-
১) এই স্তরে বায়ুর ঘনত্ব খুব কম। তাই এর অপর নাম সুক্ষমন্ডল।
২) বায়ু মন্ডলের এই স্তরে ধূলিকণা ও জলীয় বাষ্প না থাকায় মেঘ বৃষ্টি হয় না। তাই অপর নাম শান্ত মন্ডল।
৩) এই স্তরে অক্সিজেনের পরিমান খুব কম থাকায় স্বাস প্রশ্বাসে অসুবিধা হয়।
৪) বায়ু মন্ডলের এই স্তর শান্ত থাকার জন্য খুব সহজেই এরোপ্লেন চলতে পারে।  Stage of Atmosphere.


## নিচে ওজোন স্তর নিয়ে আলোচনা করে আছে।।

মেসোস্ফিয়ার 
      স্টেটস্ফিয়ারের পর থেকে  প্রায় 80 কিমি উচ্চতা পর্যন্ত স্তর কে বলা হয় মেসোস্ফিয়ার। এই স্তরে বায়ুমণ্ডলের উষ্ণতা কমতে কমতে প্রায় -93° তে নেমে যায়।
বৈশিষ্ট্য :-
১) এই স্তরে বায়ুর চাপ কম থাকে।
২) বায়ু মন্ডলের সব থেকে শীতল স্তর হলো মেসোস্ফিয়ার।
৩) মেসোস্ফিয়ারের উষ্ণতা, শেষ সীমা মেসোপজে এসে থেমে যায়। 
৪) এই স্তরের 80 কিমি উচ্চতায় বায়ুর উষ্ণতা সব থেকে কম থাকে।   Stage of Atmosphere.

  DOWNLOAD EDUCOSTUDY APP FROM PLAYSTORE CLICK HERE

আয়নস্ফিয়ার বা আয়নমন্ডল
         মেসোস্ফিয়ারের উপর থেকে প্রায় 500 কিমি পর্যন্ত বিস্তারিত এই স্তরের নাম আয়নমন্ডল। 
বৈশিষ্ট্য :- 
১) এই স্তরের প্রধান উপাদান হাইড্রোজেন ও হিলিয়াম যা সূর্য রশ্মির প্রভাবে আয়নিত অবস্থায় থাকে।
২) এটি বায়ু মন্ডলের সব চেয়ে উষ্ণতম স্তর। এই স্তরের উষ্ণতা 2000° ছাড়িয়ে যায়। এই কারণে এই স্তরের নাম থার্মোস্ফিয়ার।
৩) এই স্তরের থেকে বেতার প্রতিফলিত হয়ে পৃথিবীতে ফিরে আসে।
৪) এই স্তরের আয়নিত কনা গুলির জন্য এক ধরণের আলো সৃষ্টি হয় যাকে মেরুজ্যোতি বা মেরুপ্রভা বলে।
৫) পৃথিবীর বাইরের কোনো বস্তু এই স্তরের দ্বারা প্রতিহত হয়ে পুড়ে ছাই হয়ে যায়। যার ফলে উল্কা পৃথিবীতে আসতে পারেনা।


এক্সস্ফিয়ার বা বহিঃমন্ডল
        আয়নস্ফিয়ারের পর থেকে 1600 কিমি পর্যন্ত এই স্তরের নাম বহিমণ্ডল বা এক্সস্ফিয়ার। 
বৈশিষ্ট্য :-
১) এই স্তরের উষ্ণতা এত যে কোনো ধাতু গলে যেতে পারে কিন্তু আয়নস্ফিয়ারের মতো অতো দ্রুত ও বেশি তাপমাত্রা হতে পারেনা।
২) এই স্তর টি হাইড্রোজেন, অকক্সিজেন ও হিলিয়াম পরমাণু দ্বারা গঠিত।   Stage of Atmosphere.

ম্যগনেটোস্ফিয়ার বা চৌম্বক মন্ডল
       এক্সস্ফিয়ারের পর থেকে 10000 কিমি অর্থাৎ বায়ু মন্ডলের শেষ পর্যন্ত এই এলাকাকে বলা হয় ম্যগনেটোস্ফিয়ার।
বৈশিষ্ট্য :- 
১) এই স্তর থেকে বায়ু মন্ডল ধীরে ধীরে মহাশুন্যে বিলীন হতে থাকে। 
২) এই স্তরের উষ্ণতা সূর্যের করোনা অঞ্চলের মতন।
৩) বাতাস এখানে আয়নিত অবস্থায় থাকে।
৪) এই স্তরের ঘনত্ব খুব কম।

  DOWNLOAD EDUCOSTUDY APP FROM PLAYSTORE CLICK HERE

** বায়ু মন্ডল কে পড়লে অবশ্যই ওজোন মন্ডলের কথা জানতে হয় কারণ পৃথিবীর বায়ু মন্ডলের  অন্যতম গুরুত্বপূর্ণ স্তর হলো ওজোন মন্ডল। অক্সিজেনের তিনটি পরমাণু মিলিত হয়ে ওজন অনু গঠন করে। বায়ু মন্ডলের এই স্তর পৃথিবীকে ঘিরে রেখেছে যা সূর্যের অতিবেগুনি রশ্মিকে পৃথিবীতে আসতে বাধা দেয়।     Stage of Atmosphere.
       ওজন আঁশটে গন্ধ যুক্ত এমন গ্যাস যা পৃথিবীকে অতিবেগুনি রশ্মি থেকে বাচায়। কিন্তু মানুষের বর্তমান ক্রিয়াকলাপের জন্য বাতাসে CFC, SO২, CO, CO২ ইত্যাদি গ্যাস বের যাবার জন্য এই ওজন স্তরে ক্ষতি হচ্ছে। ভবিষ্যতে এই ফলাফল হবে ভয়ানক


## প্রিয় ছাত্র-ছাত্রীরা এই প্রশ্নটি লেখার জন্য মূল পয়েন্ট লিখতে হবে ওড3 টি করে বৈশিষ্ট্য লিখলে যথাযথ হবে।