নব নব সৃষ্টি প্রশ্ন ও উত্তর 2025 | Nobo Nobo Srishti | সৈয়দ মুজতবা আলী | MCQ প্রশ্ন ও উত্তর | Educostudy
নব নব সৃষ্টি প্রশ্ন ও উত্তর | Nobo Nobo Srishti | সৈয়দ মুজতবা আলী | MCQ প্রশ্ন ও উত্তর | Educostudy | নব নব সৃষ্টি (প্রবন্ধ) সৈয়দ মুজতবা আলী – নবম শ্রেণীর বাংলা প্রশ্ন ও উত্তর | Class 9 Bengali Nobo Nobo Srishti Question and Answer | নব নব সৃষ্টি (প্রবন্ধ) সৈয়দ মুজতবা আলী – নবম শ্রেণীর বাংলা প্রশ্ন ও উত্তর | Class 9 Bengali Nobo Nobo Srishti Question and Answer :
নব নব সৃষ্টি SAQ প্রশ্ন ও উত্তর
- 'নব নব সৃষ্টি' রচনাংশে কোন্ কোন্ ভাষাকে লেখক সৈয়দ মুজতবা আলী বলেছেন 'আত্মনির্ভরশীল' ?
নব নব সৃষ্টি রচনা অংশে লেখক প্রাচীন যুগের হিব্রু গ্রীক আবেস্তা আরবি এবং সংস্কৃত ভাষাকে আত্মনির্ভরশীল বলেছেন।
- কোনো নতুন চিন্তা বা অনুভূতি বোঝানোর জন্য নবীন শব্দের প্রয়োজন হলে সংস্কৃত ভাষা কী করে ?
নতুন চিন্তা বা অনুভূতি বোঝাতে সংস্কৃত তার নিজের ভান্ডারে কোন ধাতু বা শব্দের সামান্য পরিবর্তন করে নতুন শব্দ তৈরির চেষ্টা করে ।
- সংস্কৃতকে আত্মনির্ভরশীল ভাষা বলতে লেখকের আপত্তি নেই কেন ?
সংস্কৃত ভাষা অন্য ভাষার ওপর নির্ভরশীল না হয়ে নিজের যা কিছু শব্দ আছে তা খোঁজ করার মাধ্যমে নতুন শব্দ তৈরি করার চেষ্টা করে, এই কারণে লেখক সংস্কৃত ভাষাকে আত্মনির্ভরশীল বলতে চেয়েছেন।
- “প্রাচীন যুগের সব ভাষাই তাই।”—প্রাচীন যুগের কোন্ কোন্ ভাষার কথা লেখক উল্লেখ করেছেন?
লেখক প্রাচীন যুগের গ্রীক হিব্রু আবেস্তা সংস্কৃত এবং কিছুটা পরবর্তী যুগের আরবি ভাষার কথা বলেছেন।
- লেখক সৈয়দ মুজতবা আলীর মতে বর্তমান যুগের কোন্ কোন্ ভাষা আত্মনির্ভরশীল নয় ?
লেখক সৈয়দ মুজতবা আলীর মতে বর্তমান যুগের ইংরেজি এবং বাংলা ভাষা আত্মনির্ভরশীল নয় |
- পাঠান-মোগল যুগে আরবি ও ফারসি থেকে শব্দ গ্রহণ করতে হয়েছিল কেন?
পাঠান মোগল যুগে আইন, আদালত, খাজনা, খারীজ নতুন করে দেখা দেওয়াই আরবি ফারসি ভাষা থেকে শব্দ গ্রহণ করতে হয়।
- 'নব নব সৃষ্টি' রচনাংশে লেখক সৈয়দ মুজতবা আলী কোন্ প্রশ্নকে অবান্তর বলেছেন ?
ভাষায় বিদেশি শব্দ গ্রহণ ভালো না মন্দ এই প্রশ্নকে লেখক অবান্তর বলেছেন।
- “সে সম্বন্ধেও কারও কোনো সন্দেহ নেই।”— কোন্ বিষয়ে সন্দেহ নেই ?
শিক্ষার মাধ্যম রূপে ইংরেজির বদলে বাংলা গ্রহণ করলে প্রচুর পরিমাণে ইউরোপীয় শব্দ যে বাংলায় প্রবেশ করবে এ বিষয়ে কারো কোন সন্দেহ নেই।
- “সেগুলাে নিয়ে অত্যধিক দুশ্চিন্তা করার কোনাে কারণ নেই।”— কোন্ বিষয়ে দুশ্চিন্তা করা নিষ্প্রয়ােজন?
পাের্তুগিজ, ফরাসি, স্প্যানিশ ইত্যাদি শব্দ বাংলা ভাষায় এত কম এসেছে যে তাদের নিয়ে দুশ্চিন্তা করার কোনাে কারণ নেই বলে লেখক মনে করেছেন।
- “সে ভাষার শব্দ বাংলাতে ঢুকবেই।”—কোন্ ভাষার?
বাংলা ছাড়া অন্য যে-কোনাে ভাষার চর্চা আমরা করি না কেন সে ভাষার শব্দ বাংলাতে ঢুকবেই।
- লেখক সৈয়দ মুজতবা আলী বিস্তর সংস্কৃত শব্দ বাংলায় প্রবেশের কারণ কী বলেছেন?
প্রাচীন যুগ থেকেই বাংলাদেশে সংস্কৃত ভাষার চর্চা ছিল। ফলে বিস্তর সংস্কৃত শব্দ বাংলায় প্রবেশ করেছে।
- কোন্ বিশেষ বিশেষ বিদ্যাচর্চায় ইংরেজি অবশ্যই প্রয়ােজন বলে লেখক মনে করেন?
দর্শন, নন্দনশা, পদার্থবিদ্যা, রসায়নবিদ্যার মতাে বিদ্যাচর্চায় ইংরেজি অবশই প্রয়ােজন বলে লেখক মনে করেন।
- “এই দুই ভাষা থেকে ব্যাপকভাবে আর নূতন শব্দ বাংলাতে ঢুকবে।” — কোন্ দুই ভাষার কথা এখানে বলা হয়েছে?
‘নব নব সৃষ্টি’ রচনাংশে সৈয়দ মুজতবা আলী দুই ভাষা বলতে আরবি এবং ফারসি ভাষার কথা বলেছেন।
- হিন্দি গদ্যের ওপর কোন্ ভাষার প্রভাব পড়ার কথা বলেছেন লেখক?
হিন্দি গদ্যের ওপর ফারসি ভাষার প্রভাব পড়ার কথা বলেছেন।
- লেখক ভারতীয় আর্যরা কোন্ ভাষার সৌন্দর্যে বেশি অভিভূত হয়েছিল?
ভারতীয় আর্যরা ফারসি ভাষার সৌন্দর্যে বেশি অভিভূত হয়েছিল।
- “ভারতবর্ষীয় এ তিন ভাষা ফার্সির মতাে নব নব সৃষ্টি দিয়ে ঐশ্বর্যশালী সাহিত্যসৃষ্টি করতে পারল না।” — ভারতবর্ষের এ তিন ভাষা কী কী?
ভারতবর্ষীয় এ তিন ভাষা’ বলতে সিদ্ধি, উর্দু এবং কাশ্মীরি ভাষাকে বােঝানাে হয়েছে।
- ‘নব নব সৃষ্টি’ রচনাংশে লেখক কোন্ উর্দু কবির কথা উল্লেখ করেছেন?
‘নব নব সৃষ্টি’ রচনাংশে লেখক উর্দু কবি ইকবালের কথা উল্লেখ করেছেন।
- সৈয়দ মুজতবা আলীর মতে বাঙালির সর্বশ্রেষ্ঠ সাহিত্যসৃষ্টি কোনটি?
সৈয়দ মুজতবা আলী বলেছেন যে, বাঙালির সর্বশ্রেষ্ঠ সাহিত্যসৃষ্টি হল পদাবলি কীর্তন।
- বাংলার সর্বশ্রেষ্ঠ সাহিত্যসৃষ্টি কী?
বাংলার সর্বশ্রেষ্ঠ সাহিত্যসৃষ্টি পদাবলী কির্তন।
- “ধর্ম বদলালেই জাতির চরিত্র বদলায় না।” – কেন এরূপ বলেছেন লেখক?
কারণ বাংলা ভাষার বিবর্তন কেবল মাত্র বাঙালি হিন্দুদের মধ্যে সীমাবদ্ধ নয়,বাঙালি মুসলমানরাও এই কর্মে সমান তৎপর তাই লেখক বলেছেন, “ধর্ম বদলালেই জাতির চরিত্র বদলায় না”।
- হিন্দি পদ্যের ওপর কোন্ ভাষার প্রভাব পড়েছে?
হিন্দি পদ্যের ওপর আরবি – ফার্সি ভাষার প্রভাব পড়েছে।
- ‘নব নব সৃষ্টি’ রচনাংশে কোন্ কোন্ ভাষাকে লেখক সৈয়দ মুজতবাআলী বলেছেন ‘আত্মনির্ভরশীল ?
‘নব নব সৃষ্টি’ রচনাংশে লেখক প্রাচীন যুগের হিব্রু, খ্রিক, আবেস্তা,সংস্কৃত এবং আরবি ভাষাকে ‘আত্মনির্ভরশীল’ বলেছেন।
- লেখক সৈয়দ মুজতবা আলীর মতে বর্তমান যুগের কোন্ কোন্ ভাষাআত্মনির্ভরশীল নয়?
লেখক সৈয়দ মুজতবা আলীর মতে বর্তমান যুগের ইংরেজি এবংবাংলা ভাষা আত্মনির্ভরশীল নয়।
- পাঠান-মােগল যুগে আরবি ও ফারসি থেকে শব্দ গ্রহণ করতে হয়েছিল কেন?
পাঠান-মােগল যুগে আইন-আদালত, খাজনাখারিজ নতুন করে দেখা দেওয়ায় আরবি-ফারসি ভাষা থেকে শব্দ গ্রহণ করতে হয়।
- নব নব সৃষ্টি’ রচলাংশে লেখক সৈয়দ মুজতবা আলী কোন্ প্রশ্নকে অবার বলেছেন?
ভাষায় বিদেশি শব্দগ্রহণ ভালাে না মন্দ — এই প্রশ্নকে লেখক সৈয়দ মুজতবা আলী অবান্তর বলেছেন
- “সে সম্বন্ধেও কারও কোনাে সন্দেহ নেই।” — কোন্ বিষয়ে সন্দেহ নেই?
শিক্ষার মাধ্যমরূপে ইংরেজির বদলে বাংলা গ্রহণ করলে প্রচুর পরিমাণে ইউরােপীয় শব্দ বাংলায় প্রবেশ করবে। এ বিষয়ে কারও কোনাে সন্দেহ নেই।
- ‘নব নব সৃষ্টি’ রচনাংশে লেখক রান্নাঘর থেকে কী কী তাড়ানাে মুশকিল বলেছেন ?
‘নব নব সৃষ্টি’ রচনাংশে রান্নাঘর থেকে আলুকপি এ জাতীয় বিদেশি সবজি তাড়ানাে মুশকিল বলেছেন লেখক।
- “বহু সাহিত্যিক উঠে পড়ে লেগেছেন”—লেখক কোন্ ভাষার সাহিত্যিকদের কথা বলেছেন?
লেখক হিন্দি ভাষার সাহিত্যিকদের কথা বলেছেন।
- নজরুল ইসলাম বাংলা ভাষায় আরবি-ফারসি শব্দ ব্যবহার করেছেন তার কী কী উদাহরণ দিয়েছেন সৈয়দ মুজতবা আলী?
নজরুল ইসলাম ইনকিলাব’ এবং ‘শহিদ’ প্রভৃতি আরবি-ফারসি শব্দ বাংলা ভাষায় ব্যবহার করেছেন।
- ‘আলাল’ ও ‘হুতোম’-এর ভাষা —‘আলাল’ ও ‘হুতোম’ কী ?
আলাল’ হল আলালের ঘরের দুলাল, লেখক প্যারীচাঁদ মিত্র। ‘হুতোম’ হল হুতােম প্যাঁচার নকশা, লেখক কালীপ্রসন্ন সিংহ।
- হিন্দি ভাষাসাহিত্যের বঙ্কিম কাকে বলা হয়?
হিন্দি ভাষাসাহিত্যের বঙ্কিম বলা হয় বিখ্যাত সাহিত্যিক মুন্সী প্রেমচাঁদকে।
- “এখানে আর একটি কথা বলে রাখা ভালাে।” — কী কথা বলেছেন লেখক ?
রলার ভাষা তার বিষয়বস্তুর ওপর নির্ভর করে, এ কথা বলেছেন লেখক।
- বাংলায় যেসব বিদেশি শব্দ ঢুকেছে তার মধ্যে কোন্ কোন্ ভাষা প্রধান বলেছেন লেখক ?
বাংলায় যেসব বিদেশি শব্দ প্রবেশ করেছে তার মধ্যে আরবি, ফারসি এবং ইংরেজি অন্যতম।
- উর্দু সাহিত্যেরমূল সুর কোন্ ভাষার সঙ্গে বাঁধা ?
উর্দু সাহিত্যেরমূল সুর ফারসি ভাষার সঙ্গে বাঁধা।
- স্কুল-কলেজ থেকে আমরা সংস্কৃতচর্চা উঠিয়ে দিতে চাই না কেন ?
স্কুল-কলেজ থেকে আমরা সংস্কৃতচর্চা উঠিয়ে দিতে চাই না এর প্রধান কারণ বাংলাতে এখনও আমাদের বহু সংস্কৃত শব্দের প্রয়োজন।
- ‘নব নব সৃষ্টি' রচনাংশে লেখক রান্নাঘর থেকে কী কী তাড়ানো মুশকিল বলেছেন ?
নব নাব সৃষ্টির রচনাংশে রান্নাঘর থেকে আলু, কপি এ জাতীয় বিদেশি সবজি তাড়ানো মুশকিল বলেছেন লেখক।
- “হিন্দি উপস্থিত সেই চেষ্টাটা করছে”–হিন্দি কোন্ চেষ্টা করছে ?
হিন্দি থেকে আরবি ফারসি এবং ইংরেজি শব্দ তাড়িয়ে দেওয়ার চেষ্টার কথা এখানে বলা হয়েছে।
- "এস্থলে আর একটি কথা বলে রাখা ভালো।” কী কথা বলেছেন লেখক?
রচনার ভাষা তার বিষয়বস্তুর ওপর নির্ভর করে এ কথা লেখক বলেছেন।
- শংকরদর্শন আলোচনায় কোন্ ভাষার ব্যবহার স্বাভাবিক হবে ?
শংকর দর্শন আলোচনায় সংস্কৃত ভাষার আধিক্য থাকাটাই স্বাভাবিক।
- কোন পত্রিকার সম্পাদকীয় রচনার ভাষায় গাম্ভীর্য আছে বলেছেন সৈয়দ মুজতবা আলী? অথবা, বসুমতীর সম্পাদকীয় রচনার ভাষা কেমন ছিল?
লেখকের মতে বসুমতি পত্রিকার সম্পাদকীয় রচনার ভাষার গাম্ভীর্য আছে |
- বাংলায় যেসব বিদেশি শব্দ ঢুকেছে তার মধ্যে কোন্ কোন্ ভাষা প্রধান বলেছেন লেখক ?
বাংলায় যে সব বিদেশি শব্দ প্রবেশ করেছে তার মধ্যে আরবি, ফারসি এবং ইংরেজি অন্যতম।
- “সেগুলো নিয়ে অত্যধিক দুশ্চিন্তা করার কোনো কারণ নেই।”— কোন্ বিষয়ে দুশ্চিন্তা করা নিষ্প্রয়োজন ?
পর্তুগিজ ফরাসি স্প্যানিশ শব্দ বাংলা ভাষায় এত কম এসেছে যে তাদের দুশ্চিন্তা করার কোন কারণ নেই বলে লেখক মনে করেছেন |
- “সে ভাষার শব্দ বাংলাতে ঢুকবেই।” – কোন্ ভাষার ?
বাংলা ছাড়া অন্য যে কোন ভাষার চর্চা আমরা করি না কেন সে ভাষার শব্দ বাংলাতে ঢুকবেই ।
- লেখক সৈয়দ মুজতবা আলী বিস্তর সংস্কৃত শব্দ বাংলায় প্রবেশের কারণ কী বলেছেন ?
প্রাচীন যুগ থেকেই বাংলাদেশের সংস্কৃত ভাষা চর্চা ছিল ফলে ব্যাপক পরিমাণ সংস্কৃত শব্দ বাংলায় প্রবেশ করেছে|
- “যতদিন থাকবে ততদিন আরও ঢুকবে বলে আশা করতে পারি।”— যতদিন থাকার কথা বলেছেন লেখক ?
বাংলাদেশে যতদিন সংস্কৃত ভাষার চর্চা চলবে ততদিন বাংলা ভাষায় সংস্কৃত শব্দের ও প্রবেশ চলতে থাকবে ।
- স্কুল-কলেজ থেকে যে আমরা সংস্কৃতচর্চা উঠিয়ে দিতে চাই না তার অন্যতম প্রধান কারণ কী বলেছেন লেখক?
বাংলা অনেকাংশেই সংস্কৃত ভাষার উপর নির্ভরশীল তাই শিক্ষা ক্ষেত্রেও সংস্কৃত ভাষার চর্চা বন্ধ করা হয়নি।
- কোন্ বিশেষ বিশেষ বিদ্যাচর্চায় ইংরেজি অবশ্যই প্রয়োজন বলে লেখক মনে করেন ?
দর্শন নন্দন শাস্ত্র পদার্থবিদ্যা রসায়ন বিদ্যার মতো বিদ্যা চর্চায় ইংরেজি ভাষার প্রয়োজন আছে বলে লেখক মনে করেছেন।
নব নব সৃষ্টি গল্পের বড় প্রশ্ন ও উত্তর
নব নব সৃষ্টি গল্পের ছোট প্রশ্ন এবং উত্তর আগেই আলোচনা করা হয়েছে এবার এই গল্পের যে সকল বড়ো প্রশ্ন গুলো বেশি গুরুত্বপূর্ণ সেই সকল প্রশ্ন গুলির উত্তর সহ আল চনা করা হলো।
নব নব সৃষ্টি (প্রবন্ধ) সৈয়দ মুজতবা আলী – নবম শ্রেণীর বাংলা প্রশ্ন ও উত্তর | Class 9 Bengali Nobo Nobo Srishti Question and Answer নিচে দেওয়া হলো। এই West Bengal WBBSE Class 9th Bengali Nobo Nobo Srishti Question and Answer, Suggestion, Notes | নবম শ্রেণীর বাংলা প্রশ্ন ও উত্তর – নব নব সৃষ্টি (প্রবন্ধ) সৈয়দ মুজতবা আলী থেকে বহুবিকল্পভিত্তিক, সংক্ষিপ্ত, অতিসংক্ষিপ্ত এবং রোচনাধর্মী প্রশ্ন উত্তর (MCQ, Very Short, Short, Descriptive Question and Answer) গুলি আগামী West Bengal Class 9th Nine IX Bengali Examination
" সংস্কৃত ভাষা আত্মনির্ভরশীল”—কেন সংস্কৃত ভাষা সম্পর্কে এ কথা বলা হয়েছে ?
উত্তর। সংস্কৃত ভাষা সম্পর্কে এ কথা বলার কারণ, সৈয়দ মুজতবা আলী সংস্কৃত ভাষাকে আত্মনির্ভরশীল ভাষা বলেছেন। তাঁর মতে, কোনো নতুন চিন্তা, অনুভূতির প্রকাশের জন্য নতুন শব্দের প্রয়োজন হলে সংস্কৃত ভাষা তা অন্য ভাষা থেকে ধার করার কথা কখনোই ভাবে না।
পরিবর্তে নিজের শব্দভাণ্ডারে এমন কোনো ধাতু বা শব্দ খোঁজ করে যার সামান্য অদলবদল করে কিংবা পুরোনো ধাতু দিয়েই নতুন শব্দটি তৈরি করা যেতে পারে। এই কারণেই সংস্কৃতকে একটি স্বয়ংসম্পূর্ণ এবং আত্মনির্ভরশীল ভাষা বলা হয়েছে।
নব নব সৃষ্টি রচনায় সৈয়দ মুজতবা আলী সংস্কৃত ভাষাকে আত্মনির্ভরশীল বলেছেন কেন।
ভাষার আত্মনির্ভরশীলতা তার সমৃদ্ধ শব্দভান্ডারের উপর ভিত্তি করে গড়ে ওঠে। লেখক মুজতবা আলী সংস্কৃত ভাষার এই সমস্ত শব্দভাণ্ডারকে লক্ষ করেছিলেন। কোনো নতুন চিন্তা, অনুভুতি বিষয়কে পেশ করাতে হলে সংস্কৃত ভাষাতে অন্য ভাষার শব্দভাণ্ডার থেকে শব্দ যার করার প্রয়োজন হয় না।
কারণ সে তার নিজের শব্দভান্ডার থেকেই প্রয়োজনীয় শব্দ বা ধাতু পেয়ে যায়, তার মানে এই নয় যে বিদেশি শব্দ কখনোই গ্রহণ করেনি। সামান্য যেটুকু গ্রহণ করেছে তাতে সাস্কৃত ভাষার মানহানি হবার কোনো সম্ভাবনা থাকে না। তাই লেখক সংস্কৃত ভাষাকে আত্মনির্ভরশীল বলেছেন।
"বর্তমান যুগের ইংরেজি ও বাংলা আত্ম নির্ভরশীল নয় - লেখক এর এরকম মনে হবার কারণ কি?
যে ভাষার শব্দভান্ডার যথেষ্ট সমৃদ্ধ এবং যে ভাষাকে প্রয়োজনে বা অপ্রযোজনে অন্য ভাষা থেকে শব্দ গ্রহণ করতে হয় না সেই সকল ভাষাকেই আত্মনির্ভরশীল ভাষা বলে। লেখক লক্ষ করেছেন ইংরেজি ও বাংলা অন্য ভাষা থেকে শব্দ নিয়েছে এবং এখনও নিচ্ছে।
পাঠান-মোগল যুগে আরবি ও ফারসি ভাষা থেকে বহু শব্দ আইন-আদালত, খাজনার নতুন বিন্যাসের কারণে বাংলায় ঢুকেছে। পরবর্তীকালে প্রচুর ইংরেজি শব্দ ও ইংরেজির মাধ্যমে ভিন্ন ভাষার বহু শব্দ বাংলায় ঢুকে পড়েছে বা এখনও ঢুকছে। বাংলা শব্দভাণ্ডার অন্য ভাষা থেকে শব্দ গ্রহণ করে নিজেকে সমৃদ্ধ করছে। ইংরেজির ক্ষেত্রেও এমনটি ঘটছে। তাই লেখকের এরকম মনে হয়েছে।
নতুন আমদানি ও বন্ধ করা যাবে না"- কিসের কথা বলা হয়েছে এবং আমদানি বন্ধ করা যাবে না কেন?
ভিন্ন ভাষা থেকে বাংলার নতুন শব্দ আমদানির কথা বলা হয়েছে। লেখক লক্ষ করেছেন আমরা মনের আনন্দে এবং সজ্ঞানে ভিন্ন ভাষা থেকে নতুন নতুন শব্দ নিয়ে চলেছি। শিক্ষার মাধ্যমরূপে ইংরেজির বদলে বাংলাকে গ্রহন করার পরে ভিন্ন ভাষা থেকে শব্দ গ্রহণের প্রবণতা আরও বেড়ে গেছে। কারণ বাংলা শব্দভান্ডার নতুন নতুন জ্ঞান বিজ্ঞানের কথা প্রকাশের পক্ষে যথেষ্ট না। তাই নতুন শব্দ আমদানি করার প্রক্রিয়া বন্ধ করা যাবে না।
"চেষ্টা তার ফল আমি হয়তো দেখে যেতে পারবো না" বক্তা কে? কোন চেষ্টার ফলের কথা বলা হয়েছে?
এখানে বক্তা হলেন নব নব সৃষ্টি - র লেখক সৈয়দ মুজতবা আলী।
অনেকে মনে করেন ভাষাকে আত্মনির্ভরশীল হয়ে উঠতে গেলে প্রয়োজন নিজস্ব শব্দভাণ্ডার গড়ে তোলা। যে-কোনো প্রয়োজনেই বিদেশি শব্দের পরিবর্তে নিজস্ব দেশে খুঁজে এনে প্রয়োগ করা প্রয়োজন। একথা ভেবে হিন্দি সাহিত্যিকেরা হিন্দি থেকে আরবি, ফারসি এবং ইংরেজি শব্দ বর্জন করতে শুরু করেছিলেন। এটা একটা অসম্ভব প্রক্রিয়া মনে হলেও এই চেষ্টার ফল কী তা লেখক জানতে আগ্রহী ছিলেন। এখানে এই চেষ্টার কথা বলা হয়েছে।
"বাঁকা চোখের ভাষা ভিন্ন"- এই উক্তিটির মধ্যে দিয়ে লেখক কী বুঝিয়েছেন।
প্রমথ চৌধুরী ভাষাকে লেখকের বাঁকা চোখের চাহনি বলেছেন। তিনি ভঙ্গিতে লিখেছেন বলে তাতে কৌতুক থাকত, থাকত চটুলতা। হালকা চালে সাধারণ বিষয় নিয়ে তিনি গভীর আলোচনা করেছেন। কিন্তু এ ভাষা শংকরাচার্যের ভাষা নয়। শংকরাচার্য দর্শনের গভীর বিষয় নিয়ে আলোচনা করছেন বলেই সংস্কৃতই ছিল তাঁর ভাব প্রকাশের বাহন। আসলে লেখকের মতে রচনার ভাষা কেমন হবে তা রচনার বিষয়বস্তুর উপর নির্ভর করে। গভীর দর্শনের কথা বলেছেন বলেই শংকরাচার্য সংস্কৃতে লিখেছেন বা বসুমতী সম্পাদকীয়র ভাষা ছিল গাম্ভীর্যপূর্ণ। কিন্তু বিষয়বস্তু আলাদা বলেই যে কোনো রেস্তোরাঁর বর্ণনার ভাষা হুতোম ঘেঁষা হয়ে যেতে বাধ্য হয়।
“বিদেশি শব্দ নেওয়া ভালো না মন্দ সে প্রশ্ন অবান্তর”- কেন লেখক এ কথা বলেছেন আলোচনা করো।
বাংলা ভাষা কখনোই আত্মনির্ভরশীল নয়। পাঠান ও মোগল যুগে আইন-আদালত ইত্যাদি প্রসঙ্গে প্রচুর আরবি ও ফারসি শব্দ গ্রহণ করা হয়েছে। পরবর্তী যুগে ইংরেজি ভাষা থেকেও এই শব্দ নেওয়া হয়েছে। তার পরিমাণ এতটাই বেশি যে, এ নিয়ে প্রশ্ন তোলার অর্থ হয় না। লেখকের মতে, শিক্ষার মাধ্যমরূপে ইংরেজিকে বর্জন করে বাংলা গ্রহণ করার পরে এই প্রবণতা আরও বাড়বে। ফলে বিদেশি শব্দের আমদানি করার ভাবনা যখন বন্ধ করা যাবে না, সেক্ষেত্রে তার ভালোমন্দ নিয়ে ভাবা নিতান্তই অর্থহীন।
বাংলা সাহিত্যে বিদেশি শব্দ ব্যবহারের যে দৃষ্টান্ত লেখক দিয়েছেন তা লেখো।
বিদেশি শব্দ ব্যবহারে লেখকের দেওয়া দৃষ্টান্ত: লেখক সৈয়দ মুজতবা আলী বাংলা ভাষার বিখ্যাত সাহিত্যিকদের মধ্যে বিদেশি শব্দ গ্রহণের প্রতি ঝোঁক লক্ষ করেছেন। রবীন্দ্রনাথ ‘আব্রু’ ইজ্জৎ’, ‘ইমান' ইত্যাদি শব্দ অনায়াসে ব্যবহার করেছেন। নজরুল ইসলামও তাঁর সাহিত্যে 'ইনকিলাব', 'শহিদ'-এর মতো প্রচুর শব্দ ব্যবহার করেছেন। বিদ্যাসাগর তাঁর বেনামিতে লেখা রচনায় প্রচুর আরবি, ফারসির ব্যবহার ঘটিয়েছেন। পণ্ডিত হরপ্রসাদ শাস্ত্রী আরবি- ফারসির বিরুদ্ধে জেহাদ ঘোষণা করাকে 'আহাম্মুখী' বলে মনে করতেন।
"আমরা অন্যতম প্রধান খাদ্য থেকে বঞ্চিত হব।”— কোন্ প্রসঙ্গে কথাটি বলা হয়েছে আলোচনা করো।
অথবা,
স্কুল থেকে সংস্কৃতচর্চা উঠিয়ে না দেওয়ার কারণ প্রসঙ্গে বক্তা কী বলেছেন ?
বাংলা ভাষায় অন্য ভাষার শব্দের অনুপ্রবেশ সম্পর্কে বলতে গিয়ে লেখক সংস্কৃত ভাষার প্রভাব বিষয়ে আলোচ্য মন্তব্যটি করেছেন। সংস্কৃত ভাষার চর্চা এদেশে ছিল এবং সে কারণে প্রচুর সংস্কৃত শব্দ বাংলায় ঢুকেছে, যার ধারা এখনও বজায় রয়েছে। স্কুল-কলেজ থেকে সংস্কৃতচর্চা যে সম্পূর্ণ উঠে যায়নি তার কারণ বাংলায় এখনও অনেক সংস্কৃত শব্দের প্রয়োজন রয়েছে। বাংলা ভাষার খাদ্যের অন্যতম প্রধান উৎসই হল সংস্কৃত।
“সুতরাং ইংরেজি চর্চা বন্ধ করার সময় এখনও আসেনি।”—কেন লেখক এ কথা বলেছেন আলোচনা করো।
লেখক সৈয়দ মুজতবা আলী রচিত ’নব নব সৃষ্টি' রচনাংশ থেকে আলোচ্য উদ্ধৃতিটি নেওয়া হয়েছে। লেখকের মতে, ইংরেজি শব্দকে এড়িয়ে সাহিত্য রচনা বাংলা ভাষার পক্ষে কোনোভাবেই সম্ভব নয়। বিশেষত দর্শন, নন্দনশাস্ত্র, পদার্থবিদ্যা, রসায়নশাস্ত্র ইত্যাদিতে প্রয়োজনীয় বাংলা শব্দের অভাব রয়েছে। উদাহরণ দিয়ে লেখক বলেছেন যে রেলের ইঞ্জিন কী করে চালাতে হয় সে সম্বন্ধে বাংলায় কোনো বই নেই। পারিভাষিক শব্দের প্রয়োজনে তাই ইংরেজিরই দ্বারস্থ হতে হবে।
“উদুৰ্তে কৰি ইকবালই এ তত্ত্ব সম্যক হৃদয়ঙ্গম করেছিলেন।”—কীসের কথা বলা হয়েছে? ইকবাল এ কারণে কী করেছিলেন ?
ভারতীয় মক্তব ও মাদ্রাসাগুলিতে প্রচুর পরিমাণে আরবি ভাষা পড়ানো বা চর্চা করা হলেও, ভারতীয় আর্যরা উত্তর প্রস ফারসি ভাষার সৌন্দর্যে বেশি অভিভূত হয়েছিলেন। তাই উর্দু সাহিত্যের আলীর মতে মূলসুর ফারসির সঙ্গে বাঁধা হয়ে গিয়েছিল।
একসময় ইরানে যেরকম সুন্দরের সন্ধ আর্য ইরানি ভাষা ও সেমিতি-আরবি ভাষার সংঘর্ষে নবীন ফারসি ভাষার গতানুগতিকত জন্ম হয়েছিল, ভারতেও সেভাবেই সিদ্ধি, উর্দু এবং কাশ্মীরি সাহিত্যের বাধা দিতে সৃষ্টি হয়, কিন্তু যে-কোনো কারণেই হোক এই তিনটি ভাষা ফারসির মতো নব নব সৃষ্টি দিয়ে ঐশ্বর্যশালী সাহিত্য সৃষ্টি করতে পারেনি এই তথ্যটি ইকবাল উপলব্ধি করেছিলেন
→ ইকবালের পদক্ষেপ : ইকবাল এসব বুঝে নতুন সৃষ্টির মাধ্যমে উর্দুকে ফারসির অনুকরণ থেকে কিছুটা মুক্ত করতে সক্ষম হয়েছিলেন।
“বাঙালির সর্বশ্রেষ্ঠ সাহিত্যসৃষ্টি তার পদাবলি কীর্তনে।”- এই পদাবলি কীর্তনের কোন বৈশিষ্ট্যের দিকে লেখক ইঙ্গিত করেছেন?
লেখক সৈয়দ মুজতবা আলীর মতে, পদাবলি সাহিত্যের প্রাণ আর দেহ দুটোই খাঁটি বাঙালি। এই সাহিত্যে শুধু যে মহাভারত-এর শ্রীকৃষ্ণ বাংলায় কানু হয়ে উঠেছেন তাই নয়, রাধাও হয়ে উঠেছেন একেবারে খাঁটি বাঙালি মেয়ে। ভাটিয়ালির নায়িকা মুর্শিদিয়ার আশিক আর পদাবলী রাধা একই চরিত্র হয়ে উঠেছেন ।
“বাঙালি চরিত্রে বিদ্রোহ বিদ্যমান।” প্রসঙ্গ নির্দেশ করে লেখক বক্তব্য প্রকাশ কর ।
সৈয়দ মুজতবা আলীর মতে রাজনীতি, ধর্ম, সাহিত্য যখনই বাঙালি সত্য, শিব ও সুন্দরের সন্ধান পেয়েছে তখনই তা গ্রহণ করতে চেয়েছে। আর গতানুগতিকতা বা প্রাচীন ঐতিহ্যের দোহাই দিয়ে কেউ সেই প্রচেষ্টায় বাধা দিতে গেলে বাঙালি জাতি বিদ্রোহী হয়ে উঠেছে। আবার সেই বিদ্রোহ উচ্ছৃঙ্খলতায় পরিণত হলে সুন্দরের পূজারি বাঙালিরা তার বিরুদ্ধেও বিদ্রোহ করেছে। আর এই বিদ্রোহে বাঙালি মুসলমানরাও যোগ দিয়েছে। তার কারণ ধর্ম বদলে গেলেও জাতিসত্তা একই থেকে যায়।
“এ বিদ্রোহ বাঙালি হিন্দুর ভিতরই সীমাবদ্ধ নয়।”- মন্তব্যটি বিশ্লেষণ করো।
লেখক সৈয়দ মুজতবা আলী তাঁর 'নব নব সৃষ্টি' রচনায় বাঙালি চরিত্রে বিদ্রোহের অস্তিত্ব লক্ষ করেছেন। তাঁর মতে রাজনীতি, ধর্ম, সাহিত্য ইত্যাদি যে ক্ষেত্রেই সে সত্য-শিব-সুন্দরের সন্ধান পেয়েছে সেখানেই তা গ্রহণ করতে চেয়েছে। আর ঐতিহ্যের দোহাই দিয়ে যদি কেউ তাতে বাধা দিতে চায় বাঙালি তার বিরুদ্ধে বিদ্রোহ করেছে। আর এই বিদ্রোহ বাঙালি হিন্দুর একচেটিয়া নয়, বাঙালি মুসলমানও একই কাজে তৎপর। কারণ, লেখক মনে করতেন—“ধর্ম বদলালেও জাতির চরিত্র বদলায় না।”
নব নব সৃষ্টি গল্পের বড় প্রশ্ন ও উত্তর - 5 Mark
নব নব সৃষ্টি গল্পের ছোট প্রশ্ন এবং উত্তর আগেই আলোচনা করা হয়েছে এবার এই গল্পের যে সকল বড়ো প্রশ্ন গুলো বেশি গুরুত্বপূর্ণ সেই সকল প্রশ্ন গুলির উত্তর সহ আল চনা করা হলো।
নব নব সৃষ্টি (প্রবন্ধ) সৈয়দ মুজতবা আলী – নবম শ্রেণীর বাংলা প্রশ্ন ও উত্তর | Class 9 Bengali Nobo Nobo Srishti Question and Answer নিচে দেওয়া হলো। এই West Bengal WBBSE Class 9th Bengali Nobo Nobo Srishti Question and Answer, Suggestion, Notes | নবম শ্রেণীর বাংলা প্রশ্ন ও উত্তর – নব নব সৃষ্টি (প্রবন্ধ) সৈয়দ মুজতবা আলী থেকে বহুবিকল্পভিত্তিক, সংক্ষিপ্ত, অতিসংক্ষিপ্ত এবং রোচনাধর্মী প্রশ্ন উত্তর (MCQ, Very Short, Short, Descriptive Question and Answer) গুলি আগামী West Bengal Class 9th Nine IX Bengali Examination
প্রাচীন যুগের সব ভাষায় তাই —কোন্ কোন্ ভাষার উল্লেখ করে লেখক কেন এরূপ বলেছেন? এ প্রসঙ্গে বর্তমান যুগের কোন্ দুটি ভাষা সম্পর্কে তিনি কী বলেছেন ?
সৈয়দ মুজতবা আলী রচিত ‘নব নব সৃষ্টি’ প্রবন্ধের আলোচ্য অংশে লেখক সংস্কৃত এবং তার সঙ্গে হিব্রু, গ্রিক, আবেস্তা এবং কিছুটা আধুনিক আরবি ভাষার কথা উল্লেখ করেছেন। প্রাচীন যুগের অধিকাংশ ভাষাই নতুন চিন্তা-ভাবনা, নতুন বস্তু বোঝাতে নতুন শব্দের প্রয়োজন হলে তা নিজ শব্দভাণ্ডারের ধাতু বা শব্দ দ্বারাই তৈরি করার চেষ্টা করেছে। অন্য ভাষা থেকে ঋণ নেওয়ার কথা ভাবে না। বিদেশি শব্দ ব্যবহার করলেও তা অতিসামান্য। তাই লেখক প্রাচীন ভাষাগুলিকে আত্মনির্ভরশীল ও স্বয়ংসম্পূর্ণ বলেছেন।
ভাষার স্বয়ংসম্পূর্ণতা প্রসঙ্গেই লেখক বর্তমান যুগের ইংরেজি ও বাংলা ভাষার উল্লেখ করেছেন। অতিরিক্ত শব্দগ্রহণ: আধুনিক কালের ভাষা ইংরেজি এবং বাংলা অন্যান্য ভাষা থেকে অতিরিক্ত শব্দ গ্রহণ করে নিজের ভাণ্ডারকে সমৃদ্ধ করার ও প্রয়োজন মেটানোর চেষ্টা করে।
পাঠান-মোগল যুগে এভাবেই বাংলা ভাষায় প্রচুর আরবি-ফারসি শব্দ স্থানলাভ করেছে। বাংলা পরবর্তীকালে ইংরেজি থেকে এবং ইংরেজির মাধ্যমে অন্যান্য ভাষা থেকে শব্দ গ্রহণ করেছে। এই কারণে ইংরেজি ও বাংলা, লেখকের মতে স্বয়ংসম্পূর্ণ ভাষা নয়।
“বর্তমান যুগের ইংরেজি ও বাংলা আত্মনির্ভরশীল নয়”- আত্মনির্ভরশীল ভাষা কাকে বলে ? লেখকের এরকম মনে হওয়ার কারণ কী ?
লেখক সৈয়দ মুজতবা আলী তাঁর নিব সৃষ্টি' রচনায় বলেছেন যে, ভাষার আত্মনির্ভরশীলতার অর্থ ভাষার সংসম্পূর্ণতা। সংস্কৃতকে উদাহরণ হিসেবে দেখিয়ে তিনি বলেছেন যে ই ভাষায় কোনো নতুন চিন্তা, অনুভূতি, কিংবা বস্তুকে বোঝানোর জন্য =ব্দর প্রয়োজন হলে সংস্কৃত তা নিজের ভাণ্ডারেই সন্ধান করে।
প্রয়োজনে এমন কোনো ধাতু বা শব্দকে খুঁজে নিতে চায় যা সামান্য অদল-বদল করে বা পুরোনো ধাতুর সাহায্যেই একটি নতুন শব্দ নির্মাণ করে নেওয়া যায়। তাই সংস্কৃত একটি আত্মনির্ভরশীল ভাষা হয়ে উঠতে পেরেছে।
ভাষার স্বয়ংসম্পূর্ণতা প্রসঙ্গেই লেখক বর্তমান যুগের ইংরেজি ও বাংলা ভাষার উল্লেখ করেছেন। অতিরিক্ত শব্দগ্রহণ: আধুনিক কালের ভাষা ইংরেজি এবং বাংলা অন্যান্য ভাষা থেকে অতিরিক্ত শব্দ গ্রহণ করে নিজের ভাণ্ডারকে সমৃদ্ধ করার ও প্রয়োজন মেটানোর চেষ্টা করে।
পাঠান-মোগল যুগে এভাবেই বাংলা ভাষায় প্রচুর আরবি-ফারসি শব্দ স্থানলাভ করেছে। বাংলা পরবর্তীকালে ইংরেজি থেকে এবং ইংরেজির মাধ্যমে অন্যান্য ভাষা থেকে শব্দ গ্রহণ করেছে। এই কারণে ইংরেজি ও বাংলা, লেখকের মতে স্বয়ংসম্পূর্ণ ভাষা নয়।
“বিদেশি শব্দ নেওয়া ভালো না মন্দ সে প্রশ্ন অবান্তর।"- মন্তব্যটির তাৎপর্য বুঝিয়ে দাও।
আলোচ্য উদ্ধৃতাংশটি সৈয়দ মুজতবা আলী রচিত 'নব নব সৃষ্টি' রচনাংশ থেকে নেওয়া হয়েছে।
ভাষা তার নিজ শব্দভান্ডারের ধাতু বা শব্দ দ্বারা নতুন শব্দ তৈরি করতে পারলেই ভাষার স্বয়ংসম্পূর্ণতা প্রমাণিত হয়। কিন্তু বিদেশি শব্দ গ্রহণ করলেও ভাষা অনেকসময় মধুর এবং তাৎপর্যপূর্ণ হয়ে ওঠে যদি সেই ভাষা বিষয়কেন্দ্রিক হয়। লেখক নিজেই বলেছেন, “রচনার ভাষা তার বিষয়বস্তুর উপর নির্ভর করে।”
প্রাচীন কাল থেকেই বাংলা ভাষায় সংস্কৃত, আরবি, ফারসি প্রভৃতি শব্দ অনায়াসে মিশেছে। ইংরেজি ভাষার বদলে বাংলা ভাষাকে শিক্ষার মাধ্যম হিসেবে চালু করার ফল হাতেনাতে পাওয়া গেছে। কারণ তারপরই বাংলায় প্রচুর পরিমাণে ইউরোপীয় শব্দ ঢুকেছে। আমাদের দৈনন্দিন জীবনেও আমরা বহু বিদেশি দ্রব্য ব্যবহার করে থাকি। একইরকমভাবে বিদেশি শব্দও প্রবেশ করবে ভাষায়।
হিন্দি ভাষাকে আরবি-ফারসি শব্দ মুক্ত করার জন্য চেষ্টা শুরু করেছেন হিন্দি ভাষার সাহিত্যিকরা। তার ফলাফল ভালো না খারাপ হবে লেখক তা ভবিষ্যতের ওপর ছেড়ে দিলেও বাংলা ভাষা ও সাহিত্যে রবীন্দ্রনাথ আনায়াসেই আরবি-ফারসি ভাষা মিশিয়ে লিখেছেন, “আৰু দিয়ে, ইজ্জৎ দিয়ে, ইমান দিয়ে, বুকের রক্ত দিয়ে।” আবার নজরুল ইসলামও 'ইনকিলাব', 'শহিদ' প্রভৃতি বিদেশি শব্দ বাংলায় ব্যবহার করেছেন।
বিষয়ের গাম্ভীর্য, আভিজাত্য এবং চটুলতার ওপর ভাষার ব্যবহার নির্ভর করে। ফলে বিদেশি শব্দের ব্যবহারও ভাষাকে সমৃদ্ধ করে তোলে যদি তা বিষয়বস্তুর যথাযথ ব্যাখ্যা দিতে পারে।
“ফল যদি ভালো হয় তখন তাঁরা না হয় চেষ্টা করে দেখবেন।”—কোন্ প্রসঙ্গে লেখক এরূপ বলেছেন ? বাংলা সাহিত্যিকদের নিয়ে এই প্রসঙ্গে লেখক কী বলেছেন ?
সৈয়দ মুজতবা আলী 'নব নব সৃষ্টি' প্রবন্ধে ভাষায় বিদেশি শব্দের ব্যবহার প্রসঙ্গে বলতে গিয়ে হিন্দি ভাষার সাহিত্যিকদের একটি প্রচেষ্টার কথা তুলে ধরেছেন। হিন্দি ভাষাকে আরবি, ফারসি, ইংরেজি শব্দ থেকে মুক্ত করার উদ্দেশ্য নিয়ে হিন্দি সাহিত্য রচনায় ব্রতী হয়েছেন বেশ কিছু হিন্দি সাহিত্যিক। তাঁদের এই চেষ্টার ফল ভালো না খারাপ হবে, তা বিচার করার চেয়েও বড়ো কথা হল এই যে তাঁরা এই জাতীয় একটি চেষ্টা শুরু করেছেন।
বাংলা সাহিত্যিকরা অনায়াসেই বাংলা ভাষায় বিদেশি শব্দের ঘটিয়েছেন। নতুন নতুন সাহিত্য সৃষ্টি করতে হলে তা বিষয়বস্তুকেন্দ্রিক হবে এটাই মূল কথা। তাই রবীন্দ্রনাথ খুব স্বাচ্ছন্দে আরবি-ফারসি ভাষার সংমিশ্রণে লিখেছেন, "আৰু দিয়ে, ইজজ নিয়ে ইমান দিয়ে, বুকের রক্ত দিয়ে।”
নজরুল ইসলামও 'ইনকিলাব' ব 'শহিদ' এই শব্দগুলি সহজেই তাঁর লেখায় বাংলা ভাষার মধ্যে মিশিয়ে দিয়েছেন। বিদ্যাসাগরও তাঁর চলিত ভাষায় লেখা রচনার মধ্যে আরকি ফারসি শব্দের ব্যবহার করেছেন। পণ্ডিত হরপ্রসাদ শাস্ত্রী আরবি-ফারসি শব্দের বিরুদ্ধে বিদ্রোহ ঘোষণা করাকে মূর্খামি বলে মে করতেন।
“রচনার ভাষা তার বিষয়বস্তুর উপর নির্ভর করে।” মন্তব্যটির তাৎপর্য বুঝিয়ে দাও।
উদ্ধৃতাংশটি সৈয়দ মুজতবা আলীর 'নব নব সৃষ্টি' পাঠ্য প্রবন্ধ থেকে নেওয়া। রচনার গাম্ভীর্য, আভিজাত্য চটুলতার সঙ্গে ভাষার ব্যবহার গভীরভাবে জড়িত। নতুন শব্দ তৈরি বা বিষয়ের মধ্য দিয়ে নতুন চিন্তা ও অনুভূতি ফুটিয়ে তুলতে গেলে বিদেশি ভাষার প্রয়োজন।
শিক্ষার মাধ্যম হিসেবে ইংরেজি ভাষা বাতিল করার ফলে বাংলা ভাষায় বিদেশি শব্দ কোনোভাবেই লেখার মাধুর্যকে নষ্ট করতে পারে না যদি তা বিষয়ভিত্তিক হয় রবীন্দ্রনাথ আরবি ফারসিকে স্বাগত জানিয়ে খুব সচ্ছন্দেই লিখেছেন "আব্রু দিয়ে ইজজত দিয়ে ইমান দিয়ে বুকের রক্ত দিয়ে"।
নজরুল ইসলাম ও ইনকিলাব শহীদ প্রভৃতির শব্দ বাংলায় অনায়সে ব্যবহার করেছেন। শঙ্কর দর্শন এর আলোচনায় যে গাম্ভীর্য ও আভিজাত্য রয়েছে তা সংস্কৃত শব্দ ব্যবহারেই সঠিক রূপ লাভ করে।
বসুমতী পত্রিকার সম্পাদকীয় ভাষাও একইরকম ভীতি। কিন্তু বাঁকা চোখে পত্রিকার ভাষায় চটুলতা তার বিষয় উপযোগী। আবার রেলের ইঞ্জিন কীভাবে চালাতে হয় বা বিজ্ঞানচর্চা ও দর্শনের জানতে ইংরেজি ভাষার বিকল্প নেই। সুতরাং সঠিক ভাষা প্রয়োগ বিষয়বস্তুর মূলভাবকে তুলে ধরতে পারে।
বাংলায় যেসব বিদেশি ভাষার শব্দ ঢুকেছে তার মধ্যে কোন কোন ভাষাকে লেখক প্রধান বলেছেন ? এই প্রসঙ্গে সংস্কৃত ও ইংরেজি নিয়ে লেখক কী বলেছেন?
অথবা
বাংলা ভাষায় আগন্তুক শব্দ কোনগুলি ? প্রসঙ্গক্রমে সংস্কৃত ও ইংরেজি ভাষা নিয়ে লেখকের বক্তব্য স্পষ্ট করো।
- সৈয়দ মুজতবা আলী তাঁর 'নব নব সৃষ্টি' রচনাংশে জানিয়েছেন যে বাংলায় যেসব বিদেশি শব্দ প্রবেশ করেছে সেগুলির মধ্যে আরবি, ফারসি ও ইংরেজি ভাষার শব্দই প্রধান।
একসময়ে ভারত তথা বাংলাদেশে সংস্কৃত ভাষার ব্যাপক চর্চা ছিল। কারণ সংস্কৃতই ছিল আদি ও মূল ভাষা। এখনও স্কুল-কলেজে সংস্কৃতচর্চা হয়। সংস্কৃত থেকে উৎপন্ন হওয়ার ফলে বাংলা ভাষায় সংস্কৃত ভাষার প্রভাব থাকবে, এটাই স্বাভাবিক।
সংস্কৃত শব্দ এখনও সামান্য হলেও বাংলা ভাষায় প্রবেশ করছে। সংস্কৃত ভাষাকে বাংলার মাতৃসম ভাষাই বলা হয়, তাই সংস্কৃতচর্চা বন্ধ করে দিলে বাংলা ভাষা এক স্বয়ংসম্পূর্ণ ভাষা থেকে বিচ্ছিন্ন হবে। তাই লেখক এ প্রসঙ্গে বলেছেন, "আমরা অন্যতম প্রধান খাদ্য থেকে বঞ্চিত হবো।”
আধুনিক শিক্ষার ধারায় দর্শনশাস্ত্র, নন্দনশাস্ত্র, পদার্থবিদ্যা, রসায়নবিদ্যা এবং বিজ্ঞানচর্চার ক্ষেত্রে ইংরেজি ভাষার বিকল্প নেই। উদাহরণ হিসেবে লেখক বলেছেন যে রেলের ইঞ্জিন কী করে চালাতে হয়, সে বিষয়ে বাংলায় কোনো বই নেই। ফলে এই বিষয়টা বুঝতে হলে বাঙালিকে ইংরেজি ভাষারই আশ্রয় নিতে হয়। “সুতরাং ইংরেজি চর্চা বন্ধ করার সময় এখনও আসেনি।”
“ইংরেজি চর্চা বন্ধ করার সময় এখনও আসেনি।” বক্তা কে। এরূপ উক্তির কারণ কী?
প্রশ্নোকৃত অংশটির বক্তা নব নব সৃষ্টি' প্রবন্ধের লেখক সৈয়দ মুজতবা আলী।
বাংলা ভাষা আত্মনির্ভরশীল ভাষা নয়। আরবি-ফারসির মতোই ইংরেজির থেকেও আমরা প্রচুর শব্দ নিয়েছি। ভাষাকে স্বাবলম্বী করে তোলার জন্য অন্য ভাষাকে ত্যাগ করার চেষ্টা একেবারে বিরল ঘটনা নয়। হিন্দিতে এ চেষ্টা হয়েছে। আবার বিখ্যাত লেখকদেরও দেখা গিয়েছে যে, তাঁরা অন্য পথে হেঁটেছেন।
বাংলা ভাষাতেই রবীন্দ্রনাথ, নজরুল থেকে হরপ্রসাদ শাস্ত্রী এর উদাহরণ। লেখক দেখিয়েছেন যে বাংলা ভাষায় যে শব্দসমূহ এসেছে তার মধ্যে আরবি, ফারসি এবং ইংরেজি প্রধান। এক্ষেত্রে ইংরেজির ভূমিকা কোনোভাবেই এড়ানো সম্ভব নয়।
দর্শন, নন্দনশাস্ত্র, পদার্থ কিংবা রাসায়নবিদ্যা ইত্যাদির জন্য প্রয়োজনীয় শব্দ বাংলায় যথেষ্ট নেই। রেল ইঞ্জিন চালানোর প্রযুক্তি বিষয়ে বাংলায় কোনো বই নেই। এখানে ইংরেজির উপরে নির্ভর ছাড়া কোনো উপায় নেই। এইসব কারণেই লেখকের মনে হয়েছে আত্মনির্ভরশীল হওয়ার জন্য ইংরেজির চর্চা বন্ধ করার সময় এখন আসেনি।
লেখক সৈয়দ মুজতবা আলী একবার বলেছেন আরবি- ফারসি ভাষা থেকে “ব্যাপকভাবে আর নূতন শব্দ বাংলাতে ঢুকবে না”, আবার একবার বলেছেন “অচলিত অনেক আরবি-ফার্সি শব্দ নূতন মেয়াদ পাৰে।”—এই দুই উক্তির কারণ বুঝিয়ে দাও।
অথবা,
বাংলা ভাষায় আরবি-ফারসি শব্দের ব্যবহার সম্পর্কে 'নব নব সৃষ্টি' প্রবন্ধ অবলম্বনে আলোচনা করো।
ভাষায় বিদেশি শব্দের প্রবেশ এবং তার স্থায়িত্ব সম্পর্কে আলোচনায় লেখক বলেছেন যে বাংলা ভাষায় যেসব বিদেশি শব্দ প্রবেশ করেছে সেগুলির মধ্যে প্রধান হল আরবি এবং ফারসি। তবে আরবি এবং ফারসি —এই দুটি ভাষার প্রতি তরুণ বাঙালি সম্প্রদায় বর্তমানে ক্রমশ আগ্রহ হারাচ্ছে।
এর ফলে “এই দুই ভাষা থেকে ব্যাপকভাবে আর নতুন শব্দ বাংলাতে ঢুকবে না।” তা ছাড়া, আরব-ইরানে অদুর ভবিষ্যতে জ্ঞান-বিজ্ঞান চর্চার সম্ভাবনাও ক্ষীণ। ফলে এই ভাষা দুটির বাংলাকে প্রভাবিত করতে পারার সম্ভাবনাও খুব ক্ষীণ।
বাংলা ভাষা প্রাচীন কাল থেকেই আরবি-ফারসি শব্দ ব্যাপক পরিমাণে গ্রহণ করেছে। আর এইসব শব্দ যে বহুদিন বাংলায় প্রচলিত থাকবে সে বিষয়ে লেখক নিঃসন্দেহ।
তা ছাড়া, মধ্যযুগের চণ্ডীমঙ্গল থেকে শুরু করে হুতোম প্যাঁচার নকশা পর্যন্ত যেসব আরবি- ফারসি শব্দ ব্যবহৃত হয়েছে নতুন লেখক সম্প্রদায় সেগুলিকে নতুন করে খুঁজে আবার সাহিত্যে প্রয়োগের চেষ্টা করছেন। বিশ্ববিদ্যালয়ের পাঠক্রমে প্রাচীন বাংলা পড়ার কারণেই “অচলিত অনেক আরবি-ফার্সি শব্দ নতুন মেয়াদ পাবে।” শ্রীকৃষ্ণ বাংলায় কানু হয়ে উঠেছেন তাই নয়, রাগাও হয়ে উঠেছেন
বিশ্লেষণধর্মী ও রচনাধর্মী প্রশ্ন ও উত্তর 5 Mark
নব নব সৃষ্টি (প্রবন্ধ) সৈয়দ মুজতবা আলী – নবম শ্রেণীর বাংলা প্রশ্ন ও উত্তর | Class 9 Bengali Nobo Nobo Srishti Question and Answer নিচে দেওয়া হলো। এই West Bengal WBBSE Class 9th Bengali Nobo Nobo Srishti Question and Answer, Suggestion, Notes | নবম শ্রেণীর বাংলা প্রশ্ন ও উত্তর – নব নব সৃষ্টি (প্রবন্ধ) সৈয়দ মুজতবা আলী থেকে বহুবিকল্পভিত্তিক, সংক্ষিপ্ত, অতিসংক্ষিপ্ত এবং রোচনাধর্মী প্রশ্ন উত্তর (MCQ, Very Short, Short, Descriptive Question and Answer) গুলি আগামী West Bengal Class 9th Nine IX Bengali Examination
"ধর্ম বদলালেই জাতির চরিত্র বদলায় না। - ' নব সৃষ্টি রচনা অবলম্বনে এই উক্তির সত্যতা বিচার করো।
প্রাবন্ধিক সৈয়দ মুজতবা আলী তাঁর 'নব নব সৃষ্টি' প্রবন্ধে সত্য-শিব-সুন্দরের প্রতি বাঙালির চিরকালীন পক্ষপাতের কথা বলেছেন। রাজনীতি, ধর্ম, সাহিত্য বাঙালি যেখানে যখনই সত্য-শিব-সুন্দরের খোঁজ পেয়েছে তখনই তা সাদরে গ্রহণ করতে চেয়েছে।
কেউ গতানুগতিকতা বা প্রাচীন ঐতিহ্যের দোহাই দিয়ে তাতে বাধা দিতে গেলে বাঙালি তার বিরুদ্ধে বিদ্রোহ করেছে। আবার সেই বিদ্রোহই যদি উচ্ছৃঙ্খলতা বা নৈরাজ্যের দিকে যায় তখন বাঙালি তার বিরুদ্ধেও বিদ্রোহ করেছে। অর্থাৎ সত্য শিব- সুন্দরের ধারণাকে বাঙালি চিরন্তন বলে গ্রহণ করেছে। বাঙালি জাতিসত্তা: লেখক লক্ষ করেছেন যে এই রুচি বা জীবনাদর্শকে প্রযোগ করার ক্ষেত্রে হিন্দু বা মুসলমানদের মধ্যে কোনো পার্থক্য নেই।
আর এই বিদ্রোহে বাঙালি মুসলমানরাও যোগ দিয়েছে। তার কারণ ধর্ম বদলে গেলেও জাতিসত্তা একই থেকে যায়। এই চারিত্রিক বৈশিষ্ট্যটি সমগ্র বাঙালি জাতিরই, কোনো বিশেষ ধর্মীয় সম্প্রদায়ের নয়। লেখক সৈয়দ মুজতবা আলী বলেছেন, “ধর্ম বদলালে জাতির চরিত্র বদলায় না।” বাঙালি মুসলমানরাও বাঙালি জাতিসত্তারই অংশ। তার ধর্ম আলাদা হলেও এদেশের জল হাওয়াতেই তার চেতনা ও জীবনাদর্শের বিকাশ।
এইজন্য ধর্ম বদলে যেতে গেলেও মনোভাবের কোনো বদল বাঙালি মুসলমানের মধ্যে ঘটেনি।
নব নব সৃষ্টি রচনাটির নামকরণের সার্থকতা আলোচনা কর ।
সাহিত্যসৃষ্টির ক্ষেত্রে নামকরণের একটি বিশেষ ভূমিকা আছে। লেখক তাঁর 'নব নব সৃষ্টি' রচনায় যে-কোনো সৃষ্টিকর্মের নির্মাণে যে পরীক্ষানিরীক্ষা, গ্রহণ-বর্জন থাকে তাকে দেখার চেষ্টা করেছেন। কিছু ভাষা আছে যেমন সংস্কৃত, হিব্রু, গ্রিক, আবেস্তা, এমনকি আরবি ইত্যাদি প্রাচীন ভাষাগুলি অনেকটাই আত্মনির্ভরশীল। আবার বাংলা, ইংরেজির মতো ভাষাগুলি অন্য ভাষা থেকেও শব্দ নেয়। এই শব্দরা স্থায়ীভাবে ভাষায় থেকে যায়।
রবীন্দ্রনাথ, নজরুল, বেনামে বিদ্যাসাগর সকলেই অন্য ভাষা থেকে শব্দ নিয়ে নিজেদের সাহিত্যে ব্যবহার করেছেন। বিষয়বস্তুর ওপর নির্ভর করেই শব্দগ্রহণ চলে। এই গ্রহণের পথে বাংলার সঙ্গে সংস্কৃত ও ইংরেজিকে এড়িয়ে যাওয়ার কোনো সুযোগ নেই। তবে আরবি-ফারসির প্রভাব কিছুটা ক্ষীণ হলেও সাহিত্যে ইতিমধ্যে তারা স্থান পেয়ে যাওয়ায় এবং এখন পরীক্ষানিরীক্ষার কারণে এইসব শব্দও বাংলা ভাষায় টিকে থাকবে। এখন আবার আরবির থেকে ফারসির গ্রহণযোগ্যতা বেশি।
উর্দু ও হিন্দি সাহিত্যে ফারসিরই প্রভাব থেকে লক্ষ করা যায়। ইকবালের মতো কেউ কেউ অবশ্য উর্দুকে ফারসির প্রভাব মুক্ত করতে চেষ্টা করেছেন। অন্যভাষার ওপরে নির্ভর না করেও যে সাহিত্যসৃষ্টি সফল হতে পারে তার যথার্থ উদাহরণ হল পদাবলি কীর্তন।
বাঙালি হিন্দুই হোক, অথবা মুসলমান—তারা সবসময় স্বাধীনভাবে চলতে চায়—এই বিদ্রোহীসত্তা তাদের মধ্যে সবসময় কাজ করে থাকে। সব মিলিয়েই শব্দ ও ভাষাঋণ নেওয়া বা বর্জন করা এই দুই বিপরীতমুখী স্রোতেই সাহিত্য গড়ে ওঠে। সৃষ্টির সেই বিচিত্র স্বরূপকে ধরার চেষ্টা হয়েছে বলেই প্রবন্ধের, নাম 'নব নব সৃষ্টি' সার্থক হয়ে উঠেছে।
সৈয়দ মুজতবা আলী সাংস্কৃতকে স্বয়ংসম্পূর্ণ ভাষা বলেছেন কেন?
নব নব সৃষ্টি নিবন্ধে সৈয়দ মুজতবা আলী সংস্কৃত ভাষাকে একটি স্বয়ংসম্পূর্ণ ভাষা বলতে চেয়েছেন, বলেছেন সংস্কৃতকে স্বয়ংসম্পূর্ণ ভাষা বলতে কারও আপত্তি থাকার কথা নয়। আসলে তিনি লক্ষ করেছেন সংস্কৃত ভাষা বিদেশি ভাষা থেকে আগন্তুক শব্দসংখ্যা খুবই কম। এ ভাষার নিজস্ব শব্দভাণ্ডার যথেষ্ট সমৃদ্ধ বলে যে-কোনো আলে অনুভূতি চিন্তা ভাবনাকে প্রকাশ করার মতো উপযুক্ত শব্দ তার নিজস্ব শব্দভাণ্ডার থেকেই খুঁজে পাওয়া সম্ভব।
তাই লেখক বলেছেন 'কোনো নতুন চিন্তা, অনুভূতি কিংবা বস্তুর জন্য নবীন শব্দের প্রয়োজন হলে সংস্কৃত যার ধার করার কথা না ভেবে আপন ভান্ডারে অনুসন্ধান করে এমন কোনো ধাতু বা শব্দ সেখানে আছে কিনা যার সামান্য অদলবদল করে কিংবা পুরনো ধাতু দিয়ে নবীন শব্দটি নির্মাণ করা যায় কিনা।
অর্থাৎ সংস্কৃতের শব্দভাণ্ডার অন্য ভাষার মুখাপেক্ষী নয়। সামান্য কিছু বিদেশী শব্দ সংস্কৃতে এলেও তা এই ভাষাকে পরনির্ভরশীল করে তোলেনি। এই কারণেই লেখক সৈয়দ মুজতবা আলী সংস্কৃত কে সম্পূর্ণ ভাষা বলেছেন।
সে প্রশ্ন অবান্তর কোন প্রসঙ্গে লেখক এ কথা মনে করেছেন কেন অবান্তর?
বিদেশি শব্দ ব্যবহার বিষয়ের লেখক সৈয়দ মুজতবা আলী বিদেশি শব্দ নেওয়া ভালো না মন্দ সে বিষয়ে প্রশ্ন অবান্তর বলে মনে করেন। তার মতে রান্নাঘর থেকে যেমন আলু কপি তাড়ানো সম্ভব নয় কিংবা বিলিতি ঔষধ যেমন আমরা সকলেই খাই তেমনি আমাদের ভাষাতেও বিদেশি শব্দ থেকে যাবে। এবং তা আমদানি করা বন্ধ করা যাবে না।
কেউ কেউ জোর করে বিদেশি শব্দ বর্জনের চেষ্টা করেন। কিন্তু মুজতবা আলী জানিয়েছেন, বিখ্যাত লেখকেরা অনেকেই সাদরে বিদেশি শব্দ গ্রহণ করেছেন। যেমন রবীন্দ্রনাথ স্বাচ্ছন্দে লিখেছেন আবু দিয়ে ইজ্জত দিয়ে ইমান দিয়ে ইত্যাদি। এখানে আৰু 'ইজ্জত', ইমান' তিনটিই আরবি শব্দ।
আবার নজরুল ইসলামই বাংলায় আরবি শব্দ ইনকিলাব ঢুকিয়ে গিয়েছেন। বিদ্যাসাগর সাধু পদে বিদেশি শব্দ ব্যবহার না করলেও অসাধু রচনায় আরবি, ফারসি প্রচুর ব্যবহার করেছেন। নিষ্ঠাবান পন্ডিত হলেও হরপ্রসাদ শাস্ত্রী বিদেশি শব্দ বিশেষত আরবি-ফারসির বিরুদ্ধে জিহাদ ঘোষণা করাকে বোকামি মনে করতেন।
এমনকি হিন্দি সাহিত্যে প্রেমচন্দ্র ও বিস্তর আরবি-ফারসি ভাষা ব্যবহার করেছেন। এইসব দৃষ্টান্ত নিয়ে প্রাবন্ধিক বুঝিয়ে দিয়েছেন বিদেশি শব্দের ব্যবহার নিয়ে প্রশ্ন তোলাই অবান্তর।
এই দুই ভাষার চর্চা এখনো চালিয়ে যাওয়া প্রয়োজন কোন দুটি ভাষা চর্চায় এখনো চালিয়ে যাওয়ার প্রয়োজন এবং কেন ?
বাংলার সংস্কৃত ও ইংরেজি ভাষার চর্চা এখনো প্রয়োজন বলে লেখক যেন মনে সৈয়দ মুজতবা আলী মনে করেন বাংলা কোনো স্বয়ংসম্পূর্ণ ভাষা নয়, বিদেশি বহু ভাষার শব্দভান্ডার থেকে শব্দ গ্রহণ করেই সে তার নিজস্ব শব্দভাণ্ডারকে সমৃদ্ধ করেছে। এদেশে প্রাচীনকাল থেকেই সংস্কৃত ভাষায় চর্চা চলে আসছে।
কাজেই সংস্কৃতের এই নিয়মিত চর্চা বাংলা ভাষাকেও প্রভাবিত করেছে। এই সূত্রে সংস্কৃতের বহু শব্দই আজ বাংলা সাদরে গৃহীত হয়েছে। এই প্রক্রিয়া আরও দীর্ঘদিন চলবে। লেখক মনে করেন বাংলা ভাষার সম্বসিতে এখনো সংস্কৃতের প্রয়োজন আছে। আর সে কারণেই এখানকার স্কুল কলেজ থেকে সংস্কৃত উঠিয়ে দিতে আমরা চাই না। লেখক মনে করেছেন, সংস্কৃত চর্চা উঠিয়ে দিলে আমরা অন্যতম প্রধান খাদ্য থেকে বর্ণিত হয়।
শুধু সংস্কৃত নয়, ইংরেজির বেলাতেও লেখক এমনটিই মনে করেন। তার মতে দর্শন, নন্দনশান্ত, পদার্থবিদ্যা, রসায়নবিদ্যা প্রভৃতি বিষয় চর্চার উপযোগী বিজ্ঞানের পরিভাষা সমৃদ্ধ শব্দ আমাদের প্রয়োজন। রেল ইঞ্জিন চালানোর মতো কারিগরি বিদ্যাচর্চার উপযুক্ত শব্দেরও অতার রয়েছে বাংলায়। এ বিষয়গুলি যেহেতু ইংরেজি ভাষাতেই দীর্ঘদিন চর্চা হয়ে আসছে এবং বাংলায় সবে শুরু হয়েছে সেহেতু বাংলায় ইংরাজি ভাষার চর্চা এখনো প্রয়োজন। লেখকের মতে ইংরেজি চর্চা বন্ধ করার সময় এখনও আসেনি।
বাংলার ভাষার সাথে আরবি-ফারসি ভাষার যোগাযোগ সম্পর্কে লেখকের অভিমত কি তা আলোচনা করো।
পাঠান-মোগল যুগ থেকেই বাংলার সঙ্গে আরবি-ফারসি ভাষার ঘনিষ্ঠতা শুরু হয়। রাজভাষা হওয়ায় প্রশাসনিক কাজে এই দুই ভাষা ব্যবহার হতে শুরু করল। এই সূত্রে আইন আনা, ভূমি প্রভৃতি ক্ষেত্রে এই দুই ভাষার বহু শব্দ বাংলায় ঢুকে গেল। কিন্তু অবস্থাটা বদলাতে শুরু করল ইংরেজ আগমনের সময় থেকে। রাজভাষা ইংরেজির দাপটে আরবি-ফারসির ব্যবহার বাংলায় কমে এল। ফলে লেখক লক্ষ করেছেন, এই দুই ভাষা থেকে আর কোনো নতুন শব্দ বাংলায় ঢুকছে না। ভবিষ্যতেও ঢুকবে না।
পশ্চিমবাংলায় আরবি-ফারসি চর্চা যাব যাব করছে। পূর্ব বাংলার তরুণেরাও আর এই দুই ভাষা সম্পর্কে ততটা আগ্রহ দেখাচ্ছে না। আরব ইরানে নতুন কোনো জ্ঞান-বিজ্ঞানের চর্চা হলে হয়তো আবার নতুন কিছু শব্দ বাংলায় আসতে পারত। কিন্তু সে সম্ভাবনাও আর নেই। তবে যে সব শব্দ এই দুই ভাষা থেকে বাংলায় ঢুকে পড়ে তা আরও দীর্ঘকাল বাংলায় স্থায়ীভাবেই থাকবে।
তবে পুরানো বাংলা ভাষা পাঠের সূত্র ধরে কিছু আরবি ফারসি ভাষার নতুন চর্চা বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্রছাত্রীরা এবং একালের কিছু বাংলা ভাষার সাহিত্যিক শুরু করেছেন। তাতে অনেক অ-চলিত আরবি, ফারসি শব্দ নতুন মেয়াদ পাবে।
নব নব সৃষ্টি (প্রবন্ধ) সৈয়দ মুজতবা আলী নবম শ্রেণীর বাংলা সাজেশন প্রশ্ন ও উত্তর Class 9 Bengali Suggestion | West Bengal WBBSE Class Nine IX (Class 9th) Bengali Question and Answer Suggestion ” নব নব সৃষ্টি (প্রবন্ধ) সৈয়দ মুজতবা আলী – নবম শ্রেণীর বাংলা প্রশ্ন উত্তর
একটি অতি গুরুত্বপূর্ণ টপিক নবম শ্রেণীর পরীক্ষা (West Bengal Class Nine IX / WB Class 9 / WBBSE / Class 9 Exam / West Bengal Board of Secondary Education – WB Class 9 Exam / Class 9th / WB Class 9 / Class 9 Pariksha ) এখান থেকে প্রশ্ন অবশ্যম্ভাবী । সে কথা মাথায় রেখে এর পক্ষ থেকে নবম শ্রেণীর বাংলা পরীক্ষা প্রস্তুতিমূলক সাজেশন এবং প্রশ্ন ও উত্তর ( নবম শ্রেণীর বাংলা সাজেশন / নবম শ্রেণীর বাংলা প্রশ্ও উত্তর ।
Class 9 Bengali Suggestion / Class 9 Bengali Nobo Nobo Srishti Question and Answer / Class 9 Bengali Suggestion / Class 9 Pariksha Bengali Suggestion / Bengali Class 9 Exam Guide / MCQ , Short , Descriptive Type Question and Answer / Class 9 Bengali Suggestion FREE PDF Download) উপস্থাপনের প্রচেষ্টা করা হলাে। ছাত্রছাত্রী, পরীক্ষার্থীদের উপকারে লাগলে, আমাদের প্রয়াস নবম শ্রেণীর বাংলা পরীক্ষা প্রস্তুতিমূলক সাজেশন এবং প্রশ্ন ও উত্তর (Class 9 Bengali Suggestion / West Bengal Nine IX Question and Answer, Suggestion / WBBSE Class 9th Bengali Suggestion / Class 9 Bengali Nobo Nobo Srishti Question and Answer / Class 9 Bengali Suggestion / Class 9 Pariksha Suggestion /
Class 9 Bengali Exam Guide / Class 9 Bengali Suggestion 2023, 2024, 2025, 2026, 2027, 2021, 2020, 2019, 2017, 2016, 2015, 2028, 2029, 2030 / Class 9 Bengali Suggestion MCQ , Short , Descriptive Type Question and Answer. / Class 9 Bengali Suggestion FREE PDF Download) সফল হবে। নব নব সৃষ্টি (প্রবন্ধ) সৈয়দ মুজতবা আলী প্রশ্ন ও উত্তর নব নব সৃষ্টি (প্রবন্ধ) সৈয়দ মুজতবা আলী – প্রশ্ন ও উত্তর | নব নব সৃষ্টি (প্রবন্ধ) সৈয়দ মুজতবা আলী Class 9 Bengali Nobo Nobo Srishti Question and Answer Suggestion নবম শ্রেণীর বাংলা প্রশ্ন ও উত্তর – নব নব সৃষ্টি (প্রবন্ধ) সৈয়দ মুজতবা আলী প্রশ্ন ও উত্তর।
নব নব সৃষ্টি (প্রবন্ধ) সৈয়দ মুজতবা আলী MCQ প্রশ্ন ও উত্তর | নবম শ্রেণীর বাংলা নব নব সৃষ্টি (প্রবন্ধ) সৈয়দ মুজতবা আলী MCQ প্রশ্ন ও উত্তর | নব নব সৃষ্টি (প্রবন্ধ) সৈয়দ মুজতবা আলী Class 9 Bengali Nobo Nobo Srishti Question and Answer Suggestion নবম শ্রেণীর বাংলা প্রশ্ন ও উত্তর – নব নব সৃষ্টি (প্রবন্ধ) সৈয়দ মুজতবা আলী MCQ প্রশ্ন উত্তর। নব নব সৃষ্টি (প্রবন্ধ) সৈয়দ মুজতবা আলী SAQ সংক্ষিপ্ত প্রশ্ন ও উত্তর | নবম শ্রেণির বাংলা নব নব সৃষ্টি (প্রবন্ধ) সৈয়দ মুজতবা আলী SAQ সংক্ষিপ্ত প্রশ্ন ও উত্তর | নব নব সৃষ্টি (প্রবন্ধ) সৈয়দ মুজতবা আলী
নব নব সৃষ্টি প্রশ্ন ও উত্তর 2025 | Nobo Nobo Srishti | সৈয়দ মুজতবা আলী | MCQ প্রশ্ন ও উত্তর | Educostudy
Class 9 Bengali Nobo Nobo Srishti Question and Answer Suggestion নবম শ্রেণীর বাংলা প্রশ্ন ও উত্তর – নব নব সৃষ্টি (প্রবন্ধ) সৈয়দ মুজতবা আলী SAQ সংক্ষিপ্ত প্রশ্ন উত্তর। নব নব সৃষ্টি (প্রবন্ধ) সৈয়দ মুজতবা আলী MCQ প্রশ্ন উত্তর – নবম শ্রেণি বাংলা | Class 9 Bengali Nobo Nobo Srishti নবম শ্রেণি বাংলা (Class 9 Bengali Nobo Nobo Srishti) – নব নব সৃষ্টি (প্রবন্ধ) সৈয়দ মুজতবা আলী – প্রশ্ন ও উত্তর | নব নব সৃষ্টি (প্রবন্ধ) সৈয়দ মুজতবা আলী | Class 9 Bengali Nobo Nobo Srishti Suggestion নবম শ্রেণি বাংলা – নব নব সৃষ্টি (প্রবন্ধ) সৈয়দ মুজতবা আলী প্রশ্ন উত্তর। নবম শ্রেণীর বাংলা প্রশ্ন ও উত্তর | নবম শ্রেণির বাংলা প্রশ্ন ও উত্তর – নব নব সৃষ্টি (প্রবন্ধ) সৈয়দ মুজতবা আলী প্রশ্ন উত্তর |
Class 9 Bengali Nobo Nobo Srishti Question and Answer Question and Answer, Suggestion নবম শ্রেণীর বাংলা প্রশ্ন ও উত্তর – নব নব সৃষ্টি (প্রবন্ধ) সৈয়দ মুজতবা আলী | নবম শ্রেণীর বাংলা প্রশ্ন ও উত্তর – নব নব সৃষ্টি (প্রবন্ধ) সৈয়দ মুজতবা আলী | পশ্চিমবঙ্গ নবম শ্রেণীর বাংলা প্রশ্ন ও উত্তর – নব নব সৃষ্টি (প্রবন্ধ) সৈয়দ মুজতবা আলী | নবম শ্রেণীর বাংলা সহায়ক – নব নব সৃষ্টি (প্রবন্ধ) সৈয়দ মুজতবা আলী – প্রশ্ন ও উত্তর । Class 9 Bengali Nobo Nobo Srishti Question and Answer, Suggestion | Class 9 Bengali Nobo Nobo Srishti Question and Answer Suggestion | Class 9 Bengali Nobo Nobo Srishti Question and Answer Notes | West Bengal Class 9th Bengali Question and Answer Suggestion.
নবম শ্রেণীর বাংলা প্রশ্ন ও উত্তর – নব নব সৃষ্টি (প্রবন্ধ) সৈয়দ মুজতবা আলী MCQ প্রশ্ন উত্তর | WBBSE Class 9 Bengali Question and Answer, Suggestion নবম শ্রেণীর বাংলা প্রশ্ন ও উত্তর – নব নব সৃষ্টি (প্রবন্ধ) সৈয়দ মুজতবা আলী প্রশ্ন উত্তর প্রশ্ন ও উত্তর | নব নব সৃষ্টি (প্রবন্ধ) সৈয়দ মুজতবা আলী । Class 9 Bengali Nobo Nobo Srishti Question and Answer Suggestion. WBBSE Class 9th Bengali Nobo Nobo Srishti Suggestion | নবম শ্রেণীর বাংলা প্রশ্ন ও উত্তর – নব নব সৃষ্টি (প্রবন্ধ) সৈয়দ মুজতবা আলী WBBSE Class 9 Bengali Nobo Nobo Srishti Suggestion নবম শ্রেণীর বাংলা প্রশ্ন ও উত্তর – নব নব সৃষ্টি (প্রবন্ধ)
সৈয়দ মুজতবা আলী প্রশ্ন উত্তর প্রশ্ন ও উত্তর । নব নব সৃষ্টি (প্রবন্ধ) সৈয়দ মুজতবা আলী | Class 9 Bengali Nobo Nobo Srishti Suggestion নবম শ্রেণীর বাংলা প্রশ্ন ও উত্তর – নব নব সৃষ্টি (প্রবন্ধ) সৈয়দ মুজতবা আলী – প্রশ্ন উত্তর প্রশ্ন ও উত্তর । Class 9 Bengali Nobo Nobo Srishti Question and Answer Suggestions | নবম শ্রেণীর বাংলা প্রশ্ন ও উত্তর – নব নব সৃষ্টি (প্রবন্ধ) সৈয়দ মুজতবা আলী | নবম শ্রেণীর বাংলা প্রশ্ন ও উত্তর Class 9 Bengali Nobo Nobo Srishti Question and Answer
নব নব সৃষ্টি প্রশ্ন ও উত্তর 2025 | Nobo Nobo Srishti | সৈয়দ মুজতবা আলী | MCQ প্রশ্ন ও উত্তর | Educostudy, সৈয়দ মুজতবা আলী প্রশ্ন উত্তর প্রশ্ন ও উত্তর । নব নব সৃষ্টি (প্রবন্ধ) সৈয়দ মুজতবা আলী | Class 9 Bengali Nobo Nobo Srishti Suggestion নবম শ্রেণীর বাংলা প্রশ্ন ও উত্তর – নব নব সৃষ্টি (প্রবন্ধ) সৈয়দ মুজতবা আলী – প্রশ্ন উত্তর প্রশ্ন ও উত্তর
নবম শ্রেণীর বাংলা প্রশ্ন ও উত্তর – নব নব সৃষ্টি (প্রবন্ধ) সৈয়দ মুজতবা আলী নবম শ্রেণীর বাংলা প্রশ্ন ও উত্তর Class 9 Bengali Nobo Nobo Srishti Question and Answer নবম শ্রেণীর বাংলা প্রশ্ন ও উত্তর প্রশ্ন ও উত্তর – নব নব সৃষ্টি (প্রবন্ধ) সৈয়দ মুজতবা আলী MCQ, সংক্ষিপ্ত, রোচনাধর্মী প্রশ্ন ও উত্তর । WB Class 9 Bengali Nobo Nobo Srishti Suggestion | নবম শ্রেণীর বাংলা প্রশ্ন ও উত্তর – নব নব সৃষ্টি (প্রবন্ধ) সৈয়দ মুজতবা আলী MCQ প্রশ্ন উত্তর প্রশ্ন ও উত্তর Class 9 Bengali Nobo Nobo Srishti Question and Answer Suggestion নবম শ্রেণীর বাংলা প্রশ্ন ও উত্তর – নব নব সৃষ্টি (প্রবন্ধ) সৈয়দ মুজতবা আলী
MCQ প্রশ্ন ও উত্তর । Class 9 Bengali Nobo Nobo Srishti Question and Answer Suggestion নবম শ্রেণীর বাংলা প্রশ্ন ও উত্তর। West Bengal Class 9 Bengali Suggestion Download WBBSE Class 9th Bengali short question suggestion . Class 9 Bengali Nobo Nobo Srishti Suggestion download Class 9th Question Paper Bengali. WB Class 9 Bengali suggestion and important question and answer. Class 9 Suggestion pdf.পশ্চিমবঙ্গ নবম শ্রেণীর বাংলা পরীক্ষার সম্ভাব্য সাজেশন ও শেষ মুহূর্তের প্রশ্ন ও উত্তর ডাউনলোড। নবম শ্রেণীর বাংলা পরীক্ষার জন্য সমস্ত রকম গুরুত্বপূর্ণ প্রশ্ন ও উত্তর।
Get the Class 9 Bengali Nobo Nobo Srishti Question and Answer Question and Answer by Bhugol Shiksha .com Class 9 Bengali Nobo Nobo Srishti Question and Answer Question and Answer prepared by expert subject teachers. WB Class 9 Bengali Suggestion with 100% Common in the Examination . Class Nine IX Bengali Nobo Nobo Srishti Suggestion | West Bengal Board of Secondary Education (WBBSE) Class 9 Exam Class 9 Bengali Nobo Nobo Srishti Question and Answer, Suggestion Download PDF: West Bengal Board of Secondary Education (WBBSE) Class 9 Nine IX Bengali Suggestion is provided here. Class 9 Bengali Nobo Nobo Srishti Question and Answer Suggestion Questions Answers PDF Download Link in Free here.
নব নব সৃষ্টি (প্রবন্ধ) সৈয়দ মুজতবা আলী – নবম শ্রেণীর বাংলা প্রশ্ন ও উত্তর | Class 9 Bengali Nobo Nobo Srishti Question and Answer অসংখ্য ধন্যবাদ সময় করে আমাদের এই ” নব নব সৃষ্টি (প্রবন্ধ) সৈয়দ মুজতবা আলী – নবম শ্রেণীর বাংলা প্রশ্ন ও উত্তর ধন্যবাদ।
কোন মন্তব্য নেই:
একটি মন্তব্য পোস্ট করুন