Class Ten geography Note 2020. নদীর নিম্ন প্রবাহে গঠিত ভূমি রূপ


     নদী সৃষ্টি হবার পর থেকে সমুদ্রে মিশে তার জীবনের অন্তিম যাত্রা শেষ করে । আর এই সুদূর যাত্রা পথে নদী বাঁকে বাঁকে তৈরী করে নানা ভূমি রূপ। নদীর তিনটি গতি পথের শেষ অধ্যায় হলো নিম্ন প্রবাহ। এই নিম্ন প্রবাহে নদী তার গতি অনেকটা হারিয়ে ফেলে নানান আকৃতির ভূমিরূপ গোড়ে তোলে। সেই ভূমি রুপের কয়েকটি সম্পর্কে নিচে আলোচনা করা হলো

  DOWNLOAD EDUCOSTUDY APP FROM PLAYSTORE CLICK HERE


                    নিম্ন প্রবাহে গঠিত ভূমিরূপ

স্বাভাবিক বাঁধ
         বন্যার পর নদীর জল সরে গেলে বন্যার জলের সাথে বাহিত পদার্থ নদীর দুই ধরে জমতে থাকে । এই জমতে থাকা পদার্থ ধীরে ধীরে উচু হয়ে স্বাভাবিক বাশ তৈরী করে। এই স্বাভাবিক নাহ কে লেভি বলা হয়। গঙ্গা নদীর পশ্চিম তীরে লেভি দেখা যায়।

ব-দ্বীপ
    মোহনার কাছে নদীর জলস্রোত বেগ একেবারে থাকে না বলেই নদী ভাসমান বস্তুকে মোহনায় সঞ্চিত করে এক ধরণের তিন কোনা মাত্রাহীন নিম্নভূমি সৃষ্টি করে। এই ধরণের ভূমি দেখতে মাত্রাহীন 'ব' এর মতো দেখায় তাই একে ''-দ্বীপ বলে। নীল, মিসিসিপি ইত্যাদি নদীর মোহনায় এই ধরণের ব-দ্বীপ গোড়ে উঠেছে।

     
 **  'ব'- দ্বীপ কে আকার অনুসারে কয়েক ভাগে ভাগ করা যায়। যেমন- 
     ধানুকাকৃতি ব-দ্বীপ :- ব-দ্বীপের আকার যখন ধনুকের মতো হয়। যেমন - নীল নদের মোহনায় এই রূপ ব-দ্বীপ দেখা যায়।
     তিক্ষনাগ্র ব-দ্বীপ :- যখন নদীর পলল রাশি দুই দিকে ছড়িয়ে পড়ে তখন এই রূপ ব-দ্বীপ সৃষ্টি হয়। যেমন - স্পেনের এব্রো নদীর ব-দ্বীপ।
    পাখির পায়ের মতো :- কোনো নদীর মোহনায় যদি সমুদ্র স্রোতের প্রভাব কম থাকে তখন এই ধরণের ব দ্বীপ গড়ে ওঠে। যেমন - মিসিসিপি নদীর মোহনার ব-দ্বীপ।


খাঁড়ি
       মোহনার কাছে যদি নদী খুব বেগে প্রবাহিত হয় তবে নদী বাহিত পদার্থ মোহনায় সঞ্চিত হতে পারে না। এর ফলে নদীর মোহনা খুব গভীর এবং প্রশস্ত হয়। একে খাঁড়ি বলে। রাশিয়ার অব নদীর মোহনায় পৃথিবীর বৃহত্তম খাঁড়ি এই ভাবে সৃষ্টি হয়েছে।

## নদীর নিম্ন গতিতে গঠিত ভূমিরূপের সংখ্যা অনেক কম। তাই এই কয়েকটি আলোচনা ছবি সহ যথেষ্ট। নিচে আগ্রহী ছাত্র ছাত্রী দের জন্য কিছু আলোচনা থাকলো,,,

  DOWNLOAD EDUCOSTUDY APP FROM PLAYSTORE CLICK HERE

# সব নদীর মোহনায় ব দ্বীপ কেন সৃষ্টি হয় না ?

*** আমরা ভৌগোলিক ভাবে দেখতে পায় যে সমস্ত নদীর মোহনা তে কিন্তু দ্বীপ গড়ে ওঠে না। এর পিছনে কিছু নির্দিষ্ট কারণ আছে, যেমন -
  • নদীর মোহনায় যদি ভূমির ঢাল বেশি হয় তবে সেক্ষেত্রে দ্বীপ সৃষ্টি হয় না।
  • নদীর মোহনায় জোয়ার , ভাটার প্রকোপ যদি বেশি হয় ।
  • যদি নদীর মোহনায় নিচের শিলা স্তর কঠিন হয় তবে সেখানে নদী বাহিত পদার্থ জমতে না পারায়, দ্বীপ গোড়ে ওঠে না।
  • নদীর সমস্ত গতিপথের তীব্রতা দ্বীপ গোড়ে ওঠার অন্যতম কারণ।
@@  বন্ধুরা এই ছিলো প্রশ্নের আলোচনা আরো আলোচনা পেতে বেল এ ক্লিক করে allow করে দাও।